প্রধান উপদেষ্টার পাশে আবির্ভাব: কে এই সাহসী তরুণী শাবন্তী?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ০৮:১৯:২১
প্রধান উপদেষ্টার পাশে আবির্ভাব: কে এই সাহসী তরুণী শাবন্তী?
ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়ানো এক তরুণীকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, কে এই তরুণী যিনি ঘোষণাপত্র পাঠের আগমুহূর্তে দৃপ্ত কণ্ঠে বক্তব্য রেখেছিলেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি হলেন সাবরিনা আফরোজ শাবন্তী, গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীতে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া মাহামুদুর রহমান সৈকতের ছোট বোন। সাহসিকতা ও আবেগে ভরা তার বক্তব্য এবং উপস্থিতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সাবরিনা তার সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে বলেন, “এক বছর আগে ১৯ জুলাই, যখন আমার ভাইয়ের নিথর দেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাওয়া যায়, তার মাথা রক্তাক্ত ছিল, চারপাশে ব্যান্ডেজ। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল ‘গান শট’। আমার ভাই ছিল ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা। তার এই উচ্চতা ছিল আমার বাবার অহংকার, অথচ সেই উচ্চতাই একদিন মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমার পরিবারের বেদনার এই অভিজ্ঞতা আজ আর ব্যক্তিগত নেই। আমরা এখন পুরো দেশের একটি পরিবারের অংশ। এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা যখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, তখন এই সফল গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আমরা যেন এই স্বপ্ন ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হই।”

বক্তব্য শেষ হলে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ শুরু করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঐতিহাসিক এই দলিল পাঠ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল, যা দেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে কার্যকর নীতিগত দিকনির্দেশনা দেয়। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট ও দলের মতামতের সমন্বয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, সব দলের জন্য সমান সুযোগ, বিচার বিভাগীয় সংস্কার, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, এবং ক্ষমতার ভারসাম্যসহ নানা ঐতিহাসিক ও নীতিনির্ধারণী প্রতিশ্রুতি।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ