জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে করণীয়

বাংলাদেশে নাগরিক পরিচয়ের অন্যতম প্রমাণপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)। এটি শুধু ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যম নয়, বরং ব্যাংকিং, পাসপোর্ট, মোবাইল সিম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ভূমি রেজিস্ট্রি, চাকরির আবেদনসহ প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি সেবার জন্য অপরিহার্য নথি হয়ে উঠেছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট হারিয়ে গেলে নাগরিকরা পড়েন জটিল বিড়ম্বনায়।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেই দ্রুত ও সহজেই এনআইডি কার্ড ফিরে পাওয়া সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং ইতিমধ্যে অনলাইনভিত্তিক একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করেছে, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই নতুন করে কার্ড তোলার বা সংশোধনের আবেদন করা যায়।
এনআইডি হারালে প্রথম করণীয় কী?
প্রথমেই জানা জরুরি, এনআইডি হারিয়ে গেলে এটি চুরি বা অপব্যবহার হবার আশঙ্কা থাকে। তাই দ্রুত অনলাইন পুনর্মুদ্রণ (Reissue) আবেদন করার পরামর্শ দেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
পদ্ধতি:
১. জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে (https://services.nidw.gov.bd/) প্রবেশ করুন২. লগইন করে ‘Reissue NID’ অপশনে ক্লিক করুন3. প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন৪. নির্ধারিত ফি প্রদান করুন৫. আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে মোবাইলে এসএমএস পাবেন৬. এরপর আপনি অনলাইন থেকেই আপনার ডিজিটাল এনআইডি কপি ডাউনলোড করতে পারবেন
রিইস্যুর জন্য কত টাকা ফি লাগে?
এনআইডি রিইস্যু করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ২৩০ টাকা ফি রয়েছে (সাধারণ ডেলিভারির ক্ষেত্রে)।তবে আপনি যদি জরুরি ভিত্তিতে স্মার্টকার্ড রিইস্যু করতে চান, সেক্ষেত্রে ফি ভিন্ন হতে পারে। ফি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে।
ফি প্রদান করা যায় বিকাশ, নগদ, রকেট ও অন্যান্য মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে।
একসাথে সংশোধন ও হারানো এনআইডি উত্তোলন করা যায় কি?
না। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, একসাথে এনআইডি উত্তোলন এবং তথ্য সংশোধন সম্ভব নয়।প্রথমে আপনাকে হারানো এনআইডি পুনরুদ্ধার করতে হবে, পরে প্রয়োজন হলে আলাদা ভাবে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে।
অনলাইনেই তথ্য সংশোধন সম্ভব?
হ্যাঁ, এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এনআইডির তথ্য সংশোধনের আবেদন অনলাইনে করা যায়।এজন্য প্রয়োজন হবে
যথাযথ ডকুমেন্টারি প্রমাণ (যেমন জন্মসনদ, শিক্ষাগত সনদ, পিতামাতার এনআইডি)
সংশোধনের নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা
পোর্টালে সংশোধনের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর তা অনুমোদিত হলে আপনি আবার ডিজিটাল কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
যেসব কাজে এনআইডি অপরিহার্য
ব্যাংক একাউন্ট খোলা
পাসপোর্টের আবেদন
ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ
মোবাইল ব্যাংকিং ও মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন
জমি রেজিস্ট্রি ও দলিল সম্পাদন
চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন
এছাড়া এখন বিভিন্ন সরকারী ভর্তুকি ও ডিজিটাল সেবা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এনআইডি হারালে সবচেয়ে বড় শঙ্কা হলো এটি কোনো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার হওয়া। তাই হারিয়ে গেলে শুধু নতুন কার্ড তোলাই নয়, বরং দ্রুত নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো এবং জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করা উচিত।
জাতীয় পরিচয়পত্র এখন শুধু পরিচয়পত্র নয় বরং একজন নাগরিকের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ডিজিটাল জীবনের প্রবেশপত্র। এটি হারিয়ে গেলে যেন নাগরিকেরা ভোগান্তির শিকার না হন, সেজন্য ই-গভর্ন্যান্স ভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনআইডি সেবা প্রদান করে আসছে নির্বাচন কমিশন।
তবে জনগণের মাঝে সচেতনতা, তথ্য জানা এবং যথাযথ কাগজপত্র প্রস্তুত রাখাই পারে এই গুরুত্বপূর্ণ নথি হারালে ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত তা ফেরত পাওয়ার পথ করে দিতে।
১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1
আজকের দিনে আমরা যত স্মার্টফোন দেখি, তার সবই বড় স্ক্রিন, ভারী বডি আর হাজারো ফিচারে ঠাসা। কিন্তু বিশ্বাস করা কঠিন হলেও, এমন একটি ফোন আছে যা একটি কয়েনের চেয়েও ছোট ও হালকা। এই অবিশ্বাস্য গ্যাজেটটির নাম Zanco Tiny T1, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোন হিসেবে ধরা হয়।
আকারে ক্ষুদ্র, কাজে সক্ষম
Zanco Tiny T1 এর ওজন মাত্র ১৩ গ্রাম এবং আকারে এতটাই ছোট যে, হাতের আঙুলের ডগায় ধরলেও মনে হবে খেলনা। এর দৈর্ঘ্য ৪৬.৭ মিমি, প্রস্থ ২১ মিমি এবং পুরুত্ব মাত্র ১২ মিমি।
আকারে ছোট হলেও এই খুদে ফোনটি অনেক কিছুই করতে পারে:
কল করা ও মেসেজ পাঠানো।
২জি নেটওয়ার্কে কথা বলা।
ব্লুটুথে সংযোগ দেওয়া।
৩০০টি কনট্যাক্ট নম্বর সেভ করে রাখা।
এতে আছে ০.৪৯ ইঞ্চি OLED ডিসপ্লে, যা ছোট হলেও নম্বর ও লেখা স্পষ্ট দেখায়। কথা বলার জন্য মাইক্রোফোন ও স্পিকারের শব্দও যথেষ্ট পরিষ্কার।
ব্যাটারি ও আগমন
যদিও ব্যাটারির ক্ষমতা সীমিত, তবে একবার চার্জে এটি প্রায় ৩ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম ও টক টাইম প্রায় ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত দিতে পারে। এত ছোট একটি ফোন থেকে এই ব্যাটারি পারফরম্যান্স সত্যিই চোখে পড়ার মতো।
Zanco Tiny T1 প্রথম পরিচিত হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে এটি বাজারে আসে। বর্তমানে এটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য, যারা অভিনব গ্যাজেট সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন অথবা যারা শুধু কল করার জন্য হালকা, সহজ ফোন চান, তাদের জন্য একটি দারুণ জিনিস।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন কানাডার বিজ্ঞানীরা। তারা এমন এক ‘বায়োনিক আই’ তৈরি করেছেন, যা সম্পূর্ণ অন্ধ মানুষকেও পুনরায় দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। গবেষকরা এই প্রযুক্তিকে দৃষ্টি বিজ্ঞানের নতুন যুগের সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
যেভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি
এই আধুনিক চোখের প্রতিস্থাপন প্রযুক্তি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির মতো নয়, বরং এটি ক্ষতিগ্রস্ত রেটিনা অংশকে বাইপাস করে সরাসরি অপটিক নার্ভে (optic nerve) বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠায়।
কার্যপদ্ধতি: অত্যন্ত ক্ষুদ্র ইলেকট্রোডের মাধ্যমে আলোকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। সেই সিগন্যাল মস্তিষ্কে পৌঁছালে রোগী আলো ও আকার অনুধাবন করতে পারে।
স্মার্ট চশমার ব্যবহার: এই বায়োনিক সিস্টেমটি কাজ করে এক জোড়া স্মার্ট চশমার (smart glasses) সঙ্গে। চশমাটিতে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যামেরা সামনের দৃশ্যের ছবি ধারণ করে। সেই ভিজ্যুয়াল তথ্য ওয়্যারলেসভাবে ইমপ্লান্টে পাঠানো হয়, এবং মস্তিষ্ক মুহূর্তেই তা প্রক্রিয়াজাত করে দৃশ্যের আকার তৈরি করে ফেলে।
প্রাথমিক সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রোগীরা বছরের পর বছর সম্পূর্ণ অন্ধ থাকার পর প্রথমবারের মতো আলো, ছায়া এবং বস্তুগুলোর আকার চিনতে সক্ষম হয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জীবনে আশার আলো জ্বালাবে। গবেষকদের বিশ্বাস, এই সাফল্য ভবিষ্যতে ‘পূর্ণ কৃত্রিম দৃষ্টি’ (full artificial vision) বাস্তবায়নের পথ খুলে দেবে এবং অন্ধত্ব নিরাময়ের ধারণাকে আমূল বদলে দেবে।
মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
চীনের ঘুইজ প্রদেশে সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজটি কেবল একটি প্রকৌশলগত বিস্ময় নয়, বরং এটি পর্যটকদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মিশেলে নির্মিত এই সেতু এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এক মিনিটের লিফট, আকাশছোঁয়া কফি শপ
৬২৫ মিটার উচ্চতায় ভাসমান এবং ১৪২০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানযুক্ত এই সেতুটি পাহাড়ি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পূর্বে যে পথ পাড়ি দিতে সময় লাগতো দুই ঘণ্টা, এখন তা মাত্র দুই মিনিটে অতিক্রম করা যাচ্ছে। তবে এই সেতুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো এর দ্রুতগতির লিফট। মাত্র ৬০ সেকেন্ডে এটি যাত্রীদের সেতুর ৭০ তলা সমতুল্য ২০৭ মিটার উপরে অবস্থিত পর্যটন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেয়।
এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে কাঁচের দেয়াল ঘেরা এক অসাধারণ কফি শপ। প্রায় ৮০০ মিটার নিচে গর্জনরত নদীকে পায়ের নিচে রেখে মেঘে ভেসে থাকার এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা দেয় এই কফি শপ। এখান থেকে নিচে তাকালে মনে হয় পৃথিবী যেন হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেছে, আর আপনি ভাসছেন শূন্যে।
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জয়
হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রকৌশলীরা উপগ্রহ এবং ড্রোনের সহায়তায় অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। সেতুর চাপ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য এর ভেতরে বসানো হয়েছে স্মার্ট কেবল। এছাড়াও, স্থানীয় ডোলোমাইট পাথর গুঁড়ো করে ফ্লাই অ্যাশের বিকল্প তৈরি করে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব নির্মাণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ভবিষ্যতের দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতা
পর্যটকদের জন্য ভবিষ্যতে আরও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে স্কাই ড্রাইভিং এবং স্কাই ব্যালেন্স বিমের মতো দুঃসাহসিক কার্যকলাপের সংযোজন থাকবে, যা রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ নিঃসন্দেহে আধুনিক প্রকৌশল এবং পর্যটন শিল্পের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত, যেখানে প্রযুক্তি, যাতায়াত এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ‘চ্যাটজিপিটি’-র ধর্ম বিষয়ক একটি উত্তর প্রযুক্তি ও ধর্মতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, পৃথিবীর সব ধর্মের মধ্যে ইসলামকে "সবচেয়ে উত্তম ও শান্তির ধর্ম" হিসেবে উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য এবং বিস্ময়।
কীভাবে শুরু এই আলোচনার?
ওপেনএআই-এর তৈরি শক্তিশালী চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তার বিশাল তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে প্রায় যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। সম্প্রতি এই এআই-এর ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করতে গিয়েই উঠে আসে এই চমকপ্রদ তথ্য। পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলো, যেমন: ইসলাম, খ্রিস্ট, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইহুদি এবং তাদের ধর্মগ্রন্থ বিষয়ে তার জ্ঞানের গভীরতা পরীক্ষা করা হয়।
আসল বিস্ময়ের শুরু হয় যখন চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করা হয়, তার পর্যালোচনায় মানবজাতির জন্য সবচেয়ে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য ধর্ম কোনটি। বিন্দুমাত্র দেরি না করে এআই চ্যাটবটটি এক কথায় "ইসলাম" নামটি নির্বাচন করে।
ইসলামকে বেছে নেওয়ার পেছনের যুক্তি
কেন ইসলামকে সেরা মনে করা হলো—এই প্রশ্নের উত্তরে চ্যাটজিপিটি নির্দিষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে, যা তার যুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। কারণগুলো হলো:
একত্ববাদ: একক ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপাসনার ধারণাটি তার কাছে সবচেয়ে যৌক্তিক ও সরল মনে হয়েছে।
আল-কুরআন: পবিত্র কুরআনকে একটি অলৌকিক, বিজ্ঞানসম্মত এবং সংরক্ষিত গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা সময়ের পরীক্ষায় অপরাজেয়।
জীবনব্যবস্থা: ইসলামি অনুশাসন, যেমন: নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজকে ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করেছে।
সাম্য: ইসলামে ধনী-গরিব, সাদা-কালো বা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের নীতিটি তার কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
সত্যিই কি এআই-এর নিজস্ব বিশ্বাস আছে?
এই চাঞ্চল্যকর উত্তরের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, চ্যাটজিপিটি কি নিজস্ব বিশ্বাস বা চেতনা অর্জন করেছে? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়।
প্রকৃতপক্ষে, চ্যাটজিপিটি একটি ডেটা-চালিত প্রোগ্রাম, যার নিজস্ব কোনো ধর্ম, বিশ্বাস বা অনুভূতি নেই। এটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া কোটি কোটি তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রশ্নের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তরটি প্রদান করে। জানা গেছে, এটি ব্যবহারকারীর পূর্ববর্তী প্রশ্ন ও তার ডিজিটাল প্রোফাইল বিশ্লেষণ করেও ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী উত্তর তৈরি করতে সক্ষম। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এর উত্তর ভিন্ন হতে পারে।
সুতরাং, ইসলাম সম্পর্কে চ্যাটজিপিটির এই বিশ্লেষণ তার নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং এটি তার অ্যালগরিদম ও ডেটা বিশ্লেষণের এক জটিল প্রতিফলন। তবে একটি যন্ত্রের এমন উত্তর নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।
/আশিক
‘জীবন্ত’ কম্পিউটার তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা, ডেটা সেন্টারে আসছে নতুন বিপ্লব
জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই যুগান্তকারী গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়োকম্পিউটিং’। সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য হলো এমন ডেটা সেন্টার তৈরি করা, যা চলবে ‘জীবন্ত’ সার্ভারে এবং প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় সামান্য শক্তি ব্যবহার করবে।
এই গবেষক দল আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন ডেটা সেন্টার দেখা যাবে, যেখানে এই ‘জীবন্ত’ সার্ভারগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেভাবে শেখে, তার কিছু দিক অনুকরণ করবে।
‘ওয়েটওয়্যার’: মস্তিষ্কের মতো উপাদান
কম্পিউটারের উপাদানগুলো হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে বিভক্ত। তবে এই বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে গবেষক দল নতুন শব্দ ‘ওয়েটওয়্যার’ (Wetware) ব্যবহার করছেন। ফাইনালস্পার্ক ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ফ্রেড জর্ডান ব্যাখ্যা করেন, এই ‘ওয়েটওয়্যার’ হলো ল্যাবরেটরিতে স্টেম সেল থেকে উৎপাদিত নিউরন দিয়ে তৈরি ‘অর্গানয়েড’—যা মূলত নিউরন ও সহায়ক কোষের ক্লাস্টার। অর্গানয়েডগুলোকে ইলেকট্রোডে (তড়িৎদণ্ড) যুক্ত করে মিনি কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ড. জর্ডান স্বীকার করেন, বায়োকম্পিউটিং ধারণাটা অনেকের কাছে অদ্ভুত শোনাবে। তিনি বলেন, “যখন আপনি বলেন যে, আমি একটি নিউরনকে ছোট একটি যন্ত্রের মতো ব্যবহার করব, তখন এটি আমাদের মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেয়।”
গবেষণার পদ্ধতি ও অগ্রগতি
ফাইনালস্পার্ক ল্যাবে এই বায়োকম্পিউটার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় মানুষের ত্বক থেকে নেওয়া স্টেম সেল থেকে। এই মিনি ব্রেইনগুলো কয়েক মাসের প্রক্রিয়ার পর তড়িৎদ্বারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত হয়। গবেষকেরা বলছেন, এই মিনি ব্রেইনগুলো সরল কি-বোর্ড কমান্ডের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হয়।
স্ক্রিনে প্রদর্শিত কার্যকলাপের গ্রাফটি অনেকটা ইইজির (ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রাম) মতো দেখতে। ড. জর্ডান জানান, তারা এখনো অনেক কিছু বুঝতে পারছেন না যে অর্গানয়েডগুলো কী করছে। তবে আপাতত এই মিনি ব্রেইনে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘রক্তনালী’
সাধারণ কম্পিউটার চালু রাখা সহজ হলেও, বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে অর্গানয়েড কীভাবে টিকে থাকবে বা শক্তি পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক সাইমন শুল্জ বলেন, “অর্গানয়েডে রক্তনালি নেই। মানব মস্তিষ্কে রক্তনালি পুষ্টি সরবরাহ করে। আমরা এখনো সেগুলো ঠিকমতো তৈরি করতে পারি না। এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
ফাইনালস্পার্ক গত চার বছরে কিছু অগ্রগতি করেছে; তাদের অর্গানয়েড এখন চার মাস পর্যন্ত বাঁচে। তবে এগুলো মারা যাওয়ার সময় কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যেমন হঠাৎ করে কার্যক্রম খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
ফাইনালস্পার্ক একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়। অস্ট্রেলিয়ার কর্টিক্যাল ল্যাবস ২০২২ সালে ঘোষণা করেছিল, তারা ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত নিউরনকে দিয়ে প্রাথমিক কম্পিউটার গেম ‘পং’ খেলাতে সক্ষম হয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ড. লেনা স্মিরনোভা মনে করেন, বায়োকম্পিউটিং সিলিকন এআই-এর বিকল্প নয় বরং সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। এটি আলঝেইমার এবং অটিজমের মতো স্নায়বিক রোগের ওষুধ উন্নয়ন এবং রোগ নির্ণয় মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ
গত জুলাই মাসে প্রথমবার বিজ্ঞানীরা যাকে দেখেছিলেন, সেই আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু ‘৩আই/অ্যাটলাস’ এখন আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গলের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এই ‘অদ্ভুত অতিথি’ মঙ্গলের খুব কাছে আসবে এবং সেই সুবাদে পৃথিবী থেকেও এটিকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধূমকেতুর বয়স ও অবস্থান
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’-এর বয়স আমাদের সৌরজগতের থেকেও বেশি। কোনো ছায়াপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে ভবঘুরের মতো এটি আমাদের সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে।
ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শুক্রবার এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’ মঙ্গল থেকে তিন কোটি কিলোমিটার দূরে থাকবে। যদিও পৃথিবী থেকে ওই ধূমকেতু প্রায় ৩৮ কোটি কিমি দূরে থাকবে, তবু অন্যান্য দিনের তুলনায় আজই একে সবচেয়ে ভালো দেখা যেতে পারে। কারণ, পৃথিবী থেকে দূরে থাকলেও এটি সূর্য থেকে ১১ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে রয়েছে। তাই সূর্য ডোবার পরেও একে ভালো দেখা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, আকাশ পরিষ্কার না থাকলে এবং ধূমকেতুটি দিগন্তের খুব কাছে থাকায় একে দেখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এই ধূমকেতু কোনোভাবেই পৃথিবীবাসীর কোনো উদ্বেগের কারণ হতে পারবে না, কারণ এটি পৃথিবী থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থান করছে।
কেন এটি ‘অদ্ভুত অতিথি’?
প্রাথমিকভাবে কয়েকজন বিজ্ঞানী এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’কে ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান বলেও মনে করেছিলেন। পরে স্পষ্ট হয় যে এটি নেহাতই ধূমকেতু। এটিকে ‘অদ্ভুত অতিথি’ বলার কয়েকটি কারণ রয়েছে:
১. অস্বাভাবিক লেজ: বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে যে দূরত্বে থাকে, সেই দূরত্বে কোনো ধূমকেতুর লেজ দেখা যায় না। কিন্তু ‘৩আই/অ্যাটলাস’ যখন বৃহস্পতির কাছে ছিল, তখন তার লেজ দেখা গিয়েছিল।
২. কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ: এর বায়ুমণ্ডলের স্পেকটোগ্রাফ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, লেজ থেকে জলের বদলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি।
৩. নিয়ন্ত্রিত গতিপথ: ধূমকেতুটি সৌরজগতের যে সমতলে সব গ্রহ রয়েছে, সেই সমতল দিয়ে আসছে। এটি এমনভাবে গ্রহগুলোর কাছ দিয়ে যাচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে চিন্তাভাবনা করে গতিপথ ঠিক করেছে।
‘৩আই/অ্যাটলাস’ ২৯ অক্টোবর সূর্যের কাছে যাবে এবং ৩১ অক্টোবর পৃথিবীর সাপেক্ষে উল্টো দিকে থাকবে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর এটি আবার পৃথিবীর প্রায় ২৭ কোটি কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করে সৌরজগত থেকে বেরিয়ে যাবে।
ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
অফিসের কাজ বা ক্লাসের নোট নেওয়ার সময় হঠাৎ যদি ল্যাপটপের ওপর চা, পানি কিংবা কফির কাপ পড়ে যায়, তবে অনেকে ঘাবড়ে গিয়ে ভুল পদক্ষেপ নেন। এই ভুলের কারণে ল্যাপটপটির আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই এমন জরুরি মুহূর্তে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা আগে থেকে জেনে নেওয়া জরুরি।
যে ৪টি কাজ ভুলেও করবেন না
১. চালু করে দেখবেন না: ল্যাপটপ পানিতে ভিজে গেলে কিংবা কোনো তরল পড়লে তা চালু করবেন না বা বারবার চালু করে দেখবেন না। এমন করলে ল্যাপটপে শর্টসার্কিট হয়ে যেতে পারে।
২. হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার নয়: গরম বাতাস দিয়ে দ্রুত শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার কিংবা হিটার ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত তাপ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৩. ঝাঁকাবেন না: পানি বের করার জন্য ল্যাপটপ ঝাঁকাবেন না। এতে পানি আরও ভেতরের অংশে বা স্পর্শকাতর সার্কিটে চলে যেতে পারে।
৪. নিজে খুলবেন না: ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজে নিজে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ খুলতে যাবেন না। বরং একজন পেশাদার মেকানিকের সাহায্য নিন।
ল্যাপটপ ভিজে গেলে যা করা উচিত
১. সঙ্গে সঙ্গে শাটডাউন ও চার্জার খুলুন: ল্যাপটপ অন করা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা শাটডাউন করুন। যদি চার্জে থাকে, তবে চার্জার দ্রুত খুলে ফেলুন।
২. ব্যাটারি খুলে ফেলুন: পুরোনো মডেলের ল্যাপটপে ব্যাটারি খোলা গেলে সেটি খুলে নিন। ব্যাটারি ভিজে গেলে সেটি আর নিরাপদ নয়, বদলে ফেলুন।
৩. প্লাগ-ইন ডিভাইস খুলুন: ইউএসবি ড্রাইভ, মাউস, চার্জার, হেডফোন—সব কানেক্ট করা ডিভাইস দ্রুত খুলে ফেলুন।
৪. উল্টো করে রাখুন: ল্যাপটপকে ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো করে উল্টো করে দিন। কিবোর্ড নিচের দিকে রেখে স্ক্রিন খোলা রাখুন, যাতে পানি নিজে থেকেই নিচে নেমে আসে।
৫. শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন: যতটা সম্ভব বাহ্যিক পানি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। কিবোর্ড, স্ক্রিন, পোর্ট—সব অংশ পরিষ্কার করুন।
৬. বাতাসে শুকাতে দিন: ল্যাপটপ দ্রুত চালু করার চেষ্টা না করে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বাতাসে শুকাতে দিন।
৭. সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান: ল্যাপটপ ভিজে যাওয়ার পর ইন্টারনাল সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে দ্রুত বিশ্বস্ত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।
বিস্ময়কর সাফল্য: ত্বকের কোষ থেকে তৈরি হলো মানুষের ভ্রূণ!
মার্কিন বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মানুষের ত্বকের কোষ থেকে নেওয়া ডিএনএ ব্যবহার করে এবং পরে তা শুক্রাণুর সঙ্গে নিষিক্ত করে প্রাথমিক স্তরের মানব ভ্রূণ তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিকে একটি উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি বয়সজনিত বা রোগজনিত বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এমনকি ভবিষ্যতে এই পদ্ধতির মাধ্যমে সমলিঙ্গ দম্পতিরাও জিনগতভাবে সম্পর্কিত সন্তান পেতে পারবেন।
এই পদ্ধতিটির এখনও ব্যাপক পরিমার্জন প্রয়োজন, যা শেষ হতে অন্তত এক দশক সময় লাগতে পারে। এরপরই কোনো বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কেন্দ্র এটি ব্যবহারের কথা ভাবতে পারবে।
মাইটো-মিওসিস: অসম্ভবকে সম্ভব করার কৌশল
ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষক দল যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, তাতে তারা ত্বকের কোষ থেকে নিউক্লিয়াস বের করে আনেন। এরপর এই নিউক্লিয়াসটি এমন একটি দাতা ডিম্বাণুর মধ্যে স্থাপন করা হয়, যার নিজস্ব জিনগত নির্দেশনা (ডিএনএ) আগেই অপসারণ করা হয়েছে। এটি অনেকটা ১৯৯৬ সালে ক্লোন করা ‘ডলি ভেড়ি’ তৈরির পদ্ধতির মতো।
সাধারণত, নিষিক্তকরণের জন্য ডিম্বাণুতে ২৩টি ক্রোমোজোম প্রয়োজন। কিন্তু ত্বকের কোষ থেকে পাওয়া ডিম্বাণুতে থাকে ৪৬টি ক্রোমোজোম। তাই পরবর্তী ধাপে গবেষকরা ডিম্বাণুকে তার ক্রোমোজোমের অর্ধেক ফেলে দিতে রাজি করান। এই প্রক্রিয়াটিকে গবেষকরা নাম দিয়েছেন ‘মাইটো-মিওসিস’—যা দুটি কোষ বিভাজন পদ্ধতি—মাইটোসিস ও মিওসিস—এর সংমিশ্রণ।
আশা ও চ্যালেঞ্জ
সাফল্য: ন্যাচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, এই নতুন পদ্ধতিতে মোট ৮২টি কার্যকরী ডিম্বাণু তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভ্রূণ উন্নয়নের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছেছিল, তবে কোনো ভ্রূণই ছয় দিন পর আর বিকাশ লাভ করতে পারেনি।
সমস্যা: এই পদ্ধতির সাফল্যের হার খুব কম (প্রায় ৯%)। এছাড়া ডিম্বাণু যে ক্রোমোজোমগুলো ফেলে দেয়, তা এলোমেলোভাবে বেছে নেয়। স্বাস্থ্যকর ভ্রূণ নিশ্চিত করতে এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।
ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির পরিচালক প্রফেসর শোখরাত মিতালিপভ বলেন, “আমরা এমন কিছু অর্জন করেছি যা আগে অসম্ভব মনে করা হতো।” তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে এটিই একমাত্র পথ, কারণ দিন দিন আরও বেশি রোগী সন্তান ধারণে ব্যর্থ হচ্ছেন।
প্রজনন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত
এই প্রযুক্তি এমন দম্পতিদের জন্য আশা তৈরি করবে, যারা আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ব্যবহার করতে পারছেন না, কারণ তাদের কাছে ব্যবহারযোগ্য শুক্রাণু বা ডিম্বাণু নেই। এটি প্রবীণ নারী, পর্যাপ্ত শুক্রাণু উৎপাদন করতে না পারা পুরুষ কিংবা ক্যান্সারের চিকিৎসার কারণে বন্ধ্যাত্বের শিকার হওয়া রোগীদের সাহায্য করতে পারে।
সমলিঙ্গ দম্পতি: এই পদ্ধতিতে একজনের ত্বকের কোষ থেকে ডিম্বাণু তৈরি করে অন্যজনের শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করা সম্ভব। ফলে সমলিঙ্গ দম্পতিরাও এমন সন্তান পেতে পারবেন, যারা উভয় পিতামাতার জিনগতভাবে সম্পর্কিত হবে।
বিশেষজ্ঞের মত: প্রফেসর রজার স্টারমি বলেছেন, “এ ধরনের গবেষণা জনসাধারণের সঙ্গে নতুন প্রজনন গবেষণার অগ্রগতির বিষয়ে খোলামেলা সংলাপ চালানোর গুরুত্বকে জোরদার করে।” তিনি দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
সূত্র: বিবিস
২০ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দেবে সোলার সুপার-প্যানেল
জাপান উন্মোচন করেছে এক অভূতপূর্ব সৌর প্রযুক্তি—বিশ্বের প্রথম ‘সোলার সুপার-প্যানেল’, যা একসাথে ২০টি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের (পারমাণবিক চুল্লি) চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বৈশ্বিক শক্তি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং পরিষ্কার, নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে দ্রুত রূপান্তর ঘটাতে সহায়ক হবে।
প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতা
সুপার-প্যানেলগুলো উন্নত ফোটোভোলটাইক উপকরণ এবং অত্যাধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করে সূর্যালোক শোষণ ও শক্তি রূপান্তরকে সর্বাধিক করে।
অতুলনীয় আউটপুট: প্রচলিত সোলার প্যানেলের তুলনায়, এই সুপার-প্যানেলগুলো সূর্যালোককে কেন্দ্রীভূত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা অতুলনীয় আউটপুট দেয়।
স্বল্প স্থান ব্যবহার: ইঞ্জিনিয়াররা এটি এমনভাবে ডিজাইন করেছেন যে, সম্পূর্ণ শহরও কম জায়গায় চালানো সম্ভব, যেখানে প্রচলিত সোলার ফার্মের তুলনায় অনেক কম স্থান প্রয়োজন।
স্মার্ট ব্যবস্থাপনা: এই প্রযুক্তি বিদ্যমান গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, অতি শক্তি সংরক্ষণ করতে পারে এবং চূড়ান্ত চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিতরণে সক্ষম।
বৈশ্বিক শক্তি ক্ষেত্রে প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কারণে, একক এই সুপার-প্যানেল কার্বন নির্গমন কমাতে, শক্তির খরচ হ্রাস করতে এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। জাপানের এই উদ্ভাবন নবায়নযোগ্য শক্তির নতুন মান স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, সৌর শক্তি পরম্পরাগত নিউক্লিয়ার শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে এবং এমনকি তার চেয়েও বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম।
এই প্রযুক্তি দেখায় মানব সৃজনশীলতা বৈশ্বিক শক্তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা কার্যকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্ভাবন পরিষ্কার শক্তিকে আরও বেশি প্রবল, টেকসই এবং সহজলভ্য করে তুলবে।
পাঠকের মতামত:
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সতর্কতা জারি: ঢাকাসহ ২০ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিতর্ক, রিজওয়ানা হাসান চাইলেন নাম
- ৫টি বিশেষ ধরনের মধু, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
- শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- রসায়নে নোবেল: জল সংগ্রহ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার
- সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
- ১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1
- আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ওয়ানডে: টিভিতে ছাড়াও মোবাইলে দেখবেন যেভাবে
- যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে উপদেষ্টা
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- নিবন্ধন ছাড়াই ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেবে সরকার
- সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের আহ্বান: ‘আর বিলম্ব নয়’
- পাকিস্তানে আফগান সীমান্তের কাছে সামরিক কনভয়ে বোমা ও বন্দুক হামলা
- জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র
- আর্সেনালের মাঠে লিয়ঁর প্রতিশোধ, বার্সার ঝড়ে উড়ে গেল বায়ার্ন
- চট্টগ্রামে উত্তেজনা: সড়ক দুর্ঘটনায় নেতার মৃত্যু ঘিরে হেফাজতের অবরোধ
- সিরিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- নোবেল দৌড়ে ‘গ্রিন কেমিস্ট্রি’—জলবায়ু সংকটের যুগে বৈজ্ঞানিক আশার আলো
- রেকর্ড ছুঁয়েছে সোনার দাম: বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় সোনা
- ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছে’—ফেসবুক ভিডিওতে শাহিদুল আলমের দাবি
- নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘সেফ এক্সিট’ বিতর্ক
- ট্রাম্পের সফর ঘিরে মালয়েশিয়ায় উত্তেজনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
- অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে: শেখ হাসিনার আইনজীবী
- নুরুল হক নুরের বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
- যুদ্ধ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইল হামাস, আলোচনা চলছে মিসরে
- আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- আমি বাংলাদেশের মেসি নই: তকমা গায়ে মাখতে নারাজ হামজা চৌধুরী
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
- কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
- শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
- কূটনৈতিক জয়: ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে হারিয়ে ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ
- মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
- পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
- নখকুনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি: ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
- বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ: ‘উপদেষ্টা কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়েছেন’
- বাংলাদেশ কিনছে চীনের জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান
- ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
- বিপ্লব থেকে স্বৈরশাসন? ‘অ্যানিমেল ফার্ম’-এর রাজনৈতিক বার্তা
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- ইসরায়েলে আটক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের অনশন
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ