রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৯:১২:৪৩
রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে যে, তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত দুটি রাজনৈতিক দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার পথে হাঁটছে। উভয় দলই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তি ধরে গড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, যদি এই দুই দল একীভূত হয়, তাহলে তা আগামী নির্বাচনে একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে বড় প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছে।

‘আলোচনার পর্যায়ে’ রয়েছে ঐক্য প্রক্রিয়া

এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। এনসিপি নেতারা বলেছেন, বিষয়টি এখনো ‘আলোচনার পর্যায়ে’ আছে। গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতাও রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন সমীকরণে আগ্রহী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

জানা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তখন থেকেই দুই দলের মধ্যে একীভূত হওয়া নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথাবার্তা শুরু হয়। তবে দুই দলের বেশ কয়েকজন নেতা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময়ই হয়। আমাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা আলোচনা হয়নি।” তিনি বলেন, “সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে, তবে এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি।”

অন্যদিকে, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, “এখনো এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি।”

একই প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট প্রায় একই রকম। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন থেকে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। এনসিপির অনেক শীর্ষ নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন থেকেই। এ কারণে অনেকেই নুরুল হক নুরকে এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও মনে করেন।

গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করেননি। তিনি বলেন, “আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলোকে এক করার চেষ্টা করছি। রাজনীতিতে তো অনেক কিছুই সম্ভব।”


ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৭:৩৩:৩৪
ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের সমন্বয় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদেরই দাবি’

নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর তারাই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং শিগগিরই আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।

ব্যর্থতার কারণ খুঁজছে এনসিপি

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এনসিপি সমর্থিত প্যানেলের আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা যে প্যানেলকে সমর্থন করেছিলাম, তারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি।”

তিনি বলেন, এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দেখতে তারা আত্মমূল্যায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন, গত এক বছরে সাংগঠনিকভাবে যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, দলটি তা অর্জন করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার পেছনে নানা ধরনের অস্থিরতা ও পরিস্থিতি দায়ী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, তাদের সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলো খুব অল্প সময়ের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে একই ভুল যাতে না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।


দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৫:২৭:৫৬
দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে আওয়ামী লীগের এমন করুণ পরিণতি হতো না। তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে, যেখানে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ

শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছেন এবং চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছেন।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তারা আবার ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করবে।

‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে’

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে। তিনি বলেন, আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বহুবার দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই দাবি উপেক্ষা করেছে, যার কারণে তাদের এমন করুণ পরিণতি হয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।


পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২২:৫১:৪৭
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশে প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বের মতো ‘জগাখিচুড়ি’ নির্বাচন হলে দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজত্ব আবারও কায়েম হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ইসলামী সরকার দেখতে চাই’

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমানে একটি দল এ দেশকে দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ওই দল যদি বলে নির্বাচন হলে ৯৫ শতাংশ ভোট তারাই পাবে, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে আসতে এত ভয় কেন?”

তিনি বলেন, পূর্বের মতো নির্বাচন হলে “যেই লাউ সেই কদু” হবে। তাই তিনি এবার ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে একটি ইসলামী সরকার দেখতে চান। তার মতে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে আর ধনী-গরিবের ব্যবধান থাকবে না এবং কোনো মানুষ না খেয়ে বা বিনা চিকিৎসায় কষ্ট করবে না।

‘জুলাই অভ্যুত্থানের খুনিদের বিচার চাই’

ফয়জুল করীম বলেন, অভাব না থাকলে দেশে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই কমে যাবে এবং মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। এই লক্ষ্য পূরণে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের খুনিদের দৃশ্যমান বিচার দাবি করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এইচ মোস্তফার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকীসহ অন্যান্য নেতারা। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২১:১৬:১২
নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

হামলায় গুরুতর আহত গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে কমপক্ষে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে নুরের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে এক জরুরি বার্তায় তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, মাথায়, নাকে ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাতের কারণে চিকিৎসকরা নুরকে এই দীর্ঘ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। নাক ও চোয়ালে আঘাত থাকায় তাকে শক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে এবং কম কথা বলতে বলা হয়েছে। যদিও রাজনীতির মানুষ হওয়ায় মনের জোরে তিনি ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে আপাতত সব ধরনের সাক্ষাৎ ও কথা বলা বন্ধ করা হয়েছে। তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়াও চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান নুরুল হক নুর। রাজধানীর কাকরাইলে হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি সুস্থ নন এবং বাসায় ফিরে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।


বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:৫০:২৭
বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক নাটকীয় ঘটনা। সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ, আর তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় হাজির হয়েছেন স্থানীয় এক জামায়াত নেতা। বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।

আটক যুবক মাইনুল ইসলাম মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুস সালাম সিকদারের ছেলে এবং কেশবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ মাইনুলকে নিজ গ্রাম থেকে আটক করে।

আটকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাইনুলের কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেসব ছবিতে তাকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ফলে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এলাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে অপুর সমর্থকদের পক্ষে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিলেন। এনামুল হক হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের শ্যালক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

তবে বৃহস্পতিবার মাইনুল আটক হওয়ার পর ঘটনাটি ভিন্ন মোড় নেয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাঈদ দাবি করেন, মাইনুল এখন আর ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ভাষায়, “যেহেতু তিনি আমাদের কমিটির পদে আছেন, তাই আমি স্বাভাবিকভাবেই থানায় গিয়েছিলাম।”

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরুজ্জামান সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “মাইনুলকে ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন।”

-রাফসান


বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:২৬:০৫
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে একটি ওলামায়ে কেরাম সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে’

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের যথাযথ মূল্যায়ন করে। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে বিএনপি চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিল। তখনও আমরা আলেম-ওলামা ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে চেয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি যদি আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে যেতে পারে, তাহলে আমাদের দল কখনই কোরআন ও সুন্নাহ’র আদর্শের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাশ করবে না। অতীতেও আমরা আলেম-ওলামাদের সম্মান দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করব।”

‘ইসলামের জাগরণ হয়েছে’

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাস করে কোনো শাসকের স্থান ভবিষ্যতে আর হবে না। তিনি বলেন, “বিশেষ করে, শেখ হাসিনার এই পরিণতি দেখার পরে সকল রাজনৈতিক দল এখন সাবধান এবং এ দেশে ইসলামের জাগরণ হয়েছে।”

লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম-ওলামারা।


আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:১৮:৪৫
আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনার সময় কর্মসূচি দিয়ে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। রাজপথে নেমে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপি কোনো ইস্যুতে আন্দোলনে যায়নি। তিনি আরও জানান, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।

তিনি বলেন, আগামীতে তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেবেন, তবে এজেন্ডা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৯:৩৭:৫১
আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক সরকার না থাকায় জবাবদিহিতা ও স্থিতিশীলতার অভাব তৈরি হয়েছে। তার মতে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রত্যাবর্তন জরুরি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটি স্থিতিশীল অবস্থা চাই, যেখানে দেশের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারবে। সরকার যদি নির্বাচনের মাধ্যমে আসে এবং জনগণের সমর্থন পায়, তাহলে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তা না হলে অস্থিরতা চলতেই থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, সরকারের শক্তির মূল উৎস জনগণ। নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের শক্তি টেকসই হয় না। এজন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটি সরকার গঠন অপরিহার্য।

নুরুল হক নূরের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে

আলাপচারিতার প্রসঙ্গ টেনে খসরু বলেন, “আমরা যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার পাব, যেখানে জনগণের সমর্থন থাকবে, যারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে—তত দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরবে। জনগণের শক্তির অনুপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে, বরং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।”

জবাবদিহিতার সংকট

সংসদের অনুপস্থিতি ও জবাবদিহিতার ঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে খসরু বলেন, “সংসদ নেই, এখানে জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি স্পষ্ট। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এর জন্য কাউকে দায়ী করায় লাভ নেই, কারণ নির্বাচিত সরকার না থাকলে দায়বদ্ধতার ঘাটতি থাকবেই।”

ভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে, যেখানে জাতীয় নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে করার প্রস্তাব রাখা হয়। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা খসরু বলেন, “এটা চাইতেই পারে, এতে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদেরও কিছু দাবি আছে। তবে সব দাবিতে ঐক্যমত হবে, তা ভাবার কারণ নেই। বিভিন্ন দর্শন ও চিন্তাধারার কারণে আলাদা দল টিকে আছে। যদি সবার একই দাবি হতো, তাহলে বাকশালের মতো একদলীয় ব্যবস্থা হয়ে যেত। সুতরাং জনগণের কাছে গিয়ে, নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যান্ডেট নিয়েই এসব দাবি পূরণ করতে হবে। এটাই গণতন্ত্র।”

গণতন্ত্র না হলে অস্থিতিশীলতা বাড়বে

খসরুর মতে, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে জনগণই রাজনৈতিক শক্তির উৎস। জনগণের আস্থা ও ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না। তিনি বলেন, “যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস না করা হয়, তবে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। বরং এভাবে চলতে থাকলে পরাজিত শক্তির জন্য সুযোগ তৈরি হবে এবং তারা লাভবান হবে।”

নির্বাচনের প্রস্তুতি

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, “দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এর জন্যই গত ১৫–১৬ বছর ধরে সবাই ত্যাগ স্বীকার করেছে। নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দাবি-দাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দাবি থাকতে পারে, তবে সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, ম্যান্ডেট পেতে হবে, তারপর সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে অনুমোদন পেতে হবে। এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালে কেউ যদি অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করে, তবে তাদের রাজনৈতিকভাবে দায় বহন করতে হবে।”


জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১১:১৫:৩৭
জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, আস্থা পুনর্গঠন করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

দলীয় শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা

তারেক রহমান তার পোস্টে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় দল। তিনি জানান, এরই মধ্যে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৭ হাজার দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে অনেকে বহিষ্কৃত ও পদচ্যুত হয়েছেন। তারেক রহমান বলেন, "শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।"

আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

তারেক রহমান আরও জানান, সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি সবসময় নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে। দলটি জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৩১ দফা কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। তার মতে, বিএনপি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং সে কারণে দলটিতে নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।"

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ

পোস্টে তিনি বলেন, বিএনপি তার ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। একইভাবে, বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। তিনি জানান, তাদের সেই আদর্শকে সামনে রেখেই বিএনপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যৎমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

পোস্টের শেষে তারেক রহমান তার সহকর্মী ও নেতাদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ আরও উজ্জ্বল হবে।" তিনি বিশ্বাস করেন যে, একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।

পাঠকের মতামত: