লাদাখে ‘জেন-জি বিপ্লব’: সহিংস বিক্ষোভে পুলিশের গুলি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৯:২৪:০৯
লাদাখে ‘জেন-জি বিপ্লব’: সহিংস বিক্ষোভে পুলিশের গুলি
ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

রাজ্যের মর্যাদা এবং ষষ্ঠ তফসিল কার্যকরের দাবিতে ভারতের লাদাখে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। বুধবারের এই বিক্ষোভে জনতা বিজেপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে তিন থেকে পাঁচজন তরুণ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুক।

সোনম ওয়াংচুক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আজকের তরুণদের এই বিক্ষোভ এক ধরনের ‘জেন-জি বিপ্লব’। তারা পাঁচ বছর ধরে বেকার। এটি সামাজিক অস্থিরতার একটি রেসিপি। এখানে কোনো গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম নেই।” তবে তিনি সহিংসতার বিরুদ্ধে সংযমের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সহিংসতা কোনো সমাধান নয়।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় যখন অনশনরত দুই প্রবীণ ব্যক্তি মঙ্গলবার অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থী ও যুব সংগঠনগুলো লেহতে শাটডাউনের ডাক দেয়। কংগ্রেস নেতা সেরিং নামগিয়াল বলেন, “বুধবার সকালে বিপুলসংখ্যক মানুষ অনশনস্থলের দিকে এগিয়ে যান এবং যুবকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।”

আন্দোলনের পেছনের কারণ

অনুচ্ছেদ ৩৭০ রহিতকরণ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ২০১৯ কার্যকর হওয়ার পর থেকে লাদাখের রাজনৈতিক ও আইনি অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর ফলে প্রাক্তন রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়—একটি হলো আইনসভাসহ জম্মু ও কাশ্মীর, আরেকটি হলো আইনসভাবিহীন লাদাখ, যা সরাসরি কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অধীনে চলে যায়।

এরপর থেকে লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জোরদার হয়। ষষ্ঠ তফসিলের মাধ্যমে উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় স্বশাসিত জেলা পরিষদের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়। এই দাবির ভিত্তি হলো, লাদাখের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশিই অনগ্রসর উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।

সোনম ওয়াংচুকসহ অনেকে গত ৩৫ দিন ধরে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে আগামী ৬ অক্টোবরের জন্য পরবর্তী দফার আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে।

সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি


 ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:১১:১২
 ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?
কারফিউয়ের কারণে প্রায় জনশূন্য সড়ক। বৃহস্পতিবার লেহ’তে। ছবি: এএফপি

নেপাল ও বাংলাদেশের পর এবার ভারত দেখল ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ। দেশটির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল লাদাখে গত বুধবার ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে অংশ নেয়। এতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ৫ জন নিহত হন এবং ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হন। স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মতে, এই বিক্ষোভের অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর আন্দোলন থেকে।

নেপাল ও বাংলাদেশের মতো লাদাখের বিক্ষোভেও মূল দাবি ছিল বেকারত্ব এবং চাকরির অভাব। বিক্ষোভকারীরা চাকরির সংকট নিরসনের জন্যই লাদাখকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছেন।

আন্দোলনের নেপথ্যে কে?

বিক্ষোভের ইন্ধনদাতা হিসেবে অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুকের নাম উল্লেখ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা। সেই ওয়াংচুকও একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বেকারত্ব ও আঞ্চলিক সুরক্ষা না থাকাটাই মানুষের ক্ষোভের ‘রেসিপি’। তবে তিনি বিক্ষোভকারীদের সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ওয়াংচুক আরব বসন্ত ও নেপালের আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণদের উসকানি দিয়েছেন। তবে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রার অভিযোগ, লাদাখের ঘটনার পেছনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মার্কিন প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী জর্জ সোরসের ষড়যন্ত্র আছে।

আন্দোলনকারীদের জেন-জি বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের সাংবাদিক স্যমন্তক ঘোষ। তিনি বলেন, অনশনরত দুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে জেন-জি’র একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।

কেন আলাদা রাজ্যের দাবি?

লাদাখ ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অংশ ছিল। কিন্তু ওই বছর লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়, যার ফলে চাকরির সংকট দেখা দেয়। লাদাখের সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ হলেও, ২০২৩ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার স্নাতকদের ২৬.৫ শতাংশই বেকার। এর ফলে তরুণদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

লাদাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাকিস্তান ও চীন উভয় প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভারতের দ্বন্দ্ব আছে। এ কারণে অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হলে অভ্যন্তরীণ এবং ভূরাজনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়বে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন।


গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশু: ইউএনআরডব্লিউএ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৪:৪৪:০৭
গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশু: ইউএনআরডব্লিউএ
ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই উপত্যকা বিশ্বের এককভাবে জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশুর স্থানে পরিণত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধানের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর এবং আনাদোলু সংবাদসংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় ৪ হাজার অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।”

লাজারিনি আরও বলেন, শিশুদের ওপর যুদ্ধের প্রভাব শুধু শারীরিক আঘাত বা ক্ষুধায় সীমাবদ্ধ নয়; তাদের ক্ষত গভীর ও অদৃশ্য। এর মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন, আক্রমণাত্মক আচরণ এবং ভয়। অনেক শিশুকে ভিক্ষা, চুরি বা শিশুশ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তাদের শৈশব কেড়ে নিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অবস্থা যত দীর্ঘ হবে, শিশুরা তাদের চলমান ও গভীর ট্রমার ছায়ায় প্রজন্ম ধরে ভুগবে। তিনি অন্তত শিশুদের স্বার্থে হলেও গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা সম্প্রতি তাদের সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন যে, ইসরায়েল গাজায় জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৫ হাজার ৪০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের ২১-দফা পরিকল্পনা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৪:২৮:৩৭
গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের ২১-দফা পরিকল্পনা
ছবি: তুর্কি মিনিট

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য একটি নতুন ২১-দফা শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বুধবার সিএনএনকে দেওয়া তথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

পরিকল্পনার মূল বিষয়বস্তু

উইটকফ বলেন, “আমরা বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২১-দফা পরিকল্পনাটি আরব নেতাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।” তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন গাজায় সহিংসতা বন্ধ হবে, তেমনি ইসরায়েল এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও দূর হবে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার কয়েকটি মূল বিষয় হলো:

জিম্মি মুক্তি: গাজায় আটক সব জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতি: গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা।

হামাসমুক্ত গাজা: গাজার প্রশাসনকে হামাসের প্রভাবমুক্ত করা।

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার: পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা।

আরব নেতাদের সমর্থন ও পরামর্শ

সিএনএন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা মার্কিন ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, আরব নেতারা ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। একই সঙ্গে তারা আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার পরামর্শও দিয়েছেন, যেমন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধ করা, জেরুজালেমের বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং গাজায় ত্রাণের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করা।

বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য একটি বৈশ্বিক সম্মেলন হয়েছে। ওই সম্মেলনটি আয়োজন করেছিল ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।

সূত্র: সিএনএন


পাবজি খেলার নেশায় মা ও তিন ভাইবোনকে হত্যা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১২:১৩:৪২
পাবজি খেলার নেশায় মা ও তিন ভাইবোনকে হত্যা
প্রতীকী ছবি।

অনলাইন গেম পাবজির প্রভাবে মা, ভাই ও দুই বোনকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে এক কিশোরকে ১০০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের লাহোর সেশন কোর্ট। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রিয়াজ আহমেদ এই রায় দেন। রায়ে অভিযুক্ত কিশোরকে ৪০ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল লাহোরের কাহনা এলাকায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। তখন অভিযুক্ত কিশোর আলি জাইনের বয়স ছিল ১৪ বছর। ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে সে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। এতে তার মা, ভাই এবং দুই বোন নিহত হন।

আদালতের রায়

বিচারক রিয়াজ আহমেদ বলেন, “অপরাধের ভয়াবহতার কারণে আলি জাইনকে চারটি যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হচ্ছে, যা মোট ১০০ বছরের কারাদণ্ডের সমান।” আসামির বয়স বিবেচনায় তার মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পাবজি খেলার নেশা

লাহোর পুলিশ জানায়, নিহত নাহিদ মুবারকের ছেলে আলি জাইন জনপ্রিয় অনলাইন গেম পাবজির নেশায় আসক্ত ছিল। গেমে বারবার ব্যর্থ হয়ে সে মানসিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাবজি খেলেও লক্ষ্য পূরণ করতে না পারায় সে মায়ের লাইসেন্সকৃত পিস্তল নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মা, দুই বোন ও বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করে।

হত্যার পর সে পিস্তলটি একটি নর্দমায় ফেলে দিয়ে এমন ভান করে যে, ঘটনাটি ঘটার সময় সে ঘুমিয়ে ছিল। প্রথমে পুলিশের সন্দেহ তার ওপর পড়লেও কয়েক দিনের তদন্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অবশেষে তার বিরুদ্ধেই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

তথ্যসূত্র: সামা টিভি


ডেনমার্কের আকাশে আবারও ‘রহস্যময়’ ড্রোন, বন্ধ হলো আলবর্গ বিমানবন্দর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১২:০৬:১৭
ডেনমার্কের আকাশে আবারও ‘রহস্যময়’ ড্রোন, বন্ধ হলো আলবর্গ বিমানবন্দর
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্কের আকাশে আবারও ‘রহস্যময়’ ড্রোন দেখা যাওয়ায় দেশটির আলবর্গ বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার অজ্ঞাত ড্রোনের কারণে দেশটিতে বিমানবন্দর বন্ধ করা হলো। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তরাঞ্চলীয় জুটল্যান্ডের আলবর্গ বিমানবন্দরের আকাশসীমায় একাধিক ড্রোন দেখা গেলে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে, গত সোমবার দেশটির প্রধান কোপেনহেগেন বিমানবন্দরও একই কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে প্রথম ড্রোনগুলো শনাক্ত হয় এবং কয়েক ঘণ্টা আকাশে অবস্থান করে। এসব ড্রোন আলোকসজ্জাসহ উড়ছিল বলে পুলিশ জানায়। ইউরোকন্ট্রোল জানিয়েছে, ড্রোনের কারণে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত আলবর্গ বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। এই ঘটনার কারণে ডেনমার্কের সশস্ত্র বাহিনীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কারণ আলবর্গ বিমানবন্দর সামরিক ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

রাশিয়ার দিকে সন্দেহ, ইউরোপজুড়ে ড্রোন আতঙ্ক

পুলিশ জানিয়েছে, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কে বা কারা এসব ড্রোন পাঠিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ জানায়, আলবর্গ ছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলের এসবিয়ার্গ, সোনডারবর্গ ও স্ক্রিডস্ট্রুপ এলাকার বিমানবন্দরের কাছেও ড্রোন দেখা গেছে। বিশেষ করে স্ক্রিডস্ট্রুপ ঘাঁটিতে ডেনমার্কের এফ-১৬ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে, কোপেনহেগেন বিমানবন্দরের ঘটনার পর ডেনমার্ক সরকার বলেছিল, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণগুলোর একটি এবং সম্ভবত ইউরোপজুড়ে রাশিয়ার সন্দেহভাজন ড্রোন তৎপরতার অংশ। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ অভিযোগকে ‘অমূলক’ বলে দাবি করেছেন।

ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, “এটি আমাদের সীমান্তে চলমান এক ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জেরই অংশ।” এই ড্রোন আতঙ্কের কারণে ন্যাটো সদস্যরা সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।


উত্তর কোরিয়ার হাতে দুই টন ইউরেনিয়াম, সতর্ক করল সিউল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১১:২৬:০৮
উত্তর কোরিয়ার হাতে দুই টন ইউরেনিয়াম, সতর্ক করল সিউল
ছবিঃ এ এফ পি

উত্তর কোরিয়ার কাছে প্রায় দুই টন উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য মূল উপাদান।

দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণমন্ত্রী চুং দং-ইয়ং বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার হিসাবে উত্তর কোরিয়ার হাতে ৯০ শতাংশের বেশি বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ রয়েছে, যা ২,০০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। তিনি জানান, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার চারটি স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজ চালু রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মাত্র ৫ থেকে ৬ কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়েই একটি পারমাণবিক বোমা বানানো যায়। তাই দুই হাজার কেজি ইউরেনিয়াম দিয়ে অনেক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। তাঁর মতে, উত্তর কোরিয়ার এই কর্মসূচি থামানো এখন জরুরি।

তিনি আরও বলেন, শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই সমস্যা সমাধান হবে না। এর জন্য উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি আলোচনা দরকার।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্প্রতি বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, তবে তিনি তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ধরে রাখতে চান।

উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালে প্রথমবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় এবং এরপর থেকে জাতিসংঘের একাধিক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। ২০২১ সালে ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক স্থাপনা পুনরায় চালু করে দেশটি। এতে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

-সুত্রঃ এ এফ পি


জাতিসংঘের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ০৯:৪৭:২৭
জাতিসংঘের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে একদিনে আরও ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর ওপর চালানো হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাত নারী ও দুই শিশু রয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, বহু বাস্তুচ্যুত মানুষের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র আল-আহলি স্টেডিয়ামেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গাজা সিটি থেকে পালিয়ে আসা নাজওয়া নামের এক নারী আল জাজিরাকে বলেন, “হাতে যা ছিল তাই নিয়ে বেরিয়েছি। আমাদের কিছুই বাকি নেই। আমরা আতঙ্কে আছি।”

‘স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালাতে বাধ্য করছে। তবে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গাজার বেশিরভাগ মানুষ ইতোমধ্যেই গাজা সিটি ছেড়ে চলে গেছে এবং সেনারা সেখানকার অভিযানে আরও অগ্রসর হবে।

তবে জাতিসংঘের অনুসন্ধান কমিশন বলেছে, ইসরায়েলের কার্যক্রম আসলে গাজায় স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং পশ্চিম তীরে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৪১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি।

বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গাজার যুদ্ধ ইসরায়েলবিরোধী তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “যারা শিশু হত্যা করে, মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, তারা মানবতার যোগ্য নয়।”

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা গাজার জনগণের সঙ্গে আছি। এই যুদ্ধ এখনই থামাতে হবে।”

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ আইদে বলেন, জুলাইয়ে ১৪২টি দেশ যে ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ সমর্থন করেছে, তার ভিত্তিতে শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২১ দফা শান্তি পরিকল্পনা বিশ্বনেতাদের হাতে পৌঁছে গেছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অগ্রগতির ঘোষণা আসতে পারে।


গাজা নিয়ে আসছে ‘যৌথ ঘোষণা’, এরদোয়ান আশাবাদী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ২১:২৯:৪২
গাজা নিয়ে আসছে ‘যৌথ ঘোষণা’, এরদোয়ান আশাবাদী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ে শিগগিরই একটি ইতিবাচক ‘যৌথ ঘোষণা’ প্রকাশ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি আশা করছেন যে, এই ঘোষণার ফলাফল ‘লাভজনক’ হবে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে গাজা নিয়ে একটি বৈঠক শেষে এরদোয়ান এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আমরা সবেমাত্র একটি অত্যন্ত, অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক বৈঠক শেষ করেছি। আমি সন্তুষ্ট—ফলাফলটি উপকারী হবে।”

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে, ট্রাম্পের সঙ্গে এই বৈঠকটি শান্তি এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ আনতে পারে কি না। এর জবাবে এরদোয়ান বলেন, “চূড়ান্ত ঘোষণা সম্ভবত খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। ট্রাম্প এবং কাতারের আমির তামিমের বিবৃতির মাধ্যমে আজ রাতের বৈঠকের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে উঠবে।”


‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ঘিরে ভারতে উত্তেজনা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ২১:১৬:৪৯
‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ঘিরে ভারতে উত্তেজনা
ছবি: সংগৃহীত

উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে শুরু হয়ে উন্নাও, বরেলি, কৌশাম্বী, লখনউ, মহারাজগঞ্জ, এমনকি উত্তরাখণ্ডের কাশীপুর ও তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা ঘিরে মুসলিম সম্প্রদায়ের আন্দোলন। এই আন্দোলনের ফলে ভারতজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় কানপুরের একটি ধর্মীয় মিছিলে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা হাতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা সাইনবোর্ড নিয়ে উপস্থিত হন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও, ৯ সেপ্টেম্বর কানপুর পুলিশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগে ২০ জনের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং উন্নাওতে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইট নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়, এতে ৫ জন নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন। এরপর লখনউ এবং মহারাজগঞ্জেও একই ধরনের উত্তেজনা দেখা যায়। কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।

রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি পুলিশের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা কোনো অপরাধ নয়। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি শাস্তি নিতে প্রস্তুত।” তার মতে, পুলিশ প্ররোচনার ভিত্তিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র আমিক জামাই অভিযোগ করেন যে, পুলিশ সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, “‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বা ‘আই লাভ রাম’ লেখা অপরাধ নয়।”

বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী অবশ্য পুলিশের পদক্ষেপকে যথাযথ বলে উল্লেখ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে এবং সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় আবেগ এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার সমন্বয়ে এই আন্দোলন দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। পুলিশি তৎপরতা সত্ত্বেও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ থামছে না, বরং তা আরও তীব্র হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ... বিস্তারিত