তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে রায়, উত্তরার বাড়িতে ফিরছেন মা-ভাই

ঢাকা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ০৫ ১৩:১৩:৩৪
তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে রায়, উত্তরার বাড়িতে ফিরছেন মা-ভাই

সত্য নিউজ:রাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল মডেল টাউনের একটি পাঁচতলা বাড়িতে বসবাসের অধিকার হারিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। সোমবার (৫ মে) আপিল বিভাগ তার মায়ের পক্ষে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখায় তিনি ওই বাড়িতে বসবাসের অধিকার হারান। এর ফলে বাড়িটিতে এখন বসবাসের বৈধতা পেলেন তার মা শামসুন্নাহার বেগম ও ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলায় তুরিন আফরোজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আখতার হামিদ। অপরদিকে, তার মা ও ভাইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জোবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

পটভূমি

উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িটি ঘিরে বিরোধের সূত্রপাত ২০১৭ সালে। এর আগে, ২০০২ সাল থেকে শামসুন্নাহার বেগম ও শিশির আহমেদ ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তবে তুরিন আফরোজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাদের ওই বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা দাবি করে পরে দুই ভাইবোন পৃথকভাবে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর আদালত বাড়ির বিষয়ে ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার আদেশ দেন। পরবর্তীতে একাধিক ধাপে মামলা উচ্চ আদালতে গড়ায়।

২০২৩ সালের ২ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন একটি রুল জারি করে জানতে চান, উক্ত স্থিতাবস্থা কেন বাতিল হবে না। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চে গেলে ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থিতাবস্থা বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধেই আপিল করেন তুরিন আফরোজ, যা আজ আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।

জমি ও মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব

মামলার আরজিতে তুরিন দাবি করেন, তার মা শামসুন্নাহার ১৯৯১ সালে উক্ত বাড়ির জমি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে তার বাবা তসলিম উদ্দিন হেবা দলিলের মাধ্যমে তুরিনকে জমিটি দান করেন।

অপরদিকে শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাব দিয়ে বলেন, তসলিম উদ্দিন কখনও মেয়েকে সম্পত্তি দান করেননি। বরং ১৯৯৭ সালে শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে হেবা করে দেন এবং ১৯৯৯ সালে নামজারি করে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে ঋণ নিয়ে ২০০২ সাল থেকে তারা সেখানে বসবাস করে আসছিলেন।

পরবর্তী ধাপ

আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে বাড়িটির বর্তমান দখল ও বসবাসের অধিকার মা ও ছেলের পক্ষে বহাল থাকল। তবে মালিকানা সংক্রান্ত মূল দেওয়ানি মামলাগুলো বিচারিক আদালতে চলবে এবং সেখানেই বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।

আপনার পোর্টালের নির্দিষ্ট পাঠকগোষ্ঠী অনুসারে এই প্রতিবেদনের শিরোনাম ও উপ-শিরোনামে আরও কৌশলী পরিবর্তন প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত