খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংলগ্ন কুয়েট আইটি গেট এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে রোববার রাত প্রায় ১০টার দিকে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।
হামলার ঘটনায় ইমদাদুল ইসলাম (৪০) নামের একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন; তাদের মধ্যে রয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) এবং মিজানুর রহমান (৩৮)। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের বরাত অনুযায়ী, রাতের ঘটনায় মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে এসে প্রথমে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে, এরপর চার রাউন্ড গুলি চালায়।
এই হামলার ফলে কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ইমদাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। হামলার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খান জাহান আলী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি অ-বিস্ফোরিত বোমা এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও থানার কর্মকর্তা বলছেন, হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হামলার পর কুয়েট রোড এবং আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
খান জাহান আলী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিএনপি এবং এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং হামলার কারণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
-রফিক
বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনের আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় সূত্রের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বিএনপি প্রাথমিকভাবে শতাধিক আসনের আংশিক এমপি প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করতে পারে। পরবর্তীতে অন্যান্য আসনের প্রার্থী তালিকাও ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি দেশের তিনশ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেছেন আলোচনায়।
দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘোষিত শতাধিক আসনের প্রার্থীদের পার্লামেন্টারি বোর্ডের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এই পরীক্ষায় সফল হলে তারাই চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য সুপারিশ পাবেন। এই পদক্ষেপকে দলের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ মনোনয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে প্রার্থীর যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সর্বাধিক গুরুত্ব পায়।
-রাফসান
“যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাই মেনে নিন”— ঐক্যের বার্তা তারেক রহমানের
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, ৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা এখন কার্যত চূড়ান্ত, এবং খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই তালিকা ঘোষণা করা হবে।
রবিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত একটি বিশেষ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি দলীয় মনোনয়ন, অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও নির্বাচনী কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, “৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা আমরা প্রায় চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয় বাকি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, যাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাঁদের সিদ্ধান্ত দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে নিতে হবে। ব্যক্তিগত অভিমান বা প্রতিযোগিতা যেন ঐক্য নষ্ট না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তারেকের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় যে, বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবার আগের তুলনায় বেশি কৌশলগত ও বিশ্লেষণনির্ভর। তিনি বলেন, “যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তাঁরা সবাই একই উদ্দেশ্যে কাজ করছেন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য।”
তারেক রহমান স্পষ্ট করে সতর্ক করেন, দলীয় বিভক্তি বা ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা যেন দলের ক্ষতির কারণ না হয়। তিনি বলেন, “দলের ভেতরে বিভক্তি বা রেষারেষি তৈরি হলে প্রতিপক্ষ সেই সুযোগ ব্যবহার করবে। ব্যক্তিগত উচ্চাশাকে দলীয় স্বার্থের নিচে রাখতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গোপনে স্বৈরাচারী শক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। আপনি যদি নিজেদের মধ্যে বিভক্ত থাকেন, তারা সেই ফাঁকফোকর কাজে লাগাবে।” এই বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল যে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ ঐক্যই নির্বাচনের অন্যতম প্রধান শক্তি হবে।
তারেক রহমান দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষক ও মাদার অব ডেমোক্রেসির প্রতি অসম্মানজনক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এমন কিছু করবেন না যাতে সাধারণ সমর্থকরা বিব্রত হয়।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দলের ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তারেক রহমান কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, মাঠপর্যায়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে হবে এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, “ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়বো মিলে মিশে এই বার্তাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন।”
তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি তাদের প্রচারণায় গণসংযোগ, সংগঠন শক্তি এবং জনমুখী ইমেজকেই মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
তারেক রহমান বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি ঠিক থাকবে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু অপশক্তি সুযোগ নিতে চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশে বিভ্রান্তিকর তথ্য, অপপ্রচার ও সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনী তৎপরতা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।
তারেক রহমান বলেন, “কৌশল ও অপকৌশলের পার্থক্য বুঝতে না পারলে ভুল সিদ্ধান্ত দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে বিবেচনাপ্রসূত ও দূরদর্শী।”
তিনি ইঙ্গিত দেন, বিএনপি এবার সরল আবেগ নয়, বরং সুপরিকল্পিত ও বুদ্ধিনির্ভর কৌশলে নির্বাচনে এগোতে চায়, যেখানে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট দুটিই বিবেচনায় থাকবে।
-রাফসান
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র বিএনপির পরাজয় ঠেকাতে গিয়েই পতিত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিগত ১৫ বছর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। তবে উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) গুলশানের লেকশোর হোটেলে বিএনপির প্রবাসী সদস্যদের জন্য অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐক্য ও সমর্থন তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী প্রত্যেক মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপিকে কোনোভাবেই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
নির্বাচনী সংশয় তিনি বলেন, পতিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে জনগণের নির্বাচনের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে কোনো কোনো সময় জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে—যথাসময় কি নির্বাচন হবে? তিনি মনে করেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে গণমনে সৃষ্ট সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে।
সহযোগিতা ও বাধা তিনি জানান, বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও সহযোগিতা করে আসছে। অথচ একের পর এক নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপন্ন করে তোলা হচ্ছে।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী অথবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।
ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীদেরও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাস্তবতার কারণে কিছু কিছু আসনে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে সবাইকে মেনে নিতে হবে।
গুপ্ত স্বৈরাচার তারেক রহমান নেতাকর্মীদের আবারও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচারেরা ওত পেতে রয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোনো বিবাদ-বিরোধ না রাখতে অনুরোধ করে তিনি জানান, এসবের কারণে প্রতিপক্ষ যেন কোনো সুযোগ নিতে না পারে।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবসময় বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। কিন্তু বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা অধিকাংশ সময় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি একটি বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। একই সঙ্গে এ দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়েছে দলটি।
রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠিটি আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে এনসিপি বলেছে, সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন সংক্রান্ত আলোচনায় একটি রাজনৈতিক দলকে আইন উপদেষ্টার 'ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে'। এনসিপি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে; একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা; কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।
এনসিপি মনে করে; নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী। এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়; তা প্রশাসনের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
চিঠিতে এনসিপি তিনটি যুক্তি তুলে ধরে জানিয়েছে যে; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।
প্রথমত, এনসিপি মনে করে; নিবন্ধিত দল যদি অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তবে তারা নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে অব্যাহতি পায় এবং আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, এটি গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি—অর্থাৎ রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি ভেঙে দেয়। কারণ যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তখন ভোটারের কাছে রাজনৈতিক দর্শন অস্পষ্ট হয়ে পড়ে এবং ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। এর ফলে বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট 'প্রক্সি দল' তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়।
এনসিপি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে; তারা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাদের দাবি হলো; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন যে; কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। যদি কোনো জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়ন করতে হয়; তবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে ইসির কাছে নিবন্ধন করতে হবে।
এই সংশোধন প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে; কারণ এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন চিঠিতে উল্লিখিত এই দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। একই সঙ্গে এ দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়েছে দলটি।
রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠিটি আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে এনসিপি বলেছে, সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন সংক্রান্ত আলোচনায় একটি রাজনৈতিক দলকে আইন উপদেষ্টার 'ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে'। এনসিপি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে; একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা; কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।
এনসিপি মনে করে; নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী। এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়; তা প্রশাসনের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
চিঠিতে এনসিপি তিনটি যুক্তি তুলে ধরে জানিয়েছে যে; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।
প্রথমত, এনসিপি মনে করে; নিবন্ধিত দল যদি অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তবে তারা নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে অব্যাহতি পায় এবং আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, এটি গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি—অর্থাৎ রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি ভেঙে দেয়। কারণ যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে; তখন ভোটারের কাছে রাজনৈতিক দর্শন অস্পষ্ট হয়ে পড়ে এবং ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। এর ফলে বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট 'প্রক্সি দল' তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়।
এনসিপি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে; তারা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাদের দাবি হলো; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন যে; কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। যদি কোনো জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়ন করতে হয়; তবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে ইসির কাছে নিবন্ধন করতে হবে।
এই সংশোধন প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে; কারণ এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন চিঠিতে উল্লিখিত এই দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে নির্বাচন নয় জামায়াত নেতার কঠোর বার্তা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়; বরং সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিএনপিকে নিশানা করে বলেন, জুলাই সনদ পড়ে ও বুঝেই সব দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছে; এখন তারা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, "শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অংক কখনো দামি হতে পারে না।"
তিনি বিএনপির গণভোট একই দিনে আয়োজন করার দাবির সমালোচনা করে বলেন; গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয়; একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীর রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা (গণভোটের সম্ভাব্য খরচ) বেশি দামি। তিনি শহীদদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরে গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধিতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে; কারণ এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক নেতা বারবার ক্ষমতা চান না উল্লেখ করে বলেন, যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সেখানে বিএনপির আপত্তির উদ্দেশ্য জাতি বোঝে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন; সুতরাং আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন।" তিনি বলেন, সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।
সেমিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলা
শেখ হাসিনার পরিচিত ব্যক্তি ও তার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম, “পানি জাহাঙ্গীর” নামে পরিচিত, এর বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতের দিকে নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ার পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় চাটখিল থানায় পুলিশের পরিদর্শক মেহেদী হাসানের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তিনি প্রথমে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে চাকরি শুরু করেন এবং ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের গঠনের পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকরি পান।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর আলম ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি স্থাপন করেন এবং বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা শুরু করেন। তবে এই ব্যবসার আড়ালে তিনি এবং তার পরিবার বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন চালান।
২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা করা হয়েছে এবং এই অর্থের বৈধ উৎস শনাক্ত করা যায়নি।
সিআইডির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার এবং ভাই মনির হোসেনের সহযোগিতায় দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত ছিলেন। ২০২৪ সালের জুনে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে যে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে সিআইডির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
-শরিফুল
ধানের শীষ-শাপলা কলি: ত্রয়োদশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকধারী দল এবং শাপলা কলি প্রতীকধারী দলের মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিবাদে জড়িত ছিল। তবে সম্প্রতি এনসিপি ‘শাপলা কলি’ প্রতীকের বিষয়ে সম্মতি পেয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, দলটি নির্বাচনী চিঠিতে তিনটি বিকল্প প্রতীক শাপলা, সাদা শাপলা এবং শাপলা কলি চেয়েছিল। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন শাপলা কলি অনুমোদন দিলে এনসিপি তা ব্যবহার করবে।
আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও গডফাদার রাজনীতি থেকে সরে আসে, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারি।”
এসময় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও উল্লেখ করেন, গণভোটের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে, তা নির্বাচনের দিনই হোক বা তার আগে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণভোট যাতে সকলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটি দলের প্রধান দাবি।
-রাফসান
পানিতে ডুবে মরা ভালো' চুপ্পুর হাতে জুলাই সনদ গ্রহণের চেয়ে: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ঢাকার পর দ্বীপ জেলা ভোলায় জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন; এখন 'চুপ্পুর' হাত থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয়, তাহলে শহীদ ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারের কাছে তা হবে চরম অপমানের। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এরচেয়ে পানিতে ডুবে মরা ভালো।"
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভোলা জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো—যারা জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখার কথা বলে; তারাই আজ 'চুপ্পুর' কাছে 'বায়াত' নিয়ে সেই সনদ নিতে চাইছে। তিনি 'চুপ্পু'কে 'ফ্যাসিবাদের সুপ্রিম লিডার' হিসেবে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, তার কাছ থেকে 'বায়াত' নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা এক ধরনের প্রতারণা।
এনসিপি নেতা আরও বলেন, জুলাই সনদের বৈধতা একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূসের; গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়ার কারণে তার নির্দেশেই সনদ প্রদান হতে হবে। তিনি মনে করেন, কোনো প্রজ্ঞাপন বা অস্থায়ী নির্দেশ নয়; সরকারের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের মতো জুলাই সনদের ক্ষেত্রেও সরকারের বৈধ ম্যান্ডেট রয়েছে; নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারিই হতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা বলে জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই; তারা কাল হয়তো বলবে ২৪ আন্দোলনেরও প্রয়োজন নেই।
এসময় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে পেশী-শক্তির ব্যবহার মারাত্মক সংকেত; আমরা আশা করি পার্থ ভেবে দেখবেন এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন।
সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ এনসিপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পাঠকের মতামত:
- খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- আজ জরুরি বৈঠক, কি হবে জুলাই সনদ গণভোটের ফলাফল
- আজকের আবহাওয়ার খবর
- বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ যেসব এলাকায়
- জানুন আজ কোথায় কোন মার্কেট বন্ধ
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ‘নতুন কুঁড়ি’-তে ফিরলেন আসিফ আকবর
- আলুর দাম ২৬ টাকা থেকে নেমে ৮ টাকায়, দিশেহারা ৬০ হাজার চাষি
- “যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাই মেনে নিন”— ঐক্যের বার্তা তারেক রহমানের
- ‘খাবারোভস্ক’ উন্মোচন: রাশিয়ার পানির নিচে নতুন প্রলয়াস্ত্রের যুগ শুরু
- ০৩ নভেম্বর: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে: তারেক রহমান
- ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে
- উচ্চকক্ষ আর নিম্ন কক্ষের ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে: ফুয়াদ
- বিদেশি ‘সরকার পরিবর্তন বা জাতি গঠনের’ মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড
- আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
- আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব
- ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ধৈর্য নবীজি (সাঃ) এর হাদিস ও কোরআনের আলোকে গুরুত্ব
- উত্তর বাড্ডার এক বাসা থেকে নারী-পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে নির্বাচন নয় জামায়াত নেতার কঠোর বার্তা
- পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলা
- ধানের শীষ-শাপলা কলি: ত্রয়োদশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
- এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা
- বেসরকারি ব্যাংক ঘিরে প্রবাসী রেমিট্যান্সের মূল প্রবাহ
- শরীয়তপুরে আবারও দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ইসরায়েলের হামলা ও সীমিত হিউম্যানিটেরিয়ান সাহায্য: গাজা-লেবাননে নতুন উত্তেজনা
- ‘আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে রেখেছি’: আশারাতুল মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত প্রথম খলিফার গল্প
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সমস্যাসমূহ: থেরাপি, ওষুধ ও মানসিক রোগ নির্ণয়ের “অযাচিত ক্ষতি”
- স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ
- পানিতে ডুবে মরা ভালো' চুপ্পুর হাতে জুলাই সনদ গ্রহণের চেয়ে: হাসনাত
- ‘গণভোট নিয়ে তর্ক বন্ধ করুন’- বিএনপি–জামায়াতকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
- ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
- প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
- ক্যান্সার কি আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে প্রাথমিক অবস্থায় দেখা যাওয়া ৫টি লক্ষণ
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
- প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
- বার্সেলোনার তারকা ইয়ামালের প্রেম ভেঙেছে, বাবা দিলেন বিয়ের ঘোষণা
- ৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
- গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
- শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা








