জমি সংক্রান্ত ৫ বড় সমস্যা সমাধানের সহজ উপায়

দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ ও জটিলতায় পড়ে লাখো মানুষ আদালতের দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এবার সেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে সরকারের এক নতুন পদক্ষেপ। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা অনুযায়ী এখন থেকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ জমি-সংক্রান্ত বিরোধ সরাসরি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিসেই নিষ্পত্তি হবে তাও মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে।
এই উদ্যোগকে সংশ্লিষ্ট মহল 'গ্রামীণ জনগণের ভূমি-ন্যায়বিচারের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা' হিসেবে দেখছে। আদালতের চাপ কমানোর পাশাপাশি এটি জনগণের জন্য একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক সেবা হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক ও আইন বিশেষজ্ঞরা।
কোন পাঁচটি বিরোধের সমাধান মিলবে ডিসি অফিসে?
১. ওয়ারিশদের মধ্যে জমি বণ্টন সংক্রান্ত বিরোধ:
এক বা একাধিক ওয়ারিশ অন্যদের বঞ্চিত করে যদি জমি দখল করেন কিংবা নামজারি করে ফেলেন, তবে ভুক্তভোগী ওয়ারিশরা আর আদালতে না গিয়েও ডিসি অফিসে অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিষয়টি মাঠপর্যায়ের তদন্ত সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হবে।
২. সরকারি খাস জমি বা অবকাঠামো জবরদখল:
রাস্তা, খাল, জলাশয় বা অন্য কোনো সরকারি জমি কেউ বেআইনিভাবে দখল করলে, ডিসি অফিস তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবে। জনস্বার্থে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
৩. জলাশয় বা খালের খনন ও ভরাট সংক্রান্ত বিরোধ:
অনুমতি ছাড়া খাল বা জলাশয় খনন কিংবা ভরাট করলে এবং তা আশপাশের কৃষিজমি বা পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেললে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ডিসি অফিসে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবেন। ক্ষেত্রবিশেষে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
৪. হঠাৎ জমি জবরদখল বা উচ্ছেদের চেষ্টা:
নিজের ভোগদখলীয় জমিতে কেউ দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করলেও হঠাৎ করে প্রভাবশালীদের দ্বারা উচ্ছেদের চেষ্টা হলে ডিসি অফিস তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর মৌখিক কিংবা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় তদন্ত পরিচালিত হবে।
৫. নামজারি বা খতিয়ান সংশোধনে বাধা:
যদি বৈধ মালিকানা থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি নামজারি বা খতিয়ান সংশোধনে বাধার মুখে পড়েন—বিশেষ করে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, ব্যবসায়িক উন্নয়ন কিংবা বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে—তবে তিন মাসের মধ্যেই এ সমস্যার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ রয়েছে।
কীভাবে আবেদন করবেন?
এই পাঁচটি সমস্যার যেকোনো একটির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তারপর জেলা প্রশাসন তিন মাসের মধ্যে সমাধান দেবে। যদি কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি সম্ভব না হয়, তবে তা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
যদিও ইতোমধ্যে কিছু জেলা প্রশাসনে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে, সারাদেশে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্ট, পর্যাপ্ত জনবল ও প্রযুক্তিগত সুবিধার ঘাটতি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে শক্তিশালী করার জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করেছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিধিমালা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা গেলে তা দেশের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে। একইসঙ্গে এটি বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাবে এবং প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এই নতুন ভূমি সংক্রান্ত সেবাকে একটি "প্রশাসনিক বিকল্প বিচারব্যবস্থা" বলা হচ্ছে, যেখানে আইনি জটিলতা ছাড়াই স্বল্প ব্যয়ে, স্বল্প সময়ে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যদি এটিকে সকল জেলায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে ভূমি নিয়ে বহু পুরনো সামাজিক অস্থিরতা ও সহিংসতা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২১ বছর পর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় আজ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই দশক পেরিয়ে আজ ২১ বছর পূর্ণ হলো। তবে বহুল আলোচিত এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত রায়ের দিন ঘোষণা করবেন।
এর আগে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সেই খালাসাদেশ বাতিলের আবেদন নিয়ে শুনানি শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলার চূড়ান্ত শুনানি চলছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, তারেক রহমানকে মামলায় জড়াতে দ্বিতীয় দফা তদন্ত করানো হয় এবং মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। রায়ে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করা হয় এবং আসামিদের দাখিল করা আপিল মঞ্জুর করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হন। ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৮ সালে বিচারিক আদালত গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
/আশিক
মাই টিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) খান মো. এরফান তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাই টিভির দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে মো. নাসির উদ্দিন সাথীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার এমন উসকানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মামলার ডিসিস্ট আসাদুল হক বাবু মৃত্যুবরণ করে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়। নাসির উদ্দিন সাথী মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে মহান সাংবাদিকতার পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকে তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় এবং ব্যক্তিগত হীনস্বার্থে তদানীন্তন আওয়ামী সরকারককে আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দল-মতকে প্রত্যাখ্যান করে উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মক এহেন কার্যক্রম সংগঠিত করায় মামলার প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নাম্বার এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করে সব আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১২১, ১২১ক এবং ১২৪ক ধারায় রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গ্রেপ্তার তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার সূত্র অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর একটি জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অনেকে অংশ নেন। সেখানে শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর আগে, ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে আসামির সংখ্যা বেড়ে ২৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় বাফুফের সহসভাপতি ও কে স্পোর্টসের মালিক ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম এবং তার স্ত্রী মিসেস নোরা লাহলালির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার ৫ নম্বর অর্থঋণ আদালত। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলায় জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেয়া হয়েছিল, কিন্তু নির্ধারিত দিনে তারা উপস্থিত হননি। এরপর গত ১৭ এপ্রিল তাদের কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়া হয় কেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না। বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামিরা ইউসিবি ব্যাংকের কাছে ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি দায়ী করেননি, বরং পার্সোনাল গ্যারান্টি ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে ঋণ গ্রহণ করেছেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে তারা বিপুল পরিমাণ জনগণের আমানত টাকা নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। এছাড়া অর্থ পরিশোধে চরম অবহেলা দেখানোর কারণে তাদের ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
আইনজীবীর দাবি, ফাহাদ করিমের স্ত্রীর নামে অন্যান্য ব্যাংকেও ঋণ খেলাপির মামলা রয়েছে। আর্থিক দিক থেকে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছেন এবং দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছেন বলে তথ্য রয়েছে। তাই আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশেষ পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৮ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে ফাহাদ করিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইউসিবি ব্যাংক।
/আশিক
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন
ভাটারা থানায় গেরিলা প্রশিক্ষণকাণ্ডে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির হওয়া সুমাইয়া স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন, যা মঞ্জুর করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে ৭ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল তার জন্য।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত ৮ জুলাই ভাটারা থানার কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠক করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেলে সারা দেশ থেকে মানুষ ঢাকায় এসে শাহবাগ মোড় দখল করবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে।
ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই জ্যোতীর্ময় মণ্ডল ১৩ জুলাই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।
/আশিক
আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের জামিন আবেদন আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে নাকচ করা হয়েছে। ওইদিন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ সংক্রান্ত মামলায় মতিউরকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান জামিনের আবেদন করেন।
আদালতে শুনানির সময় মতিউর নিজেও বক্তব্য দেন। তিনি জানান, তিনি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এবং তা আদালতকে প্রদান করেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার পরিবার ধ্বংসের মুখে পড়েছে। আমি এবং আমার স্ত্রী কারাগারে আছি। আমার মা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, তার দেখভাল করার কেউ নেই।” তিনি আরো অনুরোধ করেন, “আমাকে জামিন দিলে আমি আদালতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করে নিজের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব।”
আদালত তার বক্তব্য শোনার পর জানায়, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন, তাই দোষী বা নির্দোষ সম্পর্কে এখন কিছু বলা যাবে না। এজন্য তাকে আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এরপর আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত বছরের ২ জুলাই দুদক মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়। এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজন সম্পদ বিবরণী দুদকে প্রদান করেন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দুদক মামলা দায়ের করে এবং ১৪ জানুয়ারি মতিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কেনার ঘটনায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার শিকার হন। মুশফিকুর রহমান ইফাত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে।
/আশিক
‘ট্রেন ছাড়ার পর ওঠা সম্ভব নয়’—শেখ হাসিনা মামলা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছে, “ট্রেন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই”—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগের আবেদনের প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না ট্রাইব্যুনালে এ আবেদন জানান। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করতে চান। এর আগে তার পক্ষে জুনিয়র আইনজীবী নাজনীন আরা আবেদনটি দাখিল করেছিলেন।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল-১ জানায়, শেখ হাসিনার পক্ষে ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার বর্তমান পর্যায়ে এসে পলাতক আসামির পক্ষে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করে, “ট্রেন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠা সম্ভব নয়।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী পান্নার আবেদন নাকচ করে ট্রাইব্যুনাল আরও জানায়, এই মুহূর্তে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। তবে একটি জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা রাখা যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে অন্য মামলায় সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
/আশিক
১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ২০১২ সালে নির্মমভাবে নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত এ মামলার তারিখ ১২০ বার পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইর অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এর ফলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান ১৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় গলাকেটে হত্যা হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ (হুমায়ুন কবির), রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু (বারগিরা মিন্টু/মাসুম মিন্টু), কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।
প্রাথমিকভাবে মামলার তদন্তভার ছিল শেরেবাংলা নগর থানার একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) কাছে। চার দিন পর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে দেওয়া হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এর পর ১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করে এবং তদন্ত শেষ করার জন্য ছয় মাসের সময় দেয়। তবে এখন পর্যন্ত ওই টাস্কফোর্স তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
/আশিক
জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় আসামিরা ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত পৃথক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমানসহ মোট ১১ জন আসামি। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামানের আদালতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হাজিরা নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, উচ্চপ্রোফাইল মামলার আসামিদের হাজিরা থেকে শুরু করে আগামীদিনে ভার্চুয়াল পদ্ধতি চালু থাকবে, তবে রিমান্ড শুনানি সরাসরি আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়াল হাজিরা দেওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সাদেক খান, এবং নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা আবুল হাসনাত আদনান ও মোস্তফা কামাল।
মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, পলক, ইনু, মেনন ও শাজাহান খান যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা চেষ্টা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন। কামাল মজুমদার মিরপুর মডেল থানার হত্যা মামলায়, সাদেক খান কলাবাগান থানার চেষ্টা-হত্যা মামলায়, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু যাত্রাবাড়ী থানার চেষ্টা-হত্যা মামলায়, আর আদনান ও মোস্তফা কামাল কলাবাগান থানার হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন।
এর আগে চলতি বছর ৭ আগস্ট ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জঙ্গি ও হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক মামলার আসামিদের কারাগারে রেখে ভার্চুয়াল হাজিরার অনুমতি প্রদান করেন। এই সুবিধার জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ২৮ নম্বর কক্ষ ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, অতি ভারি বর্ষণেরও সম্ভাবনা
- দেশের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন জরুরি: চরমোনাই পীর
- গাজায় ইসরাইলের হামলা বৃদ্ধি, গত একদিনে আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
- মেঘনার বুকে ভেসে উঠল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ, স্তব্ধ পরিবার-সহকর্মীরা
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করল অন্তর্বর্তী সরকার
- আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
- সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য সুখবর!
- ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
- বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
- বাউফলে এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর বাজারে সবজির আগুন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
- জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলনের উদ্যোগে ইউনূস
- গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
- আমার ছেলেকে ভালোবাসবেন: আরিয়ানের প্রথম কাজ নিয়ে শাহরুখ
- দলের টানা হারে অস্ট্রেলিয়া সফরে টাইগার যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ
- ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!
- জামায়াতের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না’: হামিদুর রহমান আযাদ
- পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়: তারেক রহমান
- পাথর লুটে আমাদের কোনো কর্মীও জড়িত নয়, দুদককে ক্ষমা চাইতে হবে’: জামায়াত
- দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না
- একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- আবারও খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেট, পানিবন্দি ২০ হাজার
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর কোনো পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- পাথর লুটে জড়িত ৫২ জনের নাম প্রকাশ:তালিকায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের নাম
- ক্ষুধার্ত দেশে উপদেষ্টাদের হাঁসের মাংস বিলাস কষ্ট দেয়: বিএনপি নেতা আলাল
- ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে উমামার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা
- বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা চুক্তির মাধ্যমে পেয়েছিল অবৈধ সুবিধা
- এবার ভিসা ছাড়াই যাবেন পাকিস্তানে
- মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৯৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
- বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
- দুদক মামলায় খালাস বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া
- ২১ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট ২০২৫ আজকের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- পিআর পদ্ধতি ভয়ংকর, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ এর ফল: ড. বদিউল আলম মজুমদার
- মব হামলা ইতিহাসের ওপর আক্রমণ: আইনজীবী সারা হোসেন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- আধুনিক দাম্পত্যের জটিলতাকে মজাদার ভঙ্গিতে উপস্থাপন: ‘স্প্লিটসভিল’
- শেয়ারবাজারে আলোচনায় এনসিসি ব্যাংক
- গ্যাস পাম্পে বিস্ফোরণ: নবীগঞ্জে সিএনজি স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- রূপালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ
- নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা
- আক্রাসিয়া ইফেক্ট: কেন আমরা পরিকল্পনা করেও কাজ করি না
- জীবনে সফল হতে শিখুন কৃতজ্ঞতা: ৭টি পরিস্থিতিতে বলুন “ধন্যবাদ”
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- বক্স অফিস রিপোর্ট: ‘কুলি’র বাজিমাত, পিছিয়ে ‘ওয়ার ২’, আর ‘ধূমকেতু’র রেকর্ড
- গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- গুজবের পর্দা ফাঁস: তারকাদের টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য
- আলবার্ট আইনস্টাইনের শেষ মুহূর্ত: এক ছবিতে ধরা পড়ল এক যুগের অবসান
- আখেরি চাহার শোম্বা: সফর মাসের শেষ বুধবারের ইতিহাস ও তাৎপর্য
- দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- জিআইবি জানালো আইপিও অর্থ ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কারণ
- খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল