চার্জ কমে যাচ্ছে দ্রুত? এই ভুলগুলো আপনি কি করছেন?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ২১:২৫:৪৭
চার্জ কমে যাচ্ছে দ্রুত? এই ভুলগুলো আপনি কি করছেন?

স্মার্ট চার্জিংয়ের কৌশল: স্মার্টফোন ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী রাখতে করণীয় যাআজকের দ্রুতগামী প্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই স্মার্টজীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে—ডিভাইস চার্জ রাখা। ব্যাটারির স্থায়িত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজন সঠিক ব্যবহার ও যত্ন। স্মার্টফোন নির্মাতারা বলছেন, হ্যান্ডসেট অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যবহার করলে ব্যাটারির পারফরম্যান্সে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

অপ্টিমাইজেশনের গুরুত্ব কী?ব্যাটারি খরচ কমিয়ে আনতে ও চার্জ ধরে রাখতে স্মার্টফোনের সেটিংসে থাকা Battery Optimization ফিচার খুবই কার্যকর। এই অপশনটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী নির্ধারণ করতে পারেন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে আর কোনটি চলবে না। ফলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যাটারি খরচ করতে পারে না এবং চার্জ সংরক্ষণ সম্ভব হয়।অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সেটিংসে গিয়ে “Battery” বা “Power Management” অপশন থেকে Battery Optimization চালু করে রাখতে পারেন।

কখন ডিসচার্জ করা বিপজ্জনক?বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর অভ্যাস, ব্যাটারিকে একেবারে শূন্য করে তারপর চার্জ দেওয়া। কিন্তু প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়।আদর্শভাবে, স্মার্টফোনের ব্যাটারি ২৫ শতাংশে নেমে এলে চার্জ দেওয়া উচিত। আর ৯০ শতাংশের বেশি চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ বারবার ১০০ শতাংশে চার্জ দেওয়া লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমিয়ে দেয়।

চার্জের সময় কেস না রাখা কেন জরুরি?অনেকেই চার্জ দেওয়ার সময় ফোনের কেস খুলে রাখেন না। অথচ এটি ব্যাটারি লাইফের ক্ষতির অন্যতম কারণ হতে পারে। স্মার্টফোন কেস চার্জিং চলাকালে তাপ আটকে রাখে, ফলে ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হয়ে পড়ে।এই তাপমাত্রা ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই চার্জ দেওয়ার সময় স্মার্টফোনের কেস খুলে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলা হয়।

—আশিক টেক ডেস্ক


ভোটের মাঠে এআই দিয়ে অপপ্রচার, ইসি কি পারবে তা ঠেকাতে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৯:৪৭:২৪
ভোটের মাঠে এআই দিয়ে অপপ্রচার, ইসি কি পারবে তা ঠেকাতে?
প্রতীকী ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সংশোধনীতে ইসির হারানো ক্ষমতা ফিরছে বলে দাবি করা হচ্ছে। পুরো আসনের ফল বাতিলের ক্ষমতা পুনর্বহালসহ নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে ‘না ভোট’ এর বিধান। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত করা। তবে, এই বিধান কীভাবে প্রয়োগ করবে ইসি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরপিও হলো নির্বাচন পরিচালনার মূল আইন, যা কমিশনকে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার ক্ষমতা দেয়। গত বছর অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এআই সংক্রান্ত কোনো বিধান ছিল না। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী দুই বছরে প্রায় তিনশ কোটি মানুষ ভোট দেবে এবং এই সময়ে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য একটি গুরুতর বৈশ্বিক ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ইসির নতুন বিধান ও চ্যালেঞ্জ

গত রোববার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, এআই ব্যবহার করে অপপ্রচার, মিথ্যাচার বা অপবাদ ছড়ালে প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান বা গণমাধ্যম—সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে এর প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এআইয়ের অপব্যবহার ঠেকানোর জন্য একটি কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ব্যান্ডউইথ না কমিয়ে বা কোনো ধরনের সেবার বিঘ্ন না ঘটিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা। একান্ত বাধ্য না হলে কোনো প্ল্যাটফর্মকে সীমিত করার ইচ্ছা কমিশনের নেই।

বিশ্লেষকদের মতামত

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, ইসির নিজস্ব কোনো সাইবার সিকিউরিটি সেল নেই। অপতথ্য রোধে ফ্যাক্ট চেকিং ও মনিটরিং সেলের দরকার হতে পারে। তিনি মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালে তা ঠেকানোর দায়িত্ব ইসির।

বিশ্বজুড়ে এআই-নির্ভর অপপ্রচার

প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে এআই-নির্ভর প্রচারণার বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হয়:

স্লোভাকিয়া: ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে এআই-দিয়ে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হয়।

যুক্তরাষ্ট্র: জো বাইডেনের কণ্ঠের মতো একটি এআই-সৃষ্ট অডিওতে ভোটারদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

পাকিস্তান: কারাবন্দি ইমরান খান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ব্যবহার করেন।

বেলারুশ: একজন প্রার্থীর নামে প্রচার চালানো হয়, পরে জানা যায় ওই প্রার্থী আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিস-এর পরামর্শ হলো, নীতি-নির্ধারকদের অবশ্যই এই নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে একই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়ও গুরুত্ব দিতে হবে।


ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৮:২৭:১৫
ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছর আকাশপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষিত এক মহাজাগতিক প্রদর্শনী ‘পার্সাইড’ উল্কাবৃষ্টি এবারও আগামীর ১২ ও ১৩ আগস্ট রাতে আকাশজুড়ে উজ্জ্বল উল্কাপাতের দৃশ্য উপহার দিতে যাচ্ছে। যদিও পূর্ণিমার কাছাকাছি চাঁদের আলো কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে, তবু উজ্জ্বল উল্কাগুলো স্পষ্টভাবেই আকাশে দেখা যাবে।

পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি হলো বছরের অন্যতম উজ্জ্বল এবং জনপ্রিয় উল্কাবৃষ্টি, যার সময় প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ১০০টি উল্কাপাত ঘটে। এসব উল্কাকে ‘মিটিওর’ বলা হয়, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জ্বলে ওঠে এবং আকাশে আগুনের রেখার মতো ছড়িয়ে পড়ে। বড় ও উজ্জ্বল উল্কাগুলোকে ‘ফায়ারবল’ নামে অভিহিত করা হয়, যা এক অনন্য রোমাঞ্চকর দৃশ্য তৈরি করে।

গত বছর উল্কাবৃষ্টির সময় চাঁদের আলো না থাকায় উল্কাগুলো অনেক বেশি স্পষ্ট ছিল। তবে এবারের পার্সাইড উল্কাবৃষ্টিতে চাঁদের আলো থাকায় কিছুটা ম্লান লাগতে পারে। তারপরও পার্সাইডের উল্কাগুলো এতটাই উজ্জ্বল যে তারা চাঁদের আলোয়ও সহজেই দৃশ্যমান হবে।

এই উল্কাবৃষ্টি শুরু হয়েছে ১৭ জুলাই থেকে এবং চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ উল্কাপাত দেখা যাবে ১২ ও ১৩ আগস্ট রাতের মধ্যে, কারণ তখন পৃথিবী কমেট ১০৯পি/সুইফট-টাটলের ফেলে দেওয়া বরফ ও ধুলোর স্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে। এই ধূমকেতু ১৩৩ বছর পরপর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে; সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পৃথিবীর কাছে এসেছিল।

পার্সাইড নামকরণ করা হয়েছে কারণ উল্কাগুলো আকাশের পার্সিয়াস নক্ষত্রমণ্ডল থেকে আসার মতো মনে হয়। ভালোভাবে উল্কাবৃষ্টি উপভোগ করতে হলে শহরের আলো থেকে দূরে, খোলা আকাশের নিচে থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে রাত ১০টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত সময়টি উপযোগী, যখন চাঁদ কিছুটা নিচে নামে এবং উজ্জ্বল উল্কাগুলো পরিষ্কার দেখা যায়। চোখ অন্ধকারে অভ্যস্ত করতে কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করলে উল্কাগুলো আরও স্পষ্ট দেখা যাবে।

আকাশে উল্কাদের ঝলকানি দেখা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা যা স্মৃতিতে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। যারা এখনো দেখেননি, তাদের জন্য এবারের পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি এক বিশেষ রাত হতে চলেছে।

/আশিক


চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৯:২৪:১৪
চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি
হিউম্যানয়েড রোবট সুয়ে বা-০১। ফাইল ছবি: সিএমজি

চীন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আবারো নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রথমবারের মতো দেশটির একটি হিউম্যানয়েড রোবট ‘সুয়ে বা-০১’ ভর্তি হয়েছে নাট্যকলা, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিষয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে। এই খবর জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সিএমজি।

চার বছর মেয়াদী এই ডক্টরাল প্রোগ্রামে রোবটটিকে দেওয়া হবে নাট্যশিল্প, রোবোটিক সিস্টেম, অভিনয়ের অঙ্গভঙ্গি, মানবিক আবেগ ও কগনিটিভ মডেলিংসহ নানা বিষয় সম্পর্কে মৌলিক ও সাংগঠনিক শিক্ষা। ক্লাসরুমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি রোবটটি নাটকের বিভিন্ন তত্ত্ব শেখার পাশাপাশি গবেষণায়ও যুক্ত থাকবে। পরে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পারফর্মিং আর্টস সংযুক্ত গবেষণাগারে কাজ করবে।

সুয়ে বা-০১ রোবটটিকে সাংহাই থিয়েটার একাডেমিতে নাট্যকলা বিষয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি করা হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক ভর্তি সম্পন্ন হয় ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কনফারেন্সে, যা সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

রোবটটির নির্মাতা লি লিংতু ও তার দল। লি লিংতু সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক এবং ‘ড্রয়েডঅ্যাপ’ নামের কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। রোবটটির নকশা করেছেন সাংহাই থিয়েটার একাডেমির অধ্যাপক ইয়াং ছিংছিং। রোবটটিকে ‘দেহযুক্ত বুদ্ধিমান কৃত্রিম সত্তা’ হিসেবে পরিচিত করা হয়।

ডেভেলপার লি লিংতু বলেন, তাদের লক্ষ্য এমন একটি পারফর্মার তৈরি করা, যা মানুষের আবেগ বুঝতে পারবে এবং দর্শকদের কাছে আবেগপূর্ণ শিল্প উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মানব অভিনেতারা একাধিক শো-এর পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন, কিন্তু এই রোবট ক্লান্ত হবে না এবং দীর্ঘমেয়াদি সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে।

রোবটটির উন্নয়ন কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ওই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠান আর্টস ও রোবোটিক্স প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ কৌশলগত সহযোগিতায় একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করে।

/আশিক


ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সংকটে নাসার জলবায়ু পর্যবেক্ষণ মিশন

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১১:৫৮:৩৪
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সংকটে নাসার জলবায়ু পর্যবেক্ষণ মিশন
ছবিঃ সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কা লাগতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ নাসা মিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধের প্রস্তাব করেছে। এই দুই মিশন—অরবিটিং কার্বন অবজারভেটরি (OCO-2) স্যাটেলাইট এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্থাপিত একটি উন্নত যন্ত্র—পৃথিবীর কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ ও শোষণের নিখুঁত মানচিত্র তৈরি এবং উদ্ভিদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কৃষি ও পরিবেশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

নাসা এক বিবৃতিতে জানায়, এই মিশন দুটি তাদের “প্রাথমিক সময়সীমা পার করেছে” এবং সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত “রাষ্ট্রপতির বাজেট ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ”। তবে এই মিশনগুলো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং নিখুঁত পর্যবেক্ষণক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি বহন করছে, যা বিকল্পহীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে বিবেচিত—এমনটাই জানিয়েছেন এই মিশনের প্রধান রূপকার, নাসার প্রাক্তন বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্প।

এই মিশনগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা যেমন আবিষ্কার করেছেন যে অ্যামাজন বন এখন নিঃসরণকারী বনভূমিতে পরিণত হয়েছে, তেমনি তারা দেখতে পেয়েছেন যে কানাডা ও রাশিয়ার বরফময় অঞ্চলগুলো এবং পারমাফ্রোস্ট গলে যাওয়া এলাকা বেশি কার্বন শোষণ করছে। শুধু তাই নয়, এই প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ভিদের আলোকসংশ্লেষণের “জীবন্ত আলো” শনাক্ত করা যায়, যা খরা, খাদ্য সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বা সামাজিক অস্থিরতা আগাম অনুমান করতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ‘দূরদর্শিতাবিহীন’। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের জলবায়ু বিজ্ঞানী জোনাথন ওভারপেক বলেন, "এই স্যাটেলাইটগুলোর পর্যবেক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলের জন্য।"

কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে আশার আলো

বর্তমানে এই মিশনগুলো সেপ্টেম্বর ৩০ পর্যন্ত তহবিল পাবে। প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর বাজেট বিল এই মিশন বাতিলের পক্ষে হলেও, সিনেট ভার্সন এখনো মিশনগুলো টিকিয়ে রাখার পক্ষে। কংগ্রেস বর্তমানে বিরতিতে থাকায় নতুন বাজেটের অনুমোদন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদি বাজেট অনুমোদিত না হয়, তবে কংগ্রেস একটি অস্থায়ী ফান্ড রেজোলিউশনের মাধ্যমে বিদ্যমান অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে পারে। তবে কিছু আইনপ্রণেতা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো সেই তহবিলও আটকে রাখতে পারে।

ডেমোক্র্যাট নেতারা সম্প্রতি এনাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফিকে সতর্ক করে বলেছেন, কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ আটকে রাখা বা মিশন বন্ধ করা বেআইনি হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত জলবায়ু বিজ্ঞানকে দমিয়ে দেওয়ার একটি বড় পদক্ষেপ। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী মাইকেল মান বলেন, “এই নীতির মূল কথা যেন এমন—যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের পরিমাপ বন্ধ করি, তবে সেটা আমেরিকানদের চিন্তা থেকে মুছে যাবে।”

বিকল্প পরিকল্পনা: আন্তর্জাতিক সহায়তার খোঁজে

ডেভিড ক্রিস্প ও তাঁর সহকর্মীরা এখন আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই যন্ত্র ও স্যাটেলাইট চালু রাখার সম্ভাবনা খুঁজছেন। নাসা ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বাইরের সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের যন্ত্রটি বিদেশি অংশীদারদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ থাকলেও, OCO-2 উপগ্রহটিকে হয়ত ভূপতিত করে ধ্বংস করা হবে। ক্রিস্প বলেন, “আমরা ধনকুবেরদের, ফাউন্ডেশনগুলোর কাছে যাচ্ছি। কিন্তু এটি এমন এক প্রযুক্তি যা বেসরকারি ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া বাস্তবসম্মত বা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”

এই সিদ্ধান্ত জলবায়ু গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক অন্ধকার অধ্যায় রচনা করতে পারে—এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

-আকরাম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক


অ্যাপল ও গুগলের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১১:৩১:১৪
অ্যাপল ও গুগলের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ
ছবিঃ সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশন সম্প্রতি এক বিস্ফোরক প্রতিবেদনে অ্যাপল, গুগলসহ একাধিক প্রযুক্তি জায়ান্টকে শিশু যৌন নির্যাতনবিষয়ক কনটেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগ উপেক্ষার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কমিশনের ভাষায়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ অপরাধের বিষয়ে যেন "চোখ বুঁজে" রয়েছে।

কমিশনের প্রধান জুলি ইনম্যান গ্রান্ট বলেন, “এই সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে তারা শিশুদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। বরং তাদের সেবায় সংঘটিত অপরাধগুলোকে তারা যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপল এবং গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব, শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে কতগুলো রিপোর্ট পেয়েছে, কিংবা সেই রিপোর্টে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—তা স্পষ্টভাবে জানায়নি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, প্রতিষ্ঠানগুলো এই অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত টুল ব্যবহারে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

ইনম্যান গ্রান্ট বলেন, তিন বছর আগে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনুরোধ করার পরও প্রতিষ্ঠানগুলো “তেমন কোনো অগ্রগতি” দেখায়নি। তার ভাষায়, “ভোক্তাবান্ধব অন্য কোনো খাতে যদি এমন জঘন্য অপরাধ সংঘটনের সুযোগ রাখা হতো, তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হতো।”

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট এবং স্কাইপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুনির্যাতনের কনটেন্ট শনাক্ত করতে সক্রিয়ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বা অন্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে না।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশু যৌন নির্যাতনবিষয়ক কনটেন্ট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্মিত ছবি চিহ্নিত ও দমন বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হয়।

এই প্রেক্ষাপটে ইনম্যান গ্রান্ট আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি জায়ান্টদের কাছ থেকে “গঠনমূলক অগ্রগতি” দেখা যাবে।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়া সরকার গত বছর ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হবে। ইউটিউব শুরুতে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকলেও, সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে যে জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্মটিকেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

আইন অমান্যকারী সংস্থাগুলোর জন্য রাখা হয়েছে ৪৯.৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানার বিধান। তবে এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, কীভাবে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

-আকরাম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক


বিশ্বজুড়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১৭:৩৯:০৪
বিশ্বজুড়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়
ছবি: সংগৃহীত

গুগল এখন শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়—এটি বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন কৌতূহল, প্রয়োজন ও চিন্তার আয়নাও বটে। দিনে লাখ লাখবার মানুষ নানা প্রশ্নে গুগলের শরণাপন্ন হয়। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, গুগলে কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এবং এসব অনুসন্ধান মানুষের তথ্য চাহিদা ও আগ্রহের দিকটি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে।

গত ছয় মাসের গুগল অনুসন্ধান পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বের মানুষ সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি গুগলে খুঁজেছে তা হলো—“আমার আইপি কী?”এই একটি প্রশ্ন গড়ে প্রতি মাসে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার বার সার্চ করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনেক সময় নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেদের আইপি অ্যাড্রেস জানতে চান। ফলে প্রশ্নটি বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে—“কয়টা বাজে?”প্রতি মাসে এটি গড়ে ১৮ লাখ ৩০ হাজার বার সার্চ করা হয়েছে। স্মার্টফোন বা ঘড়ি ব্যবহার করেও সময় জানা গেলেও মানুষ এই প্রশ্ন গুগলে করে থাকে, বিশেষ করে ভয়েস সার্চের মাধ্যমে।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে—“ভোটার হিসেবে নাম নিবন্ধন কীভাবে করব?”এটি সার্চ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ ২০ হাজার বার। এতে বোঝা যায়, নির্বাচন ও নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আগ্রহ বিশ্বজুড়েই রয়েছে।

গুগলে আরও জনপ্রিয় কিছু প্রশ্নের তালিকা হলো:

“কীভাবে টাই বাঁধব?” – ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার বার

“তুমি কী এটা চালাতে পারবে?” – ৫ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“এটা কোন গান?” – ৫ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“কীভাবে ওজন কমাব?” – ৫ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“একটি কাপে কত আউন্স থাকে?” – ৪ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“মা দিবস কখন?” – বছরে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার বার

এসব প্রশ্নের মধ্যে কিছু দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, আবার কিছু প্রশ্ন নিছক কৌতূহলের ফল। কেউ রান্না করতে গিয়ে মাপ জানতে চাচ্ছেন, কেউ বা উৎসব নিয়ে জানছেন, আবার কেউ নিজের ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, মানুষ ততই গুগলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দ্রুত পেতে গুগলই যেন হয়ে উঠেছে প্রথম ভরসা। সার্চ ট্রেন্ডগুলোর মধ্য দিয়ে মানুষের তথ্য খোঁজার অভ্যাস, প্রাত্যহিক চাহিদা ও আগ্রহের প্রবণতা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

/আশিক


হোয়াটসঅ্যাপে এলো ‘Quick Recap’ ম্যাজিক, জানুন এটার কি কাজ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১১:৫৬:০৭
হোয়াটসঅ্যাপে এলো ‘Quick Recap’ ম্যাজিক, জানুন এটার কি কাজ
ছবিঃ সংগৃহীত

হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্ল্যাটফর্মকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারবান্ধব করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার চালু করে। এবার তারা আনছে এক অভিনব ও সময়-সাশ্রয়ী ফিচার— ‘Quick Recap’। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই ফিচারটি বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ব্যস্ততার কারণে হোয়াটসঅ্যাপে জমে থাকা বার্তা পড়তে পারেন না কিংবা দীর্ঘ চ্যাট বারবার স্ক্রোল করে সময় নষ্ট করতে চান না।

‘Quick Recap’ ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই আনরিড মেসেজগুলোর সারাংশ পেয়ে যাবেন এক ক্লিকেই। অর্থাৎ, চ্যাট যত দীর্ঘই হোক না কেন, ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ স্ক্রোল করে সব মেসেজ পড়তে হবে না। বরং, মেটার এআই প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডেই পুরো চ্যাটের মূল বক্তব্য তুলে ধরা হবে সংক্ষিপ্ত আকারে।

এই ফিচারটি ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচটি পর্যন্ত চ্যাট নির্বাচন করা যাবে। এরপর চ্যাট স্ক্রিনের ওপরের ডান পাশে থাকা থ্রি-ডট মেন্যুতে ক্লিক করে ‘Quick Recap’ অপশনটি বেছে নিতে হবে। তারপরই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে ঐ চ্যাটের আনরিড বার্তাগুলোর একটি সারাংশ দেখাবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ফিচারটি প্রাইভেট চ্যাট ও গ্রুপ চ্যাট উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকরভাবে কাজ করবে।

এই প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘Quick Recap’ ফিচারটি Meta Private Processing নামক একটি বিশেষ গোপনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এর ফলে ব্যবহারকারীর মেসেজের ডাটা কখনোই হোয়াটসঅ্যাপ বা মেটার কাছে রিডেবল ফরম্যাটে পৌঁছায় না। সব তথ্যই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের আওতায় থাকে, ফলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

তবে এই ফিচারের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেসব ব্যবহারকারী অ্যাডভান্স চ্যাট প্রাইভেসি ফিচার চালু রেখেছেন, তাদের চ্যাট এই ‘Quick Recap’ ফিচারের আওতায় পড়বে না। কারণ, অ্যাডভান্স চ্যাট প্রাইভেসি প্রযুক্তি বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আরও উন্নত গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।

বর্তমানে ‘Quick Recap’ ফিচারটি শুধুমাত্র WhatsApp Beta Android ভার্সন 2.25.21.12-এ উপলব্ধ। বেটা ব্যবহারকারীদের জন্য এটি শিগগিরই চালু হবে এবং পরে ধাপে ধাপে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।


সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৩ ১৭:২৩:৩৯
সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান
সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরাপেক্সেলস

উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের এই গভীর অঞ্চলে তারা এমন এক বাস্তুতন্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে কেমোসিন্থেসিস নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাণীরা শক্তি সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। গবেষকদের দাবি, এটিই এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে গভীর কেমোসিন্থেটিক জীবনের আবাসস্থল।

এই অঞ্চল সূর্যালোক থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের কাছাকাছি এবং পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় প্রায় এক হাজার গুণ বেশি। এত প্রতিকূল পরিবেশেও জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া, গবেষকদের কাছে অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধানের মতোই রোমাঞ্চকর বিষয় বলে বিবেচিত হচ্ছে।

চীনের তৈরি ফেন্ডৌজে সাবমার্সিবল নামের ডুবোজাহাজ ব্যবহার করে এই অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে দেখা গেছে, সেখানে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী ও জীবাণু সূর্যের আলো ছাড়াই মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে।

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব জীবের আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের টিকে থাকার জৈবিক সীমা এবং অভিযোজন ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। সমুদ্রের এত গভীরে টিকে থাকা প্রাণীজগত ভবিষ্যতে চরম পরিবেশে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে আরও গবেষণার পথ খুলে দেবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


 ৩০ বছর পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্ম, ওহাইওতে বিজ্ঞানজগতের বিস্ময়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০২ ১০:০৩:৩৮
 ৩০ বছর পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্ম, ওহাইওতে বিজ্ঞানজগতের বিস্ময়
ছবি: সংগৃহীত

৩০ বছর আগে হিমঘরে সংরক্ষিত একটি ভ্রূণ থেকে জন্ম নিয়ে এক বিরল ঘটনার নজির স্থাপন করল যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের নবজাতক থাডেয়াস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই জন্ম নেওয়া এই শিশুটি বর্তমানে ‘বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্মানো নবজাতক’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লিন্ডা আচার্ড ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন। এই চারটির একটি থেকে তার কন্যার জন্ম হয়, বাকি তিনটি রাখা হয় হিমায়িত অবস্থায়—যা বিগত তিন দশক ধরে প্রতি বছর ১ হাজার ডলার খরচ করে সংরক্ষিত ছিল।

লিন্ডা শুরু থেকেই চাননি তার ভ্রূণগুলো কোনো গবেষণাগারে ব্যবহৃত হোক কিংবা অপরিচিত পরিবারের হাতে চলে যাক। তিনি এগুলিকে তার মেয়ের জিনগত ভাইবোন হিসেবেই দেখতেন। অবশেষে Snowflakes Embryo Adoption Program-এর মাধ্যমে তিনি একজন উপযুক্ত দম্পতির কাছে এই ভ্রূণগুলো দান করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সন্তান জন্মদানের জন্য চেষ্টা করে আসছিলেন।

এই দম্পতি ওহাইওর বাসিন্দা টিম ও লিন্ডসি পিয়ার্স, যারা সাত বছর ধরে নিঃসন্তান ছিলেন। তারা যখন Snowflakes প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন, তখনই তারা এই সুযোগটি গ্রহণ করেন। তারা ভ্রূণের বয়স, জাতি বা উৎস সম্পর্কে কোনো পূর্বশর্ত দেননি। পরবর্তীতে লিন্ডার ভ্রূণ তাদের সঙ্গে মেলানো হয়।

Rejoice Fertility-এর নেতৃত্বে, এমব্রায়োলজিস্ট সারাহ অ্যাটকিনসন এই ভ্রূণগুলোকে ডিফ্রস্ট করেন। আশ্চর্যজনকভাবে তিনটির তিনটিই সফলভাবে সংরক্ষণ থেকে মুক্ত হয়। এর মধ্যে দুটি ভ্রূণ লিন্ডসির গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং সেখান থেকেই থাডেয়াসের জন্ম।

লিন্ডা যখন থাডেয়াসের ছবি দেখেন, তখন তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন—শিশুটিকে দেখতে তার নিজের মেয়ের শৈশবের মতোই লাগছে। যদিও তারা এখনও একে অপরের মুখোমুখি হননি, তবে লিন্ডার ভাষায়, “ওকে একবার জড়িয়ে ধরা আমার আজীবনের স্বপ্ন।”

এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে ভারতের ৭৪ বছর বয়সী এররামাতি মঙ্গায়াম্মা IVF পদ্ধতিতে যমজ কন্যার জন্ম দিয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেন। একই বছর গ্রীসে আরেক শিশুর জন্ম হয় তিনজন ব্যক্তির ডিএনএ ব্যবহার করে, যা বিজ্ঞানজগতে আলোচনার জন্ম দেয়।

থাডেয়াসের জন্ম শুধু একটি শিশুর আগমনের গল্প নয়; এটি বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী সাফল্যের প্রতিফলন—যা ভবিষ্যতের প্রজনন চিকিৎসাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: