জুলাই সনদে আসছে বড় পরিবর্তন

জুলাই সনদে আসছে পরিবর্তন, সংবিধানের ওপর প্রাধান্য থাকছে না
‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর চূড়ান্ত খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। সংবিধান ও আইনের ওপর এই সনদের প্রাধান্য দেওয়া হবে না এবং সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রহিত করার অঙ্গীকারেও বদল আসবে। এছাড়া, সনদের ব্যাখ্যার ক্ষমতা আপিল বিভাগকে দেওয়ার অঙ্গীকার বাতিল করা হতে পারে। সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতিও এতে থাকবে না, বরং তা সুপারিশ আকারে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ সরকারকে দেবে। এরপর সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, কোন পদ্ধতিতে সনদ বাস্তবায়িত হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
অঙ্গীকারনামায় পরিবর্তন ও রাজনৈতিক মতভেদ
গত ১৬ আগস্ট, কমিশন সনদের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া তৈরি করে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটকে মতামত দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল। ২৮টি দল মতামত দিয়েছে এবং এক সপ্তাহ ধরে তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছে কমিশন। চূড়ান্ত খসড়ার আট দফা অঙ্গীকারনামার মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।
খসড়ার দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছিল, বিদ্যমান সংবিধান ও আইনের ওপর সনদ প্রাধান্য পাবে। কিন্তু বিএনপি এই অঙ্গীকারে রাজি নয়, যদিও জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি এতে একমত। এই আপত্তির কারণে অঙ্গীকারে ভাষাগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবে বলা হতে পারে, যেসব সংস্কার বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সনদের সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। যেমন—এক ব্যক্তি জীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে যেন সব দল রাজি থাকে এবং রাজনৈতিক বিতর্ক এড়ানো যায়।
খসড়ার তৃতীয় দফায় বলা হয়েছিল, সনদের ব্যাখ্যা দেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের থাকবে। কিন্তু বিএনপি-সহ আটটি দল এতে রাজি নয়। তাদের যুক্তি, সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, তাই এটি আদালতের হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হবে না।
বাস্তবায়ন পদ্ধতির সমাধান ও চূড়ান্ত খসড়া
সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পরেও কোনো সুরাহা হয়নি। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও এবি পার্টি গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার চায়, আর বিএনপি-সহ ছয়টি দল মনে করে সংবিধান সংশোধন শুধুমাত্র সংসদের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এই মতবিরোধের কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাস্তবায়ন পদ্ধতি সনদের অংশ হবে না।
তবে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করে সুপারিশ আকারে সরকারকে দেওয়া হবে। চূড়ান্ত খসড়া দুটি খণ্ডে বিভক্ত হবে—প্রথম খণ্ডে থাকবে প্রশাসনিক আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে অবিলম্বে কার্যকর করা যায় এমন সুপারিশগুলো। দ্বিতীয় খণ্ডে থাকবে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয় এমন সুপারিশগুলো।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সনদটি চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হবে। যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবেই বিএনপির আপত্তি রয়েছে।
মাদকের ভয়াবহ পরিণতি: অকালে ঝরে যাচ্ছে জীবন, পঙ্গু হচ্ছে তরুণ সমাজ
রাজধানীসহ সারা দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কিশোর থেকে তরুণ (১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ ভাগই ইয়াবায় আসক্ত, যাদের মধ্যে শিক্ষিত তরুণের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ প্রায় সব পেশার লোক এই আসক্তির শিকার।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, মাদকাসক্তদের মধ্যে কিডনি, লিভার, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এর ফলে তাদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। মাদকের এই আগ্রাসন প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং অভিভাবকদের নিয়ে একটি সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভয়াবহ রোগ ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি
কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, মাদকাসক্তদের মধ্যে নেফ্রাইটিস, কিডনি ফেইলর এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মাদকাসক্ত তরুণদের মধ্যে কিডনি রোগীর সংখ্যাই বেশি। তিনি মনে করেন, মাদক কারবারি ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তরুণ সমাজকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, তরুণদের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত হয়ে অকালে মারা যাচ্ছে। লিভার ও প্যানক্রিয়াসে ক্যানসারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মাদকাসক্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।
নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে অনেকের নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনিদ্রা ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। এছাড়া নিউরোপ্যাথি, পঙ্গুত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের কারণে অকালে তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, মাদকাসক্তরা একপর্যায়ে দানবে পরিণত হয় এবং তাদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ থাকে না। মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতে তারা খুন, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করতেও দ্বিধা করে না।
চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এন হুদা বলেন, মাদকাসক্তরা স্থায়ীভাবে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নোংরা পরিবেশে থাকার কারণে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগও বেশি হয়।
সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে মাদক, প্রয়োজন সমন্বিত প্রতিরোধ
২০১৭ সালে সরকারি জরিপ অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ছিল ৮৩ লাখ, যাদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই সর্বাধিক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি মো. এ কে এম শাহিদুর রহমান বলেন, র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। তবে বড় ধরনের সামাজিক আন্দোলন ছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র এবং সাধারণ জনগণ সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই মাদকের আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: আপিলের রায় আজ, কী হবে তারেক রহমানের ভাগ্য?
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের রায় আজ ঘোষণা করবে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে এই নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। এই ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
মামলার বিচারিক ও হাইকোর্টের রায়
হামলার পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল—একটি হত্যা এবং অন্যটি বিস্ফোরক আইনে। প্রাথমিক তদন্তে বিতর্ক দেখা দিলে এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে অধিকতর তদন্তের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মোট ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন। হাইকোর্ট তাদের রায়ে উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত পর্যাপ্ত ও স্বাধীনভাবে হয়নি এবং এতে অসঙ্গতি ও দুর্বলতা ছিল। আদালত এই স্পর্শকাতর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের অভাবকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হিসেবে উল্লেখ করে।
আপিল বিভাগে শুনানি
হাইকোর্টের দেওয়া এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। তারা বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেখায়। আপিল বিভাগে এই মামলার ধারাবাহিক শুনানি ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়ে মোট পাঁচ দিন ধরে চলে। আজ এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
/আশিক
ইসি’র ঘোষণায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা: তাহলে কি আওয়ামী লীগ বাদ পড়তে যাচ্ছে?
কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। যদিও তিনি আওয়ামী লীগের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে তার বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে, যদি দলটির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হয়, তাহলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নিতে পারবে না।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরপিও সংশোধনে নতুন বিধিমালা
ইসি সানাউল্লাহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে জানান যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন। এছাড়া, আদালত কর্তৃক যারা ফেরারি হবেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। লাভজনক পদে থাকা এবং যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
নতুন সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো প্রার্থী হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দেন, তাহলে ইসি পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। একইসঙ্গে, প্রার্থীর জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
ভোটের পদ্ধতি ও অন্যান্য পরিবর্তন
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনে ব্যালটে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এছাড়া, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত সকল বিধান বাতিল করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন। নির্বাচনী পোস্টার বাতিল করা হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা যাবে না।
/আশিক
বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ঘাঁটি দখল
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘ এক মাসব্যাপী অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি দখল করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ অভিযানে সংগঠনটির প্রশিক্ষণ ও কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম ও রসদ জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ২৫ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত বান্দরবানের রুমা উপজেলার রেং ত্লাং এলাকার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এই অভিযান পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনীর টহল দল দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণের পর কেএনএফের একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি শনাক্ত করে। পরবর্তীতে সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয় এবং সংগঠনটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে সেনাবাহিনী জানায়, ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত কাঠের রাইফেল, স্নাইপার অস্ত্রের সিলিং, সামরিক বেল্ট, কার্তুজ বেল্ট, পোচ, ইউনিফর্ম, বুট, কম্বল, ওয়াকিটকি চার্জার, সোলার প্যানেল, খাদ্যরসদ এবং বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেনারা কেএনএফের প্রশিক্ষণ মাঠ, ফায়ারিং রেঞ্জ, পরিখা এবং কৌশলগতভাবে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনাও দখল করেছে। এসব সামরিক অবকাঠামো থেকে বোঝা যায় যে সংগঠনটি সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ চালিয়ে আসছিল।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ মূলত পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে বেশি পরিচিত। ২০২২ সালের শুরুর দিকে সংগঠনটির অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসে। তখন বলা হয়, বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রো সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে সংগঠনটি গঠিত হয়েছে। তবে বাস্তবে এতে বম জনগোষ্ঠীর একটি অংশ সক্রিয় থাকায় এটি স্থানীয়ভাবে বম পার্টি নামেই পরিচিতি লাভ করে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি এই অভিযান মূলত সীমান্তবর্তী দুর্গম অঞ্চলে কেএনএফের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে তাদের সামরিক সরঞ্জাম ও অবকাঠামো দখল করে সেনারা পাহাড়ি এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভিযান কেবল একটি সশস্ত্র সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত করতেই নয়, বরং পার্বত্য অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-শরিফুল
কাস্টমস-ভ্যাট-আয়করের জটিলতা সমাধানে এনবিআরের নতুন উদ্যোগ
কাস্টমস, আয়কর এবং ভ্যাট-সংক্রান্ত নানা সমস্যাকে সরাসরি শোনা ও দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবসায়ী সমাজের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন ও বাস্তব সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে তারা নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করবে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিট দ্যা বিজনেস’, যা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে এনবিআরের সরাসরি আলোচনার একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
এনবিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই বৈঠক চলতি সেপ্টেম্বর থেকেই নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতি মাসের দ্বিতীয় বুধবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা হবে। মূলত বাণিজ্য সহজীকরণ বা ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মাঠপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা যেসব জটিলতার মুখোমুখি হন, সেগুলো সনাক্ত ও সমাধান করাই এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। এর মাধ্যমে কর প্রশাসনের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায়। এতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সামনে নিজেদের সমস্যা সরাসরি উপস্থাপন করতে পারবেন। এখানে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় জটিলতা, শুল্ক কাঠামোর অসামঞ্জস্য, ভ্যাট বাস্তবায়নের সমস্যাসহ বিভিন্ন আয়কর সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সভায় অংশগ্রহণের জন্য ব্যবসায়ীদের একটি গুগল ফরম পূরণ করে পাঠাতে হবে বলে এনবিআর জানিয়েছে। এভাবে আগাম নিবন্ধন নিশ্চিত হলে আলোচ্য বিষয়গুলো আরও কার্যকরভাবে সাজানো যাবে এবং ব্যবসায়ীরা যেসব সুনির্দিষ্ট সমস্যা বা অভিযোগ তুলে ধরবেন, তার ভিত্তিতেই বৈঠকের এজেন্ডা তৈরি করা হবে।
-রফিক
দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকাস্থ শীর্ষ পদে নতুন দূত নিয়োগের ঘোষণা এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছে অভিজ্ঞ কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে। হোয়াইট হাউসের ২০২৫ সালের ২ সেপ্টেম্বরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়ার এই সিনিয়র ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তা ‘অ্যাম্বাসেডর এক্সট্রঅর্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপোটেনশিয়ারি’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, যা বর্তমানে সেনেট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
একই ঘোষণায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বর্তমান পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সের্গেই গরকে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন। তবে সবগুলো নিয়োগই কার্যকর হওয়ার আগে সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে।
ক্রিস্টেনসেনের বাংলাদেশে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারও আগে কর্মজীবনের প্রারম্ভিক সময়ে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিষয়ক অফিসে বাংলাদেশ ডেস্ক অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
দীর্ঘ কূটনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মিশন ও দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র হস্তান্তর কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর (২০১৬–২০১৯), হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক সাবকমিটিতে পারসন ফেলো (২০১৫–২০১৬) এবং উত্তর কোরিয়া নীতির বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করা।
এছাড়া তিনি ম্যানিলা, সান সালভাদর, রিয়াদ ও হো চি মিন সিটি কনস্যুলেটে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও কনস্যুলার দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে কূটনৈতিক মহলে তাকে বহুমুখী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা হিসেবে দেখা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার মিশন শেষ করার পর থেকে মার্কিন দূতাবাসে স্থায়ী রাষ্ট্রদূত নেই। সেই সময় থেকে একের পর এক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে জানুয়ারি থেকে লিসা জ্যাকবসন সিডিএ হিসেবে দায়িত্বে আছেন। ক্রিস্টেনসেনের মনোনয়ন সেনেটের অনুমোদন পেলে প্রায় দেড় বছরের শূন্যতা পূর্ণ হবে।
বাংলাদেশ–মার্কিন সম্পর্কের জটিল ও বহুমাত্রিক বাস্তবতায় ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের নিয়োগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বাণিজ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সংক্রান্ত ইস্যুতে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে পারে।
-সুত্রঃ ডেইলি সান
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনী, পালিয়ে থাকা নেতাদের জন্য কড়া নিয়ম
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী বিধান নতুন মোড় নিচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই আত্মগোপনে বা বিদেশে অবস্থান করছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমানে ভারতে এবং অন্যান্য দেশে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। আইন অনুযায়ী, চলমান মামলায় আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মগোপন করলে আদালত তাদের ‘পলাতক’ বা ‘ফেরারি’ ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাদের অংশগ্রহণ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার মধ্যে নতুন একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করেছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো আদালত যদি কাউকে ‘ফেরারি’ ঘোষণা করে, তবে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (Representation of the People Order - RPO)–এর ১২(১) অনুচ্ছেদে সংশোধন এনে এই বিধান সংযোজন করেছে ইসি। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কমিশন চূড়ান্তভাবে এই খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এতদিন পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা নির্বাচনে অযোগ্য হতেন। কিন্তু এবার রায় ঘোষণার আগেই যদি শুনানিতে হাজির না থাকার কারণে আদালত কাউকে ‘ফেরারি’ ঘোষণা করে, তবে সেই ব্যক্তিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগও বাতিল করা হয়েছে। এখন প্রার্থী কিংবা তাঁর প্রস্তাবক বা সমর্থককে সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিধান কার্যকর হলে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারাবেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিপুলসংখ্যক মামলা চলমান রয়েছে। যেসব নেতা নিয়মিত আদালতে হাজির হননি, তাঁদের অনেককেই আদালত ফেরারি ঘোষণা করেছে। ফলে এসব ব্যক্তি নতুন বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। অর্থ পাচারসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের মামলায় ফেরারি হলে তারাও একইভাবে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এ ছাড়া যেসব নেতা সরাসরি মামলার আসামি নন, কিন্তু আশঙ্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন, তাঁদের জন্যও মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিলের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ইসি সূত্র আরও জানিয়েছে, দীর্ঘ আলোচনার পর মঙ্গলবার ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’–এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশেই ফেরারি আসামিদের প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করার বিধান যোগ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই বিধান আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। এখন সেটি সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে যাচ্ছে। যদিও ইসি পূর্বে এক পর্যায়ে জানিয়েছিল, ফেরারি আসামিকে অযোগ্য করার বিধান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে। তবে বর্তমান কমিশন বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করে আইনেই তা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, “আমরা আরপিও খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এখন এটি আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে অধ্যাদেশ জারির জন্য। আদালত কর্তৃক ফেরারিরা নির্বাচনে অযোগ্য হবে—এই বিধান আমাদের প্রস্তাবে রাখা হয়েছে।” অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ বাতিলের বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেন।
তবে এ বিধানের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলি। তাঁর মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইনে এই বিধান আগে থেকেই কার্যকর। তাই সংসদ নির্বাচনে যুক্ত হওয়াটা যৌক্তিক। তবে প্রশাসন ও পুলিশের প্রভাব থাকলে এই আইন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার হাতিয়ার হতে পারে।
এছাড়া ইসির চূড়ান্ত খসড়ায় আরও অন্তত ৪৫টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোটের বিধান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি সব সম্পদ হলফনামায় উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা এবং মিথ্যা তথ্য দিলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা, নির্বাচনি জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা, জোটভুক্ত প্রার্থীদের নিজ দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, প্রার্থীর নিজ এলাকায় ভোটার হতে হবে এজেন্ট ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে, এবং পুরো আসনের ভোট বাতিল করার ক্ষমতা আবারও ইসির হাতে ফিরিয়ে আনা। একই সঙ্গে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কিত অনুচ্ছেদগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইসির প্রস্তাবিত এই সংশোধনী বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ আকারে তা জারি করতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তুলবে। অধ্যাদেশ জারি হলেই নতুন বিধান কার্যকর হবে এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এর বাস্তব প্রয়োগ দেখা যাবে।
-রাফসান
নুরুল হক নূর কে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি নির্দেশ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদ নুরুল হক নূরের গুরুতর শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নূরের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। বৈঠকে নূরের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মারিয়া আক্তার। তিনি জানান, নূরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে, নাকের হাড় ভেঙে গেছে, পাশাপাশি চোয়াল ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
নূরের স্ত্রী দৃঢ়ভাবে মত প্রকাশ করেন যে তাঁর স্বামীর জীবন বাঁচাতে দ্রুত বিদেশে নিয়ে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রধান উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন যাতে নূরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, “এই ঘটনায় আমরা সবাই গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁর যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। একই সঙ্গে এই হামলার কারণ উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।”
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৈঠকে জানান, হামলার ঘটনা তদন্তে বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে একটি এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবারের মধ্যেই এই বিষয়ে সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশিত হবে এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
-রফিক
নুরকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তার এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন সাক্ষাৎ করলে তিনি এই নির্দেশ দেন।
নুরের শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, নুরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে, নাকের হাড় ভেঙেছে এবং তিনি চোয়াল ও মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন। মারিয়া আক্তার তার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এরপরই প্রধান উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নুরকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এ ঘটনায় আমরা সবাই স্তম্ভিত। তার সুচিকিৎসায় আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।” তিনি আরও জানান, এই হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
এ সময় বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, হামলার ঘটনা তদন্তে বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে একটি এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আগামীকালের (বুধবার) মধ্যেই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হবে এবং তদন্ত কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- জুলাই সনদে আসছে বড় পরিবর্তন
- পুতিন জানালেন, কেন তিনি এখনো ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি
- অভিষেক রাঙাতে পারলেন না কিউবা: এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুতেই হোঁচট খেলো বাংলাদেশ
- মাদকের ভয়াবহ পরিণতি: অকালে ঝরে যাচ্ছে জীবন, পঙ্গু হচ্ছে তরুণ সমাজ
- বিধ্বস্ত হচ্ছে একের পর এক মহল্লা, গাজায় এবার মানবিক সংকট চরমে
- সকালে খালি পেটে এই ৬টি খাবার খান, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ
- আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া? জেনে নিন আজকের পূর্বাভাস
- গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: আপিলের রায় আজ, কী হবে তারেক রহমানের ভাগ্য?
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
- বেইজিং সফরে কিম জং-উন, আলোচনায় তার মেয়ে জু আয়ে
- মেসির বিদায়ী ম্যাচে পানি ঢালতে চান ভেনেজুয়েলার কোচ বাতিস্তা
- ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো
- নুরের চিকিৎসা দেশে করাই সম্ভব: ঢামেক পরিচালক
- খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ভারতের দল: রাশেদ খান
- চাঁদাবাজদের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না: চরমোনাইর পীর
- আফগানিস্তানে নতুন আতঙ্ক: বাড়ি থেকেও আশ্রয়হীন হাজারো পরিবার
- লিটনের ব্যাটে ঝড়, শেষ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ শুরু বাংলাদেশের
- ইতালির পথে আবারও ট্রাজেডি, ভূমধ্যসাগরে প্রাণহানি
- মাত্র ২২০ টাকায় মিলল পুলিশে চাকরি
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন আহমেদ আযম খান
- গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভে অচল পল্টন মোড়
- চায়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই প্রেমিকের সঙ্গে দুই গৃহবধূর পলায়ন
- ড. ইউনূসের নতুন ভিশন: সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে বাংলাদেশের মহাসড়ক
- মাতারবাড়ী-মহেশখালী হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর: আশিক চৌধুরী
- ড. ইউনূসকে সরাতে কঠোর আন্দোলন হতে পারে: জাহেদ উর রহমান
- সৌদি রাজতন্ত্রের অজানা অধ্যায়: ক্ষমতার জন্য বাবা ও ভাইদের ছাড় দিলেন না মোহাম্মদ বিন সালমান
- ইসি’র ঘোষণায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা: তাহলে কি আওয়ামী লীগ বাদ পড়তে যাচ্ছে?
- মহাকাশে ইসরায়েলের নতুন নজরদারি: উৎক্ষেপণ হলো ‘ওফেক-১৯’
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- শেয়ারবাজারে আজ বড় লোকসান দিল যেসব কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- জাতীয় পার্টির পাশাপাশি জামায়াতকেও কাঠগড়ায় তুললেন রুমিন ফারহানা
- পিআর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী: ‘জনগণ তো এটা চায় না’
- নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে দেশ এখনও স্বৈরাচারমুক্ত নয়: দুদু
- অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে: সামান্তা শারমিন
- চীনের সামরিক মহড়া: প্রকাশ্যে এলো নতুন পারমাণবিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, নির্ধারিত তারিখেই ভোট
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- বাংলাদেশি ওষুধের সাফল্য: যুক্তরাজ্যে রেনেটার নতুন পদচারণা
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- বেইজিংয়ে একসাথে শি–পুতিন–কিম এর ঐতিহাসিক মুহূর্ত
- বলিউডের তারকাদের ফ্লোরাল ফ্যাশন: ঋতুভেদে সৌন্দর্যের নতুন সংজ্ঞা
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ঘাঁটি দখল
- ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
- বাঘি ৪: মরুভূমির বুকে হারনাজের আগুনঝরা রূপ
- সৌদি আরবে মূল পর্বের স্বপ্নে যাত্রা শুরু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের
- পাকিস্তানে একদিনে তিন হামলা: নিহত অন্তত ২৫
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- "জাতীয় নাগরিক পার্টি আসলে ইউনূসের দল, জামায়াতই দেশ চালাচ্ছে"
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ছেলের আত্মহত্যার জন্য দায়ী ChatGPT’: কাঠগড়ায় OpenAI
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ২৮ আগস্ট দরপতনের তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেনের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৮ আগস্ট শীর্ষ ১০ গেইনার তালিকা
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ডিএসই ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন
- নিহত গাজা সাংবাদিকের চিঠি পড়ে কেঁদে ফেললেন জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত
- সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা