মসজিদের টাকায় ঘুষের হাত! দায় এড়াচ্ছে কারা?

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর জামে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সরকারি অনুদান ছাড় করতে গিয়ে ঘুষের দাবিতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন মসজিদ কমিটির সদস্যরা।
স্থানীয় মসজিদ কমিটির অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দুই কর্মকর্তা-কর্মচারী—অফিস সহকারী মাসুম শেখ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সাব-ইঞ্জিনিয়ার) আজিজ প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ছাড়ে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি রহমত আলী জানান, “আমরা প্রথম দফায় টাকা পাওয়ার সময় বলেছিলাম, ঘুষের টাকা পরে দেবো। কিন্তু এখন দ্বিতীয় কিস্তি তুলতে গেলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে—আগের ১৫ হাজার না দিলে পরবর্তী চেক ছাড় হবে না। কেন টাকা দিতে হবে, সেটা নিয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিচ্ছেন না।”
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলে অভিযুক্তরা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, ‘স্যারের অনুমতিতে’ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাবেদ পাঠান বলেন, “মাস্টাররোল বাবদ কিছু খরচ থাকে, যা সাধারণত ১২০০-১৩০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এখানে অতিরিক্ত টাকা কেন দাবি করা হচ্ছে, সেটা আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।”
ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন, “প্রকল্প কর্মকর্তার একজন আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে তিনি এখন ছুটিতে আছেন। তবে অভিযোগটি আমি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখব।”
উল্লেখ্য, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার বিষয়গুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কোনো সদস্যকে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে এই বার্তা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাইকিং করছেন। তিনি বলছেন, “সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।”
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেছেন, এই আহ্বানের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।
যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন বৃহস্পতিবার। এদিন রাজধানী ঢাকায় মানুষের ভিড় অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি থাকে। তার ওপর আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। একইসঙ্গে, আগামীকাল শুক্রবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের আটটি বিভাগীয় শহর থেকে পরীক্ষার্থীরা আজই ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন। এই দুই কারণে আজ রাজধানীতে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (ড. আহমদ আব্দুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপা—এই সাতটি দল প্রায় অভিন্ন দাবিতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, দলগুলো বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, নাইটিংগেল ও শাহবাগ এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে এবং সেখান থেকে মিছিল শাহবাগ পর্যন্ত যাবে।
যানজটের ভোগান্তি
রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর কারণে সচিবালয়, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকার অফিসফেরত কর্মীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। এছাড়া, শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকলে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন হাসপাতালগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), ঢাকা মেডিকেল, বারডেম ও অন্যান্য হাসপাতালের রোগী আনা-নেওয়ায় সমস্যা হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়, তখন ব্যাপক লোকসমাগমের কারণে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এতে অন্য সড়কগুলোতেও চাপ বাড়ে এবং অচলাবস্থা তৈরি হয়।’ তিনি আরও জানান, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ থাকে।
বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায় মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুইজবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ড ও পুলিশি তদন্ত
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই তাদের বিস্কুটের কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি কারখানায় গেলেও মঙ্গলবার রাতে তার যেতে দেরি হয়। সে কারণে তার স্ত্রী লিলি কারখানায় যান। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা উত্তমকে হত্যা করতে এসেছিল। কিন্তু লিলি আক্তার তাদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “আমরা জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। নিহতের স্বামী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।”
আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের খবর
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে:
কক্সবাজার: সদর উপজেলার খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে মোহাম্মদ সৈয়দ (৫০) নামে এক রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে হত্যার পর বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতোমধ্যে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে আটক করেছে। রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্বামী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপে পারিবারিক বিরোধের জেরে আলী হোসেন নামে ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। সন্দ্বীপ থানার ওসি শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত করা হচ্ছে।
রাজধানী: দোলাইরপাড়ে একটি আবাসিক হোটেল থেকে জহিরুল ইসলাম রাকিব (২০) নামে এক বাসচালকের সহকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশে তার মায়ের উদ্দেশে লেখা দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রঃসমকাল
গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গ্রেফতারের পর থানায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে থানার হাজতখানায় ব্যারাক থেকে খাট এনে আসামিকে ‘ভিআইপি বিছানা’ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কথা বলার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশি নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিটন হাওলাদার (৪৮) একটি সিআর (২০১/২৪) মামলায় এক বছর দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন ওসি মাকসুদ আলম। তবে তাকে অন্য আসামিদের মতো হাজতে না রেখে আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধায় থানার একটি কক্ষে রাখা হয়।
পরের দিন আদালতে পাঠানোর আগে তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বেশ কিছু ছবি ফাঁস হয়ে যায়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, হাজতের ভেতরে একটি খাটে বসে সিগারেট হাতে নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন লিটন হাওলাদার। ধারণা করা হচ্ছে, গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা এসব ছবিই পরে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাকসুদ আলম দাবি করেন, “লিটন হাওলাদার অন্য একটি মামলায় জামিন নিয়ে থানায় দেখা করতে আসেন। তবে তিনি আরেকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে তাকে হাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, হাজতে খাট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ কে দিয়েছে তা তার জানা নেই। কেউ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ওসির ভাষায়, “মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, আমারও ভুল হতে পারে। তবে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আমি স্বীকার করি না। আমাদের থানার পাশেই একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে সেখানেই অসুস্থদের রাখা হয়।” সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন বলেন, “কোনো আসামি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার বিধান রয়েছে। থানার ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হলে সেটি অবশ্যই অনিয়ম। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে থানার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-রফিক
সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো—
- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটার বাতিল
- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত আদালতের রায় বাতিল
- ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন
- ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই কোটার কারণে বহু যোগ্য শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবারও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও কোনো আশ্বাস না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণে সাতরাস্তা হয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অফিসগামীদের সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়।
বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী অবশেষে বহুল আলোচিত ১৭ বিয়ে কাণ্ডে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপ বন সংরক্ষক) ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান মিঞাকে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি ইমেইল তারা পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনিক শাস্তির রূপ পেল।
প্রতারণার অভিযোগ ও মানববন্ধন
মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হিসেবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া কিংবা সম্পত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি একে একে ১৭ জন নারীকে বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বিচারের দাবি জানায়। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন জেলার নারী ভুক্তভোগীরাও এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
আদালতে মামলা ও তদন্তের নির্দেশ
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে মামলা দায়ের করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রথম আমলী আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু জানান, কবির হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা। কর্মজীবনে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অবস্থায় তিনি একে একে ১৭টি বিয়ে করেছেন। প্রতিটি বিয়ে প্রথম বিবাহ গোপন রেখে মুসলিম ফ্যামিলি আইন ভঙ্গ করে সম্পন্ন হয়েছে, যা ধর্মীয় মূল্যবোধ, সমাজব্যবস্থা ও আইনকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুতর অপরাধ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশের পর তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে বসুরহাট জিরো পয়েন্ট এবং মুছাপুরের বাংলাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন শ্রমিক নেতা ওয়াসিম, মোহাম্মদ মিয়া, ধনা মিয়া ও এমদাদ হোসেনসহ আরও কয়েকজন। অভিযোগে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা বেবি টেক্সি, অটো টেম্পু, অটোরিক্সা চালক ও সহকারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-চট্ট-২০৪২) নামের সংগঠনের কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে ‘জিপি’র নামে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, মাসুদুর রহমান, বেলাল হোসেন ও শিপন নামের তিনজন নেতা বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে আসছেন। সংগঠনটি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছিল। তবে ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর জয়নাল আবদীন, আবুল মোবারক বাহার, বেলাল হোসেন ও ফেরদৌস আম্মেদ সেলিমের নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যালয় দখল করে নেওয়া হয়।
দখলদাররা বর্তমানে উপজেলার ৩-৪ হাজার সিএনজি থেকে প্রতিদিন ২৫ টাকা করে আদায় করছেন, যা থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অবৈধ চাঁদা আদায়ের কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শ্রমিকরা। সোমবার সকালে একদল সিএনজি চালক বসুরহাট জিরো পয়েন্টে এসে জিপির নামে টাকা আদায় বন্ধ করে দেয়। এর পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা দ্রুত বাংলাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আরও দুজন শ্রমিক আহত হন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও সেখানে উপস্থিত থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বসুরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হবে। আশ্বাস পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শান্ত হন।
এর আগে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মো. রিপন নামের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা ক্যাম্প ও থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নিজেরাই চাঁদা আদায় বন্ধের চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা আবুল বাসার ও শ্রমিক মো. রিপন অভিযোগ করেন, পূর্বেকার কমিটিও অবৈধ ছিল এবং তারাও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বর্তমান দখলদার কমিটি একইভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে কিন্তু কোনো হিসাব দিচ্ছে না। এমনকি মৃত শ্রমিকদের পরিবারকেও নির্ধারিত টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে শ্রমিকদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, দখলদার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জয়নাল আবদীন দাবি করেন, তাদের কমিটি বৈধ এবং জিপি নেওয়াও বৈধ। তিনি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি নিজে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বসুরহাট পৌরসভার জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইনও সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি আরও জানান, বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ঘোষিত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)।
সকালে ঢাকা–বরিশাল ও ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সকাল ৯টার দিকে পুখুরিয়া এলাকায় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অবরোধ পালনের চেষ্টা করেন। তবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা সড়ক অবরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন।
প্রস্তাবিত ভাঙ্গা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাফুর আহমেদ জানান, রেল চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সকাল থেকে সকল ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করেছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, খুলনা থেকে নকশিকাঁথা কমিউটার ও জাহানাবাদ এক্সপ্রেস যথারীতি ঢাকায় পৌঁছেছে এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস খুলনার পথে গিয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, পুলিশ সক্রিয়ভাবে মাঠে অবস্থান করছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সাধারণ মানুষ অযথা ভোগান্তির শিকার না হন। তিনি আরও জানান, পুখুরিয়ায় স্থানীয়রা মহাসড়কে বসার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের সরে যেতে বাধ্য করেছে, ফলে দুই মহাসড়কেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের মতে, এই আন্দোলন শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়; এটি ভাঙ্গার অস্তিত্ব, ঐতিহ্য এবং শিকড় রক্ষার আন্দোলন। তারা দাবি করেন, প্রশাসন যদি মনে করে তারা চুপ করে মেনে নেবে, তবে সেটি গুরুতর ভুল হবে।
তাদের ভাষায়, “আমরা জানি আন্দোলন মানেই মানুষের ভোগান্তি। কিন্তু ভাঙ্গাকে বাঁচানোর প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না। প্রয়োজনে রাতভর মহাসড়কে অবস্থান করব। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ হলেও অন্যায়-অবিচার হলে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হব। আলগী ও হামিরদী যেমন ভাঙ্গার ছিল, তেমনি ভাঙ্গারই থাকবে এটাই আমাদের চূড়ান্ত অবস্থান।”
-রফিক
‘আমার বাবাকে কাকা-কাকাতো ভাই মেরে ফেলেছে’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সামান্য ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে প্রাণ হারালেন আনন্দ ঘোষ (৪৫)। পারিবারিক কলহ থেকে শুরু হওয়া এ ঘটনা এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয়। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার উনশিয়া গ্রামের ঘোষবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত সুধীর ঘোষের ছেলে ও স্থানীয় ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষের সঙ্গে তাঁর তিন ভাই—গৌরাঙ্গ ঘোষ (৫২), কালা ঘোষ (৫০) ও যুগল ঘোষের (৩০) দীর্ঘদিন ধরে ছাদের পানি পড়া নিয়ে বিরোধ চলছিল। রোববার দিনের বৃষ্টির পর বিষয়টি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে রাতের বেলায় আনন্দ ঘোষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গৌরাঙ্গ, কালা ও যুগল ঘোষের সঙ্গে তাঁদের ভাতিজা নয়ন ঘোষ এবং সৌরভ ঘোষ লাঠি নিয়ে আনন্দ ঘোষকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবার ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আনন্দ ঘোষের স্ত্রী মিতা ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, “দিনে বৃষ্টি হয়েছিল। ছাদ থেকে পানি পড়া নিয়ে রাতে আমার দেবর আর ভাসুররা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”
অন্যদিকে নিহতের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে অথৈ ঘোষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, “আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি নার্স হই। আমারও স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। কিন্তু কাকা আর কাকাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। এখন আমার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল।”
প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার বলেন, বিষয়টি নতুন নয়। ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে আগে একাধিকবার গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আনন্দ ঘোষের ভাইয়েরা কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি। শেষ পর্যন্ত সেই বিরোধ রক্তক্ষয়ী পরিণতি ডেকে আনল।
ঘটনার পর স্থানীয়রা গৌরাঙ্গ, কালা ও যুগল ঘোষের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশ
- ধর্ষণ মামলায় জামিনের পর নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা
- রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির পর কমলো স্বর্ণের দাম, নতুন দর ঘোষণা করলো বাজুস
- পদ্মার রুপালি ইলিশের প্রথম চালান ভারতে
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ও অপুষ্টিতে মৃত্যু বাড়ছে
- জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ
- এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
- ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- একনেক বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৮,৩৩৩ কোটি টাকা
- রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ঋণপত্র বোর্ডে সীমিত লেনদেন, শীর্ষে যে শেয়ার
- ব্লক মার্কেটে শীর্ষ তিন শেয়ারে ৭০% লেনদেনের দখল
- ১৭ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- মোদির ৭৫তম জন্মদিনে বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার তারকাদের শুভেচ্ছা
- ১৭ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্য চান ড. আলী রীয়াজ
- চীনের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ঘুষ প্রস্তাবে বরখাস্ত ডিএনসিসি কর্মকর্তা
- ২১ ক্যারেট বনাম ২২ ক্যারেট: কোন সোনার গয়না বেশি টেকসই
- লেনদেনে চাঙ্গা বাজার, শীর্ষে যেসব কোম্পানি
- সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
- সংবাদে বিভ্রান্তি, ডিএসইকে ব্যাখ্যা দিল ইউনিয়ন ব্যাংক
- নেতানিয়াহুকে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিল কাতার
- বাংলা সিনেমায় প্রথম সারভাইভাল স্টোরি ‘দম’
- “গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান: জাতিসংঘের অভিযোগ ‘গণহত্যা’”
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ