রাজধানীতে ডিএমপি'র 'বড় মহড়া': যমুনা, সচিবালয়সহ ১৪২ স্পটে সাত হাজার পুলিশ সদস্যের তৎপরতা

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর ১৪২টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে একযোগে একটি ‘বড় মহড়া’ পরিচালনা করেছে। এই মহড়ায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার মোট সাত হাজার পুলিশ সদস্য অংশ নেন। শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে এই মহড়া। এই মহড়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনের স্পটগুলো। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা, বাংলাদেশ সচিবালয়, হাইকোর্ট, বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
নিয়মিত কার্যক্রম না নিরাপত্তা জোরদার?
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই মহড়া নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, "আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ হিসেবে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কুইক রেসপন্স মহড়া করা হয়েছে।"
তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজধানীজুড়ে ঘটে যাওয়া কিছু সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবেই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল গির্জায় ককটেল নিক্ষেপ এবং ধানমন্ডি শংকর এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা।
মহড়ার এলাকা ও উদ্দেশ্য
ডিএমপি'র আটটি বিভাগ জুড়ে মোট ১৪২টি স্পটে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগ অনুযায়ী মহড়ার স্পটগুলো হলো: তেজগাঁও (১৬টি), রমনা (৩৪টি), মিরপুর (১৪টি), মতিঝিল (১৭টি), ওয়ারী (১৬টি), লালবাগ (১৫টি), গুলশান (১৪টি) এবং উত্তরা (১৬টি)।
ডিএমপির এক উপকমিশনার (ডিসি) জানান, পুলিশের এই মহড়াটি মূলত ফোর্স ও অফিসারদের এক্সিভিশন বা প্রদর্শনীর মতো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। যারা অপরাধ করতে চায় বা অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়, এই মহড়া মূলত তাদের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এর আগে চলতি বছরের ৫ আগস্টের আগে সীমিত আকারে এ ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হলেও, এটি দ্বিতীয়বারের মতো ডিএমপি'র বৃহৎ পরিসরের মহড়া।
নাটোরে প্রকৃতির বিস্ময়! এক কাণ্ডে ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছে এক অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক বিস্ময় একটি ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছ। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো গাছ। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যায়, এটি আসলে একক কাণ্ড থেকে জন্ম নেওয়া বহু মাথাওয়ালা একটিমাত্র গাছ। এই গাছটি এখন স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘কুদরতি নিদর্শন’ নামে, এবং প্রতিদিন শত শত মানুষ এই গাছ দেখতে আসছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, গাছটির বয়স প্রায় ২৫ থেকে ২৬ বছর। একসময় এর মাথার সংখ্যা ছিল ১৪টি, বর্তমানে ১৩টি মাথা সবুজ ও সতেজভাবে বেড়ে উঠেছে। প্রতিটি মাথায় ঘন ও ছড়ানো পাতা এমনভাবে বিস্তৃত যে মনে হয়, প্রকৃতি নিজেই যেন এক অনন্য ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিটি ডগায় ঝুলছে নতুন কচি পাতার মেলা দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন এক শিল্পীর তুলি দিয়ে গড়েছে এই সৃষ্টিকে।
কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম বলেন, “গাছটি আমরা প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে লাগিয়েছিলাম। কয়েক বছর পর থেকেই কাণ্ডে একাধিক মাথা গজাতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাথার সংখ্যা বেড়েছে, আবার কিছু শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে ১৩টি মাথা টিকে আছে। আমরা নিয়মিত সার ও ওষুধ দিয়ে গাছটির যত্ন নিই।” তিনি বলেন, “আমার জীবনে এমন গাছ আর দেখিনি। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধু এই গাছটি একবার দেখার জন্য। এটি নিঃসন্দেহে প্রকৃতির এক বিরল ও সুন্দর নিদর্শন।”
স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বলেন, “একটি নারকেল গাছে এতগুলো মাথা—এমন দৃশ্য আমরা শুধু ছবিতে দেখি। এটি আল্লাহর এক অসাধারণ সৃষ্টি, একেবারে কুদরতি নিদর্শন। বর্তমানে ১৩টি মাথা পুরোপুরি সতেজ রয়েছে। মানুষ গাছটি দেখতে আসে, ছবি তোলে, ফেসবুকে শেয়ার করে—আমাদের এলাকার গর্ব এখন এই গাছ।”
শুধু বড়রাই নয়, ছোটরাও সমান উৎসাহী। কাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম জানায়, “আমাদের স্কুলে অনেক মানুষ আসে এই নারকেল গাছ দেখতে। সবাই গাছটি দেখে খুশি হয়, আর আমরা গর্ব করি যে এমন গাছ আমাদের স্কুলে আছে।”
এলাকার মানুষ মনে করেন, এই গাছটি কেবল একটি প্রাকৃতিক বিস্ময় নয়, এটি স্থানীয় পর্যটন আকর্ষণেরও সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কেউ কেউ বলছেন, গাছটি যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা যায়, তবে এটি নাটোর জেলার একটি পর্যটন স্পট হিসেবেও পরিচিতি পেতে পারে। এতে যেমন বাড়বে এলাকার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব, তেমনি মানুষ কাছ থেকে প্রকৃতির এই বৈচিত্র্য দেখার সুযোগ পাবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে. এম. রাফিউল ইসলাম বলেন, “একটি নারকেল গাছে ১৩-১৪টি মাথা গজানো সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। এটি একটি বিরল জেনেটিক মিউটেশন, যা অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও গবেষণাযোগ্য। সাধারণত একটি নারকেল গাছে একটি কাণ্ড ও একটি মাথা থাকে, কিন্তু এটির জিনগত বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হওয়ায় একাধিক শাখা বা মাথা তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গাছটির পরিচর্যা এবং সার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত তত্ত্বাবধান করবেন। সঠিক যত্ন নেওয়া গেলে এটি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।”
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, গাছটি আশেপাশের এলাকায় একটি প্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। অনেকেই এখন বিশেষ ধরনের নারকেল গাছ বা ফলের প্রজাতি নিয়ে গবেষণা ও চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গাছটি যেন এখন কেবল প্রকৃতির উপহার নয়, এক অনুপ্রেরণার উৎসও বটে।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় মানুষ ও বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট থাকে কলেজ প্রাঙ্গণ। কেউ ছবি তোলে, কেউ ভিডিও করে, কেউ আবার গাছটির পাশে বসে গল্প করে বা প্রার্থনা করে। প্রকৃতির এই অনন্য সৃষ্টিকে ঘিরে সবার মনে একটাই অনুভূতি বিস্ময় আর মুগ্ধতা।
এলাকাবাসীর দাবি, গাছটি যদি সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয় এবং এর চারপাশে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তবে এটি নাটোরের একটি ‘নেচার হেরিটেজ’ বা প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।
তুলার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট, নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনো
গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় একটি তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
আগুন লাগার বিবরণ ও তৎপরতা
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় অবস্থিত একটি তুলার গুদামে প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর জন্য দ্রুত ছুটে আসেন। তবে দ্রুতই আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ শুরু করে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবার সামনে এলো বাবলা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য: কিলিং মিশনে জড়িত ৪ জন শনাক্ত
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলায় বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদকে প্রধান হোতা বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত সরোয়ার বাবলা'র বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ আলীসহ মোট সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১৪ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কিলিং মিশনে জড়িতদের পরিচয়
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন, মামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামি সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় নিম্নরূপ:
রায়হান (৩৫): পূর্ব রাউজানের বদিউল আলমের ছেলে।
মোবারক হোসেন ইমন (২২): ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর গ্রামের মোহাম্মদ মুসার ছেলে।
বোরহান (২৭): নগরীর খুলশী সিডিএ পুনর্বাসন এলাকার খায়রুল আলমের ছেলে।
মো. খোরশেদ (৪৫): রাউজানের পরীর দিঘির পাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
হত্যার পদ্ধতি ও র্যাবের অভিযান
হামলাকারীরা সরোয়ার বাবলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ৭.৬২ বোরের বিদেশি পিস্তল ব্যবহার করেছিল। প্রাথমিক তিনটি গুলির পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আরও কয়েকটি গুলি করে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
মামলা দায়েরের পরপরই র্যাব অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল এলাকা থেকে দুই আসামি আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে, তবে মামলার অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।
গণসংযোগ চলাকালে এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন, তাঁর বুকের ডান পাশে ও পায়ে গুলি লেগেছিল। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
'বড় সাজ্জাদ' যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন অপরাধ জগৎ
নগরীর পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড় সাজ্জাদের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুলিশ জানায়, তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি, বালুমহাল-ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের রাজশাহী সফর: নির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে টিটিসি পরিদর্শন
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাজশাহী সফরে গিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। শনিবার সকালে তিনি নগরীর রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এ সময় সাংবাদিকরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি।"
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে মনোযোগ
নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে আইন উপদেষ্টা তার সফরের মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "এটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। সারাদেশে শতাধিক টিটিসি আছে।"
আসিফ নজরুল বলেন, এসব কেন্দ্রে যারা কাজ করেন, তারা কর্মসংস্থানের জন্য দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, "মেয়েদের যে টিটিসি রাজশাহীতে অবস্থিত, সেটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।"
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এই সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ টিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের রাউজানে ফের হামলা: বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ১৪ নম্বর বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে, কারণ তার বুকে গুলি লেগেছে। আহত বাকি চারজন হলেন— বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। আহতরা সবাই বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুলি চালিয়ে দুর্বৃত্তরা একটি গাড়িতে করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও, এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রকেটের গতিতে পেঁয়াজের দাম; সরকার কি হার মানবে সিন্ডিকেটের কাছে?
দেশের পেঁয়াজের বাজারে আবারও হঠাৎ করেই অস্থিরতা শুরু হয়েছে। মাত্র পাঁচ থেকে ছয় দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ।
আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখালেও, ভোক্তা অধিকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি স্বাভাবিক ওঠানামা নয়। বরং একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে, যাতে সরকার আমদানির অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মালিবাগ, কারওয়ান বাজার ও আগারগাঁওয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, যা পাঁচ-ছয় দিন আগে ছিল ৮০ টাকার আশপাশে।
আমদানিকারক ও বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে দৈনিক পেঁয়াজের চাহিদা ছয় থেকে সাত হাজার টন হলেও বাজারে এখন সরবরাহ কম। মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানোর পর সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতে সেসব পেঁয়াজ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন চাষির ঘরে পেঁয়াজ নেই। দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ আসবে, তাই আমদানির বিকল্প নেই। শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ বলেন, আমদানির পথ খুলে দিলে দুই দিনের মাথায় কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে আসবে।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলছেন, পেঁয়াজ এখন মজুতদারদের হাতে। প্রতিবছর এই সময়ে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ানো হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আইপি বন্ধের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা মানুষের পকেট কাটছে এবং সরকার নির্বাচন ও রাজনৈতিক চাপে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে নজর কম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন বলেন, এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। এটি কারসাজি ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ১৫ বছরে যারা বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করত, তারা ফের সক্রিয় হয়ে বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলেও কৃষি মন্ত্রণালয় এখনই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দিতে নারাজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এ মাসেই বাজারে আসবে এবং এখন আমদানি করলে স্থানীয় কৃষক বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করাই তাদের অগ্রাধিকার।
এই অবস্থানের পক্ষে কৃষকরাও সমর্থন দিচ্ছেন। পাবনার চাটমোহরের কৃষক রণজিৎ চন্দ্র দাশ বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ৪০ টাকা খরচ হয়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে তারা আবারও ক্ষতির মুখে পড়বেন এবং টিকতে পারবেন না।
অন্যদিকে, জানা গেছে যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ে ইতোমধ্যে দুই হাজার ৮০০টি আইপি আবেদন জমা পড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী আইপি ছাড়া এলসি খুলে পেঁয়াজ বন্দরে এনে সরকারকে চাপে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বার্ষিক চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন, আর দেশীয় উৎপাদন ৩৫ থেকে ৩৭ লাখ টন। তবে সংরক্ষণে ২৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ায় প্রতি বছর ছয় থেকে সাত লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছু ব্যবসায়ী ভারতের সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কম দামে পেঁয়াজ কিনে দেশে এনে বেশি দামে বিক্রি করেন। হাইকোর্টে আইপি না দেওয়ার বিরুদ্ধে করা ১৪টি রিটও ইতোমধ্যে খারিজ হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এমদাদ উল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য হলো কৃষক যেন লাভবান হন এবং ভোক্তাও যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে জোর দিয়েছে এবং সংরক্ষণে সহায়তার জন্য আট হাজার 'এয়ার ফ্লো মেশিন' স্থাপন করা হয়েছে।
মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই হামলা; চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বায়েজিদ আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহ ছাড়াও সারোয়ার বাবলাসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ আহত এরশাদ উল্লাহকে দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি দুজনকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তবে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় দুর্বৃত্তরা সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার খবর পাওয়ার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেন, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন, এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করে।
ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, "এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।"
এদিকে আজ সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গত সোমবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরপরই বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি হামজারবাগ এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন এবং বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেন।
গরু চোরাচালানকারী ধরতে গ্রেনেড: লালমনিরহাটে বিএসএফের কাণ্ডে উত্তেজনা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
লালমনিরহাট বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের মেইন পিলার ৮৫৪ নম্বরের সাব-পিলার ৩ এলাকার শূন্য রেখা আর ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ভেল্কু লতামারীর সংলগ্ন সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সীমান্তের এলাকার বাসিন্দারা হঠাৎ বিস্ফোরণের প্রকট শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ওঠে, ভারতীয় বিএসএফের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা অন্তত তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
ঘটনার পরপরই বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি এবং শ্রীরামপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে বিষয়টি জানাতে যোগাযোগ করেন। এর ফলশ্রুতিতে বুধবার বিকেলে উভয় বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক ডাকা হয় এবং বৈঠকে বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রেনেড নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানায়।
পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তারা জানায়, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ভারতের অভ্যন্তরে ৭ থেকে ৮ জনের একটি গরু চোরাচালানকারী দল প্রবেশ করেছে, এমন খবর পেয়ে তাদের ধাওয়া করার প্রক্রিয়ায় টহল দল সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল।
বৈঠকে উভয় বাহিনী সীমান্তে টহল আরও জোরদার করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। বৈঠকে ভারতের পক্ষে রতনপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রনজিত মালি এবং বাংলাদেশের পক্ষে শ্রীরামপুর ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন নেতৃত্ব দেন।
বিজিবি ৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, "এ ঘটনায় ইতোমধ্যে উভয় দেশের কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।"
শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুদ ১০৬ বস্তা সরকারি সার জব্দ
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় সরকারি সার অবৈধভাবে মজুদ রাখার অভিযোগে বিপুল পরিমাণ সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে ১০৬ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সারগুলোর মধ্যে বিএডিসির এমওপি সার ৬৬ বস্তা এবং ডিএপি সার ৪০ বস্তা রয়েছে।
প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন বাবু পেশায় একজন কীটনাশক ব্যবসায়ী। তবে তার নামে সার বিক্রির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তবুও তিনি স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সরকারি সার সংগ্রহ করে অবৈধভাবে নিজের বাড়িতে মজুদ করেন। তদন্তে জানা গেছে, কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি এসব সার গোপনে সংরক্ষণ করছিলেন।
গোপন সূত্র থেকে তথ্য পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় বাড়িতে বিপুল পরিমাণ সরকারি সার মজুদ পাওয়া যায়। পরে সারগুলো জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, অবৈধভাবে সরকারি সার মজুদের বিষয়টি কৃষি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, এবং এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আকন্দ বলেন, অভিযান চলাকালে বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন বাবুকে পাওয়া যায়নি। তিনি অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে জব্দ করা সারগুলো নিরাপদভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং মামলার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ বলেন, মোশারফ হোসেন বাবুর কোনো বৈধ লাইসেন্স না থাকায় সারগুলো জব্দ করা হয়েছে। সরকারি সার অবৈধভাবে মজুদ রাখা অপরাধ, এবং এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃষি মৌসুমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকারি সার মজুদ করে রাখছে। এতে কৃষকরা ন্যায্য দামে সার না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে স্থানীয়রা প্রশংসা করেছেন, কারণ এটি কৃষিপণ্য কালোবাজার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করছেন।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- রাজধানীতে ডিএমপি'র 'বড় মহড়া': যমুনা, সচিবালয়সহ ১৪২ স্পটে সাত হাজার পুলিশ সদস্যের তৎপরতা
- মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?
- আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘোষণা 'পাগলের প্রলাপ':সালাহউদ্দিন আহমেদ
- ঐক্যের বার্তা মির্জা ফখরুলের: হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই
- কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান
- নাটোরে প্রকৃতির বিস্ময়! এক কাণ্ডে ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছ
- গণভোট ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান জানালেন আমীর খসরু
- তাহসান কি রাজনীতিতে আসছেন? শোবিজে জোর গুঞ্জন!
- রোদে ভিটামিন ডি পাওয়ার সঠিক কৌশল জেনে নিন
- পরিবর্তনের ইঙ্গিত: তাপমাত্রা ও কুয়াশা নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- জোর করে দাবি আদায় করতে চায় কিছু দল: আমীর খসরুর
- জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
- ১০ বছরের মধ্যে এনসিপি ক্ষমতায় যাবে: হান্নান মাসউদ
- মিশর সফরে সারজিস আলম: রাফা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াবেন
- সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে: প্রেস সচিব
- তুলার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট, নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনো
- এবার সামনে এলো বাবলা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য: কিলিং মিশনে জড়িত ৪ জন শনাক্ত
- বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চাই না: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সতর্ক থাকার বার্তা রাজনাথ সিংয়ের
- আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের রাজশাহী সফর: নির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে টিটিসি পরিদর্শন
- হরর সিনেমা হতে পারে থেরাপি, জানেন কী এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি?
- ১.৫৫ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি: বিশ্বব্যাংকের ঋণের প্রকল্পে লুটপাটের মহোৎসব
- দেশের পরিবর্তনে দলগুলোর ভূমিকা দেখেই জোটের সিদ্ধান্ত নেবে গণঅধিকার পরিষদ
- জন্মভূমিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন: সরকারের পট পরিবর্তনের পর প্রথম সফর
- ব্লাড ব্যাংকের রক্তে এইচআইভি: সরকারি হাসপাতালের রক্ত নিয়ে আক্রান্ত হলো ৫ শিশু
- ত্বক মসৃণ ও রোগমুক্ত রাখতে চান? প্রতিদিনের রুটিনে অ্যালোভেরা জেল রাখার ৫টি উপকারিতা
- পাকিস্তান-আফগানিস্তান আলোচনা স্থগিত: চুক্তি না হওয়ায় যুদ্ধবিরতি অনির্দিষ্ট ধাপে
- কাঁচকলার জাদু: ৫টি পরিবর্তনে শরীরকে সুস্থ রাখতে সেদ্ধ কাঁচকলা খান
- জম্মু হত্যাকাণ্ড ১৯৪৭: নির্বিচারে মুসলিমদের হত্যার ভয়াবহ চিত্র, যা তুলে ধরল গবেষণা
- গণহত্যার অভিযোগে নেতানিয়াহুসহ ৩৭ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- পরাজয়ের ভয়ে গণভোটের বিরোধিতা করছে বিএনপি: ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
- গাজায় শান্তি ফেরাতে আন্তর্জাতিক বাহিন মোতায়েনের ঘোষণা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
- জাহানারা আলমের অভিযোগ 'ভিত্তিহীন': মুখ খুললেন সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল মঞ্জু
- আর্থিক খাতের রক্তক্ষরণ: আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের মাশুল গুনছে ২৪টি ব্যাংক
- পাকিস্তান-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা:'চিকেনস নেক' সুরক্ষিত করতে সীমান্তে ভারতের নতুন সেনাঘাঁটি
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, জানুন বিস্তারিত
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
- জেনে নিন ভাপা পিঠা বানানোর সহজ রেসিপি
- আফগান–পাক উত্তেজনা ফের চরমে
- ১২ দিনের যুদ্ধের পর বরফ গলছে কি ইরান–মার্কিন সম্পর্কে?
- জুলাই সনদে নতুন সংকট: মুখোমুখি বিএনপি ও জামায়াত
- জানা গেল জাতীয় নির্বাচনের সময়
- ৭ নভেম্বরের বিপ্লব: জিয়াউর রহমানের প্রতি সমর্থনের গল্প শোনালেন মির্জা ফখরুল
- জোট বাদ দিয়ে নতুন যে কৌশল নিচ্ছে জামায়াত: উদ্দেশ্য একাধিক দলের অংশগ্রহণ বাড়ানো
- নির্বাচন নিয়ে ইসি'র চূড়ান্ত বার্তা: প্রস্তুত শতভাগ, ভোট ফেব্রুয়ারিতে
- ব্রিটিশ প্রতিনিধির হুঁশিয়ারি: বাংলাদেশের নির্বাচনে 'অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়'
- ট্রাম্পের ভারত সফর আসন্ন? মোদিকে 'মহান ব্যক্তি' বলে প্রশংসা
- যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানে গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের; উত্তেজনা চরমে
- শুক্রবার থেকে শনিবার ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
- ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত








