মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ তুর্কি প্রেসিডেন্টের

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে প্রকাশ্যে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মিশরের শারম এল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে এক অনানুষ্ঠানিক কথোপকথনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট মেলোনিকে এই পরামর্শ দেন।
অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে মিশরে আয়োজিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’-এর ফাঁকে এই আলোচনা হয়।
ইহলাস নিউজ এজেন্সি (তুর্কি সংবাদ সংস্থা) সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, এরদোয়ান মেলোনির উদ্দেশে বলছেন:
“আমি আপনাকে বিমান থেকে নেমে আসতে দেখেছি। আপনাকে দারুণ লাগছে। কিন্তু আপনার ধূমপান বন্ধ করাতে হবে।”
তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরদোয়ানের কথা শুনে তিনি হেসে উঠে বলেন, “এটা অসম্ভব!”
এ সময় মেলোনি জবাব দেন, “ধূমপান ছাড়লে আমি কম সামাজিক হয়ে যেতে পারি। আমি জানি, আমি জানি। আমি কাউকে হত্যা করতে চাই না।”
মেলোনি এর আগে একটি বইয়ে স্বীকার করেছিলেন যে, ধূমপান তাকে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করেছে।
‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি বন্দিরা। আব্দুল্লাহ আবু রাফে তার মুক্তিকে ‘দুর্দান্ত অনুভূতি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও বলেন, “আমরা ছিলাম কসাইখানায়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটির নাম ছিল ওফার কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দি।”
আরেক মুক্ত বন্দি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরায়েলি জেলখানার পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছেন ‘অত্যন্ত, অত্যন্ত খারাপ’ হিসেবে।
কারাগারে দুর্ভোগ
মুক্ত হওয়া বন্দিরা কারাগারের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেন:
খাদ্য ও বঞ্চনা: ইয়াসিন আবু আমরা বলেন, “খাবার, নির্যাতন আর মারধর—সবকিছুই ছিল ভয়াবহ। সেখানে না খাবার ছিল, না পানি। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলোই খেয়েছি।”
কঠিন অবস্থা: আব্দুল্লাহ আবু রাফে বলেন, ইসরায়েলি কারাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত কঠিন। সেখানে কোনো বিছানা নেই, খাবারের অবস্থাও ভয়াবহ। সবকিছুই সেখানে কষ্টকর।
সোমবার মুক্তিপ্রাপ্ত আরেক বন্দি সাঈদ শুবাইর জানান, তিনি নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, “শিকলবিহীন সূর্যের আলো দেখা এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।”
মুক্তির চিত্র
ইসরায়েল সম্প্রতি প্রায় ২৫০ জন আজীবন ও দীর্ঘমেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দি এবং আরও প্রায় ১ হাজার ৭১৮ জন গাজা যুদ্ধ থেকে আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। এই দ্বিতীয় দলটিকে জাতিসংঘ ‘বলপূর্বক নিখোঁজ’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৭০০ বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনে আনন্দ
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েল কারাগার থেকে মোট ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
দুই ব্যাচে বন্দি মুক্তি
এই কারাবন্দিদের দুটি ব্যাচে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রথম ব্যাচ (পশ্চিম তীর): প্রথম ব্যাচে প্রায় ২ হাজার বন্দি ছিলেন। তারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগার থেকে মুক্তি পান। এই বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছায়।
দ্বিতীয় ব্যাচ (গাজা): প্রথম ব্যাচ পশ্চিম তীরে পৌঁছানোর কাছাকাছি সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার খান ইউনিস শহরে এসে পৌঁছান দ্বিতীয় ব্যাচের ১ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি। তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের নাগেভ কারাগারে ছিলেন।
বন্দিদের পরিচয়
ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারা দপ্তরের বিবৃতিতে নাগেভ-এর কারাবন্দিদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সেখান থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৭১৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হলো। এই কয়েদিদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
গাজায় যেসব কারাবন্দি পৌঁছেছেন, তাদের সবাইকে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা করেছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসার মেডিকেল কমপ্লেক্স। এই বন্দিদের পরিবহনের জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) বাস সরবরাহ করে।
কারাবন্দিদের স্বাগত জানাতে পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া ও গাজার খান ইউনিসে শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন।
পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
টিএলপি’র মিছিলে সংঘর্ষ
কট্টরপন্থি ইসলামী দল তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) ডাকা এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। নিহত পাঁচজনের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, তিনজন বিক্ষোভকারী এবং একজন পথচারী রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দেশটির ব্যস্ততম মহাসড়ক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডে এই সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অভিযান চালালে টিএলপি কর্মীরা গুলি চালায়। এ সময় তারা ৪০টিরও বেশি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ডজনখানেক মানুষ আহত হন।
নেতাদের গুলিবিদ্ধের অভিযোগ
টিএলপি’র ডাকা এই ইসরায়েলবিরোধী মার্চ বিক্ষোভ শুক্রবার লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে শুরু হয়। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মিছিলের পথেই একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, টিএলপির দাবি, পুলিশ প্রথমে গুলি চালিয়েছে। এতে তাদের নেতা সা’দ রিজভি গুলিবিদ্ধ হন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিজভি তিনটি গুলিবিদ্ধ হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
সা’দ রিজভি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “আমাদের মিছিলের উদ্দেশ্য ছিল কেবল ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানানো। আমরা ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে এগিয়ে যাচ্ছি।”
সংঘর্ষের পর ইসলামাবাদের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সংঘর্ষ নিয়ে প্রাদেশিক সরকারের কোনো মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিনজন বিজ্ঞানী—জোয়েল মোকিয়র, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই তিন অর্থনীতিবিদকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সুইডিশ অ্যাকাডেমি সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে।
বিজয়ী ও তাদের অবদান
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, এই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণা আধুনিক অর্থনীতির চিন্তায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাদের কাজ উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও প্রতিযোগিতা কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে এবং সমাজের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটায়, তা উন্মোচন করেছে।
জোয়েল মোকিয়র: তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্ত নির্ধারণে অবদানের জন্য তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন।
ফিলিপ আগিয়োঁ: ফ্রান্সের কলেজ দ্য ফ্রান্স ও ইনসিয়াদ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক।
পিটার হাউইট: যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। সৃজনশীল ধ্বংসের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব বিকাশের জন্য তারা দুজনে যৌথভাবে এই পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
এই তিনজনের গবেষণা অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল ধ্বংস’ (Creative Destruction) এবং এর মাধ্যমে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি আসে, সেই ধারণাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
মুক্তির পথে ফিলিস্তিনি বন্দীরা: প্রথম বাসটি পৌঁছাল গাজায়
ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর এবার ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের বহনকারী একটি বাস ইতোমধ্যে গাজায় পৌঁছেছে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের বহনকারী আরও কিছু বাস গাজার দিকে যাত্রা করেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
চুক্তি ও জিম্মি মুক্তি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার শর্ত মেনে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
মুক্তির সময়: স্থানীয় সময় সকাল ৮টার পর থেকে দুই ধাপে এই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
নিশ্চিতকরণ: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) দুই ধাপে জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় সবশেষ ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি অবস্থায় ছিলেন, যাদের মধ্যে ২০ জন বেঁচে ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, মুক্তি পাওয়া সব জিম্মি গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরে এসেছেন।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের প্রত্যাবর্তন
চুক্তি অনুযায়ী, ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত কতজন ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। ফিলিস্তিনি বন্দীদের বহনকারী কিছু বাস ইতোমধ্যে গাজায় পৌঁছেছে এবং আরও কিছু বাস গাজার দিকে যাত্রা করেছে বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে।
৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি থাকা জীবিত বাকি ১৩ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) হাতে তুলে দিয়েছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল আটটার পর এই জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে এসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই রেডক্রসের গাড়িগুলো তাদের সংগ্রহ করে গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এদিন মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের দ্বিতীয় দল এটি।
মুক্তির প্রক্রিয়া
জিম্মিদের দ্বিতীয় এই দলটিকে হামাস রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, এদিন সকালে প্রথম সাত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। মুক্তি পাওয়া ওই ইসরায়েলিদের গাজার সীমান্ত পার করে নিজ দেশে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলের এক সামরিক ঘাঁটিতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হয়।
মুক্তির পর গাজায় হামাসের বন্দিশালায় ৭৩৮ দিন কাটানোর পর এসব জিম্মি নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। নতুন মুক্তি পাওয়া ১৩ জন জিম্মিকে একই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরও ৪৮ জন জিম্মির মৃতদেহ হামাসের কাছে আছে। সেগুলোও আজকের মধ্যেই রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
দীর্ঘ দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাজায় শান্তির এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো। ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস সোমবার (স্থানীয় সময়) প্রথম সাতজন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-বিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপ।
হামাস জানায়, মুক্তিপ্রাপ্তদের আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (ICRC) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিগগিরই আরও ১৩ জন জীবিত বন্দি এবং ২৮ জন ইসরায়েলির দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলও প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। সোমবার ১,৯৬৬ জন বন্দিকে বিভিন্ন কারাগার থেকে বাসে করে গাজার নাসের হাসপাতালে আনা হয়, যেখানে তাদের পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।
গাজায় বন্দি বিনিময়ের সময় রেডক্রস ও হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা কালো পোশাকে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে উচ্ছ্বাসের জোয়ার—তেল আবিবের ‘হোস্টেজেস স্কয়ারে’ শত শত মানুষ পতাকা হাতে বন্দিদের স্বাগত জানান।
ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েলগামী বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এখন মধ্যপ্রাচ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।” সোমবার তিনি ইসরায়েলের সংসদে ভাষণ দেবেন এবং পরে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ।
অন্যদিকে, হামাসের সামরিক শাখা এক বিবৃতিতে জানায়, তারা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলবে, তবে ইসরায়েলও যেন তা মানে—তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। হামাস দাবি করে, ইসরায়েল সামরিকভাবে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আলোচনার টেবিলে এসেছে।
এই সংঘাতের শুরু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে বন্দি করা হয়। এরপর থেকে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযানে গাজা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৬৭,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির পরও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। সোমবার মিশরের শার্ম আল শেখে ২০টিরও বেশি দেশের নেতারা এক বৈঠকে বসছেন, যেখানে গাজার ভবিষ্যৎ, পুনর্গঠন ও হামাসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো নির্ধারিত হয়নি। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—যুদ্ধ শেষে গাজা কে শাসন করবে, এবং হামাস কি সত্যিই অস্ত্র ছেড়ে দেবে?
-আলমগীর হোসেন
শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
বেইজিংয়ে আয়োজিত বৈশ্বিক নারী সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নারীর রাজনৈতিক ও সরকারি অংশগ্রহণ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সমাজে প্রকৃত লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারী নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকে “গভীরভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ” দিতে হবে।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন উইমেনের সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের নাম “গ্লোবাল লিডার্স মিটিং অন উইমেন”, যার উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা এবং সার্বিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া। সম্মেলনে আইসল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ঘানা, ডোমিনিকা ও মোজাম্বিকসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন বলে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
শি জিনপিং তার বক্তব্যে বলেন, “প্রতিটি দেশকে নারীদের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ প্রসারিত করতে হবে, যাতে তারা জাতীয় ও সামাজিক প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “নারীর সার্বিক বিকাশের পূর্বশর্ত হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা। যুদ্ধ বা সংঘাতের পরিবেশে নারীর অগ্রগতি সম্ভব নয়।”
চীনের নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও, উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব এখনও তুলনামূলকভাবে কম। বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় নারীরা প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং কর্মক্ষেত্রে ৪৩ শতাংশ অংশীদার হলেও, রাজনৈতিক শীর্ষস্তরে এই সংখ্যা আশানুরূপ নয়।
২০২২ সালে দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের শীর্ষ রাজনৈতিক সংস্থা পলিটব্যুরোর ২৪ সদস্যের মধ্যে কোনো নারী সদস্য ছিলেন না, এবং সাত সদস্যবিশিষ্ট স্থায়ী কমিটিতেও কোনো নারী অন্তর্ভুক্ত হননি। জাতিসংঘ ২০২৩ সালে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, নেতৃত্বের স্তরে নারীর অনুপস্থিতি চীনের লিঙ্গসমতার অগ্রযাত্রার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা দেশটিকে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আইনগত কোটা ও লিঙ্গসমতা ব্যবস্থা চালুর সুপারিশও করেছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে গত এক দশকে চীনের নারী রাজনীতিক ও প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কিছুটা বেড়েছে। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী শিক্ষায় বিনিয়োগ, পরিবারকেন্দ্রিক উন্নয়ননীতি ও মাতৃত্বকালীন সহায়তা কর্মসূচি কিছুটা ভারসাম্য তৈরি করেছে।
২০২৩ সালে শি জিনপিং বলেন, “নারীরা কেবল সমাজের অর্ধাংশ নয়, তারা সমাজের ভবিষ্যতেরও বাহক। পরিবারে নতুন সংস্কৃতি ও নতুন মূল্যবোধ গড়ে তোলা তাদেরই দায়িত্ব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, নারীর উন্নয়ন কেবল তাদের ব্যক্তিগত উন্নতির বিষয় নয়; এটি পরিবারের সুশৃঙ্খলতা, সামাজিক সম্প্রীতি, জাতীয় উন্নয়ন ও রাষ্ট্রের অগ্রগতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
চীনের এই সম্মেলনকে অনেকে লিঙ্গসমতা নীতি পুনরুজ্জীবনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। যদিও শীর্ষ নেতৃত্বে নারীর উপস্থিতি এখনও সীমিত, তথাপি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই আলোচনা নারী ক্ষমতায়নের রাজনৈতিক স্বীকৃতি হিসেবে নতুন বার্তা দিচ্ছে—বিশেষত এমন সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে নারী নেতৃত্বের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
-নাজমুল হাসান
পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি রোববার (১২ অক্টোবর) রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরাঘচি বলেন, “আমরা আইএইএ-এর সঙ্গে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছি। জাতিসংঘ যদি এমন কোনো প্রস্তাব দেয়, যা ইরানের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হয়—আমরা আবার চুক্তিতে ফিরে যাব।”
সংঘাত ও তিক্ততা
১৯৬৮ সালে ইরানের রাজা রেজা পাহলভীর শাসনামলে দেশটি আইএইএ-এর সঙ্গে নন-প্রোলিফারেশন অ্যাক্ট (এনপিটি) চুক্তি করে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ইসরায়েলি হামলা: গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের পর আইএইএ-এর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। আইএইএ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত আছে, যার বিশুদ্ধতা ৬০ শতাংশ।
যুদ্ধের কারণ: আইএইএ-এর ওই বিবৃতির এক সপ্তাহ পর ১২ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানে বিমান অভিযান ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ শুরু করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
১২ দিনব্যাপী সংঘাতে ইরানের সেনাপ্রধান, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্তত ১২ জন জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোরও। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখনো সেই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের কোনো হদিস মেলেনি।
আলোচনার পথে ইরান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি জানান, সংঘাত শেষে আইএইএ তেহরান সফরের আগ্রহ জানালেও ইরান জানায়, সংলাপের জন্য তারা প্রস্তুত, তবে পরমাণু স্থাপনা দেখানোর বাধ্যবাধকতা তাদের নেই।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পর জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে কি না জানতে চাইলে আরাঘচি বলেন, “আমরা তার প্রয়োজন দেখছি না। ইউরোপের সঙ্গে বৈঠকের আর কোনো ভিত্তি নেই।”
সূত্র: আরটি
পাঠকের মতামত:
- মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ তুর্কি প্রেসিডেন্টের
- এনসিপিকে সময় বেঁধে দিল ইসি: শাপলার বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে হবে
- ‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
- একনজরে দেখে নিন টিভিতে আজকের খেলার সূচি
- ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৭০০ বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনে আনন্দ
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ
- শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ: ঢাকা কলেজের ঘটনায় আজ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার: নামাজের সময়সূচি
- সকালের শুরুতে কেন বাদাম খাবেন? জেনে নিন ৫টি স্বাস্থ্যকর কারণ
- দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জায়েজ? জেনে নিন শরীয়তের বিধান
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড
- ফ্যাসিস্টের দোসর সালাহউদ্দিন পেলেন দেশ ছাড়ার অনুমতি
- খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ফোরামে ড. ইউনূসের ৬ প্রস্তাব
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?
- ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার : ড. ইউনূস
- পূর্বের আটলান্টিস: চীনের সেই ডুবো শহর যেখানে সময় থেমে আছে!
- রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
- পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা: এবার সব সরকারি কলেজে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত: কক্সবাজার বিমানবন্দর পেল আন্তর্জাতিক মর্যাদা
- হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
- মৃত্যু যখন সুন্দরের প্রতীক: ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
- ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
- অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- হংকং ম্যাচের আগে ভোগান্তি বাংলাদেশের: বাফুফের ‘অদূরদর্শিতায়’ বাড়তি চাপ
- অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা: কী করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে?
- মুক্তির পথে ফিলিস্তিনি বন্দীরা: প্রথম বাসটি পৌঁছাল গাজায়
- ৪ দফা দাবি নিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধারা সচিবালয়ে
- সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার: প্রজ্ঞাপন জারি
- চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
- ৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- এএফসি বাছাইয়ে আজ জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- ‘আর ফেরার উপায় নেই’: জলবায়ু সংকটে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম বিপন্ন
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
- মেক্সিকোর পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ বন্যা: মৃত্যু ৪৭, নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার
- ট্রাম্প: ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!
- সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
- জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ