৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত

আসন্ন শীত মৌসুমে দেশজুড়ে একের পর এক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ১০টি শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যার মধ্যে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার রাতে প্রকাশিত এই মৌসুমি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের শীতকাল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দীর্ঘ এবং বেশি শীতল হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামা দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তীব্রভাবে প্রভাব ফেলবে।
তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এবারের শীতে ৪ থেকে ৭টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এর মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সময় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
মৌসুমি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে মৌসুমের সবচেয়ে ঠাণ্ডা সময়। এ সময় দেশের বেশির ভাগ স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল
নভেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। নভেম্বর মাস থেকেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাগরে দুই থেকে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চল ও হিমালয়ঘেঁষা এলাকাগুলোতে এবার শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী এবারের শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আগামী পথ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের অগ্রগতি সম্পূর্ণভাবে আসন্ন নির্বাচনের উপর নির্ভর করবে। এই মন্তব্য তিনি ঢাকার ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে করেন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া এবং ২০২৫-২০২৬ সালের চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী উদযাপন।
সিইসি নাগরিকদের দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে, এটি আমরা কিভাবে গড়ে তুলব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব—এ বিষয়গুলো তিনি সারাক্ষণ ভাবছেন। তিনি জানান, এটিকে তিনি ব্যক্তিগত রুটিন কাজ বা চাকরির দায়িত্ব হিসেবে নেননি, বরং এটিকে একটি মিশন ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) আগামী নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিইসির ভাষ্য, “সংখ্যা ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব আনসার বাহিনী পালন করে, যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সর্বাধিক নিয়োজিত থাকেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি জানান, একযোগে ৭৪টি কেন্দ্রে আনসার বাহিনী এবং ১৩০টি কেন্দ্রে পুলিশ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, “বিশেষ করে সংকটকালীন মুহূর্তে সাধারণ প্রথা অনুসরণ করে কাজ করা যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সমাধান ও কার্যক্রমের জন্য আউট অফ দ্যা ওয়েতে চিন্তা করতে হবে।”
প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মোট প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন। সিইসি বলেন, “সাধারণত যারা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। এবার আমরা এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যাতে দায়িত্বে থাকা ভোটাররাও ভোট দিতে সক্ষম হবেন। এজন্য ১৬ নভেম্বর একটি অ্যাপ চালু হবে। এতে ভোটাররা রেজিস্ট্রেশন করে বাড়িতে ব্যালট পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট প্রদান করতে পারবেন। যারা নিজের এলাকার বাইরে থাকবেন, তারাও ভোট দিতে পারবে।”
সিইসি আরও জানান, জেলে থাকা নাগরিকরাও দেশের ভোটার এবং তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী ভোটাররাও এবার ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। এই কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ সেল খুলেছে। প্রয়োজনে ভোটাররা সেখানে যোগাযোগ করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন।”
-রফিক
এবার ভোট দিতে পারবেন কারাবন্দী ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ কর্মীও
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে এবার বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন। কারাবন্দী আসামিদের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ১০ লাখ মানুষ এবার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার (৩ নভেম্বর) এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
বন্দী, প্রবাসী ও নির্বাচন কর্মীদের ভোটদানের সুযোগ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, এত দিন কার্যত তারাই নিজের ভোটটি দিতে পারতেন না। এই সমস্যা দূর করতে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য—অর্থাৎ, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই এবার ভোট দিতে পারবেন।
তিনি জানান, ভোটদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, তারা এই অ্যাপে নিজেদের নিবন্ধন করবেন। এরপর তাদের নিজ নিজ বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ভোট দিতে পারবেন।
কারাবন্দী আসামিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আইনি হেফাজতে যারা কারাগারে রয়েছেন, তারাও এই দেশের নাগরিক। তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও, এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
'রুটিন দায়িত্ব নয়, এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি'
নিজের দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি তার এই পদটিকে কেবল রুটিন দায়িত্ব বা চাকরি হিসেবে নেননি। বরং এটিকে একটি মিশন এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি সর্বদা এই ভাবনা নিয়ে কাজ করেন যে, ভবিষ্যতের জন্য কী ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাওয়া হবে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাওয়া হবে কি না এবং তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে।
সিইসি মনে করেন, বিশেষ করে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কেবল গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় 'আউট অব দ্য ওয়েতে' বা গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে।
সোমবারের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দিলো সরকার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভা থেকে জুলাই জাতীয় সনদের গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ সভা শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এই তথ্য জানান।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ এবং গণভোট আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
উদ্বেগের কারণ সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
সরকারের আহ্বান এই প্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, গণভোটের সময়, বিষয়বস্তু এবং জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানো জরুরি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে।
নির্বাচনের সংকল্প সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
কমিশনের প্রতি ধন্যবাদ সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টা এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আসিফ নজরুলের ব্রিফিং
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত সুপারিশগুলি সরকারের কাছে হস্তান্তর হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত রয়েছে, তা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার আর কোনো সরাসরি উদ্যোগ নেবে না। বরং এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে অভিন্ন মনোভাব বা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রাথমিকভাবে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ।
আজ সোমবার এই বিষয়টি জানানো হয় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই তার সীমারেখা স্পষ্ট করেছে এবং যেকোনো রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য দায়িত্ব নেবে না; বরং এটি এখন রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও আলোচনা প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে।
সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। উল্লেখযোগ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম শুরু করার পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বা জরুরি প্রয়োজনে সাধারণত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে এই ব্রিফিংটি আলাদা, কারণ এটি প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আয়োজন করা হলো। এতে বোঝা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পথ সুগম করতে এবং গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করতে সচেষ্ট।
-রফিক
জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি
বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা ড. জাকির নায়েক আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন—এমন খবর ঘিরে দেশ-বিদেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ধর্ম প্রচারককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং তার সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সফরের প্রস্তুতি ও স্থান নিয়ে বিভেদ
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা ও পিরোজপুরে জাকির নায়েকের সমাবেশ আয়োজনের জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি হবে তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
স্থান বাছাই পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা ও পিরোজপুর অঞ্চলে সুফিবাদ ও মাজারকেন্দ্রিক ধর্মীয় অনুসারী তুলনামূলকভাবে কম, তাই জাকির নায়েকের মতাদর্শ নিয়ে সেখানে ধর্মতাত্ত্বিক সংঘাতের আশঙ্কা কম।
যেখানে অনুমতি নেই তবে সুফি মতাদর্শের অনুসারী বেশি থাকার কারণে চট্টগ্রাম ও ভারত সীমান্তঘেঁষা সিলেটে প্রস্তাবিত অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়নি এসবি।
সময়সূচি ইমিগ্রেশন পুলিশের সূত্র বলছে, জাকির নায়েক ২৬ নভেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেন। পরদিন ঢাকায় একটি ইনডোর ইসলামিক অনুষ্ঠানে এবং ২৮ নভেম্বর পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি আউটডোর সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক বক্তব্য
জাকির নায়েকের সম্ভাব্য সফর নিয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতের বার্তা ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।” তিনি আশা করেন, সংশ্লিষ্ট দেশ ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।
বাংলাদেশের ইঙ্গিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম ভারতের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।” এই মন্তব্যটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গে পাল্টা ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ধর্ম উপদেষ্টার অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনও বলেন, জাকির নায়েকের সফর অনুমোদনের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই।”
পুলিশের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ
ডিএমপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ডিএমপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এবং এখনো কোনো অনুষ্ঠানস্থলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এসবি কর্মকর্তার মত স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, “ভারত তার বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিতে পারে, কারণ তার জন্ম সেখানেই। আমাদেরও অনেক পলাতক আসামি ভারতে রয়েছে, যাদের ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা তাকে অতিথি হিসেবেই দেখছি।”
জাকির নায়েক ২০১৬ সালে অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ভারত ত্যাগ করেন এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন।
সূত্র: টিবিএস
আজ জরুরি বৈঠক, কি হবে জুলাই সনদ গণভোটের ফলাফল
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসছে। সরকারের বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে জুলাই সনদ সংক্রান্ত গণভোটের বিষয় চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হতে পারে। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জনগণকে জানানো হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং রবিবার রাতে জানিয়েছে, দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ব্রিফিংটি কে করবেন তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাধারণত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পরে বা প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজন করা হতো। কিন্তু এবার প্রথমবার এই ব্রিফিং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজন করা হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের বিষয়ে পূর্বে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে একমত হয়েছিল। তবে গণভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়ে গেছে। কমিশন সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখায় গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছিল, কিন্তু নির্ধারণের অধিকার সরকারকে অর্পণ করা হয়।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট চায়। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো চাইছে গণভোট নভেম্বরের মধ্যেই, বা অন্তত জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হোক। এনসিপি গণভোটের তারিখ নিয়ে কোনো বিশেষ পছন্দ ব্যক্ত করেনি।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, গণভোটের তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাতে রয়েছে। তিনি নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তাদের ভূমিকা শুধু সহায়তা করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নেওয়া হবে।
-রফিক
ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব
তৃতীয় ধাপের হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। রোববার (২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সচিব জানান, বর্তমানে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭২ জন; এছাড়াও হিজড়া ভোটারের সংখ্যা হলো ১ হাজার ২৩০ জন।
তিনি বলেন, এই ভোটার তালিকা দিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদের এই ধাপে নতুন ভোটার হিসেবে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন যুক্ত হয়েছেন।
ইসি সচিব আরও বলেন, দাবি-আপত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে; তবে দাবি-আপত্তি শুধু এই নতুন যুক্ত হওয়া ভোটারদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তিনি উল্লেখ করেন, চলতি মাসের ১৮ তারিখ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
জর্ডানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়াল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’ সম্প্রতি ‘দ্য মুসলিম ৫০০: ৫০০ ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস ২০২৬’ শীর্ষক তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্থান পেয়েছেন। তিনি তালিকায় ৫০তম স্থানে আছেন এবং তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৬ সালের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত মুফতি ও ইসলামি স্কলার শেখ মুহাম্মদ তাকি উসমানি, এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইয়েমেনি সুফি আলেম শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজ।
শীর্ষ দশে আরও যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন:৪র্থ—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি,৫ম—জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে আল-হুসেইন,৬ষ্ঠ—আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শেখ ড. আহমদ মুহাম্মদ আল-তায়্যিব,৭ম—তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান,৮ম—সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল-আজিজ আল-সৌদ,৯ম—সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান,১০ম—মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—ইরাকের আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী হুসেইন আল-সিস্তানি, সৌদি স্কলার শেখ সালমান আল-আওদা, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো, ভারতের মাওলানা মাহমুদ মাদানী, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামি নেতা শেখ হামজা ইউসুফ হ্যানসন, পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামীল, মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ, তালিবান নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং মালয়েশিয়ার দার্শনিক সৈয়দ মুহাম্মদ নাকীব আল-আত্তাস।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা মোট বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। মুসলিমরা বিশ্বের ৫৬টি দেশে বাস করে, এবং এদের প্রায় ২০% এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সমাজসেবা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও মিডিয়া খাতে প্রভাবশালী মুসলিমদের এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এটি বিশ্বের মুসলিম সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও অবস্থান নির্ধারণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।
এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা
ভোক্তাদের জন্য নভেম্বর মাসে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (BERC) রোববার জানিয়েছে, প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১,২৪১ টাকা থেকে ২৬ টাকা কমিয়ে ১,২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
সাথে অটোগ্যাসের দামও হ্রাস করা হয়েছে। পূর্বের ৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা।
এর আগে, অক্টোবর মাসে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা কমানো হয়েছিল এবং সেসময় দাম নির্ধারিত হয়েছিল ১,২৪১ টাকা। সেই সময় অটোগ্যাসের দামও হ্রাস পেয়ে ১ টাকা ৩৮ পয়সা কমে ৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা হয়েছিল।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বাজার পরিস্থিতি, তেলের আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওঠাপড়া এবং জ্বালানি সরবরাহের ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে ভোক্তাপর্যায় গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জ্বালানির দাম সামান্য কমায় ভোক্তাদের জন্য এ হ্রাস কার্যকর করা হলো।
এই হ্রাস নতুন দাম প্রয়োগের পর সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কিছুটা স্বস্তি অনুভব করতে পারবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের উত্থান-পতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- ৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত
- আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের আসন ঘোষণা করল বিএনপি
- খালেদা জিয়ার আসন ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল
- ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করল বিএনপি
- সুদানে রক্তপাত বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি তুরস্কের এরদোয়ানের জরুরি আহ্বান
- ‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
- রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান
- হালকা গ্যাস্ট্রিকও হতে পারে মারাত্মক ক্যানসারের ইঙ্গিত: প্রাথমিক উপসর্গ চিনুন ও সতর্ক হন
- বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন উদ্যোগ: প্রতি টন ৩০২ ডলারে মার্কিন গম
- ডিএসই ৩০ শেয়ার সূচক: আজ শেয়ারবাজারে ওঠাপড়ার বিশ্লেষণ
- যে শেয়ারের লেনদেন রেকর্ড ডেটের পর পুনরায় শুরু
- ০৪ ও ০৫ নভেম্বর লেনদেন স্থগিত যে শেয়ারের
- নগদ লভ্যাংশ নিয়ে আজকের বড় সিদ্ধান্ত
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন
- নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
- ডিএসইতে আজ অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন ভেতরে
- ডিএসইতে আজ অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন ভেতরে
- নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার আদালতে মামলা
- সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এবার ভোট দিতে পারবেন কারাবন্দী ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ কর্মীও
- গাজা শান্তি উদ্যোগে মুসলিম ঐক্যের ডাক, ইস্তাম্বুলে ছয় দেশের বৈঠক
- জুলাই সনদের আদেশ জারিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নতুন গণমিছিল
- বন্ড মার্কেটে নীরবতা, মাত্র পাঁচ ইস্যুতে লেনদেন কার্যক্রম
- এনসিপি’র সংসদে যাওয়া নির্ভর করবে বিএনপির ওপর: নুরু
- ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- সেই কালামের পরিবারকে দেওয়া অর্থ নিয়ে যা বলল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
- গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দিলো সরকার
- উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আসিফ নজরুলের ব্রিফিং
- তালেবান ও আইএসআই: সীমান্ত থেকে কাবুল পর্যন্ত ইতিহাসের প্রথম সংযোগ
- তওবার সঠিক প্রক্রিয়া: আল্লাহর কাছে ফিরে আসার ৫টি শর্ত
- জেনারেশন জেড থেকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ
- জোহরান মামদানির প্রকাশ্যে আরবিতে ভোটের আবেদন
- ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়
- চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় নারী ক্রিকেটারদের পুরস্কারে বাজিমাত
- মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা! ভারতের রপ্তানি কেন হঠাৎ কমল?
- জানুন দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রভাব
- অর্জুন কাপুরের পরে মালাইকার নতুন প্রেম, ভাইরাল ভিডিও
- নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- TILIL-এর ২০২৫ সালের Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ইন্টারন্যাশনাল স্পেশালাইজড নিট লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পাবনায় মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা খুন, তিন এসআই আহত
- ঢাকা আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ
- জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি
- গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখল ইসরায়েল
- খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা








