বহুমুখী চ্যালেঞ্জ এর মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৮ ০৮:৪১:৪৬
বহুমুখী চ্যালেঞ্জ এর মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে আগামী দিনগুলোতে ভিন্নমাত্রার বহুমুখী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক টানাপড়েন, রপ্তানি বাজারে নতুন বাধা, জ্বালানি নিরাপত্তার ঘাটতি এবং অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাচ্ছে।

এই মূল্যায়নটি করা হয়েছে আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণচুক্তির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। এতে দেশের আর্থিক ঝুঁকি ও সম্ভাবনার খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সংস্কারগুলোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বমঞ্চের সংকট: রপ্তানিতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা

আইএমএফ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলে পোশাক খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৈরি পোশাক রপ্তানিই বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রায় ৮৬ শতাংশের উৎস। আর এর অর্ধেকের বেশি, প্রায় ৫৪ শতাংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এই শুল্কব্যবস্থা কার্যকর হলে রপ্তানি আয় হ্রাস, কর্মসংস্থান সংকট এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা, বিশেষত ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা ও লেবানন-সিরিয়ার জ্বালাময় পরিস্থিতি বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োজিত। রাজনৈতিক সঙ্কট ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চল থেকে রেমিট্যান্সে ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ছায়া এখনো বিদ্যমান

বিশ্বজুড়ে সরবরাহব্যবস্থার ব্যাঘাত, খাদ্য ও জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, এবং রপ্তানি বাজারের অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। আইএমএফ সতর্ক করেছে, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন করে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা: রাজস্ব ঘাটতি ও বিনিয়োগে স্থবিরতা

দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোগত দুর্বলতা বিশেষ করে ব্যাংক খাতের ঋণ বিতরণে সীমাবদ্ধতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যবসায়িক আস্থা ও বিনিয়োগ পরিবেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

সরকারের রাজস্ব আয় প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ায় উন্নয়ন ব্যয়ও সংকুচিত হচ্ছে। এর ফলে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীরগতির এবং অর্থনৈতিক চক্রে কাঙ্ক্ষিত গতি আসছে না। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিও ব্যাহত হচ্ছে।

বৈদেশিক লেনদেন ও ডলার চাপে দীর্ঘমেয়াদি শঙ্কা

আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি কিছুটা কমে জিডিপির ৩.৫ শতাংশে নামতে পারে। তবে আগামী বছরগুলোতে এই ঘাটতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি ক্ষমতা ও মুদ্রানীতির স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পরিস্থিতি ডলার বাজারে পুনরায় অস্থিরতা তৈরি করতে পারে, যার ফলাফল হবে মূল্যস্ফীতি, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে চাপ।

আইএমএফের সংস্কার নির্দেশনা: সময় নির্ধারিত পরিকল্পনাআইএমএফ সরকারকে একগুচ্ছ কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:

জ্বালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা:

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এ খাতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে বাজেট ভারসাম্য বজায় থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা:

ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মুদ্রানীতি প্রণয়নে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। এককভাবে বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে থাকতে হবে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ ছাড়াই।

জুনের মধ্যেই সরকারের অন্তত ৫০% আর্থিক লেনদেন অনলাইনে স্থানান্তর করতে হবে। ই-রিটার্ন, করদাতা সেবা ও কর আদায়ের ডিজিটাল পদ্ধতি নিশ্চিত করতে এনবিআরকে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।

আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সব ধরনের অযৌক্তিক কর ছাড় বাতিল করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঋণকে বেসরকারি খাতের মতো শ্রেণিবিন্যাস করতে হবে। এতে দায়-দেনার বাস্তবচিত্র স্পষ্ট হবে এবং আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বাড়বে।

আইএমএফ একক রপ্তানি খাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিয়েছে। তৈরি পোশাকের বাইরে চামড়া, ওষুধ, আইসিটি এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এক বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে। বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা মিলে এক কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আছে দেশটি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত, সুসমন্বিত ও সময়োপযোগী সংস্কার ছাড়া বিকল্প নেই।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ২২:০০:৪০
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩০৮৫৬ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন বা ৩০ দশমিক ৮৫ ডলার বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ২১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০৮৫৬ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫৮৬১ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫৮০৬ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।


অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৩:১১:২৮
অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় এই ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’–এ এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে তা ৪৪.২১ শতাংশ বেড়েছে, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় অর্ধেক। আইএমএফের সংজ্ঞা অনুযায়ী, খেলাপি, পুনঃতফসিল এবং অবলোপনকৃত (রাইট-অফ) ঋণকে সম্মিলিতভাবে ‘দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা এবং অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি ও তদবিরের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ এখন খেলাপিতে রূপ নিচ্ছে। আগে এসব তথ্য গোপন থাকলেও এখন আইএমএফের চাপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করছে।

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, ২০২৪ সালে দেশের ব্যাংক খাত চরম চাপের মুখে পড়ে, বিশেষ করে মূলধন পর্যাপ্ততার ক্ষেত্রে। সিআরএআর (ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েইটেড অ্যাসেট রেসিও) মাত্র ৩.০৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে তা কমপক্ষে ১০ শতাংশ থাকার কথা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও বেশকিছু ইসলামি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, দেশের আর্থিক খাত সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও খেলাপি ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ এবং সুশাসনের অভাব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সময়োপযোগী নীতিমালা, কঠোর তদারকি এবং প্রযুক্তিনির্ভর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই খাতকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

/আশিক


নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১২:৩২:৩৮
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা
ছবিঃ সংগৃহীত

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। চাল, ডাল, তেলসহ জরুরি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুধু নিম্নবিত্ত নয়, এখন মধ্যবিত্ত পরিবার এবং শিক্ষার্থীরাও টিসিবির ট্রাকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই লাইনে যোগ দিয়েছেন। নিয়মিত বাজারের চড়া দামে তাদের পড়াশোনা ও জীবনযাপনের খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, মেসের আর্থিক চাপে তারা সপ্তাহে একদিন একজন করে টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে তাদের ক্লাসও মিস করতে হচ্ছে।

টিসিবির শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ট্রাক থেকে তিনটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে: সয়াবিন তেল (প্রতি লিটার ১১৫ টাকা), মসুর ডাল (প্রতি কেজি ৭০ টাকা) ও চিনি (প্রতি কেজি ৮০ টাকা)। প্রতিজন সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারছেন। শিক্ষার্থীরা প্রায়ই মাছ, মাংস ও তরকারি সরবরাহের দাবি তুলছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাকে দেখা গেছে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, গৃহিণী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরাও লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। কেউ কেউ নাম-পরিচয় গোপন রেখে বলছেন, বেতন একই থাকলেও বাজারের দাম বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ পরিবারের কাছে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৪ লাখ কার্ড সক্রিয়। এই কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া মিললেও ডালসহ কিছু পণ্যের দাম বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ৬০টি ট্রাকে প্রতিদিন পণ্য বিক্রি চলছে এবং এর চাহিদা আরও বাড়ছে।

/আশিক


আজকের মুদ্রা বাজার: বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে কোন মুদ্রার দাম কত?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১০:৪৬:৩১
আজকের মুদ্রা বাজার: বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে কোন মুদ্রার দাম কত?

বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। এই বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার জানা থাকা জরুরি। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এখানে তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র অনুযায়ী আজকের বিনিময় হার:

ইউএস ডলার: ১২১ টাকা ৬৫ পয়সা

ইউরোপীয় ইউরো: ১৪১ টাকা ৭৪ পয়সা

ব্রিটেনের পাউন্ড: ১৬৩ টাকা ৭১ পয়সা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৮ টাকা ২৬ পয়সা

জাপানি ইয়েন: ৮২ পয়সা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭ টাকা ৬৮ পয়সা

সুইডিশ ক্রোনা: ১২ টাকা ৬৮ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৬৬ পয়সা

চীনা ইউয়ান রেনমিনবি: ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা

ভারতীয় রুপি: ১ টাকা ৩৯ পয়সা

শ্রীলঙ্কান রুপি: ২ টাকা ৪৮ পয়সা

গুগলের সূত্র অনুযায়ী আজকের বিনিময় হার:

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৩৫ পয়সা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত: ২৮ টাকা ৭৩ পয়সা

সৌদি রিয়াল: ৩২ টাকা ৩৩ পয়সা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৭ টাকা ০০ পয়সা

যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।

/আশিক


রাজস্ব আদায়ে বড় উল্লম্ফন: জুলাইয়ে এনবিআরের প্রবৃদ্ধি ২৪.৩৩ শতাংশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ২২:০২:৪৪
রাজস্ব আদায়ে বড় উল্লম্ফন: জুলাইয়ে এনবিআরের প্রবৃদ্ধি ২৪.৩৩ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাস জুলাইয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে মোট ২৭ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৯১৬ দশমিক ০৮ কোটি টাকা।

তবে, গত মাসের জন্য এনবিআরের সামগ্রিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ১১০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ২ হাজার ৮৬১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা কম হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যমতে, জুলাই মাসে কাস্টমস উইং থেকে আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা, যা ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। একই সময়ে, ভ্যাট উইং থেকে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ইনকাম ট্যাক্স উইং থেকে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।

/আশিক


দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৯:৪১:৩৯
দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বুধবার (২০ আগস্ট) সর্বশেষ ঘোষিত মূল্যেই বেচাকেনা হচ্ছে এই মূল্যবান ধাতু। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।

এর আগে জুলাই মাসে দু’দফায় স্বর্ণের দাম বেড়ে গেলেও পরবর্তীতে সামান্য হ্রাস পায়। ২৪ জুলাই বাজুস এক ঘোষণায় জানায়, স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। সেই সমন্বয়ের পর থেকে বাজারে কার্যকর আছে নতুন দাম।

বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি মূল্য ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা হলেও, ২১ ক্যারেটের এক ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকায়। অন্যদিকে ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ভরি প্রতি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায়।

বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে অবশ্যই সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং সংগঠনটির নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির পরিমাণে তারতম্য হতে পারে।

এর আগে ২৩ জুলাই বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে। সেই সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরির দাম ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা করা হয়। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেটের ভরিপ্রতি মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম হয় ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ নির্ধারিত হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকায়। এই দাম কার্যকর হয়েছিল ২৪ জুলাই থেকে।

শুধু স্বর্ণ নয়, দেশের বাজারে রুপার দামও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।

-রফিক


বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন কৌশল: বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২০:০৯:২৪
বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন কৌশল: বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থীর আকর্ষণ কমে যাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেলার ব্র্যান্ড ইমেজ দুর্বল হয়ে পড়ায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-এর নাম পরিবর্তন করে ‘ঢাকা বাণিজ্য মেলা (ডিটিএফ)’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ মেলা ক্যালেন্ডার এবং ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের আংশিক মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদন করা হয়।

দেশের বাইরে মেলায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি মেলা সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ থাকা দরকার। যেখানে আমাদের দেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন, সেখানেই কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, বরং দেশের উন্নতি ও ব্যবসা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

রপ্তানিমুখী শিল্প ও উৎপাদকদের জন্য বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ এবং সরকারের বাজার বহুমুখীকরণের কৌশলকে সামনে রেখে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সোর্সিং ফেয়ার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সভায় আগামী নভেম্বর মাসে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ নামে একটি মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোর্সিং মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘এ ধরনের মেলা আয়োজন করা না হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি বাড়বে না এবং আমাদের সক্ষমতাও তৈরি হবে না।’ তিনি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে এই সোর্সিং মেলার প্রচার বাড়ানোর উপর জোর দেন।

সভার সিদ্ধান্তে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর আয়োজিত এই মেলার প্রধান লক্ষ্য ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করে স্থানীয় বাজারকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমে এসেছে।

/আশিক


দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন চিত্র

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১১:৫৬:১১
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন চিত্র
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে সোমবারও (১৮ আগস্ট) পূর্বনির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানায়, সর্বশেষ সমন্বিত মূল্য অনুযায়ী আজকের বাজারে ভরিতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা। সর্বশেষ ২৪ জুলাই রাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই দাম কার্যকর হয় এবং এখনও একই দামে বাজারে লেনদেন চলছে।

বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকায়। অন্যদিকে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ভরিপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকা।

বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে ২৩ জুলাই বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেদিন ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২৪ জুলাই থেকে। সেই সময় ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ভরিপ্রতি ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তবে এবার স্বর্ণের দাম সামান্য কমানো হলেও রূপার বাজারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়, ২১ ক্যারেটের রূপা ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপা ভরিপ্রতি ১ হাজার ৭২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে মোট ৪৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ বার দাম বেড়েছে এবং মাত্র ১৬ বার কমেছে। তুলনায় ২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম সমন্বয় হয়েছিল ৬২ বার, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।


বাংলাদেশি টাকায় আজকের আন্তর্জাতিক মুদ্রার রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১১:৪৪:২০
বাংলাদেশি টাকায় আজকের আন্তর্জাতিক মুদ্রার রেট
ছবিঃ সংগৃহীত

১৮ আগস্ট ২০২৫: আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার সর্বশেষ বিনিময় হার প্রকাশ করেছে। প্রতিদিনের মতো এদিনও আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার প্রভাবে বিভিন্ন মুদ্রার দামে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর মতো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাবশালী মুদ্রার দামে উল্লেখযোগ্য তারতম্য দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ধরনের ওঠানামা শুধু বৈদেশিক বাণিজ্যেই নয়, বরং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা: রিয়াল, দিরহাম ও দিনারে পতন

সৌদি রিয়াল (SAR) সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৩৭ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়সা কম। প্রবাসী আয়ের বড় অংশ সৌদি আরব থেকে আসে বলে এ হার রেমিট্যান্স প্রাপকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। একইভাবে দুবাই দিরহাম (AED)ও ৩ পয়সা কমে ৩৩ টাকা ৬ পয়সায় নেমে এসেছে। কাতারি রিয়াল (QAR)ও কমেছে ৩ পয়সা। তবে ওমানি রিয়াল (OMR) ও বাহরাইন দিনার (BHD)-এর পতন তুলনামূলকভাবে বেশি, উভয়ের দামই একদিনে ২৫ পয়সা হ্রাস পেয়েছে। বিপরীতে, কুয়েতি দিনার (KWD) অপরিবর্তিত থেকে ৩৯৭ টাকা ৫২ পয়সায় স্থিতিশীল রয়েছে।

এশীয় মুদ্রা: রিংগিত ও রেন্ডের পতন, রুপি সামান্য বেড়েছে

এশিয়ার বাজারে মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR) ৯ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৬ পয়সায়। চাইনিজ রেন্মিন্বি (RMB)ও ২ পয়সা কমে হয়েছে ১৬ টাকা ৯১ পয়সা। মালদ্বীপ রুপিয়া (MVR) সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সায়। দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR)-এ সবচেয়ে বড় পতন লক্ষ্য করা গেছে, যা একদিনেই ১৯ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭৩ পয়সায়। তবে ভারতীয় রুপি (INR) সামান্য বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ন (KRW), জাপানি ইয়েন (JPY) এবং ইরাকি দিনার (IQD)-এর ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ইউরোপ ও আমেরিকার মুদ্রা: ডলার ও পাউন্ড কমেছে, ইউরো বেড়েছে

মার্কিন ডলার (USD) সামান্য কমেছে। গতকাল যেখানে এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৫৫ পয়সা, আজ তা নেমে এসেছে ১২১ টাকা ৪২ পয়সায়। যদিও পতন সীমিত, তবে আমদানি ব্যয়ের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে। ইউরো (EUR) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়সা বেশি। অন্যদিকে ব্রিটিশ পাউন্ডে (GBP) উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে। একদিনেই ২ টাকা ২০ পয়সা কমে বর্তমানে এর মান দাঁড়িয়েছে ১৬২ টাকা ২৭ পয়সায়। আর কানাডিয়ান ডলার (CAD) ৭ পয়সা কমে হয়েছে ৮৭ টাকা ৯১ পয়সা।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুদ্রা: অস্ট্রেলিয়ান ডলার বেড়েছে

অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD) ১৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৪ পয়সায়। সিঙ্গাপুর ডলার (SGD)ও বেড়েছে ৭ পয়সা, আর ব্রুনাই ডলার (BND) বেড়েছে ৫ পয়সা। এসব পরিবর্তন এ অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভূমিকা রাখতে পারে।

তুরস্ক ও লিবিয়ার মুদ্রা:

তুরস্ক লিরা (TRY) বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা, যা আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়সা বেশি। লিবিয়ান দিনার (LYD)ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪৮ পয়সায়। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা এই পরিবর্তনের কারণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

পাঠকের মতামত: