‘গণতন্ত্রের পদযাত্রা আজ পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত’: খালেদা জিয়া

দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভিডিওবার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন,
“যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছেন, সেই গণতন্ত্র আজ পদে পদে বাধার মুখে পড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “খুব শিগগিরই আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী হব।”
বিএনপির চেয়ারপারসন শহীদ জিয়ার স্মরণে বলেন, “তাঁর রেখে যাওয়া গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নমুখী রাজনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে।” এই সময় তিনি নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান এবং শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তৃতা দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছবি এবং ছাত্রলীগ সদস্যপদ থাকা ফয়সালই কি সেই হামলাকারী?
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করেছে যার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। এই ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনুসন্ধানে জানা গেছে শনাক্ত হওয়া ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য পদ পেয়েছিলেন। তার পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান। ছাত্রলীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং ছাত্রলীগের সাবেক ওই সদস্য একই ব্যক্তি।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে মাঠে সক্রিয় ছিলেন ফয়সাল। এছাড়া হাদির ওপর হামলার পর ফয়সালের সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পেশাগত জীবনে ফয়সাল নিজেকে আইটি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তার লিংকডইন প্রোফাইল অনুযায়ী তিনি অ্যাপল সফট আইটি ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক এবং পরে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ বা ডিএমপি গণমাধ্যমে ফয়সালের ছবি পাঠিয়ে তাকে শনাক্ত করার কথা জানায়। ডিএমপি জানায় হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারসহ বিভিন্ন জায়গায় ফয়সালের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ছবি পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজের আততায়ীর সঙ্গে ওই ছবির চেহারার সাদৃশ্য থাকায় তাকেই মূল হামলাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে শনিবার মেডিকেল বোর্ড একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হাদিকে বর্তমানে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড ১১টি পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এআই দিয়ে তৈরি ছবি দেখে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন রিজভী: ডিএমপি কমিশনার
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী রিজভীর বক্তব্যকে বোগাস বা ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
শনিবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে নয়াপল্টনে এক সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন হত্যাকারী শনাক্ত হয়েছে এবং সে শিবিরের সদস্য। রিজভীর এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার সরাসরি বলেন আমি শুনেছি এবং এটি বোগাস কথাবার্তা। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং আমি এমন কোনো বক্তব্য দিইনি। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি রিজনডার বা প্রতিবাদলিপি জারি করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে এবং সেটি দেখেই রিজভী ডিএমপি কমিশনারের বরাতে বোগাস তথ্য ছড়িয়েছেন।
এর আগে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী একটি ছাত্র সংগঠনের নেতার ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার এক ঘণ্টা পর ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে গ্যাংস্টার বলে আক্রমণ করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনি প্রবাদের মতো এক ঘণ্টা পরেও তাদের ওপর কেন হামলা হলো না।
রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই এলাকায় বারবার আসেন মেয়র এবং তার সামাজিক ও জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করেই কেবল একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা সিনিয়র নেতাকে অপমান করেছেন। তিনি বলেন আপনার চেয়ে ৩৬ বছর আগে আমরা ছাত্রনেতা ছিলাম এবং একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হলেও কখনো অন্য দলের সিনিয়র নেতাকে এভাবে অপমান করিনি।
হামলাকারীর পরিচয় নিয়ে রিজভী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন হাদির ওপর হামলাকারী আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়া তাকে সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খেতে দেখা গেছে বলেও দাবি করেন বিএনপি নেতা। তিনি মন্তব্য করেন যারা একাত্তরে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিবেকবোধের কোনো অস্তিত্ব নেই।
ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনে শুরু হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ
জাতীয় নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমন করতে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ ২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন লুটপাট এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও ত্বরান্বিত করতে এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমন করার লক্ষ্যে কোর কমিটি অবিলম্বে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ ২ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সার্বিকভাবে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এ হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
অস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তির নিয়মে পরিবর্তনের কথা জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করার ক্ষেত্রে এতদিন কেবল সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা সুবিধা পেতেন। তবে এখন থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদেরও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলু পেঁয়াজের গল্প শুনতে চাই না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন মঞ্চ ২৪ এর আহ্বায়ক ফাহিম ফারুকী। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই দাবি জানান এবং কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ফাহিম ফারুকী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের পুলিশ প্রশাসন অকার্যকর। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার যে নিষ্ক্রিয়তা এর জন্য আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং দ্রুততম সময়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে যদি হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হয় তবে আমরা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করব। উপদেষ্টাকে পদ থেকে নামিয়ে আমরা ঘরে ফিরব। আমরা আলু পেঁয়াজের গল্প শুনতে চাই না বরং আমরা বিচার চাই।
নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে ফাহিম ফারুকী বলেন নির্বাচনকে বানচাল করার জন্যই ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ বার্তা দিয়েছে যে এদেশে নির্বাচন হলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সুতরাং নির্বাচন যেন কোনোভাবেই না হয় সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান হাদি এখন নিঃশ্বাস নিচ্ছেন এবং তাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালেই উপস্থিত আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা হয়েছে বলে জানান ফাহিম।
উল্লেখ্য গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাংকি এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই তরুণ নেতা।
হামলার আগে হাদির পাশে বসেছিলেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে একটি অনুসন্ধানী গণমাধ্যম। ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট দাবি করেছে, হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসা এক ব্যক্তি ঘটনার কয়েক দিন আগেই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন এবং হাদির একেবারে কাছেই বসে একটি আলোচনায় অংশ নেন।
দ্য ডিসেন্টের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ধারণ করা সিসিটিভি ফুটেজ, ১২ ডিসেম্বরের হামলার সময় পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিও, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা বিপুল পরিমাণ আলোকচিত্র তুলনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করে এই মিল পাওয়া গেছে। তিনটি ভিন্ন ঘটনার ছবিতে দেখা ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ, যিনি দাউদ খান নামেও পরিচিত, তার শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে বলে দাবি করা হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দ্য ডিসেন্ট প্রায় ৫০টির বেশি ছবি বিশ্লেষণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কালচারাল সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ, হামলার দিনের ভিডিও এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া ছবি। পাশাপাশি আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন পেজ ও ব্যক্তিগত প্রোফাইলেও একই ধরনের ছবি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।
বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, সন্দেহভাজন হামলাকারীর বাম হাতে থাকা একটি বিশেষ ডিজাইনের ঘড়ির সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একাধিক ছবিতে দেখা ঘড়ির মিল রয়েছে। দুটি ফেস ডিটেকশন অ্যাপ ব্যবহার করে করা যাচাইয়েও ওই ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা ব্যক্তির সাদৃশ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।
ফয়সাল করিম মাসুদ সম্পর্কে পুরোনো সংবাদসূত্র উদ্ধৃত করে দ্য ডিসেন্ট জানায়, তিনি একসময় রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি হিসেবে র্যাব গ্রেপ্তার করেছিল বলে বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে পরবর্তীতে তিনি কীভাবে মুক্তি পান, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেন, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ফয়সাল করিম মাসুদকে সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি (ঢাকা মহানগর উত্তর) ও আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেন। সায়ের ৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে তোলা একটি ছবিও শেয়ার করেন, যেখানে লাল বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করে একজন ব্যক্তিকে হাদির পাশে বসে থাকতে দেখা যায়।
এই হামলার ঘটনা ঘটে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকার বিজয়নগর কালভার্ট সড়কে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হামলার পরপরই বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ঢাকা মহানগর পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাবের সমন্বয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় নিয়ে কাজ চলছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
-রাফসান
কারা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না, স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনের জারি করা সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক হিসেবে ঘোষিত কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে বহাল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এসব জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করলে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে কর্মরত ব্যক্তিরাও পদত্যাগ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। কেউ যদি একসঙ্গে তিনটির বেশি আসনে প্রার্থী হন, তাহলে তার দাখিল করা সব মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। মনোনয়নপত্র জমাদানের ক্ষেত্রেও কঠোর বিধান আরোপ করা হয়েছে। প্রার্থী নিজে অথবা তার প্রস্তাবক কিংবা সমর্থককে সশরীরে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে।
পরিপত্রে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৬(১) ও ৬৬(২) অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন এবং তার বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর পূর্ণ হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত ব্যক্তি এই যোগ্যতার আওতায় পড়বেন না।
এছাড়া যেসব ব্যক্তি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত ব্যক্তি, দেউলিয়া ঘোষিত হয়ে দায়মুক্ত না পাওয়া ব্যক্তি, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ বা আনুগত্য স্বীকারকারী ব্যক্তি এবং নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি, যদি তার মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত না হয়।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর পূর্ণ না হলে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারিত বা বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও পাঁচ বছর না পার হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। পাশাপাশি ঋণখেলাপি এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সরকারি সেবার বিল বকেয়া থাকা ব্যক্তিরাও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন না।
-রফিক
পরাজয় নিশ্চিত জেনে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানি বাহিনী
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা। চারদিকে বাঙালির বিজয় নিশান উড়ছে। পাকিস্তানকে রক্ষায় মরিয়া মার্কিন ও চীনের কূটনৈতিক চেষ্টাও ব্যর্থ করে দিয়েছে বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন। একাত্তরের রক্তঝরা এ দিনে পাকিস্তানের চলমান যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রাশিয়া তৃতীয় বারের মতো ভেটো দেয়। রাশিয়ার এই ভেটোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ হয়ে না গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন আরও দেরি হতো বলে মনে করেন ইতিহাসবিদরা।
এদিকে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় যতই স্পষ্ট এবং ঘনিয়ে আসতে লাগল বুদ্ধিজীবী অপহরণের পরিমাণ ততই বাড়তে লাগল। একাত্তরের এই দিনে বিবিসির সংবাদদাতা নিজামউদ্দিন আহমদ এবং দৈনিক পূর্বদেশের শিফট ইনচার্জ এ এন গোলাম মোস্তফাকে তাদের বাসভবন থেকে আলশামস ও আলবদর বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাঁরা আর কখনোই ফিরে আসেননি। বাংলাদেশ নামের দেশের অভ্যুদয় ঠেকাতে না পেরে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব ও মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা ঘৃণ্য ও বর্বর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মেতে ওঠে।
যুদ্ধের মাঠেও চিত্র দ্রুত বদলাতে থাকে। দেশের বেশির ভাগ এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এগোতে থাকে শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধজয়ের নিশ্চিত সম্ভাবনা দেখে মিত্রবাহিনী যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করে জানমালের ক্ষতি কমিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। বালিগঞ্জে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্টুডিওতে বসে বার্তা বিভাগীয় প্রধান কামাল লোহানী আলী যাকের ও আলমগীর কবির ঘনঘন সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করে চলেছেন। আজ থেকে রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তর দিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এদিন সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হালকা প্রতিরোধ ব্যর্থ করে কালিয়াকৈর পর্যন্ত এসে পৌঁছান। একই দিনে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর প্রথম ইউনিট হিসেবে ২০ ইবি ঢাকার শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে মুড়াপাড়ায় পৌঁছায়। তবে পূর্বদিকে ডেমরা ফেরির দিকে অগ্রসরমাণ ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সমুদ্রপথে শত্রুদের পালানোর সুযোগ কমে যাওয়ায় ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদারদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও দ্রুত বাড়ে।
ঢাকার আকাশ ভারতীয় বিমান বাহিনীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা পাকিস্তানি সামরিক অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালাতে থাকে। পাকিস্তানি সেনানায়কদের মনোবল উঁচু রাখার সামান্যতম অবলম্বন কোথাও ছিল না। তাদের একমাত্র ভরসা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। কিন্তু এ কাজেও ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বৃহৎ নৌযান ২৪ ঘণ্টা নিশ্চল রাখার পর এদিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোতে শুরু করে। ইসলামাবাদ থেকে সামরিক কর্তারা ঢাকায় অবস্থানরত ঘাতকদের আশ্বস্ত করে বলছিল আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর পশ্চিম খণ্ডে ভারতীয় বাহিনীকে এমন মার দেওয়া হবে যে তারা নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর জন্য সেদিন আর আসেনি।
যুদ্ধজয়ের নিশ্চয়তা জেনেই বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের যেসব কর্মী ও বিদেশি নাগরিক নিরাপদে সরে আসতে চান বাংলাদেশ সরকার তাদের সম্ভাব্য সব রকমের সুযোগ সুবিধা দেবে। প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠকে মুক্তাঞ্চলে বেসামরিক প্রশাসন শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং আজ সাতক্ষীরার বেসামরিক প্রশাসন কাজ শুরু করে। শান্তি কমিটি ডা. মালিক মন্ত্রিসভা ও স্বাধীনতাবিরোধী দালালদের বেশির ভাগই অবস্থা বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিলেও ঘাতক আলবদর চক্র তখনো সক্রিয় ছিল হত্যাযজ্ঞে।
তিন আসনে লড়ার স্বপ্ন যাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হতে পারে: জানাল ইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির অধিক নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হতে পারবেন না। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত জারি করা এক পরিপত্রে এই কঠোর নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১৩ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির বেশি নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হলে তাঁর সবগুলো মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে রাষ্ট্রীয় লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্র বা সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক পদে থাকলে তা লাভজনক পদ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ধরনের ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে অযোগ্য হবেন। এছাড়া উপজেলা পরিষদ জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন সরকারি বা আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রার্থী হতে হলে নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করতে হবে।
প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও পরিপত্রে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৪৪খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নির্বাচনি এজেন্টকে বা এজেন্ট না থাকলে প্রার্থীকে নিজে তফসিলি ব্যাংকে একটি পৃথক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত সব ব্যয় এই অ্যাকাউন্ট থেকেই পরিশোধ করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার সময় ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী এবং প্রার্থীর সম্পদ ও দায় দেনার বিবরণী দাখিল করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের নিয়মে বলা হয়েছে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রার্থী প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী কর্তৃক সরাসরি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর নির্বাচনি এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার এবং অন্যান্য এলাকায় জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারি ছুটিসহ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরিপত্রে বলা হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে প্রণীত ছবিসহ ভোটার তালিকাই ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রার্থী বা পোলিং এজেন্টরা ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহ করে মুদ্রণপূর্বক ব্যবহার করবেন।
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে পূর্বে প্রকাশিত সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে বাগেরহাট জেলায় একটি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং গাজীপুর জেলা থেকে একটি আসন কমানো হয়েছে। সংশোধনের পর মোট ৩০০ আসনের সীমানার হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হলো।
তিনটির বেশি আসনে প্রার্থী হলে বাতিল হবে সব মনোনয়ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ ও শর্ত স্পষ্ট করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি একসঙ্গে তিনটির বেশি সংসদীয় আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না। নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব মনোনয়নপত্র একযোগে বাতিল হয়ে যাবে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব বিধান আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। এতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে লাভজনক বা নির্বাহী পদে থাকা যাবে না।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়ররা দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দাখিলের আগে এসব পদ থেকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন কিংবা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও নির্বাচনে অংশ নিতে হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পদত্যাগ করতে হবে। একই নিয়ম বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
একাধিক আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে ইসি স্পষ্ট করে জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি একসঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হতে পারবেন। কেউ যদি একই সময়ে তিনটির বেশি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তাহলে সব আসনের জন্য জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্বাচনী ব্যয় পরিচালনার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪(খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য তফসিলি ব্যাংকে একটি পৃথক ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। প্রার্থী নিজে অথবা তার নির্বাচনি এজেন্ট এই হিসাব পরিচালনা করবেন।
নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রমসংক্রান্ত সব ব্যয়, ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত, ওই নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব থেকেই পরিশোধ করতে হবে। ব্যাংকের বাইরে নগদ বা বিকল্প কোনো উপায়ে ব্যয় করলে তা আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের নির্দিষ্ট ফরমে বিভিন্ন তথ্য জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী (ফরম-২০) এবং প্রার্থীর সম্পদ, দায়-দেনা ও বাৎসরিক ব্যয়ের বিবরণী (ফরম-২১)।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা, সমতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে সতর্ক করা হয়েছে।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাদির গড়া প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ
- ভারত ও পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস
- ভারত ও পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস
- হঠাৎ মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত হলে কী করবেন এবং কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে
- পুলিশি লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মেসির কলকাতা সফর
- ষড়যন্ত্র চলছে,নির্বাচন অত সহজে হবে না বলে সতর্ক করলেন তারেক রহমান
- খুলনায় জোড়াগেটে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছবি এবং ছাত্রলীগ সদস্যপদ থাকা ফয়সালই কি সেই হামলাকারী?
- এআই দিয়ে তৈরি ছবি দেখে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন রিজভী: ডিএমপি কমিশনার
- আইনি লড়াই শেষে এবার ভোটের মাঠে নামছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
- ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনে শুরু হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ
- মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশের সময় জানাল অধিদপ্তর
- বুলেটের আঘাতে নিথর দেহ থেকে নোবেল জয় পর্যন্ত মালালার অদম্য যাত্রা
- আলু পেঁয়াজের গল্প শুনতে চাই না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের ভয়াবহ বিস্তারে চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
- জাহানারার অভিযোগের শক্ত প্রমাণ মিলছে না: তদন্ত কমিটি
- ওসমান হাদির বাড়িতেে দুর্ধর্ষ চুরি
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- বিপিএল মাতাতে আসছেন আইপিএল ও বিগ ব্যাশ খেলা কিউই অলরাউন্ডার
- শনিবার থেকে কার্যকর স্বর্ণের বাড়তি দাম: জানুন বিস্তারিত তালিকা
- পদ হারানোর তিন বছর পর মনোনয়ন পেলেন মঞ্জু কিন্তু থামছে না বিরোধ
- গোপালগঞ্জে আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ
- আজকের টাকার রেট জানুন এক নজরে
- হামলার আগে হাদির পাশে বসেছিলেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি
- মাথায় আঘাত লাগলে কী করবেন, জানুন জরুরি করণীয়
- দুর্নীতির অভিযোগে চার ক্রিকেটার নিষিদ্ধ
- শীতে ঘরেই বানান নরম ও মজাদার দুধ পুলি পিঠা
- শীতে ডিহাইড্রেশন বাড়ে কেন, জানুন প্রতিরোধের উপায়
- ৪.৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা এমডির
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: টিকিট এর মূল্য ও কেনার উপায়
- অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কাঁপছে ভোটের মাঠ
- ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্যের মামলা
- কারা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না, স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন
- নির্বাচন ও প্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের কাছে মির্জা ফখরুলের জরুরি বার্তা
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি
- ঢাকায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলো আজ
- বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের সব খেলার সময়সূচি
- সকালে বের হওয়ার আগে জেনে নিন আজ রাজধানীতে কোথায় কী হচ্ছে
- ভারত থেকে আমদানির খবরেও কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ
- পরাজয় নিশ্চিত জেনে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানি বাহিনী
- তিন আসনে লড়ার স্বপ্ন যাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হতে পারে: জানাল ইসি
- ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ
- ওসমান হাদির ওপর হামলা দেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত: ডক্টর ইউনূস
- ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
- টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: টিকিট বিক্রি শুরু, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে
- এশিয়া কাপে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান যেদিন
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ২৩ ছক্কায় বিধ্বস্ত প্রতিপক্ষ, ঝড় তুললেন এডওয়ার্ডস
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান








