যুদ্ধাবস্থায় বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভাঙতে বসেছে ইরানের

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা—তবে তা মাঠের খেলার চেয়ে বেশি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে। বিশ্বকাপের মূল আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, যার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে উত্তপ্ত। সম্প্রতি গতি পাওয়া যুদ্ধাবস্থা ও ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে—এই আসরে আদৌ অংশ নিতে পারবে কি না বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা ইরান।
চলতি বছরের মার্চে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ড্র করেই বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছিল ইরান। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠা নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অংশগ্রহণ আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে এর আগেও যুদ্ধরত দেশগুলোর অংশগ্রহণ স্থগিতের উদাহরণ রয়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়াকে বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান ফুটবল থেকে বহিষ্কার করেছে ফিফা ও উয়েফা। একই রকম পরিস্থিতিতে ৯০ দশকে বলকান সংঘাত চলাকালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল যুগোস্লাভিয়াকেও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানের ক্ষেত্রেও এমন নিষেধাজ্ঞা অস্বাভাবিক নয়। যদিও এখন পর্যন্ত ফিফা কিংবা আয়োজক রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।
জটিলতা আরও বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য ঘোষিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসে যেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে ইরানও। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের জন্য সীমিত ছাড় দেওয়া হতে পারে।
বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, যদি ইরান গ্রুপ এ-তে অবস্থান করে, তাহলে তাদের প্রাথমিক ম্যাচগুলো মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে নকআউট পর্বে উঠলে তাদের খেলতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে, যা আয়োজকদের জন্য একটি কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এদিকে ইরানি তারকা ফরোয়ার্ড মেহদি তারেমি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজ দেশেই আটকা পড়েছেন। ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান তাকে ক্লাব বিশ্বকাপের দলে রেখেছিল, কিন্তু তিনি তেহরান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে না পারায় দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। এমনকি ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও পর্যন্ত ইরান ইস্যুতে মুখ খোলেননি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ একপ্রকার ‘ঝুঁকির মধ্যেই’ পড়ে যাবে।
এই অনিশ্চয়তা কেবল ইরানের জন্য নয়, গোটা বিশ্বকাপ আয়োজনের গ্রহণযোগ্যতা ও ক্রীড়ানীতির প্রশ্নকেও সামনে নিয়ে আসছে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দীর্ঘ পতনের পর শেয়ারবাজারে এল সুখবর!
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- বিশ্ববিদ্যালয় সংকট, বাজেট বৈষম্য ও শিক্ষায় ন্যায্যতার দাবি
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কম এবং কম ঝুকিপূর্ণ
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট হবে কিনা জানালেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
- শেয়ারবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে যে ৯টি কোম্পানির
- আকাশে বিস্ফোরণ, মাটিতে মৃত্যু: ক্লাস্টার বোমায় জর্জরিত ইসরায়েল
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের ১০টি বড় ক্ষতি
- তবে কি বন্ধ হতে যাচ্ছে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম, যা জানা গেল
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মুখোমুখি বিশ্ব শক্তিগুলো
- শরীয়তপুরের ডিসির নারী কেলেঙ্কারি ও ভিডিও ফাঁস: সর্বশেষ আপডেট
- শেয়ারবাজারে মুনাফা কমেছে যেসব ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে১১টি কোম্পানির জন্য সুখবর