শেখ হাসিনা দুর্নীতি মামলা

শেখ হাসিনা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 

২০২৫ জুলাই ৩১ ১২:১০:৩৬
শেখ হাসিনা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 
ছবি: সংগৃহীত

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়েরকৃত তিনটি মামলায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আসামিরা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, পৃথক তিন মামলার মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, অন্যটিতে শেখ হাসিনা ও জয়সহ ১৭ জন এবং তৃতীয়টিতে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই মামলাগুলো বিচার কার্যক্রমের জন্য বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাসহ রাজউকের একাধিক সাবেক সদস্য, পরিচালক ও উপপরিচালক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবংশেখ হাসিনার একান্ত সচিব সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সরকারের শীর্ষ পদে থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কের ছয়টি প্লট নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন, যদিও তারা সেই বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।

মামলায় দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, বরাদ্দ পাওয়া ছয়টি প্লটের মধ্যে শেখ হাসিনা ১০ কাঠার একটি প্লট (নম্বর ০০৯) ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দ পান। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ১০ কাঠার একটি প্লট (নম্বর ০১৫) ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর বরাদ্দ পান এবং নভেম্বরের ১০ তারিখে মালিকানা রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ১০ কাঠার একটি প্লট (নম্বর ০১৭) একই বছরের ২ নভেম্বর বরাদ্দ পান।

এছাড়াও শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামেও ওই এলাকায় প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ