নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর কথা স্বীকার করলেন উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট পেপার রাজধানীর নীলক্ষেতে ছাপানো হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন, ব্যালট ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা নির্বাচনের ফলকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করেনি।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নীলক্ষেতে ছাপানোর কারণ
উপাচার্য জানান, একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ভোটার ও প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মূল ভেন্ডরের অনুমতিতে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের আওতায় কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপালেও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। সংশ্লিষ্ট ভেন্ডর এটিকে ‘ব্যস্ততার কারণে ভুলে যাওয়ার’ কথা বলে স্বীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া ব্যাখ্যায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান জানায়, নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ ব্যবহার করে মোট ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপা হয়। এর মধ্যে প্রিন্টিং, কাটিং ও ওএমআর প্রি-স্ক্যানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট চূড়ান্তভাবে সিলগালা করে সরবরাহ করা হয়। অতিরিক্ত ব্যালট প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ধ্বংস করা হয়।
নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার দাবি
উপাচার্য দাবি করেন, ব্যালট প্রস্তুতের পুরো প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যালট ছাপা শেষ হওয়ার পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং, সুরক্ষা কোড আরোপ, ওএমআর স্ক্যান, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সই ও সিলসহ কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তার সই যুক্ত না হলে, সেই ব্যালট ভোটগ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয় না।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট প্রস্তুত করা হলেও, ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন এবং ব্যবহার হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট। অবশিষ্ট রয়েছে ৬০ হাজার ৩১৮টি।
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন প্যানেল ব্যালট ছাপানোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে উপাচার্য বলেন, কেউ যদি সুনির্দিষ্ট সময় বা ঘটনার ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ বা ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা দেখতে চান, তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে তা দেখার সুযোগ থাকবে।
ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন
বুধবার রাত প্রায় ১০টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকায় পরপর দুটি ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থল ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডিউটি অফিসার ও টহল টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের পর কয়েকজনকে দ্রুত সরে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের পরিচয় বা সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। একই রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ছিটেফোঁটা খবরও আসে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিকভাবে যাচাই করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, নিকটবর্তী সুবিশাল উন্মুক্ত এলাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিক থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হতে পারে। ঘটনাপরবর্তী সময় টিএসসি চত্বর ও আশপাশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে তাৎক্ষণিক মিছিল করেন এবং সন্দেহভাজনদের ধরার চেষ্টা চালান, যদিও কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, স্প্লিন্টার ও অবশিষ্টাংশ জব্দ এবং ফরেনসিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে বিস্ফোরকের ধরন, তৈরির কৌশল ও সম্ভাব্য রুট শনাক্ত করা যায়।
নভেম্বর জুড়ে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে ককটেল ও ক্রুড বোমা উদ্ধার, নিষ্ক্রিয়করণ বা বিস্ফোরণের বিচ্ছিন্ন শিরোনাম আগে থেকেই নজরে আসছিল। ঘটনাগুলোর ভৌগোলিক ছড়িয়ে পড়া ও সময়ের কাছাকাছি সংঘটন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা বাড়ালেও, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে, প্রতিটি ঘটনার আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাই টিএসসি এলাকার বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দ্রুত কেস-লিংক বিশ্লেষণ, রাসায়নিক ট্রেস ও ডিটোনেশন স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে কোনো সমন্বিত নেটওয়ার্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যায়।
ঘটনার পরামর্শ ও নিরাপত্তা নির্দেশনা: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ভিড় বা মিছিলের মধ্যে সন্দেহজনক ব্যাগ, প্যাকেট বা ফেলে রাখা বস্তু থেকে দূরে থাকা, তৎক্ষণাৎ ৯৯৯ বা নিকটস্থ থানায় জানানো, এবং ক্যাম্পাসের নির্ধারিত নিরাপত্তা পয়েন্ট দিয়ে যাতায়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, গ্রন্থাগার সংলগ্ন এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে রাতের শিফটে অতিরিক্ত টহল, ভিডিও নজরদারি ও স্ট্যাটিক পোস্ট বসানোর কথাও বিবেচনায় আছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক চিত্রে যা বোঝা যায়: বিস্ফোরণের সময় নির্বাচনপূর্ব রাজনীতি, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি এবং জনসমাগমের ঘনত্ব—সব মিলিয়ে টিএসসি এলাকায় প্রতীকী তৎপরতা দেখাতে কোনো গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে সময় ও স্থান বেছে নিতে পারে। তবে উদ্দেশ্য রাজনৈতিক বার্তা, আতঙ্ক ছড়ানো, নাকি নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে লক্ষ্য করে—এসব বিষয়ে এখনই নিশ্চিত বক্তব্য দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে নেই। পুলিশ ও ফরেনসিক টিমের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলে পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার হবে।
আওয়ামী লীগের লকডাউন ঠেকাতে মাঠে ডাকসু ভিপি কায়েমের পাল্টা কর্মসূচি
বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত 'লকডাউন' কর্মসূচি ঠেকাতে নিজেদের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বা ডাকসু সহ-সভাপতি বা ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
বুধবার ১২ নভেম্বর দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।
ডাকসুর পাল্টা কর্মসূচি
ডাকসু ভিপি জানান, নিষিদ্ধ ও বিতাড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মূল এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির মূলোৎপাটনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল ১৩ নভেম্বর মাঠে থাকবে ডাকসু।
তিনি কর্মসূচির বিস্তারিত জানিয়েছেন
রাত আটটায় ডাকসু ভবনের সামনে গণজমায়েত এবং রাত নয়টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করা হবে।
আজ রাতে এবং আগামীকাল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করা হবে।
আবু সাদিক কায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদেরকে "দেশবিরোধী আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দলবেঁধে নেমে আসার" আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্যাম্পাসের ভবনে তালা ঝুলানোর ঘটনা
এর আগে মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তালা লাগানোর ঘটনাগুলো ঘটেছে চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট এবং বিজ্ঞান ভবনে। এই ঘটনার পরই ডাকসু ভিপি পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করলেন।
বিএনপি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন ৭ নভেম্বরের চেতনায় ৫ আগস্ট অর্জিত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও রাকসুর সাবেক ভিপি রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন একটি রাজনৈতিক দল। তিনি মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্র আর বিএনপি অবিভাজ্য একটি বিষয় এবং ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন অর্জিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বা রাবি টিএসসিসি ভবনে শাখা ছাত্রদলের আয়োজিত '৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এর ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র ও অবিভাজ্য সংকল্প
রিজভী বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র আর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অবিভাজ্য একটি সংকল্প। তিনি উল্লেখ করেন
"গণতন্ত্রের প্রশ্নে এরশাদের সঙ্গে যেমন কোনো আপস করেনি, তেমনি রক্তচোষা হাসিনার সঙ্গেও কোনো আপস করেনি খালেদা জিয়া।"
তিনি বলেন, সেই প্রেরণা নিয়ে বিএনপি কাজ করছে এবং ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
৭ নভেম্বর ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকা
রুহুল কবির রিজভী ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরেই বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে।
" তিনি দাবি করেন স্বাধীনতার একজন তূর্যবাদক লাগে, যিনি নির্ভয়ে সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতার যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ৭১ সালে নির্দ্বিধায় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া বলেছিলেন 'আমি জিয়া বলছি, আমি স্বাধীনতার ঘোষণা করছি।' ঠিক একইভাবে ৭ নভেম্বরও একই ব্যক্তি আবারও রেডিওতে ভেসে উঠলো 'আমি মেজর জিয়া বলছি' বলে। ৭ নভেম্বরের অবদানের মূল নায়ক জিয়াউর রহমান।"
ফ্যাসিবাদী শাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
রিজভী সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারকে একনায়কতন্ত্রের চেয়েও খারাপ অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী শাসন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের ছোবলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন, সংবাদপত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আক্রান্ত হয়েছিল, যার প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পড়েছিল।
তিনি বলেন, "সেসময় ক্যাম্পাসে কোনো সহাবস্থান ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেনি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্লাসরুম, লাইব্রেরিতে নির্বিঘ্নে যেতে পারেনি।"
তিনি বর্তমানে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সহাবস্থান তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন, যা ফ্যাসিবাদ আমলে ছিল না।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য
আলোচনা সভায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, জুলাই আগস্টে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তাঁদের ১৪২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে অনিয়ম ও ষড়যন্ত্রের কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি।
তিনি মনে করেন, "হয়তো চারটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি এ পরাজয়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।"
রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ যখন শহীদ জিয়াউর রহমানকে বন্দি করেছিলেন, তখন ঐক্যবদ্ধ সিপাহী জনতা ৭ নভেম্বর তাঁকে মুক্ত করে এনেছিলেন। তিনি বলেন, এই দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রকাশ করে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আব্দুল আলিম, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, জিয়া পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ঢাবির এক আবাসিক হলে ধূমপান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হল প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি আবাসিক হলকে ‘ধূমপানমুক্ত প্রাঙ্গণ’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। রবিবার (৯ নভেম্বর) হল প্রশাসনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের মাধ্যমে হল প্রাঙ্গণে ধূমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। শিক্ষার্থীদের সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হল প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলকে ‘ধূমপানমুক্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জানানো হয়, এখন থেকে হল প্রাঙ্গণে ধূমপান দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে হলের প্রধান প্রবেশদ্বারে ‘ধূমপান নিষিদ্ধ’ লেখা সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ধূমপানরত অবস্থায় ধরা পড়লে ৩০০ টাকা জরিমানা এবং মাদকসহ ধরা পড়লে অভিভাবক ডেকে হল থেকে বহিষ্কারের বিধান করা হয়। এই নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর থেকে হলে ধূমপান ও মাদক সেবনের প্রবণতা কমে এসেছে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন।
তারও আগে, গত ২৭ জুন ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা গেলে ২০০ টাকা জরিমানা এবং কোনো প্রকার মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিভাবকের উপস্থিতিতে হল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ)।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সুস্থ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য আবাসিক হলেও ধূমপান ও মাদকবিরোধী নীতিমালা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদের সরাতে লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই: ডাকসু সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা তার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে, পাগল এবং মাদকাসক্ত মুক্ত দেখতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুজন নারী শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হওয়ার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়, বরং একটি নিরাপদ পরিবেশ গঠনেই কাজ করছেন।
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার প্রচেষ্টা
সর্ব মিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি প্রতিদিন রাতে মেট্রো স্টেশন এলাকা থেকে দুজন ভবঘুরে বৃদ্ধকে সরানোর চেষ্টা করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এদের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত এবং একবার তার কাছ থেকে গাঁজা পাওয়াও গিয়েছিল।
তিনি জানান, "এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই, লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়ই না।" নিজের প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, "আমার নিজের এটার জন্য স্বার্থসিদ্ধি নাই, আমি আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁজাখোর মুক্ত দেখতে চেয়েছিলাম শুধু।" তিনি বলেন, "আজ আমাদের নারী শিক্ষার্থী দু'জন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন। আমার চাওয়া, এই ভবঘুরে-পাগল-হ্যারাসারমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া।"
বিতর্ক এড়াতে মাঠের কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা
ডাকসু নেতা সর্ব মিত্র চাকমা এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণ নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনের ওপর প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "কিন্তু, এরকম প্রতিনিয়ত বিতর্ক আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে।"
তিনি আরও বলেন, এভাবে প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না, তবে তার এখতিয়ারের বাইরেও নয়। লাঠি হাতে নিতে বাধ্য হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, কিছুদিন আগে তিনজন মাদকাসেবীকে তুলতে গিয়েছিলেন এবং সেবারও পোস্ট করে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি বলেন, "এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না, যারা মাঠে কাজ করে তারাই জানে এটা কতটুকু কঠিন।"
অবশেষে তিনি ঘোষণা দেন, "একজন সদস্য হিসেবে আমি নিশ্চয় নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমার তরফ থেকে কাজ করবো, কিন্তু মাঠে আমি আর থাকছি না। ধন্যবাদ।"
জুলাইয়ে হামলায় জড়িত ৪০৩ ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ নোটিশ দিল ঢাবি
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোট ৪০৩ জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চিহ্নিত এই বিপুল সংখ্যক 'নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে' কারণ দর্শাও নোটিশ (Show Cause Notice) দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে বলা হয়েছে, সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া, যাদের ছাত্রত্ব ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাদের সনদ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং জুলাই আন্দোলনে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনার তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এই নোটিশটি জারি করা হয়।
তালিকাভুক্তদের মধ্যে শীর্ষ নেতারা
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রথমে ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভায় ১২৮ জনসহ সর্বমোট ৪০৩ জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সব হল ও হল শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম। এর মধ্যে বিভিন্ন হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নামও রয়েছে, যেমন—স্যার এ. এফ. রহমান হলের রিয়াজুল ইসলাম ও মুনেম শাহরিয়ার মুন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আযহারুল ইসলাম মামুন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের কামাল উদ্দীন রানা ও মিশাত সরকার, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শহিদুল হক শিশির ও মোহাম্মদ হোসেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের তানভীর শিকদার এবং বিজয় একাত্তর হলের সজীবুর রহমান ও আবু ইউনুস।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে রোকেয়া হলের সভাপতি অন্তরা দাস পৃথা ও সাধারণ সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইন, শামসুন নাহার হলের খাদিজা আক্তার উর্মি ও নুসরাত রুবাইয়াত নীলা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কোহিনূর আক্তার রাখি ও সানজিনা ইয়াসমিন, বেগম সুফিয়া কামাল হলের পূজা কর্মকার ও সভাপতি রিমা আক্তার ডলি, কুয়েত-মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি জান্নাতুল হাওয়া আখি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার নামও তালিকায় রয়েছে। তবে জিয়াউর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্তর নাম এই তালিকায় আসেনি।
জবাব না দিলে একতরফা ব্যবস্থা
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, কৃত অপরাধের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তার কারণ দর্শিয়ে লিখিত জবাব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশটি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানান প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সংবাদ সংস্থা সমকালকে নিশ্চিত করে বলেন, যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের সনদ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নেবে।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, "যারা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, সবার বিচার আমাদের চাওয়া ছিল। ছাত্রলীগের চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা এমনই হবে, আমরা পরবর্তীতে তালিকা দেখে জানাব।"
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (EWU) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস। “Global Sociology and Decolonization – Reimagining Knowledge for Our Times” শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে (রুম নং ১২৬)।
এই সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অনুরাগীরা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও জ্ঞানচর্চার উপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে মুক্তি এবং একাডেমিক জ্ঞানের বিকেন্দ্রীকরণ।
সেমিনারের প্রধান বক্তা প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস এশিয়ার সমাজবিজ্ঞান চর্চায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রয়াত সমাজবিজ্ঞানী ও মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়েদ হুসেইন আলাতাসের পুত্র, যিনি “The Myth of the Lazy Native” গ্রন্থের মাধ্যমে উপনিবেশিক বুদ্ধিবৃত্তির সমালোচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
তার বক্তব্যে প্রফেসর আলাতাস বলেন, “ডিকলোনাইজেশন বা উপনিবেশমুক্তকরণ কেবল তত্ত্বের আলোচনা নয়, এটি হতে হবে বাস্তব প্রয়োগের একটি প্রক্রিয়া।” তিনি বলেন, পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রয়োজন নেই, বরং সেগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তাঁর মতে, “আমাদের উচিত পশ্চিমা চিন্তাধারার মূল্যবান দিকগুলো স্বীকার করা, কিন্তু একই সঙ্গে ইউরোসেন্ট্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা।”
তিনি জোর দেন এই বলে যে, উপনিবেশোত্তর সমাজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা তখনই অর্থবহ হবে, যখন স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও দর্শনকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চিন্তা, তত্ত্ব ও গবেষণার বড় অংশই আমদানিকৃত। এই নির্ভরশীলতা ভাঙতে হলে স্থানীয় জ্ঞানের ভান্ডারকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।”
প্রফেসর আলাতাস শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের পাঠদানে পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিকদের পাশাপাশি আঞ্চলিক চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দেন, “বাংলা, মালয়, বা তামিল সমাজের সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতিতে যে সামাজিক বোধ ও মূল্যবোধ নিহিত, সেগুলোকেও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় আনা উচিত।”
তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যা স্থানীয় চিন্তা ও ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারে নিজেদের চোখ দিয়ে, ধার করা চশমা দিয়ে নয়।”
প্রফেসর আলাতাস আরও উল্লেখ করেন যে, ডিকলোনাইজেশন শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারেরও এক প্রক্রিয়া। কারণ, জ্ঞানই ক্ষমতা, আর যদি জ্ঞান উৎপাদনের প্রক্রিয়া নির্ভরশীল হয়, তবে সমাজও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারাশউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি একাডেমিক বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় অগ্রগতির কৌশলও। কারণ, যে জাতি জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, সেই জাতিই প্রকৃত অর্থে মুক্ত।”
তিনি সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “একটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, এবং সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষায় সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। একাডেমিক জ্ঞানকে উপনিবেশমুক্ত করা মানে হলো চিন্তার মুক্তি, যা উন্নয়নের প্রথম ধাপ।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মি. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জ্ঞানকে মুক্ত করা মানে কেবল পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা নয়, বরং নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বচিন্তার সংলাপ সৃষ্টি করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, “বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আর আমাদের নিজস্ব চিন্তাচর্চার ঐতিহ্য কী।”
সেমিনারের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে উপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, কীভাবে পশ্চিমা তত্ত্বকেন্দ্রিক পাঠ্যসূচি কখনও কখনও স্থানীয় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে।
অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় চিন্তাবিদ, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো সময়ের দাবি। তারা এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সেমিনারটি ছিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য একাডেমিক জ্ঞানচর্চাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমালোচনামূলক এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিক করে তোলা। আলোচনায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি ধারণা নয়, এটি চিন্তার মুক্তির আন্দোলন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে।
সাভারে ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ
সাভারের আশুলিয়ার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত ও ধ্বংসের চিত্র
সূত্রপাত: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুতু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে রাত ৯টার দিকে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে দেশি অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিলের হোস্টেলে হামলা চালান।
ধ্বংসযজ্ঞ: রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। ড্যাফোডিলের কিছু শিক্ষার্থী রাত ১২টার পর সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম লুট করা হয়; তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং আরও পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুরের শিকার হয়। সংঘর্ষের সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চললেও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো যথাযথ সহায়তা পাওয়া যায়নি।
পুলিশের বক্তব্য: সাভার থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, “আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
পুসাবের নিন্দা: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব) ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, সম্পদ নষ্ট করা, সহপাঠীদের আহত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুসাব দুই পক্ষের অপরাধীদেরকেই আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান বিবাদ এখন ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
রাকসুতে নতুন নেতৃত্ব:নবনির্বাচিত জিএস ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের প্রতি উৎসর্গ করলেন বিজয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ এবং জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসের উন্নয়নে পরাজিত প্রার্থীদেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান।
ঐক্য ও বিজয়ের বার্তা
নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “যারা বিজয়ী হয়েছেন, তারা নিজ ধর্ম অনুযায়ী উদযাপন করুন। নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক। আমরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসকে গড়ে তুলব।”
নবনির্বাচিত জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন:
“আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো শত্রু নেই; সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ব।”
তিনি নিজের বিজয় উৎসর্গ করেছেন ‘আধিপত্যবিরোধী’ আন্দোলনে থাকা সকলকে, ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের পাশাপাশি নিজের বাবা-মাতাকেও।
নির্বাচনের ফল
সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদে জয় লাভ করেছে।
ভিপি: নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
জিএস: নির্বাচিত হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার।
অন্যান্য: বাকি তিনটি পদের মধ্যে ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রদলের নার্গিস খাতুন, আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা।
পাঠকের মতামত:
- কি আছে ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’-এ? সম্পূর্ন ভিডিও সহ দেখুন
- ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন
- আওয়ামী লীগ কর্মী যারা অন্যায় করেনি, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে: নুরুল হক নুর
- বিএনপির এক বছরের সফলতা চাঁদাবাজি এবং মামলাবাজি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ২১ দিনের কৌশল: যে ৪ অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে
- ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তলব: হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ
- গাজার নিয়ে ট্রাম্পের গোপন ফন্দি: ইসরায়েলকে বাদ দিয়েই গাজায় নামছে ওয়াশিংটন
- যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড়ে চলন্ত বাসে আগুন
- বিএনপির ঘাঁটি বরিশাল-১ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও সক্রিয় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
- গণভোটের আড়ালে ফ্যাসিবাদ ফেরানোর চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
- রাশিয়াকে জয় করা অসম্ভব কেন? ভূগোল, আবহাওয়া ও 'ডেড হ্যান্ড' যেভাবে রাশিয়াকে অজেয় করেছে
- মি‘রাজ রজনীতে নবী (সা.)-এর বাহন বুরাকের বিস্ময়কর কাহিনি
- দেশের গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে: আমীর খসরু
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ে পড়বে: নুর
- যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!
- মিসরের কায়রোতে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের হুমায়রা মাসুদ
- আওয়ামী লীগের লকডাউন ঠেকাতে মাঠে ডাকসু ভিপি কায়েমের পাল্টা কর্মসূচি
- রক্তকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করবে যেসব খাবার
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- সতেরো বছর পর দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে যা হবে জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ড ইউনূস
- আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল
- জুলাই সনদের চেতনা থেকে সরে গেছেন ড ইউনূস সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ১২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- আওয়ামী লীগের নাম মোছা যাচ্ছে না ভীতিই এখন মূল শক্তি: গোলাম মাওলা রনি
- সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ অক্টোবর মাসের চিত্র উদ্বেগের জন্ম দিল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন
- সনি সিনেমা হলের সামনে বাসে অগ্নিসংযোগ রাজধানীতে আতঙ্ক
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- নতুন পে স্কেলের কাঠামো দেবে অন্তর্বর্তী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
- শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি যাচ্ছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে
- কেবিপিপিডব্লিউবিআইএল দেখাল সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- রাজধানীতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন: লকডাউন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
- ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
- লন্ডনের কমনওয়েলথ ফেয়ারে বাংলাদেশ: ঐতিহ্যের রঙে মুগ্ধ বিশ্ব
- ঋণপত্রে বিনিয়োগ স্থবির, পুঁজিবাজারে নতুন উদ্বেগের সঞ্চার
- রোহিঙ্গা সহায়তায় কোরিয়ার নতুন চাল অনুদান: বাংলাদেশের পাশে সিউল
- যেভাবে উদ্ধার হলেন নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা
- গাজায় মার্কিন ঘাঁটি, নতুন দখলদারিত্বের আশঙ্কা
- মোহাম্মদপুরে স্কুলে ভয়াবহ পেট্রোল বোমা হামলা
- ইউরোপে নতুন দিগন্তে রেনাটা পিএলসি
- সোনালী লাইফের লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইবনে সিনা ফার্মার প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ
- এনার্জিপ্যাকের প্রথম প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- বিকন ফার্মার প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেডের লভ্যাংশ ঘোষণা
- রপ্তানি বাজারে নতুন কৌশল নিচ্ছে মেট্রো স্পিনিং
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
- ভারত-নেপালের বিপক্ষে প্রাথমিক দল ঘোষণা: ২৭ সদস্যের স্কোয়াডে চমক
- ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
- পদ্মা অয়েল লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে সুখবর!
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ








