বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবার সাকিব-তামিম যুগলবন্দীর ইঙ্গিত!

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১৩:১২:৩৬
বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবার সাকিব-তামিম যুগলবন্দীর ইঙ্গিত!

দীর্ঘ সময়ের বন্ধুত্ব, পরে শীতলতা আর পারস্পরিক দূরত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই মহাতারকা তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের সম্পর্ক যেন নাটকের মতো। সেই সম্পর্ক এখন দ্বন্দ্বপূর্ণ হলেও, তামিমের কণ্ঠে ফের শোনা গেল সতীর্থের প্রতি অকপট প্রশংসা।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেন, “সত্যটা বলতেই হবে। আর আমি এটা প্রথমবার বলছি না বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে যদি একজন ক্রীড়াবিদের নাম নিতে হয়, সেটা হবে সাকিব আল হাসান।” তিনি আরও বলেন, “ক্রিকেটে সে যা অর্জন করেছে, তা অভাবনীয়। আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যা-ই হোক, সত্য তো সত্যই থাকবে। সাকিবই বাংলাদেশের সেরা।”

এই বক্তব্য আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন স্মরণ করা যায়, কিশোর বয়স থেকেই একই ড্রেসিংরুমে বেড়ে ওঠা এই দুই ক্রিকেটারের বন্ধুত্ব এক সময় ছিল সবার কাছে উদাহরণস্বরূপ। সিরিজ চলাকালে একসঙ্গে খাওয়া, মাঠে জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করা এসব ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। অথচ সময়ের পরিক্রমায় সেই বন্ধনে জমেছে শীতলতা, তৈরি হয়েছে ব্যবধান।

তামিম অবশ্য বলেন, সম্পর্কের জটিলতা তার এই মতামতে কখনোই প্রভাব ফেলেনি। বরং বরাবরই তিনি সাকিবের অর্জনকে সম্মান জানিয়েছেন। তার ভাষায়, “অনেকে বলে আমরা দুজন তারকা, তাই দ্বন্দ্ব হয়েছে। আমি তা মনে করি না। আমি তো নিজেকে সেরা বলিনি, বরং সবসময় বলেছি সাকিবই বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়াবিদ।”

তামিমের বিশ্বাস, ব্যক্তিগত সম্পর্কের শীতলতা গলিয়ে ভবিষ্যতে নতুন ভূমিকায় আবারও দুজন মিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারেন। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না যে কোনো সম্পর্ক চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। হয়তো আমি কিছু ভুল করেছি, সেও করেছে। যেদিন আমরা খোলামনে একসঙ্গে বসতে পারব, সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। একসঙ্গে মিলে আমরা আবারও দেশের ক্রিকেটকে উঁচুতে নিতে পারব।”

তামিম শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেছিলেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর বিপিএলে স্পষ্ট করে জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তার কাছে এখন অতীত। অন্যদিকে, সাকিবের ক্যারিয়ারও সায়াহ্নে তবে একটি ভিন্ন মাত্রায়। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আর দেশে ফেরেননি। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এর মাঝেই একদিকে মাঠে অনুপস্থিত তামিম, অন্যদিকে অঘোষিত নির্বাসনে থাকা সাকিব তাদের মধ্যে কোনো এক সময়ের অটুট সম্পর্ক যেন আবার নতুন প্রত্যাশার বার্তা দিচ্ছে। ব্যক্তিগত মতবিরোধ ভুলে যদি এই দুই কিংবদন্তি এক হয়, তাহলে হয়তো আবারও বাংলাদেশের ক্রিকেট জাগরণে সূর্যোদয়ের ইঙ্গিত মিলতে পারে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত