ইবাদাতে আগ্রহ ফেরাতে ৯টি শক্তিশালী টিপস!

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১০:৪৭:৫৯
ইবাদাতে আগ্রহ ফেরাতে ৯টি শক্তিশালী টিপস!

মানুষ যখন দুনিয়ার ব্যস্ততা, হতাশা বা পাপের ধাক্কায় ইবাদাতে গাফেল হয়ে পড়ে, তখন মনে অজানা এক অনীহা কাজ করে। এই অনীহা কখনো হৃদয়ের ক্লান্তি থেকে আসে, কখনো শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে, আবার কখনো আসে জীবনের ভারসাম্যহীনতা থেকে। তবে আশার কথা হলো এই অবস্থা অতিক্রম করা সম্ভব। আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি কখনোই বান্দাকে ফিরিয়ে দেন না। নিচে এমন কিছু বাস্তব, আত্মোপলব্ধিমূলক এবং আধ্যাত্মিক টিপস তুলে ধরা হলো, যা অনুসরণ করলে ইবাদাতে আগ্রহ ফিরে আসতে পারে, অন্তরে প্রশান্তি নেমে আসতে পারে:

১. অনীহার উপলব্ধি এবং আন্তরিক প্রার্থনা

প্রথম কাজ হলো নিজে উপলব্ধি করা ইবাদাতে আমার আগ্রহ কমে গেছে। এই উপলব্ধি কোনো ব্যর্থতা নয়, বরং এটি ইবাদাতে ফিরে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। এরপর আল্লাহর দরবারে কাঁদতে হবে, তাঁর কাছে আকুতি করতে হবে “হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার ইবাদাতে ফিরিয়ে নিন।” রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দু’আটি হতে পারে সবচেয়ে উপযোগী: “আল্লাহুম্মা আইন্নি আ’লা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক।”

এই দোয়াটি কেবল ঠোঁটের উচ্চারণে নয়, বরং হৃদয়ের গভীর থেকে অনুভব করে করা উচিত।

২. অন্তর বিশ্লেষণ ও পাপ পরিহার

ইবাদাতে অনীহার পেছনে থাকতে পারে অজানা বা গোপন কোনো পাপ। তাই নিজের আমল পর্যালোচনা করা প্রয়োজন কোনো পাপ হচ্ছে কিনা, কোনো ভুল পথে হেঁটে যাচ্ছি কিনা। যদি পাওয়া যায়, তবে সেগুলো থেকে তওবা করা এবং ভবিষ্যতে বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞা করা জরুরি।

৩. ইবাদাত ছাড় না দেওয়া, ধরে রাখা

অনীহা এলেও ইবাদাত ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কখনো মনে হবে আজ নামাজে মন বসবে না, তবুও পড়তে হবে। জোর করে হলেও আল্লাহর কাছে দাঁড়াতে হবে। ইবাদাত শেষে দেখবেন, অন্তরে হালকা প্রশান্তির অনুভব আসছে।

৪. অজানা পাপ থেকে মুক্তির জন্য তওবা ও ইস্তেগফার

কখনো এমনও হয় কোনো গুনাহ আমাদের অজান্তেই ইবাদাতে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই নিয়মিতভাবে ইস্তেগফার করা উচিত এবং নিয়ত করে বলতে হবে “হে আল্লাহ, যদি অজান্তে কোনো পাপ করে থাকি, আমাকে ক্ষমা করুন।”

৫. ছোট ছোট আমলের গুরুত্ব অনুধাবন

সব সময় বড় আমল করা সম্ভব নয়। কিন্তু ছোট ছোট আমলও অত্যন্ত মূল্যবান। যেমন আজানের জবাব দেওয়া, অযুর পর দু’আ, সালাতের পর জিকির ইত্যাদি। বড় আমল না হলেও ছোট আমল যেন অবহেলায় না ছুটে যায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

৬. ধার্মিক বন্ধুদের সঙ্গ ও আলোকিত পরিবেশ

যদি সম্ভব হয়, কোনো ধর্মপ্রাণ ও নেককার মানুষের সহবতে যাওয়া। তা সম্ভব না হলে অন্তত একজন দ্বীনদার বন্ধুর সঙ্গে ঈমানি আলোচনা করা। কখনো কখনো এক-আধটু কথা হৃদয়ে আলো জ্বালাতে পারে।

৭. আল্লাহর স্মরণে রেগুলার মজলিসে অংশগ্রহণ

যেখানে আল্লাহর কথা হয়, নবীজির জীবনী আলোচনা হয়, কুরআন ও হাদিস পাঠ হয়—সেইসব মজলিসে নিয়মিত অংশ নেওয়া। এমন পরিবেশ হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে।

৮. নাফসের নিয়ন্ত্রণ ও আত্মসংযম

নাফসের দাবির পেছনে ছুটে ইবাদাতের প্রতি অনীহা জন্মায়। ‘যা ইচ্ছা করব, যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমাবো, যা খুশি খাব’ এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মসংযমের চর্চা করতে হবে, যাতে ইবাদাতে মন বসে।

৯. ‘মন চায় না’ বলেই থেমে যাওয়া নয়

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মন চাইলেও করবো, না চাইলেও করবো। নিজেকে জোর করে দাঁড় করাবো। কারণ শয়তান চায় আমরা ইবাদাত ছেড়ে দিই। তাই মনে ইচ্ছা না থাকলেও আল্লাহর জন্য নিজেকে ঠেলে এগিয়ে নেওয়া সবচেয়ে মূল্যবান ইবাদাত।

শেষ কথা হলো ইবাদাতের সময় যদি অনীহা থাকেও, তবুও তা শেষ করলে দেখা যাবে, এক ধরনের অদ্ভুত প্রশান্তি হৃদয়ে নেমে এসেছে। সেই প্রশান্তিই প্রমাণ করে আল্লাহ আমাদের দিকে ফিরেছেন। তাই দেরি না করে, আজ থেকেই এই অনীহাকে জয় করতে শুরু করুন।


আজকের নামাজ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তর সময়সূচি প্রকাশ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৭:৪১:৫৮
আজকের নামাজ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তর সময়সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে নামাজকে পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সময়মতো নামাজ আদায় একজন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য ইবাদত। হাদিসে এসেছে, যারা নামাজের সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের অপেক্ষায় থাকেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন। এ কারণেই প্রতিটি মুসলমানের উচিত দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যেও নামাজের সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং যথাসময়ে ইবাদত আদায় করা।

আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা অনুসরণ করে মুসল্লিরা সহজেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আজ ঢাকায় ফজরের নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। দুপুর ১২টা ০০ মিনিটে জোহরের নামাজ আদায় করা যাবে। বিকেল ৩টা ৪১ মিনিটে শুরু হবে আসরের সময়। সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে মাগরিবের নামাজ এবং রাত ৬টা ৩৮ মিনিটে ইশার নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবহাওয়া ও জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে। নামাজের সময়সূচি অনুসরণ করে সময়মতো ইবাদত আদায় করলে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আত্মিক প্রশান্তিও অর্জিত হয়।

-রাফসান


জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৫৮:১০
জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না
ছবি: সংগৃহীত

কোনো মুসলিম ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় মরদেহ সামনে রেখে যে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়, সেটিই জানাজার নামাজ। ইসলামী পরিভাষায় ‘জানাজা’ শব্দটি মূলত মরদেহকে নির্দেশ করে। এই নামাজ ফরজে কেফায়া হিসেবে গণ্য, অর্থাৎ সমাজের কিছু মানুষ আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব আদায় হয়ে যায়; তবে কেউ আদায় না করলে এলাকার সবাই গুনাহগার হয়।

জানাজার নামাজ পুরুষদের জন্য আবশ্যিক বিধান হিসেবে বিবেচিত। সাধারণভাবে নারীদের জানাজার নামাজে অংশগ্রহণের বিধান নেই বলে ফিকহি গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। এই নামাজ আদায়ের জন্য অন্যান্য নামাজের মতোই পবিত্রতা শর্ত, অর্থাৎ ওজু ছাড়া জানাজার নামাজ সহিহ হয় না।

জানাজার নামাজের কাঠামো অন্যান্য ফরজ বা নফল নামাজের তুলনায় ভিন্ন। এতে রুকু, সিজদা কিংবা বৈঠক নেই। মরদেহ সামনে রেখে সবাই কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। জানাজার নামাজে মোট চারটি তাকবির দিতে হয় এবং পুরো নামাজ দাঁড়ানো অবস্থাতেই সম্পন্ন করা হয়।

প্রথম তাকবির বলার পর সানা পাঠ করা হয়। দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ শরিফ পাঠ করতে হয়। তৃতীয় তাকবিরের পর মৃত ব্যক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মৃত ব্যক্তি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন, তবে সাধারণ জানাজার দোয়া পড়া হয়; আর শিশু হলে শিশুদের জন্য নির্ধারিত দোয়া পাঠ করা হয়। চতুর্থ তাকবিরের পর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে জানাজার নামাজ শেষ করা হয়। প্রথম তাকবির ছাড়া অন্য কোনো তাকবিরে হাত তোলা হয় না।

জানাজার নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়; বরং মনে মনে করাই যথেষ্ট। নিয়তের মর্মার্থ হলো চার তাকবিরসহ ফরজে কেফায়া জানাজার নামাজ এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আদায় করছি।

সানার উচ্চারণ হলো: “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।”

এরপর দরুদ শরিফ পাঠ করে তৃতীয় তাকবিরে দোয়া করা হয়। যদি পূর্ণ দোয়া মুখস্থ না থাকে, তবে সংক্ষিপ্তভাবে ‘আল্লাহুম্মাগফির লিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত’ বললেও দোয়া আদায় হয়ে যায়।

ইমাম তাকবিরগুলো উচ্চস্বরে বলবেন, আর মুক্তাদিরা নিচু স্বরে তাকবির ও দোয়া পাঠ করবেন। জানাজার কাতার বিজোড় হওয়া উত্তম বলে আলেমরা উল্লেখ করেছেন।

জানাজার নামাজের মাধ্যমে একদিকে মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত কামনা করা হয়, অন্যদিকে এতে অংশগ্রহণকারীর জন্যও বিপুল সওয়াবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই ইসলামে জানাজার নামাজকে মানবিক দায়িত্ব ও ইমানি কর্তব্য উভয় হিসেবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:৪৩:৫৩
মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য
ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যু জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী যা থেকে কারোরই পলায়নের পথ নেই। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী যে জন্মেছে তাকে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। মায়াময় পৃথিবীর সব রূপ-রঙ পেছনে ফেলে মানুষকে পাড়ি জমাতে হবে পরকালীন জগতে যেখান থেকে আর ফেরার কোনো পথ নেই। সেই জগতে কেউ কারোর বন্ধু বা শত্রু নয় বরং প্রত্যেককে নিজ নিজ আমলের দায়ভার নিজেকেই বহন করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ ٱلْمَوْتِ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫; সুরা আনকাবুত : ৫৭)।

আর সুরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন তাদের নির্ধারিত সময় এসে যায়, তখন তারা এক মুহূর্তও বিলম্বিত করতে পারে না, আবার ত্বরান্বিতও করতে পারে না। (আয়াত : ৬১)। মৃত্যুর পর পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ হলো কবর। যারা এই ধাপ সহজে অতিক্রম করতে পারবে তাদের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো হবে শান্তিময়।

হাদিসে এসেছে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তার গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— তোমরা মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত দাফন করো। যদি সে নেককার হয়, তবে তাকে কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিলে; আর যদি অন্যরকম হয়, তবে সেই বোঝা তোমাদের কাঁধ থেকে নেমে গেল। (সহিহ বোখারি : ১৩১৫)। জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া যা মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমার সুপারিশ হিসেবে গণ্য হয়।

জানাজার নামাজে বালেগ পুরুষ বা নারী হলে এই দোয়া পড়তে হয়—

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا، وَمَيِّتِنَا، وَصَغِيرِنَا، وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ

(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাগফির লি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উংছানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহইয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আঝরাহু ওয়া লা তুদিল্লানা বাদাহু।)

(আবু দাউদ ৩২০১, তিরমিজি ১০২৪)।

মৃত যদি ছেলে শিশু হয় তবে পড়তে হয়—

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًاً , وَّاجْعَلْهُ لَنَا أَجْرًا وَّذُخْرًا , اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا شَفِيْعًا وَّمُشَفَّعًا

(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাজআলহু লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহু লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহু লানা শা-ফিআও ওয়া মুশাফ্ফাআ)।

আর মেয়ে শিশু হলে এই দোয়ার শেষ অংশে ‘লাহা’ ও ‘শা-ফিআতাঁও’ শব্দ ব্যবহার করে দোয়া পড়তে হয়।

(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাজআলহা লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহা লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিআতাঁও ওয়া মুশাফ্ফাআহ)।

জানাজা আদায়ের জন্য মৃত ব্যক্তিকে কিবলার দিকে রেখে ইমাম তার বুক বরাবর দাঁড়াবেন। প্রথমে তাকবির বলে সানা পড়তে হয় যেখানে ‘ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা’-এর পর ‘ওয়া জাল্লা সানাউকা’ যোগ করতে হয়। এরপর দ্বিতীয় তাকবির দিয়ে দরুদে ইব্রাহিম এবং তৃতীয় তাকবিরের পর নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হয়। সর্বশেষ চতুর্থ তাকবির বলে ডানে ও বাঁয়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পন্ন করতে হয়


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ০৯:৩০:১৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। ইমান বা বিশ্বাসের পরেই নামাজের স্থান যা ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী হাশরের ময়দানে বা কিয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। তাই একজন মুমিনের জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা অত্যন্ত আবশ্যক। আজ শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি এবং ৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা তারিখের জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজকের সূচি অনুযায়ী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়

জোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।

আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে দুপুর ৩টা ৩৯ মিনিটে।

সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজের সময় হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে

এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে।

এছাড়া আগামীকাল রোববার পবিত্র ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে।

পরকালের মুক্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য শত ব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

উল্লেখ্য যে ঢাকার সময়ের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগের সময়ের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সময় থেকে ৫ মিনিট এবং সিলেটের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট সময় বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে ঢাকার সময়ের সঙ্গে খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট সময় যোগ করে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে হবে। সব ধরনের ফরজ নামাজের পাশাপাশি ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজ আদায়েও মুসল্লিদের যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ১৩:৫২:০৩
জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ রহমত, ক্ষমা ও নৈকট্য লাভের সুযোগ রেখে দিয়েছেন। এই পবিত্র দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ আমল হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিন ও রাতে পাঠ করা দরুদ সরাসরি রাসুল (সা.)–এর নিকট পেশ করা হয় এবং ফেরেশতারা বিশেষভাবে এই দরুদ গ্রহণের দায়িত্বে থাকেন। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনে দরুদ পাঠের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণ বেশি।

বিশেষ করে জুমার দিন আসরের নামাজের পর সময়টিকে ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। বহু আলেম ও ইসলামি বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, এই সময়টি দুআ কবুলের অন্যতম বিশেষ মুহূর্ত। এই সময়ে নির্দিষ্ট দরুদ শরিফ পাঠের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অসাধারণ ফজিলত। বর্ণনায় এসেছে, কেউ যদি জুমার দিন আসরের পর নির্দিষ্ট দরুদ ৮০ বার পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার ৮০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং তাকে ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব দান করেন। গুনাহে ভারাক্রান্ত ও আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশী বান্দার জন্য এটি এক বিশাল সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

জুমার দিনে নির্দিষ্ট দরুদের পাশাপাশি সাধারণ দরুদ বেশি বেশি পাঠ করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রাসুল (সা.)–এর প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন, ১০টি গুনাহ মাফ করেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। জুমার দিনে এই দরুদ যত বেশি পাঠ করা হবে, বান্দা তত বেশি আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের সুযোগ পায় এবং অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করে।

ইসলামি বর্ণনায় দরুদের গুরুত্ব শুধু দুনিয়াবি কল্যাণেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আখিরাতের কঠিন মুহূর্তগুলোর সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, কিয়ামতের দিন পুলসিরাত পার হওয়ার সময় দরুদ পাঠকারীর জন্য এই দরুদ নূরের মতো কাজ করবে এবং তাকে পথ দেখাবে। অর্থাৎ, দুনিয়ায় পাঠ করা দরুদ আখিরাতে বান্দার জন্য আলো ও সহায়তায় পরিণত হবে।

জুমার দিনের আমলকে পূর্ণতা দিতে দরুদ পাঠের পাশাপাশি সূরা কাহফ তিলাওয়াত, বেশি বেশি যিকির ও ইস্তেগফার, এবং আন্তরিক দুআ করার কথাও ইসলামি বর্ণনায় উৎসাহিত করা হয়েছে। বিশেষত আসরের পর সময়টিতে আল্লাহর নিকট ক্ষমা, হেদায়েত ও কল্যাণ কামনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এসব আমলের মাধ্যমে একজন মুমিন শুধু ইবাদতই করেন না, বরং নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করার এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন।

সব মিলিয়ে জুমার দিন একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিশেষ উপহার। এই দিনে দরুদ পাঠের মাধ্যমে নবীপ্রেম প্রকাশ, গুনাহ মাফের আশা এবং আখিরাতের সফলতার পথ সুগম হয়। তাই এই মহামূল্যবান দিনটি যেন অবহেলায় না কেটে যায়, বরং ইবাদত, দরুদ ও দুআর মাধ্যমে তা অর্থবহ করে তোলাই একজন মুমিনের দায়িত্ব।


জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ১১:৩৫:০১
জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ
শুক্রবারের বিশেষ ৫ বৈশিষ্ট্য ছবি: উইকিপিডিয়া

মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের জুমার দিনটি ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)

জুমার দিনের এই বিশেষ মর্যাদার পেছনে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বহু কারণ রয়েছে। একটি হাদিসে জুমার দিন ঘটিত ও ঘটিতব্য পাঁচটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে নবীজি (সা.) বলেন, জুমার দিন দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। এ দিনই তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এ দিনই আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো কিছু প্রার্থনা করে। কেয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিন। জুমার দিন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা কেয়ামতের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন। উদ্বিগ্ন থাকে পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৪৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১০৮৪১)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়াতে নামানো হয়েছে এ দিন। তার মৃত্যুও হয়েছে এ দিন। তার তাওবা কবুল হয়েছে এ দিন। এ দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটা সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬, সুনানে নাসাঈ: ১৪৩০)

আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য এই দিনটি নির্ধারণ করে বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমরা সর্বশেষ উম্মাত কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। যদিও সব উম্মতকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের আগে, আর আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে সকল উম্মাতের শেষে। যে দিনটি আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সে দিন সম্পর্কে তিনি আমাদের হিদায়াতও দান করেছেন। সে দিনের ব্যাপারে অন্যান্যরা আমাদের পিছনে রয়েছে, (যেমন) ইহুদিরা (আমাদের) পরের দিন (শনিবার) এবং খৃষ্টানরা তাদেরও পরেন দিন। (রবিবার) (সহিহ মুসলিম: ১৮৬৩)

পূর্ববর্তী জাতিসমূহ মতানৈক্যের কারণে এই শ্রেষ্ঠ দিনটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমাদের আগমন সবার শেষে। কিন্তু আমরা কিয়ামতের দিবসে থাকব সবার প্রথমে। আমরা জান্নাতে প্রবেশকারীদের মধ্যে অগ্রগামী থাকব। তবে তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে এবং আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের পর। তারা মতবিরোধ করেছে, আর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই সত্যের হিদায়াত দিয়েছেন যা নিয়ে তারা মতভেদ করেছে। এটাই সেই দিন— যে সম্পর্কে তারা মতবিরোধ করেছে এবং আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাপারে হেদায়াত করেছেন। আমাদের বিশেষ দিন জুমার দিন। ইহুদিদের পরের দিন, খৃষ্টানদের তার পরের দিন। (সহিহ মুসলিম: ১৮৫৩)


আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ০৮:১৮:২৩
আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলোর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের আগেই নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষা করেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন—এমন ফজিলতের কথাও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বোঝাতে বলেছেন, আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে মর্যাদা রয়েছে, তা মানুষ পুরোপুরি জানলে সেই সুযোগ অর্জনের জন্য প্রয়োজনে লটারির আশ্রয় নিত। তিনি আরও বলেন, জোহরের নামাজ এবং বিশেষ করে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করত, তবে তারা কষ্ট হলেও হামাগুঁড়ি দিয়ে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৬৭)

এই প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাংলা ০৩ পৌষ ১৪৩২, হিজরি ২৫ জমাদিউস সানী ১৪৪৬) ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি (শুক্রবার)

ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটজুমা: দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটআসর: বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটসূর্যাস্ত: বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটইফতার: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটমাগরিব: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটইশা: সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটতাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়: ৫টা ১৪ মিনিটসূর্যোদয়: সকাল ৬টা ৩৬ মিনিট

বিভাগভিত্তিক সময়ের পার্থক্য

ঢাকার সময়ের সঙ্গে বিভাগভেদে নামাজের সময় কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

সময় বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: ৫ মিনিটসিলেট: ৬ মিনিট

সময় যোগ করতে হবেখুলনা: ৩ মিনিটরাজশাহী: ৭ মিনিটরংপুর: ৮ মিনিটবরিশাল: ১ মিনিট

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইবাদতের পূর্ণতা অর্জন করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ তৈরি হয় বলে আলেমরা মনে করেন।

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন


১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৯:৩৭:১২
১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি।

ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি:

জোহর: ১১:৫৭ মিনিট

আসর: ৩:৩৯ মিনিট

মাগরিব: ৫:১৫ মিনিট

এশা: ৬:৩৫ মিনিট

ফজর (আগামীকাল শুক্রবার): ৫:১৩ মিনিট

বিভাগীয় সময়ের সামঞ্জস্য: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। নিজ নিজ এলাকার সঠিক সময় জানতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন:

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট

সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট

রাজশাহী: ০৭ মিনিট

রংপুর: ০৮ মিনিট

বরিশাল: ০১ মিনিট


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৩৬:০১
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ যা বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে।

সন্ধ্যার দিকে সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে ৫টা ১৮ মিনিটে এবং পরবর্তীতে এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। যারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেবেন তাদের জন্য সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে যা দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণে সহায়ক হবে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত