জাতীয় নাগরিক পার্টি
হতাশার ছায়ায় এনসিপি!

বাংলাদেশের রাজনীতির উত্তাল সময়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ ছাত্র-জনতার উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শুরুতে যেমন উদ্দীপনা ও প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছিল, এখন তেমনই সমালোচনা ও বিতর্কের ঘূর্ণিপাকে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। দল গঠনের অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই একের পর এক দুর্নীতি, অনিয়ম, নেতৃত্বের সংকট, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা—সবমিলিয়ে এনসিপি এখন এক গভীর বিশ্বাসযোগ্যতা সংকটে।
সম্ভাবনার বার্তা থেকে বাস্তবতার ধাক্কা
২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের সময় এনসিপি জনগণের সামনে একটি নতুন রাজনৈতিক বিকল্পের প্রতিশ্রুতি দেয়। রাজপথে লড়াই করে উঠে আসা তরুণদের এ রাজনৈতিক উদ্যোগ গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে স্পষ্ট অবস্থানের কথা বলেছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সেই প্রতিশ্রুতির ছায়া ম্লান হয়ে পড়েছে বিতর্কের ভারে।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদের বিরুদ্ধে একজন ‘চাঁদাবাজ’ ছাত্রনেতাকে থানায় গিয়ে ছাড়িয়ে আনার অভিযোগ, যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ এসব ঘটনায় দলটির নৈতিক ভিত্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে তানভীরের বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট হয়েছে।
নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ টানাপড়েন
দলটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বহুবার মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চগড়ে শোডাউন করে আলোচিত হন মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যিনি বিত্ত-বৈভব প্রদর্শন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রুপের পাত্র হন। অপরদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাবাহিনী নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করে সমালোচিত হন। এনসিপির এমন কয়েকজন নেতা যাদের সরকারে কোনো পদ নেই, তবুও তাদের নাম দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে—যা দলীয় শুদ্ধতার প্রশ্নে গুরুতর সংকেত।
এছাড়া রেল ভবনে তদবির, ওয়াসার নিয়োগে সুপারিশ, সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য—এসবের ফলে নেতাদের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড দলীয় ইমেজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন
নবগঠিত এ দলটি শুরুতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা ভেঙে পড়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কেন্দ্র করে, রাজনৈতিক অবস্থান ও কৌশলগত ভিন্নতা আরও গভীর করেছে দূরত্ব। এনসিপি নেতাদের প্রকাশ্য কটূক্তি, অপরপক্ষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া—সব মিলিয়ে একটি বৃহত্তর ঐক্যের সম্ভাবনাকে খর্ব করেছে।
জামায়াত-শিবিরের অভিযোগ অনুযায়ী, এনসিপি অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে তাদের সহযোগিতা নিয়েও পরবর্তীতে ‘মাইনাস’ নীতির আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিকে ‘চক্রান্তকারী’, ‘বিশ্বাসভঙ্গকারী’ ও ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে। এর ফলে রাজনীতির রাজপথে এনসিপি এখন অনেকটাই একঘরে।
মানুষের প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. স ম আলী রেজা মনে করেন, “নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এনসিপির আত্মপ্রকাশ একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু দলটি সাংগঠনিক পরিপক্বতা, অভিজ্ঞ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক শৃঙ্খলা গড়তে ব্যর্থ হয়েছে।” তার মতে, “জনগণের চাহিদা ছিল গভীর, এনসিপির প্রস্তুতি ছিল অগভীর।”
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে হলে এনসিপিকে অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযান, নেতৃত্বের পেশাদারিত্ব, রাজনৈতিক কৌশলগত দূরদর্শিতা এবং গণসংযোগ জোরদার করতে হবে। না হলে, সম্ভাবনার সেই উজ্জ্বল আলো ক্রমেই নিভে যেতে পারে।
আত্মপক্ষ সমর্থন ও ভবিষ্যৎ পথরেখা
নেতারা এখনো আত্মবিশ্বাস হারাননি। যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা জানি আমাদের ঘাটতি কোথায়। তা কাটিয়ে উঠতে কাজ করছি। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছি।”
যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ জানান, “যতটুকু সমস্যা হয়েছে, তার বেশির ভাগই বহিরাগত গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র। আমরা দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”
তবে এসব প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ যে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকায় জনগণ রাজনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল, তারাই এখন অনেকের চোখে পরিণত হয়েছেন আরেক ‘ব্যর্থ আশার প্রতিচ্ছবি’তে।
স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও সংগ্রামের মধ্যে জন্ম নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি এখন নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জে পড়ে গেছে। বিতর্ক ও বিভ্রান্তির জট ছাড়িয়ে দলটি আদৌ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। সময়ই বলবে—এটি ত্বরিত প্রত্যাশার ক্লান্ত উপাখ্যান, না কি আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে ফিরে আসার এক অনন্য রাজনৈতিক রূপকথা।
শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি তার জবানবন্দিতে দাবি করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট নতুন সরকার গঠনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল এবং তাকে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চে এই জবানবন্দি দেন নাহিদ।
জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেন। ওই দিনই ৬ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে সরকার দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে কারফিউ জারি করে। তিনি জানতে পারেন, সরকার ৬ আগস্টের কর্মসূচি ব্যর্থ করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং নেতাকর্মীদের হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তাই তারা কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ৫ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম এই মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিলেন। তার জবানবন্দির পরেই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজ পর্যন্ত মুলতবি করে।
জানা গেছে, নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পর তাকে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। নাহিদের জবানবন্দি শেষ হওয়ার পরই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে, এই মামলার ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি গত বছরের জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশনায় এসব হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তার জেরা সম্পন্ন হয় ৪ সেপ্টেম্বর।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশজুড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। শহীদ পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলার মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগে ৮১ জন সাক্ষীর তালিকা রয়েছে।
এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
ব্যাংকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লকারগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খোলা হবে।
এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দেশত্যাগ করাক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি সংক্রান্ত তদন্ত শুরু হওয়ার পর। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁর ব্যাংক হিসাবগুলোও অস্থায়ীভাবে ফ্রিজ করা হয়েছে।
এর আগে, রাজধানীর মতিঝিল এলাকার পুবালি ব্যাংকের এক শাখা থেকেও শেখ হাসিনার একটি লকার নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছিল।
এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে ঘটেছে, কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন হবে।
বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইইউ) এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন মুনির সাতোরি।
ড. ইউনুস বলেন, "নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন হবে, রমজানের আগে।"
তিনি জানান, দীর্ঘ বিরতির পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হওয়ায় জনগণ, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন দশকেরও বেশি সময় পর নির্বাচন ফিরেছে, যা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।" তিনি আরও বলেন, কিছু মহল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করলেও সরকার নির্ধারিত সময়েই ভোট আয়োজন করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার তরুণ ভোটাররা রেকর্ডসংখ্যায় ভোট দেবেন। কারণ অনেকেই এই প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
ড. ইউনুস বলেন, "ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা হবে। এটি আমাদের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।"
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচন, সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, ইইউর সহযোগিতা, এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। এমইপিরা নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন। একজন এমইপি বলেন, "গত ১৪ মাসে আপনারা যেভাবে কাজ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।"
প্রধান উপদেষ্টা ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বিশেষ করে তিনি সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা চান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বৈঠকে সরকারের গৃহীত শ্রম সংস্কারের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।
-সুত্রঃ বি এস এস
রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
রাশিয়ার নেতৃত্বে আয়োজিত বহুজাতিক সামরিক মহড়া “Zapad-2025”-এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থা TASS এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই মহড়ায় বাংলাদেশসহ বেলারুশ, ভারত, ইরান, বুর্কিনা ফাসো, কঙ্গো ও মালির সেনা অংশ নেয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন এবং সামরিক পোশাকে উপস্থিত থেকে বলেন, “আজ আমরা Zapad-2025 মহড়ার চূড়ান্ত পর্ব পরিচালনা করছি, যেখানে প্রায় ১ লাখ সেনাসদস্য অংশ নিচ্ছে।” তিনি জানান, এই মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো রাশিয়া-বেলারুশ জোট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের প্রস্তুতি যাচাই করা।
TASS জানায়, মহড়ার অংশ হিসেবে বারেন্টস সাগরে রাশিয়ার সর্বাধুনিক ‘জিরকন’ হাইপারসনিক নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। বেলারুশ সেনাবাহিনী আরও জানায়, মহড়ায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন পরিকল্পনার মহড়াও চালানো হয়েছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো মহড়াটি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি পোল্যান্ডে রুশ ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার পর দেশটি বেলারুশ সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং মহড়ার সময়কাল জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয়। পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক দাবি করেন, Zapad মহড়া আসলে পোল্যান্ডের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সুয়ালকি করিডর দখলের অনুশীলন।
অন্যদিকে, মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরানও মহড়ায় অংশ নিয়েছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইরান রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত ‘শাহেদ’ আত্মঘাতী ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে।
প্রসঙ্গত, Zapad মহড়া রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ কৌশলগত সামরিক মহড়া। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত আগের সংস্করণে প্রায় ২ লাখ সেনা অংশ নিয়েছিল, যা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়, যা পশ্চিমা বিশ্বে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
-সুত্রঃ TASS
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্য চান ড. আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে কমিশন ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে বিষয়টি ২ অক্টোবরের পরবর্তী সময়ে গড়াতে পারে।
১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হওয়া আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ কার্যকর করার জন্য বিশেষজ্ঞরা চারটি সম্ভাব্য পথনকশা দিয়েছেন অধ্যাদেশ জারি, নির্বাহী আদেশ, গণভোট আয়োজন অথবা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ। এই চারটি পদ্ধতি নিয়েই এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যদিও কমিশনের কার্যক্রমের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে, কমিশন দীর্ঘসূত্রতায় যেতে আগ্রহী নয়। তার মতে, মাসজুড়ে টানা আলোচনার প্রয়োজন নেই এবং কমিশন দ্রুতই একটি ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
ড. আলী রীয়াজ স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে কমিশনের লক্ষ্য ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। কারণ ওই দিনই কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন। তিনি ২ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবেন। ফলে এ সময়সীমার মধ্যেই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ নিয়ে যে মতভেদ ছিল, তা ইতোমধ্যে অনেকাংশে দূর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে অচিরেই একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
-রাফসান
চীনের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
চীন বাংলাদেশের জন্য গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভ (GGI) এর সহযোগিতায় অংশগ্রহণের দরজা খুলে দিয়েছে। সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী একটি ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে GGI-তে অংশগ্রহণ করতে পারে।
গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভ চালু করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রশাসন ও পরিচালনায় “চীনা সমাধান” প্রদান করা এবং বিশ্বজুড়ে চলমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা করা।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং ইতিবাচক গতিতে এগোচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সুষ্ঠু এবং উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) আসাদ আলম সিয়াম GGI-কে স্বাগত জানিয়ে এটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
দুই দেশের আলোচনায় কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, ভৌগোলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষই সহযোগিতার অগ্রাধিকার ও নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
-সুত্রঃ বি এস এস
ঘুষ প্রস্তাবে বরখাস্ত ডিএনসিসি কর্মকর্তা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। এ বিষয়ে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসানের স্বাক্ষরে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “অঞ্চল-১ প্রশাসন শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা এবং দুর্নীতি বা প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হলো এবং বিধি মোতাবেক তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরাকিভাতা প্রাপ্য হবেন।”
সূত্র জানায়, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ডিএনসিসির প্রশাসককে বার্তা পাঠিয়ে মিজানুর রহমান উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়নের বিনিময়ে ঘুষের প্রস্তাব দেন। সরাসরি ঘুষ প্রস্তাব করার কারণে প্রশাসক এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডিএনসিসি কিছু কর্মচারীকে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করেছে। সাধারণত এই পদটি নবম গ্রেডভুক্ত হলেও ১৬ থেকে ১৪ গ্রেডের কর্মচারীদেরও পদায়ন করা হয়েছে। মিজানুর রহমানও এ পদে পদায়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি লেখেন, “স্যার আমি মিজানুর রহমান, আমার বর্তমান পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অঞ্চল ১, উত্তরা)। স্যার, কাজটি করে দিলে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব এবং আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার উপহার রয়েছে। প্রয়োজনে এখনই এক লাখ টাকা দিতে পারি, কেউ জানবে না। স্যার কিছু মনে করবেন না।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ঘুষের প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে কেন করা হয়েছে আমি সঠিক জানি না।”
-রফিক
দুর্গাপূজায় মিলছে দীর্ঘ ছুটি!
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে দীর্ঘ ছুটির আমেজ শুরু হতে যাচ্ছে। পূজার শুরুর দিন থেকে সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এবার টানা ১২ দিনের ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন। শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এ ছুটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের অনুমোদিত শিক্ষা ক্যালেন্ডারে দেখা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা ও লক্ষ্মীপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে একটানা ছুটি নির্ধারিত আছে।
তালিকা অনুযায়ী, ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিজয়া দশমী। ৪ অক্টোবর পালিত হবে ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম, ৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা এবং ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা। যদিও লক্ষ্মীপূজা ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে নির্ধারিত, তবে বাস্তবে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনটি ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ছুটির তালিকা অনুসারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে ছুটির সময়সূচি তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে নির্ধারিত হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি দপ্তরগুলোতেও ছুটির আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে। পূজার সময় সরকারি অফিসে টানা চার দিনের ছুটি নির্ধারিত হয়েছে। ১ ও ২ অক্টোবর পূজার ছুটির পর ৩ ও ৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরাও দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগ পাবেন।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশ
- ধর্ষণ মামলায় জামিনের পর নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা
- রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির পর কমলো স্বর্ণের দাম, নতুন দর ঘোষণা করলো বাজুস
- পদ্মার রুপালি ইলিশের প্রথম চালান ভারতে
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ও অপুষ্টিতে মৃত্যু বাড়ছে
- জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ
- এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
- ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- একনেক বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৮,৩৩৩ কোটি টাকা
- রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ঋণপত্র বোর্ডে সীমিত লেনদেন, শীর্ষে যে শেয়ার
- ব্লক মার্কেটে শীর্ষ তিন শেয়ারে ৭০% লেনদেনের দখল
- ১৭ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- মোদির ৭৫তম জন্মদিনে বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার তারকাদের শুভেচ্ছা
- ১৭ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্য চান ড. আলী রীয়াজ
- চীনের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ঘুষ প্রস্তাবে বরখাস্ত ডিএনসিসি কর্মকর্তা
- ২১ ক্যারেট বনাম ২২ ক্যারেট: কোন সোনার গয়না বেশি টেকসই
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল