বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তুলোধুনো করলেন সারজিস

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, ফজলুর রহমান একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতাদের উদ্দেশ্যে অশোভন ভাষায় মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ফজলুর রহমান এখন এমন ভাষা ও বক্তব্য দিচ্ছেন, যা আওয়ামী লীগের বক্তব্যের সঙ্গে মিল রাখে এবং যা খুনি লীগের মিডিয়া সেলগুলোতে প্রচারিত হয়।
সারজিস আলম বলেন, সিনিয়র রাজনীতিবিদদের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে চান তারা, তবে ফজলুর রহমানের মতো রাজনৈতিক সৌজন্য বিবর্জিত এবং ‘ফ্যাসিবাদের দালালি’ করা ব্যক্তিদের দায় তাদের নিজেদেরই নিতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভ্যুত্থান মেনে নিতে না পারা এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করা নেতাদের কারণে ছাত্র ও জনতার ক্ষোভ বাড়ছে।
তিনি পোস্টে আরও প্রশ্ন তোলেন, বিএনপি কি বারবার এমন ব্যক্তিদের কারণে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে চায়? সারজিসের দাবি, এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ মনে করবে, দলের পক্ষ থেকেই এসব বলা হচ্ছে।
/আশিক
‘সংস্কারের দাবি আড়াই বছর আগে বিএনপিই তুলেছিল’—তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, স্বৈরাচারী শাসন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সরকারি বিভিন্ন সেক্টর ধ্বংস করে গেছে। তবে অতীতের শাসন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিএনপি এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান জানান, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং তারা জানে বিএনপি জনগণের ক্ষতি করে না—এই আস্থা বজায় রাখা দলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।
দীর্ঘ দেড় দশক পর নওগাঁ জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শহরের বিভিন্ন সড়ক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড দিয়ে সাজানো হয়।
এর আগের দিন, রোববার (১০ আগস্ট) রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে অংশ নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পদ্মা ও অন্যান্য নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হবে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে দেশ-বিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, শিক্ষার প্রসার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যৎমুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও করেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছে অন্যান্য দল, অথচ আড়াই বছর আগে বিএনপিই প্রথম এই দাবি তুলেছিল। এটি দলের দূরদর্শিতার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, অতীত সরকার গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি করেছে। বিএনপির প্রধান লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা। স্বৈরাচারী শাসন দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যখাত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা বিএনপি পুনর্গঠন করবে। এ লক্ষ্যেই দল এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
/আশিক
৫ আগস্টের পর লোভে পড়েছেন অনেকে: শহীদউদ্দীন এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ৫ আগস্টের পর অনেকেই লোভে পড়েছেন। টেন্ডার-ট্রান্সফারের মাধ্যমে কাউকে জিম্মি করে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা হবে দুরাশা। এ ধরনের অর্জন কেবল ডাস্টবিনের মধ্যে ফেলে দেওয়ার মতো ফল দেবে। তিনি সোমবার (১১ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণঅভ্যুত্থানে তরুণ-যুবাদের স্বপ্ন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির খতিয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। এই আলোচনা সভা যুব সংহতি আয়োজন করে, যা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
এ্যানি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল বলা যায় কি না, সন্দেহ আছে। তারা দেশের জন্য কোনো ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করেনি, বরং দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করেছে। গণতন্ত্র নয়, তাদের জন্য ছিল ক্ষমতা এবং দুর্নীতি অর্জনের মূল প্রাধান্য।
তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি ও নির্যাতনের অবসান ঘটাতে হবে। ১৭ বছর ধরে চলছে গুম-খুন ও অত্যাচার। অনেকেই এখনো মুক্ত হতে পারেনি। যারা অকারণে রাজনীতি করে, তারা সেটাকেই রাজনীতি বলে মনে করেন, কিন্তু এটি তাদের রাজনীতি, আমাদের নয়। ৩৬ দিনের এই গণঅভ্যুত্থান সাধারণ মানুষের আশা ও চাহিদার কথা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে। তাই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গুণগত মান পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ্যানি বলছেন, নতুন যে রাজনৈতিক দল এসেছে তাদের সঙ্গে সব রাজনৈতিক পক্ষকে আলোচনা করে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে হবে। সরকার কতটুকু সংস্কার করতে পারবে, তা বোঝার জন্য এসব আলোচনা প্রয়োজন। তবে বর্তমান সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিলো না।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
অন্যদিকে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বর্তমান সরকার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝতে পারেনি। তারা শর্তহীনভাবে সরকারকে সমর্থন দিয়েও সরকারের ব্যর্থতা দেখেছেন। সরকারের মননশীলতা ও দূরদর্শিতার অভাবে তরুণরা পথভ্রষ্ট হয়েছে। সরকার জনগণের পরিবর্তে কিছু নির্দিষ্ট তরুণদের ওপর নির্ভর করায় বিতর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, এক বছরে এত বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়া ইতিবাচক দিক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
/আশিক
পিতার মতো ছেলেরও নেই কোনো বাড়ি, গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স, দেশে ফেরার আগে ভাড়া বাসার খোঁজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন লন্ডনে অবস্থান করার পর শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে দেশে ফেরার পর তিনি কোথায় অবস্থান করবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, গুলশানের চেয়ারপার্সনের বাসায় থাকবেন না, বরং অন্য কোথাও ভাড়া বাসা নেওয়ার ব্যবস্থা চলছে।
রাজশাহীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশের সড়কে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় আব্দুস সালাম বলেন, “জাতির পিতা জিয়াউর রহমানের কাছে মৃত্যুর আগেও কোনো বাড়ি, গাড়ি বা ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না। একইভাবে তারেক রহমানেরও ঢাকা শহরে স্থায়ী কোনো বাড়ি, গাড়ি বা ব্যাংক ব্যালেন্স নেই।”
তিনি আরও জানান, “তারেক দেশে ফিরে আসলে কোথায় থাকবেন, সে বিষয়ে এখন একটি ভাড়া বাসার ব্যবস্থা চলছে।”
এর আগে তারেক রহমান নিজেও দেশের মানুষকে একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন শিগগিরই দেশে আসবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেকের প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে পারে।
দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে তারেকের দেশে ফেরাকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে তার আবাসনের বিষয়ে জনমনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুপ্ত রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাকিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী রাজনীতিকে যারা এখনও ধারণ করে, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের দৃঢ় অবস্থান নেওয়া নৈতিক কর্তব্য। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে গুপ্ত রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার দাবি তিনি জানিয়েছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজে ছাত্রদলের কাউন্সিল ও সম্মেলন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাকিবুল ইসলাম রাকিব এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখনও আতঙ্কিত এবং অনেকেই ওই স্মৃতির আঘাত থেকে মুক্তি পাননি। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অনীহা তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ছাত্রদল এ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করবে না এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি চালিয়ে যাবে।
রাকিব আরো বলেন, গুপ্ত রাজনীতি বন্ধে আইন প্রয়োজন। বাংলাদেশ ছাত্রদল সবসময় প্রকাশ্যে, স্বচ্ছ রাজনীতি করে থাকে এবং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা এখনও গেস্টরুম-গণরুমে ঘটে যাওয়া হিংসার ভয় কাটাতে পারেনি, তাই ছাত্রদল শিক্ষাবান্ধব রাজনীতির পথ অনুসরণ করবে।
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যরা এখনও রয়েছে এবং তারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
২১ বছর পর সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রদলের কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সম্মেলনটি কলেজের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শুরু হয়। এতে এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক সেলিম আহমদ সাগর ও সদস্যসচিব মোহাইমিনুল হক তপুর নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম কার্দি, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
/আশিক
নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন জামায়াতের এই নেতা
বাংলাদেশের সর্বউত্তর-পশ্চিম প্রান্তের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও, যার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত তিনটি সংসদীয় আসন দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই “ভিআইপি আসন” হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক ঐতিহ্য, প্রভাবশালী নেতৃত্বের উপস্থিতি এবং অতীতের সাফল্যের ধারাবাহিকতা—সব মিলিয়ে এই আসন ঘিরে প্রতিবারের নির্বাচনী মৌসুমে সারা দেশের দৃষ্টি এখানে নিবদ্ধ থাকে। ইতিহাস বলছে, এ আসন থেকে চারজন রাজনীতিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনই সরকারের মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় নেতৃত্বে তার অবস্থান অদ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে তার পক্ষে নির্বাচনী তৎপরতা ইতোমধ্যেই জোরদার হয়েছে। পোস্টার, লিফলেট, উঠান বৈঠক, পথসভা ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার জনপ্রিয়তাকে আরও দৃঢ় করছেন। দলীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘদিনের জনসম্পৃক্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে জনসমর্থনে তিনি এগিয়ে আছেন এবং নির্বাচনী লড়াইয়েও সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন।
মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক জীবন শুধু নেতৃত্ব নয়, প্রতিরোধেরও ইতিহাস। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একাধিকবার গ্রেপ্তার, দীর্ঘ কারাবাস, নির্যাতন এবং শতাধিক মামলার মুখোমুখি হওয়া সবকিছুই তার রাজনৈতিক যাত্রার অংশ। টানা ১৭ বছর ধরে তিনি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন, যা স্থানীয় কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক দমননীতির মাঝেও তার নেতৃত্বে বিএনপির স্থানীয় কাঠামো দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, যা আসন্ন নির্বাচনে তার জন্য একটি বড় সম্পদ।
মির্জা ফখরুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যে নামটি সামনে আসছে, তিনি ইসলামী রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ দেলোয়ার হোসেন। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। তার নেতৃত্বে জামায়াতপন্থি কর্মী ও সমর্থকরা ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন। ব্যানার, পোস্টার, সামাজিক মাধ্যম এবং সরাসরি জনসংযোগের মাধ্যমে তিনি জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, দিচ্ছেন সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি।
দেলোয়ার হোসেনের রাজনৈতিক পথচলা প্রতিকূলতায় ভরা। ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে থাকাকালে তাকে গ্রেপ্তার করে মাসের পর মাস থানায় থানায় ঘুরিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। অন্তত দেড়শো মামলা কাঁধে নিয়ে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় আদালতের দোরগোড়ায় ছুটেছেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই আসনে অতীতে তিনটি রাজনৈতিক শক্তির শাসন মানুষ দেখেছে, কিন্তু কেউই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ উপহার দিতে পারেনি। এখন জনগণ সৎ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক এবং আল্লাভিরু নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য কাজ করছি।”
এই আসনে প্রধানত বিএনপি ও জামায়াতপন্থি প্রার্থীর মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তেমন সক্রিয়তা এখনো দৃশ্যমান নয়। কিছু ক্ষুদ্র কর্মসূচি ছাড়া কোনো শক্তিশালী প্রার্থী মাঠে আসার ইঙ্গিত মেলেনি। ফলে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যেই সীমিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
-রাফসান
শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত তিনটি আলোচিত দুর্নীতি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনের সাক্ষ্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, যিনি মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। একই দিনে দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসানেরও সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজউকের প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার পরিবারের সদস্য—সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এছাড়া আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞাসহ আরও অনেকে।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা রাজউকের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে বিধি-বিধান উপেক্ষা করেছেন এবং নিজেদের পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা নিয়েছেন। এই মামলাগুলোকে দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ধাপে ধাপে সরকারি কর্মকর্তা, দুদক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্য নেবে। উচ্চপ্রোফাইল আসামি থাকার কারণে এ মামলাগুলো জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং এর অগ্রগতি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
-রাফসান
জামায়াত আমিরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। রোববার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী এ তথ্য জানায়। সফরের উদ্দেশ্য ছিল জামায়াত আমিরের চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে সরাসরি অবহিত হওয়া এবং তাঁর সুস্থতা কামনা করা।
জামায়াতের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ড. খলিলুর রহমান হাসপাতালে পৌঁছে ডা. শফিকুর রহমানের কেবিনে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা-প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং রোগীর দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। সফরকালে তিনি জামায়াত আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন এবং তাঁর শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যক্তিগত শুভকামনা প্রকাশ করেন।
জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এ সফরকে আন্তরিক ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছে। দলটি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক ভিন্নমত ও মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও এ ধরনের সৌজন্য সাক্ষাৎ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ডা. শফিকুর রহমানের হৃদ্যন্ত্রে বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর তিনি বর্তমানে কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথে রয়েছেন।
-শরিফুল
"তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ হোন"
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কঠোর শৃঙ্খলাবিষয়ক বার্তা দিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দলের কোনো নেতা বা কর্মী যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, তবে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সরাসরি বহিষ্কার করা হবে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে সাতক্ষীরা পৌর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম জিলানী বলেন, “আগামী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সামনে আসা নির্বাচন সহজ হবে না, তাই আমাদের প্রত্যেককে অপরাধ থেকে বিরত থেকে দলকে শক্তিশালী করার কাজে মনোযোগী হতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা ও জনআস্থা অর্জনের জন্য নেতাকর্মীদের সততা, ত্যাগ ও নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সরদার নুরুজ্জামান, নেছারুদ্দীন শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শেখ শরিফুজ্জামান সজিব। এছাড়া উপজেলা ও পৌর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা রাজনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং আগামী আন্দোলন ও নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।স্বৈরাচার হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তুলেছিল, যাতে দেশের জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এর সুযোগে দেশের অর্থ বিদেশে চলে গেছে। তাই আমাদের উচিত দেশের হাসপাতালগুলো এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে ধনী-গরিব সবাই সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরও বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা সংস্কার কমিটিও গ্রহণ করেছে। তবে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এই সংস্কার বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ পিছিয়ে যাবে এবং মানুষ আরও কষ্ট পাবে।
বিএনপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ জানতে চায় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে এবং সেখান থেকে দেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে, যেগুলো মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন।
তারেক রহমান বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে সাজাতে হবে এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে কারণ শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ।
ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত বা জাতিসংঘেও যেতে হবে। পাশাপাশি দেশের খালগুলোকে পানিতে ভরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পানির সংকট এলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই দেশের পুনর্গঠনের যোগ্য দল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে শহীদ জিয়ার আমলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশ খাদ্য রপ্তানিতে সফল হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নেন এবং দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তুলোধুনো করলেন সারজিস
- মার্কিন পণ্যের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বয়কট আন্দোলন
- ‘সংস্কারের দাবি আড়াই বছর আগে বিএনপিই তুলেছিল’—তারেক রহমান
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন
- হঠাৎ বন্যায় শিবগঞ্জে পানিবন্দি ১১ হাজারের বেশি পরিবার
- সংঘর্ষের তিন মাস পর নৌ মহড়ায় নামছে ভারত ও পাকিস্তান
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় আসামিরা ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন
- অভিনেত্রী এমা টমসনের বিবাহবিচ্ছেদ দিবসে ট্রাম্পের ডেট করার প্রস্তাব
- এআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ার ফলে কি কমছে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক?
- দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব না: দুদক চেয়ারম্যান
- বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে ১০৫ শতাংশের বেশি
- ৫ আগস্টের পর লোভে পড়েছেন অনেকে: শহীদউদ্দীন এ্যানি
- ২৭ বছরের নিচে জামায়াত জনপ্রিয়তায় বিএনপিকে ছাড়িয়ে
- ওয়াশিংটন থেকে গৃহহীনদের উচ্ছেদ করে ‘অনেক দূরে’ পাঠানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের
- ‘মুজিব’ ছবিতে সুযোগ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বাঁধন
- আসছে বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত নতুন ১০০ টাকার নোট
- আন্দোলন থামাতে চাঁদা দাবি নিয়ে ভিডিও ভাইরাল, শোকজ এনসিপি নেতা
- পিতার মতো ছেলেরও নেই কোনো বাড়ি, গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স, দেশে ফেরার আগে ভাড়া বাসার খোঁজ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুপ্ত রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাকিব
- নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন জামায়াতের এই নেতা
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- মনোযোগ বাড়াতে ৬টি সেরা কৌশল
- ‘কুলি’তে রজনীকান্ত নিয়েছেন ১৫০ কোটি, ১৫ মিনিটের জন্য আমিরের কত নিলেন?
- হাবিব ওয়াহিদের নতুন আবেগঘন চমক
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে পশ্চিমা দেশগুলোর অগ্রযাত্রা
- যে কারনে আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কাসহ বহু নেতা
- দিনে গড়ে ১১৪ লিটার দুধ দিয়ে নজির গড়ল গরু
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
- সালমান খানের জীবনে ফের আতঙ্কের ঝড়
- দিল্লিতে বিক্ষোভে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
- আজকের স্বর্ণের দাম তালিকা এক নজরে
- প্রেমের কথা স্বীকার করলেন জয়া আহসান, জানুন প্রেমিকের পরিচয়
- শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি
- সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন
- ওমানে প্রবাসী নাগরিকদের জন্য সুখবর!
- প্রবাসীদের জন্য সোনালি সুযোগ, আয়ের সেরা গন্তব্য
- আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা
- ইসরাইলি পরিকল্পনা নিয়ে আরব লিগের সতর্কবার্তা
- জামায়াত আমিরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
- সব বন্দর নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
- বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু
- "তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ হোন"
- সাগরিকাদের ইতিহাস: প্রথমবার অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
- তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
- শুল্কে ধাক্কায় পোশাক খাতে ভারত হারাচ্ছে অর্ডার, যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তনে
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬
- নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৬ দল উত্তীর্ণ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির সময়মতো ডিভিডেন্ড
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়