প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১৬:৫৪:০৪
প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
ডা. মাহমুদা মিতু।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যবসাটা ভালো বোঝেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার নিজের লোকজনের জন্য আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এনসিপি নেত্রী এই মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, “মাথা নত করারও একটা লেভেল থাকে। তবে ব্যবসাটা ভালো বুঝছে পাগলায় (ড. মুহাম্মদ ইউনূস)।”

তিনি বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা, হাসপাতাল করা, কর মওকুফ এবং বছর বছর ধরে তার এনজিও বন্ধুদের ক্ষমতায়ন করা—সবই আসলে নিজের লোকজনের আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, “ওনাকে দেখে মেরুদণ্ডহীন অতি জ্ঞানীদের আমি ঘৃণা করা শিখেছি।”

এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতুর এই স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং মন্তব্য ঘরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

/আশিক


সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১১:২৮:১০
সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে (রিপন ভিডিও) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা। একদিকে রিপনকে নিয়ে টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মা-বাবার অভিযোগ, অন্যদিকে মায়ের কাছে গিয়ে কান্না করা রিপনের ভিডিও—দুই বিপরীত দৃশ্য একসঙ্গে নাড়া দিয়েছে পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।

অভিযোগ ও সমালোচনার ঝড়

সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে রিপনের মাকে বলতে শোনা যায়, “খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান-ইজ্জত না থাকে!” প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রিপন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং মা-বাবার খরচ বহন করেন না।

এই প্রতিবেদনের পরই স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই রিপনকে ‘অহংকারী’ এবং ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেন।

কান্নার ভিডিওতে নাটকীয় মোড়

তবে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে মোড় নেয় আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিপন মিয়া এবং মাও ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। রিপন মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়, “তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”

ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হলে সমালোচনার সুর পাল্টে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেন, “মা-ছেলের সম্পর্ক পবিত্র। এই সম্পর্ক নিয়ে বিচারের আগে ভাবা দরকার।”

রিপনের বক্তব্য

রিপন মিয়া জানান, “এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তবে খুব শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব।” তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। তবে যাঁরা আমার সরল মা–বাবাকে নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”

রিপন আরও অভিযোগ করেন, কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করেন।

নেত্রকোনার এক কাঠমিস্ত্রির ছেলে রিপন মিয়া ২০১৬ সালে ‘বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক’—এই ভিডিও দিয়ে প্রথম জনপ্রিয় হন। তবে রিপন মিয়াকে ঘিরে এই ঘটনার পর এক প্রশ্ন আবার সামনে চলে এসেছে—ভাইরাল সংবাদের আড়ালে সত্যটা কোথায়? মা-ছেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিপূর্ণ ছবি কি কখনো জানতে পারি?


ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক অভিযোগ

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:২১:০১
ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক অভিযোগ
ছবিঃ সংগৃহীত

আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ত্বহা একাধিক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, এমনকি তার বেবিসিটার ও এক কলেজ জীবনের প্রেমিকার (বর্তমানে এয়ার হোস্টেস) সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সাবিকুন নাহার সারাহ এই এয়ার হোস্টেজ নারীর ছবিও প্রকাশ করেছেন।

একাধিক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রেমিকা

সাবিকুন নাহার সারাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ভক্তরা যেখানে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, তিনি মনে করেন এটি ‘সত্যের ওপর মিথ্যা ঢাকার’ চেষ্টা। তিনি লেখেন:

“আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর আগের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেসের।”

সাবিকুন নাহার সারাহ অভিযোগ করেন, ত্বহা নিয়মিত এই এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে চ্যাট বক্সে ফিলিং আদান-প্রদানসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার ‘যিন্নুরাঈন সেন্টারে’ বসে ফোনে কথা বলতেন এবং অফিসরুমে সাক্ষাৎও করতেন।

তিনি ত্বহার কর্মকাণ্ডকে ‘নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন’ এবং ‘মেয়েদের সাথে একান্তে মিট করার কারখানা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

অবিবাহিত ও কাজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক

সাবিকুন নাহার সারাহ অভিযোগ করেন, শুধু এয়ার হোস্টেস নন, ত্বহা অন্য আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন:

বেবিসিটারের সঙ্গে যোগাযোগ: ত্বহা তার বেবির দেখাশোনার নাম করে কাজের মেয়ের সঙ্গে ১৮ মিনিট পর্যন্ত কথা বলেছেন এবং তাকে টাকা দিতেন। এই মেয়েটিকে তিনি ‘আমার মোহাব্বত, আমার পুরো কলিজাটা’—বলে মেসেজও দিয়েছিলেন বলে সারাহ দাবি করেন।

অন্যান্য নারী: এক ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ, এক আলেমা মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি এবং আরও একাধিক মেয়ের সঙ্গে সিরাত প্রতিযোগিতা বা শিক্ষক নিয়োগের নামে কথা বলতেন।

মানসিক নির্যাতন ও সমাধানের পথ

সাবিকুন নাহার সারাহ বলেন, “আমি তার জন্য কি করিনি! ৫ বছরের সংসার জীবনে আজও তাকে আমি নতুন বরের মতো ট্রিট করি... তার কেন কারো প্রেম লাগবে, প্রেমিকা লাগবে!” তিনি বলেন:

“যে পুরুষের চোখে নতুন নারীর লিপ্সা, তার জন্য নিজ স্ত্রীর অগাধ ভালোবাসাই যন্ত্রণা।”

তিনি জানান, তিনি দুই বছর ধরে সমাধানে আসার চেষ্টা করলেও তাকে সাহায্য করা হয়নি। তিনি এই প্ল্যাটফর্মে এসেছেন, কারণ এটি ছাড়া ত্বহা কখনো শোধরাবেন না এবং সমস্যাও সমাধান হবে না। তিনি আল্লাহর কাছে কেবল তার পরকালের মুক্তি কামনা করেছেন।


এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৬:৫১:৫৭
এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই পরামর্শ দেন। তবে কী কারণে তিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি।

মানসিক চাপ ও উদ্বেগের ইঙ্গিত

প্রিন্স মাহমুদ তার পোস্টে সারজিস আলমের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগে ভোগার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি লেখেন:

“স্নেহের সারজিস, তোমার সম্ভবত ঘুম কম হচ্ছে। পারস্পরিক সম্পর্ক অবনতি, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অনিদ্রা অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট বিষণ্নতায় আর আবেগজনিত জটিলতায় ভুগছ বলে ধারণা করছি।”

তিনি সারজিস আলমকে ঘুমের ওষুধ সেবনের পরামর্শও দেন। তিনি বলেন, “ডাক্তারের পরামর্শমতো রিভোট্রিল ০.৫ এম জি বা লেক্সোটানিল খেয়ে দেখতে পারো।”


বিছানায় বসে প্রেম’: ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক পোস্ট

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৬:১৮:০৩
বিছানায় বসে প্রেম’: ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক পোস্ট
ছবিঃ সংগৃহীত

আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, আবু ত্বহা বিছানায় বসে এক এয়ার হোস্টেস নারীর সঙ্গে প্রেম করছেন এবং গোপনের ধার ধারেন না। সাবিকুন নাহার সারাহ’র এই পোস্টটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্ত্রীর অভিযোগ

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে সাবিকুন নাহার সারাহ অভিযোগ করেন:

“আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর আগের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেসের। তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি। এখন আবার জারিন জাবিন নামক ভদ্রমহিলা ডেসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন।”

সারাহ বলেন, তারা নিয়মিত চ্যাট বক্সে ফিলিং আদান-প্রদানসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আবু ত্বহার ‘যিন্নুরাঈন সেন্টারে’ বসে ফোনে কথা বলছেন এবং অফিসরুমে সাক্ষাৎও করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ত্বহার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে নারীর সঙ্গে একান্তে দেখা করার কারখানা।

বিবাহের প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণা

সাবিকুন নাহার সারাহ আরও অভিযোগ করেন, এই এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে এনগেজ হওয়ার আগে আবু ত্বহা রংপুরের আরেকজন আলেমা মেয়েকে বিয়ে করবেন বলে তার বাবা-ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। কিন্তু এয়ার হোস্টেসকে পাওয়ার পর নানা অজুহাত দেখিয়ে তিনি সেই আলেমা মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতেও সাবিকুন নাহার সারাহ একই পোস্ট করেছিলেন, যেটি ঘিরে আলোচনার ঝড় শুরু হয়। পরে ৬ অক্টোবর আবু ত্বহা সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলে স্ত্রী পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তবে আজ সকালে পুনরায় পোস্ট করলে বিষয়টি নতুন মোড় নেয়।


শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৯:০৫:৪৭
শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি

সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হলেও সংগঠনটিকে দমন করা যাচ্ছে না এবং শেখ হাসিনাও তার কর্মকাণ্ডে বিন্দুমাত্র ভীত নন।

আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে গোলাম মাওলা রনি এসব কথা বলেন।

রনি দাবি করেন, "বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার আতঙ্ক ক্রমে বেড়েই চলেছে এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মানুষের ভয়-আতঙ্কও সমান্তরালে বাড়ছে।" তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা এখন জেলে এবং প্রায় প্রতিদিনই কর্মীরা ধরা পড়ছেন, কিন্তু এরপরেও সংগঠনটির কার্যক্রম থামানো যাচ্ছে না।

শেখ হাসিনার বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনাকে দমন করা যাচ্ছে না। তার কর্মকাণ্ডকে বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি ভারতে বসেই বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, অনলাইনে অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে সংগঠিত করছেন।"

গ্রেপ্তার অভিযানে দলের তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না উল্লেখ করে রনি বলেন, "আমরা যেভাবে গ্রেপ্তার করছি, এতে করে আওয়ামী লীগের কতটুকু ক্ষতি হচ্ছে বা শেখ হাসিনা কতটুকু ভয় পাচ্ছেন, তার কোনো নমুনা দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তাদের কর্মকাণ্ড, অহংকার, দাপট এবং মিছিলের আকার বেড়েই যাচ্ছে।"

ভিডিওর শেষে রনি বলেন, "শেখ হাসিনা এই ৭৯ বছর বয়সে যে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন, তা আমাদের সবার মনোজগতে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করে ফেলেছে।"


কোথায় আটকানো হবে, বলা কঠিন—শহিদুল আলম

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৪:১৩:০৫
কোথায় আটকানো হবে, বলা কঠিন—শহিদুল আলম
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পৌঁছানোর কথা থাকলেও, আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলার যাত্রা আরও বিলম্বিত হবে বলে জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি জানান, কোথায় বা কখন ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আটক করতে পারে, তা আগেভাগে বলা কঠিন।

রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান।

ধীরে যাত্রা ও বাধার আশঙ্কা

শহিদুল আলম ‘কনশানস’ নামের যে নৌযানে আছেন, সেই বহরের গতি কমানো হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি লেখেন:

“শান্ত সমুদ্র আর দারুণ রোদ। গতরাতটা খোলা ডেকে ঘুমিয়েছি আমি। আজ আমাদের গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল; কিন্তু ছোট নৌকাগুলোর কাছাকাছি থাকতে গতি কমিয়ে দেওয়ায় এখন আরও দেরি হবে। তবে বিপদের এলাকা তার অনেক আগেই শুরু হয়, আর কোথায় বা কখন আমাদের আটকানো হতে পারে, তা আগেভাগে বলা কঠিন।”

শহিদুল আলম জানান, কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। মানবিক ত্রাণ নিয়ে তারা গাজার উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছেন।


প্রেমিকা নাকি ষড়যন্ত্র? আদনানের 'অন্ধকার জগৎ' নিয়ে স্ত্রীর পোস্টের পর নাটকীয় ইউ-টার্ন!

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৯:৪৩:৪১
প্রেমিকা নাকি ষড়যন্ত্র? আদনানের 'অন্ধকার জগৎ' নিয়ে স্ত্রীর পোস্টের পর নাটকীয় ইউ-টার্ন!
ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি আদনানের বিরুদ্ধে কলেজ জীবনের পুরোনো প্রেমিকার সাথে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনের গুরুতর অভিযোগ তোলেন।

স্ত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, আদনান জেরিন জেবিন নামক একজন এয়ার হোস্টেসের সাথে নিয়মিত চ্যাট, ফোনালাপ এবং লং ড্রাইভে সময় কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পোস্টে আরও অভিযোগ করা হয় যে, আদনানের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন কোর্সের আড়ালে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দেওয়া হয়, যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

এই অভিযোগের ঝড় ওঠার পরপরই আবু ত্বহা আদনান এক পোস্টে জানান যে তার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে এবং সবাইকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য থেকে সতর্ক থাকতে বলেন।

তবে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন তার স্ত্রী পরবর্তী একটি পোস্টে আগের অভিযোগগুলোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি জানান, কিছু হিংসুক ও বিরোধী লোক তাকে বিভ্রান্ত করেছিল এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আদনানের প্রতি নিজের সমর্থনও ব্যক্ত করেন।

এই ধারাবাহিক নাটকীয়তা—প্রথমে গুরুতর অভিযোগ, এরপর মোবাইল চুরির দাবি এবং সবশেষে স্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা—আদনানের অনুসারী এবং সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


সাকিবের পোস্টের পর ইলিয়াস হোসাইনের পরামর্শ: ‘সম্পত্তি ক্রোক করেন’

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৪:২৫:৫৯
সাকিবের পোস্টের পর ইলিয়াস হোসাইনের পরামর্শ: ‘সম্পত্তি ক্রোক করেন’
ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কারও নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, “একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।” এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্যবহারকারীদের ধারণা, ক্রীড়া উপদেষ্টার ইঙ্গিতটা সাকিব আল হাসানের দিকে।

সাকিবের পোস্ট ও প্রতিক্রিয়া

ক্রীড়া উপদেষ্টার স্ট্যাটাসটি যে সাকিব আল হাসান বুঝতে পেরেছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে তার পাল্টা স্ট্যাটাসে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাকিব তার ফেসবুকে লিখেছেন:

“যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।”

এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় রাত ৯টার দিকে সাকিবের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি অক্ষরে ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’

প্রবাসী সাংবাদিকের মন্তব্য

সাকিবের এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এই বিতর্কে যোগ দিয়ে মন্তব্য করেন, “সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোক করেন, দেখেন সব সোজা হয়ে গেছে।” ইলিয়াস হোসাইনের এই পোস্টে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও নানা মন্তব্য করছেন।


‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:৩১:৩৯
‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কথা বলছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার সমালোচনা শুরু হলে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেছেন, তিনি কোনো সরকারি প্রোগ্রামে যোগ দেননি এবং তাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।

ভুয়া খবর ও সত্য ঘটনা

ডা. তাসনিম জারা বলেন, “গতকাল স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কথা বলছি এমন একটি ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে প্রশ্ন করছেন, সেখানে শুধু আমাকে কেন দেখা গেল, অন্য দলের রাজনীতিবিদরা নেই কেন।” তিনি বলেন, “অভিযোগ এসেছে, হয়তো আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। এটি পরিষ্কার করা জরুরি।”

তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট মানুষের সঙ্গে পেশাগতভাবে পরিচিত হওয়ার জন্য প্রতি বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় নানা ধরনের সাইড ইভেন্ট হয়। আমি খুঁজছিলাম, আমার অবসর সময়গুলো কিভাবে সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়।”

তিনি জানান, মেডট্রনিক ল্যাবস ও ব্র্যাক মিলে বাংলাদেশের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নিয়ে একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এটি সরকারি কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। যেহেতু এটি একটি ‘ইনভাইট-অনলি’ অনুষ্ঠান, তাই তিনি তার পূর্বপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমন্ত্রণ চান এবং সেই আমন্ত্রণেই অনুষ্ঠানে যান। তিনি বলেন, “সরকার থেকে আমাকে সেখানে পাঠানো হয়নি। হয়তো এই জন্যই দেখবেন, সরকারের প্রতিনিধিরা এক পাশে বসেছেন, আমাকে অন্য পাশে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছে।”

সরাসরি মন্তব্য নয়, আলোচনায় অংশগ্রহণ

ডা. তাসনিম জারা আরও বলেন, “কিছু গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আমি সেখানে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নিয়ে ব্লুপ্রিন্ট দিয়েছি। এটি সঠিক নয়।” তিনি বলেন, সেশনটির টাইটেল ছিল ‘ব্লুপ্রিন্ট,’ যেখানে অন্যরা ‘কি নোট’ দিয়েছেন এবং তিনি শুধু মেডিকেল ডিভাইস, প্রযুক্তি ও ইনোভেশন নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। এটিই একমাত্র অনুষ্ঠান নয়, যেখানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ নিয়ে অংশ নিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: