ধূমপান ছাড়তে বড়দের চুষনি, চীনে ভাইরাল এই পণ্যের চাহিদা আকাশচুম্বী

চীনে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিশেষভাবে তৈরি চুষনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিক্রেতাদের দাবি, এই চুষনি মানসিক চাপ কমাতে, ভালো ঘুমাতে এবং ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে। তবে চিকিৎসকরা এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কভাভের তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের চুষনির চেয়ে আকারে বড় এই চুষনিগুলো অনলাইন স্টোরে মাসে দুই হাজারেরও বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর দাম ১০ থেকে ৫০০ ইউয়ানের (১.৪ থেকে ৭০ মার্কিন ডলার) মধ্যে।
এই চুষনি ব্যবহারকারীদের অনেকেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটি নরম ও আরামদায়ক, যা মানসিক স্বস্তি ও অস্থিরতা কমায়। আরেকজনের মতে, এটি তাকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করেছে। আরেকজন ব্যবহারকারী বলেন, কাজের চাপের সময় এটি ব্যবহার করলে শৈশবের নিরাপদ অনুভূতিতে ফিরে যাওয়া যায়।
বিক্রেতাদের দাবির বিপরীতে চীনা দন্ত বিশেষজ্ঞ তাং চাওমিন সতর্ক করে বলেন, এই চুষনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে চোয়াল পুরোপুরি খোলার ক্ষমতা সীমিত হতে পারে এবং চিবানোর সময় ব্যথা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তিন ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করলে এক বছরের মধ্যেই দাঁতের অবস্থান বদলে যেতে পারে। মনোবিজ্ঞানী ঝাং মো মনে করেন, যারা এই পণ্য ব্যবহার করছেন, তাদের আবেগীয় চাহিদা পূরণ হচ্ছে না এবং নিজেকে শিশু ভাবাটা কোনো সমাধান নয়।
এদিকে, এই পণ্য নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। একটি প্ল্যাটফর্মে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি বার।
সূত্র: দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান
চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ গবেষণার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।
গত মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস টোকিও সফর করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় নীতিগতভাবে বাংলাদেশ ও জাপান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র বিনিময়-সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ে সম্মত হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতাবিষয়ক সম্মতিপত্রে সই করেছিল।
চুক্তিতে যা থাকছে
জাপানের প্রতিরক্ষা নীতি অনুসারে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত এই সমঝোতা তিনটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে:
১. প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম হস্তান্তর: এর মধ্যে রয়েছে নৌ টহলযান, যোগাযোগব্যবস্থা, নজরদারির প্রযুক্তি ও অপ্রাণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম।
২. যৌথ গবেষণা: সাইবার নিরাপত্তা, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও উপকূলীয় নজরদারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
৩. কঠোর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা: সরবরাহকৃত সমরাস্ত্র তৃতীয় কোনো দেশে হস্তান্তর করা যাবে না এবং ব্যবহারের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব উপাদান বাংলাদেশকে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সাইবার প্রতিরক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে। সূত্র মতে, জাপান প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার ভিত্তিতে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবও বিবেচনা করছে।
ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা চ্যালেঞ্জ
নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক হলেও এর ভূরাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে চীনের কাছ থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ করে আসছে, তাই জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়লে চীন কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতে পারে। তাই ঢাকাকে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে এগোতে হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ. ন. ম. মুনীরুজ্জামান মনে করেন, “এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ শুধু সমরাস্ত্র নয়, প্রযুক্তিগত সহায়তাও পাবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।”
২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে জাপান এই উদ্যোগ শুরু করে। এ পর্যন্ত ভারত, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামসহ ১২টি দেশের সঙ্গে জাপান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিনিময়ের চুক্তি করেছে।
সূত্র: প্রথম আলো
ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্ক আবারও উত্তেজনায়। কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর ভিসা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে পেট্রো এক বিক্ষোভে অংশ নেন এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উদ্দেশে বলেন, “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না। মানবতার আদেশ মানুন।” এই বক্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্র ‘উসকানিমূলক ও সহিংসতার প্ররোচনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
জাতিসংঘে ভাষণে পেট্রো ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে সাম্প্রতিক মার্কিন নৌ-অভিযানকে ‘অবৈধ হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্ত দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ডজনখানেক নিরস্ত্র যুবক নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই কলম্বিয়ান নাগরিক হতে পারে। তবে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এগুলো ছিল মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ, যা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পরিচালিত ড্রাগ কার্টেল ভেঙে দেওয়ার জন্য চালানো হয়েছে।
পেট্রো শুক্রবার নিউইয়র্কের এক প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে মেগাফোন হাতে বক্তব্য দিয়ে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেন, “এমন এক বাহিনী গড়ে তুলুন যা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়।” তাঁর এ বক্তব্যকে ঘিরেই কূটনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, “পেট্রো নিউইয়র্কের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মার্কিন সেনাদের আদেশ অমান্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক।”
শনিবার দেশে ফিরে প্রেসিডেন্ট পেট্রো জানান, ভিসা বাতিলে তিনি বিচলিত নন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমি বোগোতায় ফিরে এসেছি। আমার আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা নেই। কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না। আমি একজন স্বাধীন মানুষ।” তিনি আরও বলেন, তিনি ইউরোপীয় নাগরিকও বটে, তাই চাইলে ইএসটিএ (ESTA) ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ঘটনায় কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে জাতিসংঘ সনদ ১৯৪৫-এর পরিপন্থী ‘কূটনৈতিক অস্ত্র’ বলে আখ্যা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের কার্যক্রমকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে এমন পদক্ষেপ বন্ধ করা জরুরি, নতুবা “জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জন্য নিরপেক্ষ কোনো স্বাগতিক দেশ খুঁজে বের করতে হবে।”
এদিকে কলম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্মান্দো বেনেদেত্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “পেট্রোর ভিসা নয়, বরং নেতানিয়াহুর ভিসা বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ তাকে রক্ষা করছে, তাই একমাত্র সত্য বলার সাহসী প্রেসিডেন্টকে শাস্তি দিচ্ছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, পেট্রোর এই অবস্থান কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নয়, লাতিন আমেরিকায় একটি নতুন বামপন্থী জোট গঠনের সম্ভাবনাকেও ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে এটি জাতিসংঘের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে নতুন বিতর্ক উসকে দিতে পারে।
-আলমগীর হোসেন
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
ভারতের তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) জনসমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে নয়জন শিশুও রয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
তামিলনাড়ুর পুলিশ প্রধান জি. ভেঙ্কটরামন জানান, শুরুতে ১০ হাজার মানুষের অনুমতি নেওয়া হলেও, মাঠে ভিড় হয় প্রায় ২৭ হাজার মানুষের। এত বড় সমাগম সামলানোর মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা বা পরিকাঠামো ছিল না। মাত্র ৫০০ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন।
যেভাবে ঘটল ভয়াবহ পদদলন
সমাবেশ শুরুর কথা ছিল বিকেল ৩টায়, কিন্তু বিজয় পৌঁছান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এর মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় ক্লান্ত ভিড়ের মধ্যে খাবার ও পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।
সন্ধ্যায় বিজয় যখন প্রচারণার গাড়ি থেকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনেকে পদদলিত হন। এই সময় বিজয় বক্তব্য থামিয়ে নিজ হাতে বোতলের পানি ছুড়ে দেন অসুস্থদের দিকে এবং পুলিশকে সাহায্যের আহ্বান জানান।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী, ৪ ছেলে শিশু ও ৫ মেয়ে শিশু রয়েছে। আরও ৫১ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
তদন্ত ও রাজনৈতিক চাপ
দুর্ঘটনার পর রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে দাবি করেছে, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য বিজয়কে গ্রেফতার করা উচিত।
অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয় তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গভীর শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গেছে; আমি অসহনীয় বেদনায় আছি। প্রাণ হারানো পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা এবার গড়াল জাতিসংঘের কূটনৈতিক অঙ্গনেও। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে আবারও মুখোমুখি হলো এই দুই প্রতিবেশী দেশ। একে অন্যের ওপর দোষ চাপানো, অভিযোগ এবং বিজয় দাবির মধ্য দিয়ে এই কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে।
পাকিস্তানের বিজয় দাবি ও আলোচনার আহ্বান
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাকিস্তান বিজয়ী হয়েছে। তার ভাষায়, “ভারত দম্ভভরে হামলা চালালেও ইসলামাবাদ তাদের লজ্জিত করে ফিরিয়ে দিয়েছে।”
তবে একই সঙ্গে তিনি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব অমীমাংসিত বিষয়ে যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সংলাপে প্রস্তুত। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেহবাজ বলেন, “যদি ট্রাম্প সময়মতো দৃঢ়ভাবে হস্তক্ষেপ না করতেন, তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পরিণতি হতো ভয়াবহ।”
ভারতের পাল্টা জবাব ও অভিযোগ
শেহবাজের বক্তব্যের পরপরই অধিবেশনে উপস্থিত ভারতীয় কূটনীতিবিদ পেতাল গাহলট পাল্টা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিমানঘাঁটির পোড়া হ্যাঙ্গার আর ধ্বংস হওয়া রানওয়ে যদি পাকিস্তানের চোখে ‘বিজয়’ হয়, তবে সেই জয় তাদেরই ভোগ করতে দেওয়া হোক।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস মোকাবিলার বদলে জাতিসংঘে সন্ত্রাসীদের রক্ষায় ভেটো দিয়েছে।
শনিবার অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সরাসরি পাকিস্তানকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। পেহেলগামের হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মোদি সরকার সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে ভারত এই হুমকির মুখে আছে, কারণ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক সন্ত্রাসের আস্তানা।” একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদ বিস্তারের দাবি তোলেন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এবার কার্যত ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কূটনৈতিক মঞ্চে রূপ নিয়েছে। দুই দেশের প্রকাশ্য মুখোমুখি অবস্থান বৈশ্বিক পরিসরেও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
ইরানের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল চুক্তি সই করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কর্পোরেশন রোসাটম। এই চুক্তির আওতায় ইরানে চারটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। রোসাটম এই প্রকল্পটিকে ‘কৌশলগত’ বলে বর্ণনা করেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এই খবর জানিয়েছে। গত বুধবার মস্কোতে অ্যাটম এক্সপো-২০২৫ প্রদর্শনীতে এই চুক্তিটি সই হয়।
নিষেধাজ্ঞার চাপ সত্ত্বেও চুক্তি
ইউরোপীয় দেশগুলো যখন ইরানের ওপর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করেছে এবং পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক তখনই এই চুক্তি সই হলো। মস্কোর জাতিসংঘের দূত এই ‘স্ন্যাপব্যাক’ পদ্ধতিকে অবৈধ এবং আইনি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।
আইআরএনএ জানিয়েছে, জেনারেশন ৩ প্ল্যান্টগুলো দক্ষিণ-পূর্ব হরমোজগান প্রদেশের সিরিক অঞ্চলে ৫০০ হেক্টর জমিতে নির্মিত হবে। এই কেন্দ্রগুলো থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি
রোসাটম প্রধান আলেক্সি লিখাচেভ এবং ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামির মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতার প্রতি দুই দেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। মোহাম্মদ ইসলামি রুশ সংবাদমাধ্যম আরটিকে বলেছেন, বিদেশি চাপ নির্বিশেষে ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
বর্তমানে ইরান শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুশেহরে একটি রাশিয়ার তৈরি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে, যার ক্ষমতা ১ গিগাওয়াট। ইরান দাবি করে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো উদ্দেশ্য নেই।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ইরান
ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে তেহরান। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরামর্শের জন্য রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রায় এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর জাতিসংঘের প্রত্যাহারকৃত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হলো। আর এই পদক্ষেপের পেছনে ইউরোপীয় এই তিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল। নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বিলটি পাস হওয়ার একদিন আগে রাশিয়া ও চীনের আনা স্থগিতের প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সমর্থন পায়নি।
নিটষেধাজ্ঞার কারণ ও প্রভাব
নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালকারী দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে যথেষ্ট স্বচ্ছতা দেখায়নি। বিশেষ করে জুন মাসের ১২ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তির খেলাপ ছিল।
জানা গেছে, পুনর্বহাল হওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে। এর আওতায় ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক, সামরিক, ব্যাংকিং ও শিপিং শিল্পে বৈশ্বিক সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যাবে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে; ইতোমধ্যে ইরানের মুদ্রা রিয়ালের দরপতন শুরু হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া
নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই চাপকে ব্যবহার করে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের ওপর আঘাত করতে চাইছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ সমাধানের উদ্দেশ্য থাকলে আমরা সহজেই তা করতে পারতাম।” তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে আরও বলেন, তারা ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোকে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ইরানের কিছু স্থানে পরিদর্শন কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে এই পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের শিকার সাইটগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গাজা পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে স্পেন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে আরও একটি বড় অস্ত্রচুক্তি বাতিল করেছে স্পেন। সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাতিল হওয়া এই চুক্তির মোট মূল্য ২০৭ মিলিয়ন ইউরো। এ নিয়ে এটি তৃতীয়বারের মতো বড় অস্ত্রচুক্তি বাতিলের ঘটনা।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মাদ্রিদ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের ইসরায়েলি রকেট লঞ্চার ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছিল। স্পেন সরকার জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র চুক্তি নিষিদ্ধকরণের তাদের বিস্তৃত নীতির অংশ। গাজার পরিস্থিতির কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য।
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর অবস্থান
প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইতোমধ্যেই নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে স্পেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এর মধ্যে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিষিদ্ধকরণ আইনকে আরও শক্তিশালী করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন কোনো অস্ত্র চুক্তি না করা অন্তর্ভুক্ত।”
গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সভায় সব ধরনের প্রতিরক্ষা সামগ্রী, প্রযুক্তি ও পণ্যের ইসরায়েল সম্পর্কিত আমদানি-রপ্তানি স্থগিত রেখে সম্পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। অর্থমন্ত্রী কার্লোস কুয়ের্পো বলেন, “এই সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত, যা ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্পেনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর একটি দৃঢ় ও সুস্পষ্ট বার্তা বহন করছে। তারা মনে করেন, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষা ও সংঘাত নিয়ন্ত্রণে স্পেনের কূটনৈতিক ভূমিকার শক্তিশালী প্রমাণ।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
“ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে বক্তব্য দিতে গিয়ে মার্কিন সেনাদের ‘আদেশ অমান্য করার আহ্বান’ জানানোর অভিযোগে ওয়াশিংটন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, “পেত্রোর বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁর ভিসা বাতিল করা হবে।” এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সেনাদের বিদ্রোহে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় পেত্রো এক সমাবেশে বলেন,
“আমি মার্কিন সেনাদের বলছি—মানুষের দিকে অস্ত্র তাক করবেন না। (সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না, মানবতার আদেশ মানুন।”
পেত্রোর কার্যালয় বা কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময়ও পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গাজায় হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা “গণহত্যার সহযোগীতা” এবং এ জন্য মার্কিন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার হওয়া উচিত। এছাড়া তিনি ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা ধ্বংসের ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে দেখা যায়, তিনি নিউইয়র্কে প্রো-প্যালেস্টাইন সমাবেশে নিজের বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক পোস্টে পেত্রো লিখেছেন,
“প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো। গাজা পতন হলে মানবতাও ধ্বংস হবে।”
ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের কড়া সমালোচক পেত্রো এরই মধ্যে দেশ থেকে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি স্থগিত করেছেন।
-নাজমুল হাসান
ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতের ওষুধ খাত। এই ঘোষণার পর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামনের সারির ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বড় পতন ঘটেছে। তবে ভারতীয় সংগঠনগুলো দাবি করেছে, জেনেরিক ওষুধগুলো এই শুল্কের আওতার বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসবে, যদি না কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কারখানা তৈরি করে।
শেয়ারবাজারে পতন
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর শুক্রবার ওকহার্ডের শেয়ার দর কমেছে ৯.৪ শতাংশ, ইন্ডোকো রেমেডিজ ৫.৩৫ শতাংশ, জাইডাস লাইফসায়েন্সেস ৪.২১ শতাংশ, গ্লেনমার্ক ফার্মা ২.৯৯ শতাংশ ও সান ফার্মা ২.৫৫ শতাংশ। এছাড়া লুপিন, ডক্টর রেড্ডি’স এবং অরবিন্দো ফার্মা-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরও কমেছে। সার্বিকভাবে সেন্সেক্স ও নিফটির শেয়ার দরও কমেছে।
জেনেরিক ওষুধ নিয়ে ভারত আশাবাদী
বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হলেও ভারতীয় ওষুধ শিল্প সংগঠনগুলো এই প্রভাবকে গুরুতর মনে করছে না। ভারতের ২৩টি শীর্ষ ওষুধ কোম্পানির সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্স’ (আইপিএ) জানিয়েছে, এই শুল্ক জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আইপিএর মহাসচিব সুধর্ষণ জৈন বলেন, আইপিএ-এর অন্তর্ভুক্ত সান ফার্মা, ডক্টর রেড্ডি’স, লুপিন ও জাইডাসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান রপ্তানি হলো জেনেরিক ওষুধ।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা রপ্তানি প্রচার পরিষদ ফার্মেক্সিল জানিয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মোট ওষুধের প্রায় ৪৭ শতাংশ সরবরাহ করে, যার বড় অংশই কম দামি জেনেরিক। পরিষদের চেয়ারম্যান নমিত জোশি দাবি করেন, এই শুল্ক ভারতের রপ্তানিতে তাত্ক্ষণিক প্রভাব ফেলবে না, কারণ ভারতীয় বড় কোম্পানিগুলোর অনেকেরই যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বা প্যাকেজিং ইউনিট রয়েছে।
ভবিষ্যৎ ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র যদি জেনেরিক আমদানিকেও লক্ষ্যবস্তু করে, তবে ঝুঁকি তৈরি হবে। জিওজিত ইনভেস্টমেন্টসের ড. ভি কে বিজয়কুমার বলেন, যদিও এখন ভারত নিরাপদ, তবে হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে জেনেরিক ওষুধ।
তবে অনেকে মনে করেন, ভারতের জায়গা সরিয়ে ফেলা সহজ হবে না। ওয়েলথমিলসের ক্রান্তি বাথিনি বলেন, এত বড় পদক্ষেপ রাতারাতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক মানের কারখানা চালায় এবং এরই মধ্যে মার্কিন এফডিএ অনুমোদিত। এই সাপ্লাই চেইনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, রয়টার্স
পাঠকের মতামত:
- উজবেকিস্তানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে উদ্যোগী বাংলাদেশ
- মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিল আতলেতিকো, নায়ক আলভারেজ
- সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা, লেনদেন ১০০ কোটি টাকা
- দোহা কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দিলেন তৌহিদ হোসেন
- এই ৩টি উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন: লিভার ড্যামেজের নীরব সংকেত
- বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান
- ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
- নাটোর: মাদ্রাসার টাকা তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার তিন খাদেম
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
- জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন: প্রবাসীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
- ফাইনালের আগেই উত্তাপ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়াল বিতর্কে
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: সেনা পাহারায় সাজেক থেকে ফিরলেন পর্যটকরা
- জামায়াত সুসংগঠিত, কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল
- ছোট কম্পন কি বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস?
- প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নতুন অ্যাপ ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন করলেন ড. ইউনূস
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
- বিসিবি নির্বাচন: তামিম-বুলবুল সমঝোতায় জটিলতা, আলোচনায় ফাটল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ফাইনাল: টাইব্রেকারে থামল বাংলাদেশের স্বপ্ন
- আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ দিয়ে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে: সারজিস
- ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক
- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ইরান
- গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান
- সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে পারলেই পর্যটন টিকে থাকবে: রিজওয়ানা হাসান
- ফ্যাসিবাদী দালাল মিডিয়ার প্রয়োজন নেই: রিজভী
- ‘৬-০’ কটাক্ষের জেরে হারিস রউফকে জরিমানা করল আইসিসি
- গোপনে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন সেলেনা গোমেজ ও বেনি ব্লাঙ্কো
- গাজা পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে স্পেন
- পটুয়াখালীতে বিরল কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ায় বাজারে ভিড়
- অসহায় বৃদ্ধের চুল-দাড়ি জোর করে কেটে দেওয়ায় মামলা
- পর্যটন দিবসে কক্সবাজার: উৎসবে আমেজ, সেন্টমার্টিন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- মেটা আনছে নতুন চমক: সামাজিক মাধ্যমে থাকার জন্য এবার কি অর্থ দিতে হবে?
- ‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
- চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
- অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
- রাশেদ খান: ‘পিআর হলে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে’
- খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
- বিসিবি নির্বাচনে লড়ছেন আসিফ আকবর
- অস্কারে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে লিসা গাজীর ‘বাড়ির নাম শাহানা’
- আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
- ‘ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর রাস্তায় নামতে হবে না’: ডা. শফিকুর রহমান
- “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
- “আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
- রেকর্ড গড়ে বায়ার্নের শততম গোল করলেন হ্যারি কেন
- শিরোপা ধরে রাখতে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ তরুণরা
- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- গান ছাড়লেন তাহসান, ফাটল কি মিথিলা-সৃজিতের সংসারেও?
- ‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’