নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার আদালতে মামলা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৫:৫৮:৩৯
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার আদালতে মামলা
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী মুকিতুজ্জামান সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর এই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) ন্যস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান জুয়েল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের মূল বক্তব্য

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে শহীদ শামসুল আলম সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নকে উদ্দেশ্য করে একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এজাহারে বলা হয়, সেই অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "জুলাই সনদ নিয়ে একটি বড়দল গুণ্ডামি করছে। ঢাকা মহানগরের একজন নেতা আছে, নয়ন। ও একা যে পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছে এবং দুর্নীতি করেছে, এ টাকা দিয়েও বাংলাদেশে একটি গণভোট সম্ভব। আমরা ওনাদের এতদিন জমজমের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি। ওনাদের মাথা ক্লিন হয় নাই, বডিও ক্লিন হয় নাই। এখন আমার মনে হয় ওনাদের বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।"

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এই বক্তব্যটি পরবর্তীতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল এবং ইউটিউব চ্যানেলের ফেসবুক পাতায় প্রচারিত হয়।নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর দেওয়া এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি এবং যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

বিএনপি ও যুবসমাজের সম্মান ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ

মামলার বাদী কাজী মুকিতুজ্জামান, যিনি নিজেও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, এজাহারে উল্লেখ করেন যে রবিউল ইসলাম নয়ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে এভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে কুৎসা রটনা, মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করায় শুধুমাত্র নয়ন নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং যুবদল তথা গোটা যুবসমাজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং তারা রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এই বক্তব্যের কারণে বাদী হিসেবে তার নিজেরও মারাত্মকভাবে সম্মানহানী ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মামলায় আরও বলা হয়েছে যে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একজন আইন অমান্যকারী ও কুৎসা রটনাকারী। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্ব প্রদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ণ ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতিবাদ

প্রসঙ্গত, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর এই মানহানিকর বক্তব্যের পরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। গত শনিবার যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। এছাড়া, এই বক্তব্যের জেরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রবিউল ইসলাম নয়ন নিজেই জানিয়েছিলেন যে খুব শিগগিরই তিনি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতেই সোমবার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হলো।


জুলাই সনদের আদেশ জারিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নতুন গণমিছিল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:৩৭:২৭
জুলাই সনদের আদেশ জারিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নতুন গণমিছিল
ছবি: জাগো নিউজ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

মামুনুল হক জানান, পাঁচ দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার লক্ষ্যে আটটি দলের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন তারা আন্দোলনরত সব দল গণমিছিল নিয়ে রাজধানীর পল্টন মোড়ে একত্রিত হবেন।

পরবর্তী কর্মসূচি মামুনুল হক আল্টিমেটাম দিয়ে জানান, ৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তারা ১১ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবেন।

তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে নতুন তিনটি দাবি সংযুক্ত করা হয়েছে। এই দাবিগুলো হলো:

১. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে।

২.জাতীয় নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করতে হবে।

৩.সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বহাল রাখতে হবে।


এনসিপি’র সংসদে যাওয়া নির্ভর করবে বিএনপির ওপর: নুরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:২৬:২৫
এনসিপি’র সংসদে যাওয়া নির্ভর করবে বিএনপির ওপর: নুরু
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংসদে যাওয়ার বিষয়টি বিএনপির ওপর নির্ভর করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, এনসিপির অনেক ক্ষেত্রে এমপি হওয়া এবং সংসদে যাওয়াটা বিএনপির ওপর ডিপেন্ড করবে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, এনসিপির নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসম্মানজনক, তীর্যক মন্তব্য ও খুবই অরুচিকর কথাবার্তা বলার কারণে ইতিমধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলছে, জানি না শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে তাদের কী সমঝোতা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে এনসিপি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করার জন্য বিভিন্ন নেতার বাসায় যায় এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক মেনটেইন করে। আবার অন্যদিকে গণমাধ্যমে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। তিনি মনে করেন, এটা খুব একটা বিভ্রান্তিকর অবস্থা।

জোট গঠন প্রসঙ্গে নুর বলেন, প্রকৃত অর্থে নির্বাচনী কোনো জোটের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের কোনো আলাপ-আলোচনা ছিল না বা হয়নি। মাঝখানে তারা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বসতেন সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা নিয়ে।

তিনি জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, তফসিল ডিসেম্বরই এবং গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই সঙ্গে হবে। তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত কথা নয়, বরং সব দলেরই একটা মতামত। সুতরাং এইগুলো নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।


নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১১:২৪:৪৩
নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকারের কাছে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে, যাতে নির্বাচনে জোটবদ্ধ হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে একটি নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হয়। এই অনুরোধ এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন আইনের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে করেছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলাকালে বিএনপিকে দেওয়া আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এনসিপি মনে করিয়ে দিয়েছে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন, বরং রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা। নির্বাচনী আইন সংশোধনের বিষয়ে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়াকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি হিসেবে দেখা হয়।

আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত কোনো এক ব্যক্তির নয়; এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। যদি সরকার বা এর উপদেষ্টা কোনো রাজনৈতিক দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেন, তা সরকারের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বর্তমান অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।

এনসিপি সদস্যসচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন একটি নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত মুক্তি পায়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মূল অর্থ এবং নিয়মের মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করলেও নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করলে আইনি বৈপর্যয় সৃষ্টি হয় এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে ভোটাররা ভোট দেন, সেই দল নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু একাধিক নিবন্ধিত দল যখন বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটারদের পক্ষে নির্দিষ্ট দলের নীতি, নেতৃত্ব বা দর্শন বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায় এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এনসিপি এই প্রক্রিয়াকে কৃত্রিম বহুদলীয়তা তৈরি এবং বড় দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছে। বড় দলগুলো স্বার্থান্বেষীভাবে ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়, পরবর্তীতে সেই দলগুলো সংসদ বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত প্রদর্শন করে, যা বাস্তবে বড় দলের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি মাত্র। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পর নীতিনির্ধারণে কৃত্রিম বহুমতের সৃষ্টি হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির একমত, যে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে।

-রাফসান


খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১০:৩১:৩৬
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংলগ্ন কুয়েট আইটি গেট এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে রোববার রাত প্রায় ১০টার দিকে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।

হামলার ঘটনায় ইমদাদুল ইসলাম (৪০) নামের একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন; তাদের মধ্যে রয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) এবং মিজানুর রহমান (৩৮)। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত অনুযায়ী, রাতের ঘটনায় মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে এসে প্রথমে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে, এরপর চার রাউন্ড গুলি চালায়।

এই হামলার ফলে কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ইমদাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। হামলার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

খান জাহান আলী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি অ-বিস্ফোরিত বোমা এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও থানার কর্মকর্তা বলছেন, হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

হামলার পর কুয়েট রোড এবং আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

খান জাহান আলী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিএনপি এবং এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং হামলার কারণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

-রফিক


বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ০৯:৩৩:৫১
বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনের আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দলীয় সূত্রের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বিএনপি প্রাথমিকভাবে শতাধিক আসনের আংশিক এমপি প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করতে পারে। পরবর্তীতে অন্যান্য আসনের প্রার্থী তালিকাও ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি দেশের তিনশ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেছেন আলোচনায়।

দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘোষিত শতাধিক আসনের প্রার্থীদের পার্লামেন্টারি বোর্ডের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এই পরীক্ষায় সফল হলে তারাই চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য সুপারিশ পাবেন। এই পদক্ষেপকে দলের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ মনোনয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে প্রার্থীর যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সর্বাধিক গুরুত্ব পায়।

-রাফসান


“যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাই মেনে নিন”— ঐক্যের বার্তা তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ০৮:৪৫:৩২
“যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাই মেনে নিন”— ঐক্যের বার্তা তারেক রহমানের
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, ৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা এখন কার্যত চূড়ান্ত, এবং খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই তালিকা ঘোষণা করা হবে।

রবিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত একটি বিশেষ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি দলীয় মনোনয়ন, অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও নির্বাচনী কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা আমরা প্রায় চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয় বাকি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, যাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাঁদের সিদ্ধান্ত দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে নিতে হবে। ব্যক্তিগত অভিমান বা প্রতিযোগিতা যেন ঐক্য নষ্ট না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তারেকের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় যে, বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবার আগের তুলনায় বেশি কৌশলগত ও বিশ্লেষণনির্ভর। তিনি বলেন, “যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তাঁরা সবাই একই উদ্দেশ্যে কাজ করছেন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য।”

তারেক রহমান স্পষ্ট করে সতর্ক করেন, দলীয় বিভক্তি বা ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা যেন দলের ক্ষতির কারণ না হয়। তিনি বলেন, “দলের ভেতরে বিভক্তি বা রেষারেষি তৈরি হলে প্রতিপক্ষ সেই সুযোগ ব্যবহার করবে। ব্যক্তিগত উচ্চাশাকে দলীয় স্বার্থের নিচে রাখতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “গোপনে স্বৈরাচারী শক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। আপনি যদি নিজেদের মধ্যে বিভক্ত থাকেন, তারা সেই ফাঁকফোকর কাজে লাগাবে।” এই বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল যে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ ঐক্যই নির্বাচনের অন্যতম প্রধান শক্তি হবে।

তারেক রহমান দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষক ও মাদার অব ডেমোক্রেসির প্রতি অসম্মানজনক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এমন কিছু করবেন না যাতে সাধারণ সমর্থকরা বিব্রত হয়।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দলের ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তারেক রহমান কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, মাঠপর্যায়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে হবে এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, “ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়বো মিলে মিশে এই বার্তাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন।”

তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি তাদের প্রচারণায় গণসংযোগ, সংগঠন শক্তি এবং জনমুখী ইমেজকেই মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।

তারেক রহমান বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি ঠিক থাকবে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু অপশক্তি সুযোগ নিতে চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশে বিভ্রান্তিকর তথ্য, অপপ্রচার ও সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনী তৎপরতা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।

তারেক রহমান বলেন, “কৌশল ও অপকৌশলের পার্থক্য বুঝতে না পারলে ভুল সিদ্ধান্ত দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে বিবেচনাপ্রসূত ও দূরদর্শী।”

তিনি ইঙ্গিত দেন, বিএনপি এবার সরল আবেগ নয়, বরং সুপরিকল্পিত ও বুদ্ধিনির্ভর কৌশলে নির্বাচনে এগোতে চায়, যেখানে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট দুটিই বিবেচনায় থাকবে।

-রাফসান


 বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২১:৩৭:৫৩
 বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান / ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র বিএনপির পরাজয় ঠেকাতে গিয়েই পতিত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিগত ১৫ বছর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। তবে উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) গুলশানের লেকশোর হোটেলে বিএনপির প্রবাসী সদস্যদের জন্য অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঐক্য ও সমর্থন তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী প্রত্যেক মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপিকে কোনোভাবেই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

নির্বাচনী সংশয় তিনি বলেন, পতিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে জনগণের নির্বাচনের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে কোনো কোনো সময় জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে—যথাসময় কি নির্বাচন হবে? তিনি মনে করেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে গণমনে সৃষ্ট সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে।

সহযোগিতা ও বাধা তিনি জানান, বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও সহযোগিতা করে আসছে। অথচ একের পর এক নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপন্ন করে তোলা হচ্ছে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী অথবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।

ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীদেরও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাস্তবতার কারণে কিছু কিছু আসনে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।

ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে সবাইকে মেনে নিতে হবে।

গুপ্ত স্বৈরাচার তারেক রহমান নেতাকর্মীদের আবারও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচারেরা ওত পেতে রয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোনো বিবাদ-বিরোধ না রাখতে অনুরোধ করে তিনি জানান, এসবের কারণে প্রতিপক্ষ যেন কোনো সুযোগ নিতে না পারে।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবসময় বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। কিন্তু বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা অধিকাংশ সময় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি একটি বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।


আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২০:২৬:৫৫
আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। একই সঙ্গে এ দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়েছে দলটি।

রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠিটি আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

চিঠিতে এনসিপি বলেছে, সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন সংক্রান্ত আলোচনায় একটি রাজনৈতিক দলকে আইন উপদেষ্টার 'ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে'। এনসিপি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে; একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা; কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।

এনসিপি মনে করে; নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী। এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়; তা প্রশাসনের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

চিঠিতে এনসিপি তিনটি যুক্তি তুলে ধরে জানিয়েছে যে; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।

প্রথমত, এনসিপি মনে করে; নিবন্ধিত দল যদি অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তবে তারা নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে অব্যাহতি পায় এবং আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, এটি গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি—অর্থাৎ রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি ভেঙে দেয়। কারণ যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তখন ভোটারের কাছে রাজনৈতিক দর্শন অস্পষ্ট হয়ে পড়ে এবং ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। এর ফলে বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট 'প্রক্সি দল' তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়।

এনসিপি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে; তারা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাদের দাবি হলো; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন যে; কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। যদি কোনো জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়ন করতে হয়; তবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে ইসির কাছে নিবন্ধন করতে হবে।

এই সংশোধন প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে; কারণ এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন চিঠিতে উল্লিখিত এই দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছেন।


আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২০:২৬:৫৫
আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। একই সঙ্গে এ দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়েছে দলটি।

রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠিটি আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

চিঠিতে এনসিপি বলেছে, সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন সংক্রান্ত আলোচনায় একটি রাজনৈতিক দলকে আইন উপদেষ্টার 'ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে'। এনসিপি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে; একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা; কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।

এনসিপি মনে করে; নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী। এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়; তা প্রশাসনের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

চিঠিতে এনসিপি তিনটি যুক্তি তুলে ধরে জানিয়েছে যে; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।

প্রথমত, এনসিপি মনে করে; নিবন্ধিত দল যদি অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তবে তারা নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে অব্যাহতি পায় এবং আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, এটি গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি—অর্থাৎ রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি ভেঙে দেয়। কারণ যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তখন ভোটারের কাছে রাজনৈতিক দর্শন অস্পষ্ট হয়ে পড়ে এবং ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। এর ফলে বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট 'প্রক্সি দল' তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়।

এনসিপি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে; তারা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাদের দাবি হলো; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন যে; কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। যদি কোনো জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়ন করতে হয়; তবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে ইসির কাছে নিবন্ধন করতে হবে।

এই সংশোধন প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে; কারণ এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন চিঠিতে উল্লিখিত এই দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত