শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার আইনি উপায় জানালেন শিশির মনির

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে রায় হয় এই রায় সরাসরি কার্যকর হয় না। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান আছে এবং আপিলে নিষ্পত্তি হবে এরপর রিভিউর শুনানি হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই কেবল কার্যকরের বিষয়টি সামনে আসে। সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ড রায়ের আইনি দিক নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
শিশির মনির বলেন যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাঁরা যেহেতু আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি সেই জন্য তাঁদের আপিল করার ইখতেয়ার নেই। কারণ আপিল করতে গেলে জেলে থাকতে হয় অথবা জামিনে থাকতে হয় তবেই আপিল করা যায়। তাঁরাও আপিল করতে পারবেন যদি তাঁরা বাংলাদেশে এসে আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সেই আপিল নিষ্পত্তির পরেই ফাঁসি কার্যকরের প্রশ্ন আসে। তিনি মন্তব্য করেন যারা বলছেন কার্যকর এখনই করে ফেলতে হবে তাঁরা হয়তো আইনের বিধান সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না যার কারণে এসব কথা বলছেন।
তাঁদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শিশির মনির বলেন ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে এটা ঠিক। কিন্তু শেখ হাসিনা তো ভারতে বন্দি নন বরং তিনি তো সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ভারতে নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে তিনি সেখানে থাকেন এবং এটাকে তো বন্দি বলা যায় না।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন বন্দি হয় তখনই যখন এই দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন এবং তাঁরা যদি অনুরোধ গ্রহণ করেন। এরপর তাঁরা তাঁদের হোম মিনিস্টারের কাছে সেটি পাঠাবেন এবং তাঁরা তাঁকে গ্রেফতার করবেন। এরপর নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে হাজির করে তাঁকে জেলে পাঠাবেন। তখনই তাঁকে বন্দি বলা যাবে। ওই বন্দি হওয়ার পরেই প্রশ্ন আসে বন্দি বিনিময়ের।
এই আইনজীবী আরও বলেন বন্দি বিনিময় করতে হলে দুটি কাজ করতে হবে যার একটি হলো শক্তিশালী কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দ্বিতীয়টি হলো দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ আইনি ফার্ম আছে তাদেরকে নিয়োগ দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যাকে অন্য দেশ থেকে আনা হবে তিনিও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তিনি তো নাও আসতে পারেন বরং বিদেশি আদালতে আইনি লড়াই করতে পারেন। সর্বশেষ তিনি বলেন মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে আইনের নিয়মের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
"প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনি দায়িত্বশীলদের সমাবেশে কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে সাফল্য পেতে হলে স্থানীয় প্রশাসনকে অবশ্যই দলের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তার বক্তব্যে উঠে আসে এমন দাবিও “যারা প্রশাসনে আছেন, তাদের আমাদের আন্ডারে নিতে হবে। আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট জামায়াতের জন্য এক বিরল সুযোগ তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন সুযোগ নাও ফিরে আসতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে টাকা–অস্ত্র ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে কলেজ পর্যায়ের সব শিক্ষকের কাছে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা প্রচার করতে হবে। এমনকি ওসি থেকে টিএনও পর্যন্ত প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তারাও দলের প্রার্থীকে প্রোটোকল দেবেন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের হিসাব নমিনির কাছ থেকেই যাচাই করবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
অতীতের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে শাহজাহান জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের দুই উপজেলায় তিনি শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন। জনগণের চাহিদা ও সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে কোনো দলই নির্বাচনে সফল হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জনগণকে পাশে না রাখলে সংগঠনের শক্তি দিয়েও নির্বাচন জয় কঠিন এ কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
শাহজাহানের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশাসনিক কাঠামোকে রাজনৈতিক দলের “আন্ডারে আনার” দাবি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে।
-রাফসান
বহিষ্কৃত ১০ নেতা ফের বিএনপির দলে
দলীয় আবেদনের প্রেক্ষিতে বরিশাল বিভাগের বহিষ্কৃত ও স্থগিতাদেশপ্রাপ্ত ১০ নেতার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শনিবার (২২ নভেম্বর) এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সিদ্ধান্তটি সংগঠনপর্যায়ে নতুন সমন্বয় ও কাঠামোগত স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ১১ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীনের সকল পদ স্থগিত করা হয়েছিল। দলীয় বিবেচনায় আজ সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে তিনি আবারও আগের মতো বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) পদে বহাল থাকবেন।
এ ছাড়া সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৯ নেতার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে:
দেওয়ান মো. মনির হোসেন (হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব)
মাহফুজ আলম মিঠু (বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি)
নুর হোসেন সুজন (বরিশাল জেলা ছাত্রদল সহসভাপতি)
ইমরান খন্দকার (ছাত্রদল নেতা)
মশিউর রহমান মঞ্জু (বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক)
মাসুদ রাড়ি (বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি)
কামরুল হাসান (বরিশাল স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব)
বেলায়েত হোসেন (বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)
মো. জাহিদ (৩০ নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব)
দলীয় সূত্র মতে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এসেছে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ ঐক্য সুসংহত করার লক্ষ্যে এবং আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরি করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে।
বিএনপির রাজনীতিতে বরিশাল অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্ব বহন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ১০ নেতার পুনর্বহনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফিরবে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রমেও এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নেতৃত্ব কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে প্রয়োজনে পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের নীতি আগামীতেও বজায় থাকবে।
-রফিক
স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন রুমিন ফারহানা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা মাঠে আয়োজিত জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটি ভয়ভীতির জায়গা আছে। কারণ বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নানা দাবিদাওয়া নিয়ে সামনে আসছে। তারা কখনো বলছে নিম্নকক্ষে পিআর না হলে নির্বাচন করবে না কখনো বলছে নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে নির্বাচন করবে না আবার কখনো বলছে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ না করা হলে নির্বাচন করবে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন ঘিরে একটি অনিশ্চয়তা আছে।
তিনি আরও বলেন স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর সরকারে না থেকেও যারা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তাদের অনেকেই সেই সুযোগ সুবিধা ছাড়তে রাজি নন। তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া তাঁর নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ বা সরাইল আশুগঞ্জ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন বিগত ১৭ বছর আমি নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছি। সব সময় দল ও দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। তাই তাদের সিদ্ধান্তই হবে আমার সিদ্ধান্ত। তাদের সিদ্ধান্তে নির্ভর করবে আমার রাজনীতি কোন পথে যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন এই জনসভার আয়োজন করে। এতে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুস্তাফা মেম্বার এবং আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মুন্সি প্রমুখ।
"৫ আগস্টেই শেষ আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি"
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, ৫ আগস্টেই বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র, আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স এবং টেবিলের নিচে চলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির কবর রচনা হয়ে গেছে। দেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা ছাত্রসমাজ পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করছে বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার রাজশাহী কলেজ মাঠে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন। শিবিরের রাজশাহী কলেজ শাখা অনার্স প্রথম বর্ষ ও এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার করা হয়েছে। কিন্তু আদর্শিক স্পষ্টতা এবং লড়াই-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের সামনে বাস্তবতা তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীরা এখন ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন নিজ চোখে দেখছে এবং তা গ্রহণ করছে, যা কিছু গোষ্ঠীর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদেরকেও বলেছি—ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করুন। তাহলে সমাজে সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে। কিন্তু যখন ভালো কিছুর বিপরীতে খারাপের প্রতিযোগিতা চলে, তখনই সামাজিক কনফ্লিক্ট তৈরি হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবিরের এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন দেখিয়ে শিবির প্রমাণ করেছে যে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড কখনও থামিয়ে রাখা যায় না। তিনি বলেন, “নবীনবরণ আটকালে কি লাভ? আপনারা চাইলে আগামীকালই আরও বড় অনুষ্ঠান করুন। আমরা সেই প্রতিযোগিতাই চাই ভালো কাজের প্রতিযোগিতা।” শিবিরে সদস্য হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কাউকে জোর করে শিবিরে যোগ দিতে বলা হয় না; যদি কেউ মনে করেন শিবির তার জীবনে উপকারী হবে, তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় যোগ দেবেন।
ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শিবির প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রোপাগান্ডার দেয়াল শিক্ষার্থীরা সরাসরি তাদের সামনে এসে দাঁড়ানো নেতাদের দেখে ভেঙে ফেলেছে। এতে তাদের মধ্যে থাকা ভুল ধারণা দূর হয়েছে এবং বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে।
সংগঠনের আয়ের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শিবিরের তহবিল প্রধানত আসে জনশক্তির স্বেচ্ছা দান থেকে। কেন্দ্রীয় সভাপতি থেকে ইউনিট পর্যায়ের কর্মী সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সংগঠনকে সহায়তা করে। গত ৪৮ বছরে সংগঠনের সাবেক সদস্যরা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে অবস্থান করছেন অ্যাকাডেমিক, প্রশাসন, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। তারা নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, শিবিরের ব্যয়ে স্বচ্ছতা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। “কোনো সংগঠনে দশ টাকা পেলে দুই টাকা কাজে লাগে, আট টাকা পকেটে যায় কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দশ টাকা বরাদ্দ হলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজের পকেট থেকে আরও দুই টাকা যোগ করেন, যাতে বারো টাকাই পুরোপুরি কার্যক্রমে ব্যবহার হয়।” তার মতে, এই শৃঙ্খলাই সংগঠনের মধ্যে ‘বরকত’ তৈরি করে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম সভাপতিত্ব করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন ডাকসুর ভিপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত আলম, রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নেতা মোহা. শামীম উদ্দীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী কলেজ শিবিরের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন।
"সরকার গাফিলতি করছে"
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম বা খুনের ঘটনা না থাকলেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে, আর সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছে না। তার দাবি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে যুবদল নেতা কিবরিয়ার মতো হত্যাকাণ্ড ঘটছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে শিথিলতা ও গাফিলতি প্রদর্শন করছে।
শনিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “দেশে এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। সরকারের কঠোর কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। বরং এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।”
রিজভী সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহত ১০ জনের প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে সমালোচনা করে বলেন, বিগত সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানী ঢাকার ভয়াবহ ভূমিকম্পঝুঁকির জন্য তিনি দায়ী করেন অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন এবং অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের কালো চর্চাকে। তার মতে, নির্মাণ খাতে নজরদারির অভাব এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা রাজধানীর জনগণকে আজ চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনি গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হলে রিজভী তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি আহত প্রার্থীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং এ হামলাকে প্রকাশ্য হত্যাচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এরশাদ উল্লাহকে যেভাবে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি নির্বাচনি পরিবেশকে ভয়াবহভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।” তিনি অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
রিজভীর এই মন্তব্যগুলোর পর আবারও নতুন করে আলোচনায় এসেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনি সহিংসতা ও ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রাজধানীর নিরাপত্তা সংকট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন বিতর্ক ও উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
-রাফসান
প্রচারে গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার বিরল অভিজ্ঞতায় হাদি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই নিজ নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। এসব প্রচারণার কাজে প্রতিদিনই অর্জন করছেন বিভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা এবং সেগুলো ভক্ত সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ারও করে নিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই একটি পোস্টে হাদি জানিয়েছেন শুক্রবার ২১ নভেম্বর সারাদিন সেগুনবাগিচায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ সম্পন্ন করতে গিয়ে তাঁরা মানুষের অসীম ভালোবাসা ও আতিথেয়তায় অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে হাদি লিখেছেন সারাদিনে আমরা কোনোভাবে কোনো টাকা খরচ করতে পারিনি। যেখানে বিল দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে স্থানীয়রা আগেভাগে বিল দিয়ে দিয়েছেন। ফেরার সময় ভোটাররা তাঁদের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়েছেন যাতে পরের দিনের ভোটারযোগে চা নাশতার জন্য খরচ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন আমরা কোথাও কোনো টাকা খরচ করি না এবং কোনো একজনকেও এক কাপ চা পর্যন্ত খাওয়াই না। উল্টো মানুষ আমাদের খাওয়ান এবং মূল্যবান সময় দিয়ে সাহায্য করেন। এমনকি ফেরার সময় জোর করে রিকশা ভাড়া পর্যন্ত দিয়ে দেন। ওসমান হাদি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মানুষের এই ভালোবাসাকে একদিন অন্যান্যদের জন্য রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া শনিবার ২২ নভেম্বর সকালে আরেক পোস্টে হাদি জানান রমনা থেকে ভোটারযোগ শেষে তাঁরা বাতাসা ও মুড়ির জন্য অনুপ্রেরণামূলক হাদিয়া পেয়েছেন। তিনি মজা করে বলেছেন এভাবে চলতে থাকলে ইলেকশনের আগেই আমরা বড়লোক হয়ে যাব। উল্লেখ্য আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। তাই তফসিল ঘোষণার আগেই এলাকা ঘুরে নিজের নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।
রিকশা ছেড়ে সংসদ ভবনের পথে: ঢাকা-৮ আসনে এনসিপির বড় চমক!
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন রিকশাচালক সুজন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই মনোনয়নপত্র কেনেন। এ সময় দলের শীর্ষ নেতারাও তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
রাজপথের আন্দোলন থেকে পরিচিতি পাওয়া সুজন তার এই জনপ্রিয়তা ও মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুজন বলেন, তিনি জীবনে অনেক সংগ্রাম দেখেছেন এবং নিজেও সংগ্রাম করেছেন। নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি সাধারণ মানুষ, তাই সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করব।" এনসিপি থেকে মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়টিকে তিনি রাজনৈতিক দলে সবার সমান অধিকারের প্রমাণ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, যে কেউ নির্বাচন করতে পারে এবং দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনতে পারে—এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দেওয়ায় তিনি এনসিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ঢাকা-৮ আসনটি এবার বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও হেভিওয়েট নেতা মির্জা আব্বাসকে। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিও এই আসন থেকে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাঘা বাঘা সব প্রার্থীর ভিড়ে রিকশাচালক সুজনের অংশগ্রহণ এই আসনের নির্বাচনী আমেজে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার কারণ জানালেন আখতার
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে দলটি দাবি করেছে, আগামী দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ত্রয়োদশ সংশোধনীর পুরনো কাঠামোর ভিত্তিতে নয়, বরং ‘জুলাই সনদে’ বর্ণিত নতুন রূপরেখা অনুযায়ী গঠন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এই দাবি তুলে ধরেন।
আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার বড় অভাব রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধান। নব্বইয়ের দশকে এই ব্যবস্থা চালু হলেও শেখ হাসিনা সরকার আদালতকে ব্যবহার করে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে তা ধ্বংস করে দেয়। এর ফলেই ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছিল। তাই উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করায় এনসিপি এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপির নিজস্ব পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আখতার হোসেন উল্লেখ করেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শুধুমাত্র বিচার বিভাগ থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল। কিন্তু এনসিপি মনে করে, এই ব্যবস্থার কারণে অতীতে নানা রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করতে বিচারপতির বয়সসীমা বাড়িয়েছিল, যার ফলে দেশে ১/১১-এর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। তাই বিচার বিভাগের ওপর একক নির্ভরশীলতা কমিয়ে জুলাই সনদে বর্ণিত নতুন ফর্মুলা অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই সনদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সরকারি দল, প্রধান বিরোধী দল এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের সমন্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আখতার হোসেন জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জুলাই সনদের আলোকেই প্রবর্তন করতে হবে। সনদে ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতির কথা বলা হলেও বিএনপি সেখানে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার কারণ ব্যাখ্যা করে এনসিপি নেতা বলেন, সনদের বাস্তবায়ন এবং এর আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সনদের আদেশে কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। বিশেষ করে আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ত্রয়োদশ সংশোধনী অনুযায়ী হবে নাকি জুলাই সনদ অনুযায়ী—তা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো বার্তা নেই। তিনি বলেন, সরকার এই অস্পষ্টতা দূর করলে এবং সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করলেই এনসিপি তাতে স্বাক্ষর করবে। সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা উপস্থিত ছিলেন।
পটুয়াখালী-৩: জোটের গুঞ্জনের মধ্যেই নুরের গণসংযোগ, দিলেন চূড়ান্ত বার্তা
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তার নিজ নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি গলাচিপা পৌর শহরের ওয়াপদা এলাকা থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের অবস্থান জানান দিতেই মাঠে নেমেছেন আলোচিত এই তরুণ নেতা।
গণসংযোগকালে নুর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পৌর শহরের সদর রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এলাকার বিদ্যমান সমস্যা ও উন্নয়নের চিত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আসন্ন নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার এবং তাদের দাবিদাওয়া পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জোটের রাজনীতি এবং স্থানীয় কোন্দল নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন নুর। তিনি জানান, বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে তাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে এই জোটের সম্ভাবনায় ভীত হয়ে স্থানীয় কিছু নেতা আসন হারানোর শঙ্কায় এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নুর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, কারও সঙ্গে জোট হোক বা না হোক, তিনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকেই নির্বাচন করবেন এবং তার প্রতীক হবে ‘ট্রাক’। নির্বাচনী প্রতীক ও আসন নিয়ে তিনি তার অনড় অবস্থানের কথা এলাকাবাসীর কাছে পরিষ্কার করেন।
এই গণসংযোগ কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তাদের স্লোগান ও উপস্থিতি নুরের প্রচারণায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। উল্লেখ্য, এই আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে নুরের সমর্থকদের বিরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যেই তিনি এই শোডাউন করলেন।
পাঠকের মতামত:
- দাদা-দাদী-নানা-নানীর অতিরিক্ত আদরে বাড়ছে 'সিক্স পকেট সিনড্রোম', জানুন বিস্তারিত
- ফোবিয়া: সহজে চেনা, সময়মতো চিকিৎসা জরুরি
- বিশ্বের ১০ দামী খাবার, চোখ কপালে তোলার মতো মূল্য
- কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
- আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
- সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
- ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV হালনাগাদ
- যতবার গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভয়ংকর রেকর্ড
- "প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
- গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
- বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
- রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
- বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
- টিভিতে ক্রিকেট–ফুটবলসহ একঝাঁক বড় ম্যাচ
- বহিষ্কৃত ১০ নেতা ফের বিএনপির দলে
- ভারতের চিকেন নেকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ
- শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে সুদান
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন রুমিন ফারহানা
- কম্পন থামলেও কাটছে না আতঙ্ক বরং প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই নতুন বিপদে শিক্ষার্থীরা
- কাগজে কলমে যুদ্ধবিরতি থাকলেও গাজার বাস্তব চিত্র দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ব
- বাংলাদেশিদের নিয়ে যে আবেগঘন গল্প শোনালেন সাদিও মানে
- আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই মৌসুমে দ্বিতীয়বার দলভুক্ত হলেন বাংলাদেশি পেসার
- ভূমিকম্পের সময় মহানবী সা. যে বিশেষ আমল ও দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন
- সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা ও উপকূল অতিক্রমের সম্ভাব্য সময় নিয়ে নতুন তথ্য
- ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বাবার
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প
- "৫ আগস্টেই শেষ আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি"
- "সরকার গাফিলতি করছে"
- অস্ট্রিচ কেন পাথর খায় কারণ জানলে চমকে যাবেন
- আগ্নিবলয় বনাম খনিজভাণ্ডার: দুই রিং অফ ফায়ারের রহস্য
- শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার আইনি উপায় জানালেন শিশির মনির
- আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পের খবর
- প্রচারে গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার বিরল অভিজ্ঞতায় হাদি
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা ও চর্মরোগ এড়াতে যা করা প্রয়োজন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের আগেই নতুন টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিল ফিফা
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ছুটির দিনেও ঢাকার রাজপথ ব্যস্ত থাকবে যেসব কর্মসূচিতে
- মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে সালমান খানকে
- অর্থভাগ্য নাকি প্রেম: ২২ নভেম্বর শনিবারের রাশিফল ও নক্ষত্রের অবস্থান
- ওষুধ না খেয়েও মাত্র তিনটি সহজ ব্যায়ামে যেভাবে কমবে পিঠের ব্যথা
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- সোমবার রাজধানীর বাজার বন্ধের পূর্ণ তালিকা
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?








