জুসের উৎস কী জানেন? চমকে উঠবেন!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা ও বাদুড়ে খাওয়া আম বিভিন্ন ম্যাংগো জুস ফ্যাক্টরিতে সরবরাহ করা হচ্ছে—এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। বাজারে বিক্রি অনুপযোগী এসব নষ্ট আম গোপনে বিভিন্ন জুস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে, যেখান থেকে পরে তা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রঙিন বোতলে ঢুকে আমাদের ঘরে ফিরছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নষ্ট ও অর্ধনষ্ট আম গাড়ি বোঝাই করে প্রতিদিনই ভোলাহাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। এসব আমের অনেকটাই বাদুড়ের কামড় খাওয়া, পচা কিংবা পোকায় ধরা, যা বাজারে বিক্রির অনুপযোগী। অথচ সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বানানো হচ্ছে বিভিন্ন স্বাদযুক্ত ম্যাংগো জুস। এই জুসগুলো আমাদের শিশু-কিশোরসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
স্থানীয় একজন আম ব্যবসায়ী, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকতে চান, বলেন, “আমরা বড় পরিমাণে ক্যারেট হিসেবে আম কিনি। পরে সেগুলো পুকুরে ধুয়ে বাছাই করা হয়। যেগুলো পুরোপুরি নষ্ট, তা ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু অংশ আংশিক পচা হলেও তা সংগ্রহ করে জুস কোম্পানিগুলো নিয়ে যায়।”
ভোলাহাট ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “পচা ও বাদুড়ের সংস্পর্শে আসা আমে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে, যা মানবদেহে প্রবেশ করে লিভার, কিডনি, অন্ত্র এবং পাকস্থলীর জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি শুধু স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা নয়, জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কাও।”
এ বিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরুজ্জামান বলেন, “এখনো এ ধরনের নির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি, তবে আপনারা বলায় আমরা সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নিচ্ছি। পচা বা বাদুড়ে খাওয়া আম দিয়ে জুস তৈরি হলে তা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ওপর আঘাত। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুস কোম্পানিগুলো যেন এমন নষ্ট আম ক্রয় না করে, সে বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় নোটিশ ইস্যু করব। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও নিয়মিত নজরদারি চালাবে।”
স্থানীয় জনসাধারণ প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে এমন বিপজ্জনক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দাবি করেছেন।
২১ শতকের নীরব ঘাতক: কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে যে খাবার
একসময় বার্ধক্যজনিত রোগ হিসেবে দেখা হলেও, এখন কোলোরেক্টাল ক্যানসার তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে। ইউরোপজুড়ে পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, ২০–২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে এই রোগের হার প্রতি বছর গড়ে ৭.৯ শতাংশ বেড়েছে। গবেষকরা এই বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারকে (Ultra-Processed Food) দায়ী করছেন।
ক্যানসার বৃদ্ধির ভয়ংকর চিত্র
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগের হার সবচেয়ে দ্রুত বাড়লেও, ৩০–৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৯ শতাংশ এবং ৪০–৪৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ১.৬ শতাংশ।
বিশ্বজুড়ে এই রোগের বিস্তারও উদ্বেগজনক। ১৯৯০ সালে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের রোগী ছিল প্রায় ৯৪ হাজার ৭০০ জন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এ রোগের হার কমছে, ৫০ বছরের নিচের মানুষের মধ্যে এর বিস্তার দ্রুত বাড়ছে।
অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারের ঝুঁকি
বিজ্ঞানীরা তরুণদের মধ্যে এ রোগের বৃদ্ধির জন্য জেনেটিক কারণকে খুব একটা দায়ী করছেন না। ২০২৫ সালে প্রকাশিত এক সমীক্ষাতেও স্পষ্ট হয়েছে যে, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার এর অন্যতম প্রধান কারণ। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, রেডি মিলস, চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত মাংসসহ ফাস্টফুড।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় ৪৬ হাজারেরও বেশি পুরুষকে ২৪ থেকে ২৮ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, যারা সবচেয়ে বেশি অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়েছেন, তাদের কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। অবাক করার বিষয় হলো—পুষ্টি ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরও একই ফল পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, অতিরিক্ত ওজন না থাকা সত্ত্বেও এই খাবারগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ভবিষ্যৎ স্বীকৃতি ও প্রতিরোধ
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অ্যালকোহল ও তামাক যেমন বিশ্বব্যাপী ক্যানসারের কারণ হিসেবে স্বীকৃত হতে কয়েক দশক নিয়েছিল, তেমনি আগামী এক দশকের মধ্যেই তরুণদের কোলোরেক্টাল ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিসেবে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারের বিষয়টি স্বীকৃতি পাবে।
তবে আশার খবর হচ্ছে—২০২৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দই খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন—অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে নিয়মিত দইসহ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। প্রচলিত কথা, খাবারই ওষুধ। আর এখন বিজ্ঞান বলছে—খাবারই প্রতিরোধ।
নখকুনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি: ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
নখকুনি—শুনতে সাধারণ মনে হলেও যাদের হয়েছে, তারা জানেন এর যন্ত্রণা কতটা কষ্টকর। পায়ের নখ যখন চামড়ার ভেতরে ঢুকে যায়, তখনই তৈরি হয় এই সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নিজের মতো করে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাতে সুফল মেলে না। তাই এমন সমস্যার মুখোমুখি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে, যা নিয়মিত মেনে চললে নখকুনির যন্ত্রণা অনেকটাই কমানো সম্ভব।
চিকিৎসকরা বলছেন, নখকুনির প্রধান কারণগুলো হলো:
জুতা: টাইট বা ফিটিং জুতা পরা।
নখ কাটা: ভুলভাবে নখ কাটা, কখনোই গোল করে না কেটে সোজাভাবে কাটা উচিত।
আঘাত: নখে ধাক্কা লাগা বা আঘাত পাওয়া।
হাইজিন: হাইজিন ঠিকভাবে অনুসরণ না করা এবং পায়ের ঘাম ও জীবাণু সংক্রমণ।
ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর পদ্ধতি
১. গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা: প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে আশপাশের ত্বক নরম হয়, ব্যথা কমে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। চাইলে পানিতে অল্প লবণও মিশিয়ে নিতে পারেন।
২. অ্যাপল সিডার ভিনেগার: এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পা ১০–১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস নষ্ট করে, ইনফেকশন কমিয়ে আনে।
৩. কটন বলের ব্যবহার: নখ ও চামড়ার মাঝে সামান্য কটন বল রেখে দিন। এতে নখ কিছুটা ওপরে ওঠে এবং ভেতরে ঢোকার প্রবণতা কমে যায়।
৪. অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম: পা ভালোভাবে শুকিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা আইডিন লাগিয়ে নিন। এটি জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
নখকুনির সমস্যা অবহেলা করলে তা মারাত্মক জটিলতায় রূপ নিতে পারে। যদি ইনফেকশন বেড়ে যায়, পা ফুলে যায়, পুঁজ জমে বা ৫-৬ দিনের মধ্যেও ব্যথা না কমে—তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো শরীরে একধরনের আড়ষ্টতা অনুভব করেন। বিছানা ছেড়ে মেঝেতে পা ফেললে পায়ের তালুতে ব্যথা হয়। মনে হয় হাত, পাসহ পুরো দেহের ভাঁজে ভাঁজেই যেন ব্যথা লুকিয়ে আছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই যদি প্রায়ই এমনটা হয়, তাহলে তা একদমই শরীরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। ছোট ছোট সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে অনেক সময় বড় ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। টেক্সাসের হেলথ কেয়ার অ্যাসোসিয়েটস এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথার ৫টি প্রধান কারণ নিচে দেওয়া হলো:
১. ভুল ঘুমানোর অবস্থান
মানুষ ভেদে ঘুমের ধরন আলাদা হয়ে থাকে। ঘুমের অবস্থান খারাপ হলে শরীরে ব্যথা হতে পারে। পাশ ফিরে ঘুমানো অনেক ক্ষেত্রে ভালো হতে পারে, বিশেষ করে যাদের ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea)। এই রোগে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং ঘুম ভালো না হলে শরীর ব্যথা হতে পারে।
২. নিম্নমানের বিছানা
যেখানে ঘুমাবেন, সেটি ভালো ও আরামদায়ক হওয়া উচিত। বিছানা খারাপ হলে সেটিই হতে পারে শরীর ব্যথার কারণ। নিম্নমানের বিছানা পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে না। তাই নিজের ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভালো মানের বিছানা ব্যবহার করা জরুরি।
৩. অতিরিক্ত ওজন
মাত্রাতিরিক্ত ওজন থাকলে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। অতিরিক্ত ওজন থাকলে ঘুমানোর সময় পিঠ ও ঘাড়ে ওজনের চাপ পড়ে। এ থেকে শরীর ব্যথা হয় এবং অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. শ্বাসকষ্টের রোগ
শ্বাসকষ্ট রোগীদের ঘুমের সময়ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় মানুষের শ্বাস নেওয়া কিছুটা কমে এবং শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। ফলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। এই কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. অন্যান্য উপসর্গ
ঘুম ভালো না হলে বা শ্বাসকষ্টের রোগ থাকলে ঘুমের সময় নাক ডাকা, দম বন্ধ হওয়া বা হাঁপানো, সকালে মাথাব্যথা, দিনের বেলায় তন্দ্রাভাব, ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন, হতাশা অনুভব ও অমনোযোগী হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণ চেপে ফাটানো: হতে পারে যে ভয়াবহ রোগ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ ব্রণ চোখে পড়লে অনেকেই অস্থির হয়ে পড়েন, “চেপে ফাটিয়ে ফেলি!” তবে এই অভ্যাস পরিণামে ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের বিশেষ একটি অংশের ব্রণ ফাটালে সেটি সরাসরি মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমনকি হতে পারে প্যারালাইসিসও।
আমেরিকান হলিস্টিক প্লাস্টিক সার্জন ড. অ্যান্থনি ইউন সতর্ক করে বলেছেন, “দুই ভ্রুর মাঝের ব্রণ কখনোই ফাটানো উচিত নয়। কারণ, এটি এমন এক জায়গা, যেখানে দেহের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু ও রক্তনালির সংযোগ রয়েছে, যা সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত।”
ডেঞ্জার জোন’ বা মৃত্যুর ত্রিভুজ
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের উপরের ঠোঁট থেকে নাক পর্যন্ত যে ত্রিভুজাকার অংশ, সেটিই হলো ‘ডেঞ্জার জোন’ বা ‘মৃত্যুর ত্রিভুজ’। এই অঞ্চলের শিরাগুলো ক্যাভারনাস সাইনাস নামের একটি রক্তনালির মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ফলে এই অংশে থাকা ব্রণ বা ফুসকুড়ি হাত দিয়ে চেপে ফাটালে সংক্রমণ দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর পরিণতিতে পক্ষাঘাত, খিঁচুনি বা এমনকি জীবনহানির ঝুঁকিও আছে।
একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সময়মতো চিকিৎসা না পেলে সংক্রমণের প্রভাবে মস্তিষ্কের কিছু অংশ স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেছে।
বিপদ এড়ানোর উপায়
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ব্রণ ফাটানোর পরিবর্তে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তা শুকিয়ে ফেলাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
১. গরম সেঁক: একটি পরিষ্কার তোয়ালে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে ব্রণের ওপর ১০ মিনিট রাখুন। এতে ভেতরের পুঁজ সহজে বের হবে এবং ব্রণ নিজে থেকেই শুকিয়ে যাবে।
২. টি ট্রি অয়েল: ১ চা চামচ নারিকেল বা জলপাই তেলে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। এটি ব্রণের সংক্রমণ কমায়।
৩. মধু ও অ্যালোভেরা: খাঁটি মধু বা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের ওপর ২০ মিনিট রাখলে প্রদাহ কমে এবং ত্বক দ্রুত সেরে ওঠে।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি ব্রণ বড় আকারের হয় বা বারবার ফিরে আসে, তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ড. অ্যান্থনি ইউন যোগ করেন, “মুখের ব্রণ ফাটানো মানে ঝুঁকি ডেকে আনা। বিশেষ করে দুই ভ্রুর মাঝে বা নাকের চারপাশে ব্রণ খোঁটানো একেবারেই নয়।”
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হেলথ লাইন
একটানা চিয়া সিড খাচ্ছেন?অতিরিক্ত খেলে যে ৪টি স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনতে পারে
ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ ভেজানো পানি খাওয়া অনেক দিন ধরেই ট্রেন্ডে রয়েছে, যার মধ্যে চিয়া সিড সবার ওপরে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, চিয়া সিড ভেজানো পানি বা এই বীজ খেলে শুধু ওজনই কমে না, এটি শরীর-স্বাস্থ্যের আরও অনেক উপকার করে। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদন সতর্ক করেছে যে, একটানা অনেক দিন ধরে চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরে কিছু সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে:
১. পেটের সমস্যা ও বদহজম: একটানা অনেক দিন ধরে চিয়া সিড খেলে মারাত্মকভাবে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে শরীর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে এবং হরমোনের ক্ষরণে অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।
২. অ্যালার্জির সমস্যা বৃদ্ধি: আপনি যদি এমনিতেই অ্যালার্জিপ্রবণ হয়ে থাকেন, তাহলে চিয়া সিড থেকে মারাত্মকভাবে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া, চিয়া সিড খাওয়ার সময় অসাবধান হলে গলায় আটকে বিষম খাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
৩. রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার অসামঞ্জস্য: একটানা অনেক দিন চিয়া সিড খেলে রক্তচাপ (ব্লাড প্রেশার) স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা কমে যেতে পারে। এছাড়া, নাগাড়ে চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করার (ব্লাড সুগার) মাত্রাতেও অসামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
৪. অন্ত্রের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য: অনেক দিন ধরে চিয়া সিড খেলে অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করবে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে, এমনকি তলপেটে ব্যথাও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
উল্লিখিত সমস্যাগুলো শরীরে দেখা দিলে আপাতত কিছুদিন চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ রাখুন। চিয়া সিডের প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি অনেকক্ষণ পেট ভরে রাখে এবং খাইখাই ভাব কমায়। পুষ্টিগুণ থাকলেও, যেকোনো খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এখন শিশু-কিশোরদেরও ঝুঁকি, নীরব ঘাতক থেকে বাঁচার উপায়
একসময় যা কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে মনে করা হতো, সেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বা মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড স্টিটোটিক লিভার ডিজিজ (MASLD)-এ এখন আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু-কিশোরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ফাস্টফুড, চিনিযুক্ত পানীয় এবং শারীরিক অনক্রিয়াশীলতা এই রোগকে দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে। সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করলে এটি সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন।
ফ্যাটি লিভার কী এবং কেন হয়?
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলো লিভারে চর্বি জমে যাওয়া। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়: অ্যালকোহলিক এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)। অ্যালকোহল পান না করেও লিভারে চর্বি জমলে সেটিই নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
যেসব অভ্যাস বাড়ায় ঝুঁকি:
চিনি ও ফাস্টফুড: নিয়মিত চিনিযুক্ত পানীয়, সোডা, ক্যান্ডি, প্যাকেটজাত মিষ্টান্ন খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি ৪০% পর্যন্ত বাড়ে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: পাউরুটি, ময়দার পাস্তা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বিপাকের ভারসাম্য নষ্ট করে।
স্থূলতা: অতিরিক্ত তেল ও প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অতিরিক্ত ওজন ও পেটের মেদ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়িয়ে লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
অ্যালকোহল ও ধূমপান: সামান্য অ্যালকোহল বা ধূমপানও লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে রোগকে জটিল করে তোলে।
নীরব ঘাতক থেকে বাঁচতে করণীয়
চিকিৎসকদের ভাষায়, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ একটি নীরব ঘাতক। তাই উপসর্গ না থাকলেও সচেতন জীবনযাপনই একমাত্র প্রতিরোধ। সুস্থ থাকতে করণীয়:
ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
খাদ্যাভ্যাস: চিনিযুক্ত পানীয় ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
পুষ্টি: পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেতে অভ্যস্ত হোন।
পরিহার: ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন।
সচেতনতা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে লিভারের অবস্থা জেনে নিন।
সিঁড়ি ভাঙতে গেলেই বুক ধড়ফড়? কখন বুঝবেন এটি হৃদরোগের সংকেত?
অফিসের লিফট খারাপ বা মেট্রোর সিঁড়ি বন্ধ? দু-চার তলা উঠতেই বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাসকষ্ট হওয়াকে অনেকেই ক্লান্তি বা শারীরিক সক্ষমতার অভাব মনে করে এড়িয়ে যান। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন বুক ধড়ফড় সব সময় স্বাভাবিক নাও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হৃদরোগের সংকেত হতে পারে।
সিঁড়ি চড়া হলো এক ধরনের কার্ডিও ব্যায়াম। পায়ের মাংসপেশী বেশি কাজ করলে হৃদযন্ত্রকে দ্রুত রক্ত পাম্প করতে হয়, ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এটি কম শারীরিক সক্ষমতার কারণে হতে পারে, যা সাধারণত স্বাভাবিক।
কখন সতর্ক হওয়া জরুরি?
যদি নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তবে অবহেলা করা চলবে না, কারণ এগুলি বিপদের সংকেত হতে পারে:
১. বুকে ব্যথা বা চাপ: বুকে চিনচিনে অনুভূতি বা চাপ অনুভব করা করোনারি আর্টারি ডিজিজের ইঙ্গিত হতে পারে।
২. তীব্র শ্বাসকষ্ট: সামান্য পরিশ্রমেও শ্বাসকষ্ট হওয়া, যা বিশ্রামের পরেও কমছে না—এটি হৃদরোগ বা ফুসফুসের বড় সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৩. মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা: মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছালে এমনটা ঘটতে পারে, যা অ্যারিদমিয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের লক্ষণ।
৪. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: মাঝে মাঝে হৃদযন্ত্র লাফিয়ে ওঠা বা ছন্দ হারানোর মতো অনুভূতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫. বিশ্রামের পরও সমস্যা: সিঁড়ি ভাঙার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট বিশ্রামের পরও যদি বুক ধড়ফড় বা শ্বাসকষ্ট না কমে, তবে এটি বিপদের সংকেত।
সম্ভাব্য কারণ ও করণীয়
বুক ধড়ফড় কেবল হৃদরোগের কারণেই হয় না। এর পেছনে রক্তাল্পতা, থাইরয়েড সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ বা ফুসফুসের রোগও থাকতে পারে।
যদি সিঁড়ি ভাঙার সময় এই উপসর্গগুলো প্রায়শই দেখা দেয়, দেরি না করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ট্রেডমিল টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করবেন।
শরীর সব সময় সংকেত পাঠায়। সাধারণ ক্লান্তি ভেবে বড় বিপদকে আমন্ত্রণ না জানাতে বিশেষজ্ঞরা সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হাজার বছর ধরে লোকঔষধ ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত। মিসরীয় প্যাপিরাস থেকে ভারতীয় আয়ুর্বেদ, গ্রিক ও আরব চিকিৎসা পর্যন্ত সর্বত্র এর উপস্থিতি দেখা যায়। আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বলছে পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেল প্যারেনকাইমা, মিউকোপলিস্যাকারাইড, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। একই পাতা আবার হলুদাভ তিক্ত ল্যাটেক্সও বহন করে যাতে প্রাকৃতিক রেচক অ্যান্থ্রাকুইনোন থাকে। এই দুই স্তরের আলাদা প্রোফাইল বোঝা জরুরি, কারণ জেল তুলনামূলক নরমাল ব্যবহারে নিরাপদ হলেও কাঁচা ল্যাটেক্স বেশি খেলে সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিগুণের ভিত
অ্যালোভেরার জেল ভিটামিন এ, সি, ই সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। বি গ্রুপের মধ্যে বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং কিছু প্রজাতিতে বি১২ রিপোর্ট করা হয়। খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ থাকে। জেলে পলিস্যাকারাইড যেমন অ্যাসেম্যানান, এনজাইম এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি ভাল মিশ্রণ থাকে। এই সমন্বয় ত্বককে হাইড্রেট করে, ক্ষতস্থানে স্যুত্র তৈরি সহায়তা করে, মৌখিক শ্লেষ্মা শান্ত করে এবং পরিপাকে স্বস্তি দিতে পারে।
জেল বনাম ল্যাটেক্স
পাতা কাটলে যে স্বচ্ছ জেল বের হয় সেটিই সাধারণত ত্বক, চুল এবং পানীয়ের জন্য ব্যবহৃত। পাতার খোসার ঠিক ভেতরের হলুদাভ তরলটি হলো ল্যাটেক্স, যার ল্যাক্সেটিভ প্রভাব প্রবল। বাজারে ডিকলোরাইজড বা ফিল্টারড জুস বলতে সাধারণত ল্যাটেক্স অপসারিত জেল-ভিত্তিক পণ্য বোঝায়। গৃহে ব্যবহার করলে পাতার সবুজ অংশ ও হলুদ স্তর ভালোভাবে ছেঁটে ফেলে কেবল স্বচ্ছ জেল নিন।
হজম ও ডিটক্স: কীভাবে কাজ করে
জেলে থাকা এনজাইম শর্করা ও চর্বি ভাঙতে সহায়তা করে, যা হজমের আরাম বাড়ায়। পানি ও মিউকোপলিস্যাকারাইড অন্ত্রের মিউকোসা শান্ত করে। ল্যাটেক্সের অল্প মাত্রায় রেচক প্রভাব থাকতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় বা বেশি পরিমাণ ল্যাটেক্স খেলে ক্র্যাম্প, ডিহাইড্রেশন এবং পটাশিয়াম কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই দৈনন্দিন সেবনে জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মৌখিক স্বাস্থ্য
অ্যালো জেল মুখের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে, হালকা জ্বালা ও আলসার শান্ত করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্লাক কমাতে সহায়ক হয়। টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশে অ্যালোর উপস্থিতি তাই জনপ্রিয়। ঘরে জেল ব্যবহার করলে পরিষ্কার হাত দিয়ে আলতোভাবে লাগিয়ে দিন এবং খাবার বা গরম পানীয়ের আগে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে অ্যালোর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার
সূর্যদগ্ধ ত্বকে ঠান্ডা জেল আরাম দেয়, লালভাব কমায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। ব্রণপ্রবণ ত্বকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরামের উপর অ্যালো জেল লাগালে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে। সংবেদনশীল ত্বকে আগে কানের পেছনে প্যাচ টেস্ট করুন। পচা গন্ধ, রঙ বদলে যাওয়া বা দূষিত জেল কখনো ব্যবহার করবেন না।
চুল ও স্ক্যাল্প কেয়ার
অ্যালো জেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে, খুশকি ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের জট ছাড়াতে সহায়ক। তিনটি সহজ পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন। এক, শ্যাম্পুর আগে স্ক্যাল্পে জেল লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দুই, জেল, দই এবং এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে সাপ্তাহিক হেয়ার মাস্ক করুন। তিন, পানি মিশিয়ে স্প্রে করে লিভ ইন কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ব্যবহার চুল শুষ্ক করতে পারে, তাই ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ করুন।
কৌতূহল জাগানো ৫টি ব্যবহারযোগ্য রেসিপি
- সকালের হালকা পানীয়। ২০০ মিলিলিটার পানি, এক টেবিলচামচ তাজা অ্যালো জেল, আধা চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবু।
- হজমে স্বস্তি স্মুদি। কিউই বা আনারস, দই, এক টেবিলচামচ অ্যালো জেল, অল্প পুদিনা।
- সান-সুথিং জেল। অ্যালো জেল, শসার রস, অল্প রোজ ওয়াটার। ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনে লাগান
- স্ক্যাল্প প্যাক। অ্যালো জেল, মেথি বাটা, এক চা চামচ কালোজিরা তেল। ২০ মিনিট।
- মুখের দাগে স্পট জেল। অ্যালো জেল, হলুদের অতি অল্প গুঁড়া, মধু। রাতের বেলায় স্পটে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে নিন।
কতটা খাবেন এবং কীভাবে নেবেন
খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ দিক হলো জেল-ভিত্তিক, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি। সাধারণত দিনে ১৫ থেকে ৩০ মিলিলিটার ডিকলোরাইজড অ্যালো জুস বা এক থেকে দুই টেবিলচামচ তাজা জেল পানি বা স্মুদিতে মেশানো যেতে পারে। টপিক্যাল প্রয়োগে দিনে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর যথেষ্ট। ক্যাপসুল, টিংচার বা কনসেনট্রেট নিলে পণ্যে উল্লেখিত ডোজ অনুসরণ করুন এবং প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক ডোজে সহনশীলতা দেখুন।
কে সাবধান হবেন
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, কিডনি বা লিভারের ক্রনিক সমস্যা, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স, হূদ্রোগে ডাইউরেটিক বা কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড ব্যবহারকারী, অ্যান্টিকোগুল্যান্ট, অ্যান্টিপ্লেটলেট, অ্যান্টিডায়াবেটিক বা স্টেরয়েড ব্যবহারকারী। ল্যাটেক্সের রেচক অংশ এসব ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়াতে পারে। অস্ত্রোপচারের আগে পরে নিজের মতো করে কোনো হার্বাল শুরু বা বন্ধ করবেন না। অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বকে প্যাচ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
ঘরে কেনার সময় কী দেখবেন
ল্যাটেক্স-মুক্ত বা ডিকলোরাইজড লেখা আছে কি না খেয়াল করুন। তৃতীয় পক্ষের গুণমান পরীক্ষার সিল, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণতার স্পষ্ট তারিখ, গাঢ় কাঁচের বোতল এবং অ্যালো কনটেন্টের শতাংশ উল্লেখ আছে কি না দেখুন। তাজা পাতা নিলে মোটা ও টানটান পাতা নিন। কাটার পর হলুদাভ রস ঝরিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কেবল স্বচ্ছ জেল গ্রহণ করুন।
দ্রুত প্রশ্নোত্তর
অ্যালো কি ওজন কমায়?
-সরাসরি চর্বি পোড়ায় না। জেল-ভিত্তিক পানীয় হাইড্রেশন ও হালকা তৃপ্তি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে।
প্রতিদিন খাওয়া যায় কি?
-কম পরিমাণ, জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সহনীয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং শরীরের সাড়া দেখুন।
ব্রণে কি লাগানো যায়?
-হ্যাঁ, পাতলা স্তর, পরিষ্কার ত্বকে, দিনে এক থেকে দুইবার। জ্বালা হলে বন্ধ করুন।চুলে রাতভর রাখা ঠিক কি না। সূক্ষ্ম চুলে শুষ্ক হতে পারে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট যথেষ্ট, পরে ধুয়ে ফেলুন।
সাইড ইফেক্ট এবং কখন বন্ধ করবেন
পেটব্যথা, ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, মাথা হালকা লাগা, লালচে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা জ্বালা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন। লাল প্রস্রাব, তীব্র দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ত্বকে প্রচণ্ড জ্বালা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। কোনো নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে আপনার পার্সোনাল মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী পেশাদার পরামর্শ নিন।
অ্যালোভেরা একটি বহুমুখী ভেষজ। জেল ত্বক, চুল, মৌখিক স্বাস্থ্য এবং হালকা হজমে আরাম দিতে পারে। সঠিক অংশ বাছাই, ডোজ নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত পণ্য নির্বাচন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকলে অ্যালোর উপকার নিরাপদে পাওয়া যায়। রান্নাঘরের সহজ রেসিপি থেকে স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ারের কাস্টম রুটিন পর্যন্ত সবখানেই এর প্রয়োগ সম্ভব। ব্যবহার শুরু করুন কম পরিমাণে, শরীরের সাড়া দেখুন, প্রয়োজনে বিরতি নিন এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
পেটে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য? একটানা বসে থাকা নয়তো এর কারণ!
দীর্ঘসময় অফিসে ডেস্কে বসে কাজ করাকে এখন চিকিৎসকরা ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে দেখছেন। এটি শুধু পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং হৃদরোগ, স্থূলতা, বিপাকজনিত সমস্যা এবং এমনকি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের (Gat Health) ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চেন্নাইয়ের সিমস হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. সেন্টিল গণেশন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দীর্ঘ সময় স্থির হয়ে বসে থাকা অন্ত্রে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি করে। এটি হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং শরীরজুড়ে ক্লান্তি ও প্রদাহ বাড়ায়।
কেন ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্ত্র?
ড. গণেশন ব্যাখ্যা করেন, আমাদের পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য অন্ত্রের নিয়মিত নড়াচড়ার (পেরিস্টালসিস) ওপর নির্ভর করে। এই নড়াচড়া খাবারকে ধাপে ধাপে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু যখন আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নড়াচড়া না করে বসে থাকি, তখন অন্ত্রের গতি মন্থর হয়ে যায়। এর ফলে গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি দেখা দেয়।
তিনি বলেন, অন্ত্র কেবল খাবার সরানোর একটি নল নয়। এটি একটি জটিল, স্নায়ু-নিয়ন্ত্রিত পেশি কাঠামো। শারীরিক কার্যকলাপ কমে গেলে এই পুরো ব্যবস্থাটি ব্যাহত হয়। বিশেষ করে যারা উচ্চ-ক্যালোরি ও চর্বিযুক্ত খাবার খান কিন্তু পর্যাপ্ত নড়াচড়া করেন না, তাদের অন্ত্রে সহজেই ‘স্থবিরতা’ তৈরি হয়।
ড. সেন্টিল গণেশনের পরামর্শ:
নিয়মিত বিরতি: প্রতিদিন হালকা ওয়ার্কআউট করুন। অফিসেও ৪৫ মিনিটের বেশি একটানা বসে থাকবেন না।
সচল থাকুন: নিয়মিত বিরতি নিন। অফিসে হাঁটুন, স্ট্রেচিং করুন এবং ফোন কল রিসিভ করুন দাঁড়িয়ে থেকে।
পর্যাপ্ত পানি পান: প্রচুর পানি পান করুন। কারণ পানির অভাব অন্ত্রের গতি কমিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সৃষ্টি করে।
খাবারের সঙ্গে নড়াচড়া: শুধু ফাইবার খেলেই হবে না, হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে শারীরিক নড়াচড়াও জরুরি।
ড. গণেশন সতর্ক করে বলেন, কাজের চাপে শরীরের প্রয়োজনীয় নড়াচড়াকে উপেক্ষা করলে তা ভবিষ্যতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই কাজের মাঝে অল্প অল্প নড়াচড়া ও সচল অভ্যাসেই আপনার অন্ত্র ও শরীর সুস্থ থাকবে।
সূত্র : আজকাল
পাঠকের মতামত:
- ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৭ বাংলাদেশি
- জেনে নিন আগামীকাল ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- অল্প রানে অলআউট বাংলাদেশ, আফগানদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ
- মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করুন: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার
- শহিদুল আলমের আটক নিয়ে অপপ্রচার: বাংলাফ্যাক্ট যা জানাল
- স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর আইন, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: চূড়ান্ত ঐকমত্যের পথে কমিশন
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- নতুন দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন, নেপথ্যে এনসিপি ও বিএনপি’র নেতা
- ২১ শতকের নীরব ঘাতক: কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে যে খাবার
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- ১৬তম মুসলিম হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ওমর এম ইয়াগি
- আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সতর্কতা জারি: ঢাকাসহ ২০ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিতর্ক, রিজওয়ানা হাসান চাইলেন নাম
- ৫টি বিশেষ ধরনের মধু, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
- শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- রসায়নে নোবেল: জল সংগ্রহ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার
- সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
- ১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1
- আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ওয়ানডে: টিভিতে ছাড়াও মোবাইলে দেখবেন যেভাবে
- যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে উপদেষ্টা
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- নিবন্ধন ছাড়াই ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেবে সরকার
- সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের আহ্বান: ‘আর বিলম্ব নয়’
- পাকিস্তানে আফগান সীমান্তের কাছে সামরিক কনভয়ে বোমা ও বন্দুক হামলা
- জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র
- আর্সেনালের মাঠে লিয়ঁর প্রতিশোধ, বার্সার ঝড়ে উড়ে গেল বায়ার্ন
- চট্টগ্রামে উত্তেজনা: সড়ক দুর্ঘটনায় নেতার মৃত্যু ঘিরে হেফাজতের অবরোধ
- সিরিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- নোবেল দৌড়ে ‘গ্রিন কেমিস্ট্রি’—জলবায়ু সংকটের যুগে বৈজ্ঞানিক আশার আলো
- রেকর্ড ছুঁয়েছে সোনার দাম: বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় সোনা
- ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছে’—ফেসবুক ভিডিওতে শাহিদুল আলমের দাবি
- নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘সেফ এক্সিট’ বিতর্ক
- ট্রাম্পের সফর ঘিরে মালয়েশিয়ায় উত্তেজনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
- অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে: শেখ হাসিনার আইনজীবী
- নুরুল হক নুরের বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
- যুদ্ধ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইল হামাস, আলোচনা চলছে মিসরে
- আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- আমি বাংলাদেশের মেসি নই: তকমা গায়ে মাখতে নারাজ হামজা চৌধুরী
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
- কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
- শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
- কূটনৈতিক জয়: ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে হারিয়ে ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ
- মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
- পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- ইসরায়েলে আটক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের অনশন
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি