পাঁচ দেশে নতুন মিশন, কূটনীতি ও বাণিজ্যে বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ১৮:৫৪:১৮
পাঁচ দেশে নতুন মিশন, কূটনীতি ও বাণিজ্যে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে পাঁচটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে নতুন নতুন মিশন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।

আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, বর্তমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাস্তবতা, এবং এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করাই এর প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি, প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে জাতির সম্মিলিত অগ্রগতি নিশ্চিত করাই সরকারের এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য।

নতুন মিশন স্থাপনের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি শহর হলো: আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, নরওয়ের অসলো, আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস, জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট এবং ব্রাজিলের সাওপাওলো। এসব স্থানে বাংলাদেশের নতুন কূটনৈতিক মিশন স্থাপন হলে শুধু কূটনৈতিক কার্যক্রমই নয়, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক কাজকর্মও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশে পণ্যের চাহিদা ও রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকায় এসব মিশন বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, এই অঞ্চলগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রয়োজন ও অধিকার রক্ষা করাও মিশনগুলোর অন্যতম উদ্দেশ্য।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানা যায়, এ উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে বহুমাত্রিক ও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গ্লোবাল মঞ্চে আরও প্রভাবশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। ক্রমবর্ধমান বিশ্ব রাজনীতির জটিলতায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি।

নতুন মিশনগুলো কেবল কূটনৈতিক দূতাবাস বা কনস্যুলেট হিসেবে কাজ করবে না, তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণ, তথ্য সঞ্চালন, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত সহযোগিতার ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। ফলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

এই পদক্ষেপ দেশের দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত করার পাশাপাশি প্রবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা উন্নতিতে সহায়ক হবে। সরকারের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বিশ্ব রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের লক্ষ্যমাত্রাকে আরও এগিয়ে নেবে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ