জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বনেতারা

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন জানাতে সোমবার নিউইয়র্কে কয়েক ডজন বিশ্বনেতা একত্রিত হন। গাজা যুদ্ধের প্রায় দুই বছর পর এটি একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা ইসরায়েল এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বীকৃতি ও ম্যাক্রোঁর বার্তা
বিশ্বনেতাদের সমাবেশের মধ্যে ফ্রান্স ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে এই ঘোষণা দেবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই শান্তির পথ প্রশস্ত করতে হবে” এবং “ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করতে হবে যাতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে পারে।”
ম্যাক্রোঁ একটি নবায়নকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরেন। এর অধীনে ফ্রান্স সংস্কার, যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য একটি দূতাবাস খুলবে।
অন্যান্য দেশের সমর্থন ও ইসরায়েলের বিরোধিতা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও জানান, সাম্প্রতিক স্বীকৃতির পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার বামপন্থি সরকার ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগে লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, বেলজিয়াম ও মোনাকোসহ অন্যান্য দেশও ১৯৩ জাতিসংঘ সদস্যের তিন-চতুর্থাংশের বেশি দেশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অপরদিকে, ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থি সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। তেল আবিব বলেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করবে।
গাজা যুদ্ধ, ইসরায়েলের নিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বয়কট
গাজায় সামরিক অভিযানের কারণে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ৬৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল গাজা সিটিতে দীর্ঘ স্থল আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খুবই কম।
সোমবারের বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বয়কট করেছে। জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশে ফিরে আসার পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার এই পদক্ষেপ আরও জটিলতা সৃষ্টি করবে।
কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
বিশ্বজুড়ে এখন এক ধরনের মুরগি নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনা চলছে- কালো মুরগি। এই মুরগির শুধু পালক নয়, এর চামড়া, মাংস, হাড় এমনকি অন্ত্র ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পর্যন্ত কালো। এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যই একে অন্য সব সাধারণ মুরগি থেকে আলাদা করেছে। কিন্তু বিষয়টি কেবল বাহ্যিক নয়, বরং গভীর বৈজ্ঞানিক, পুষ্টিগত ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। আর এসব কারণেই কালো মুরগির দাম সাধারণ মুরগির তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
জেনেটিক রহস্য: ‘ফাইব্রোমেলানোসিস’ নামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
কালো মুরগির অনন্যতা শুরু হয় এর জিন থেকে। বিজ্ঞানীরা এই জিনগত বৈশিষ্ট্যকে বলেন “Fibromelanosis”। এটি এমন একটি জিন মিউটেশন, যার কারণে মুরগির শরীরে অতিরিক্ত মেলানিন জমা হয়। মেলানিন হলো সেই উপাদান যা মানুষের ও প্রাণীর ত্বক ও চুলের রঙ নির্ধারণ করে।
কিন্তু এই বিশেষ জিন মুরগির শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেই কালো করে দেয় পালক থেকে শুরু করে হাড়, মাংস, এমনকি অন্ত্র পর্যন্ত। এই বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি মুরগির প্রজাতিতে পাওয়া যায়, যা একে করে তুলেছে অত্যন্ত বিরল ও মূল্যবান।
বিরলতা ও সীমিত প্রজাতি
বিশ্বজুড়ে কালো মুরগির প্রজাতি গোনা যায় হাতে গোনা কয়েকটি-
সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ভারতের কড়কনাথ (Kadaknath), ইন্দোনেশিয়ার আয়াম সেমানি (Ayam Cemani), এবং চীনের সিল্কি (Silkie) মুরগি। ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ঝাবুয়া অঞ্চলে পাওয়া যায় কड़कনাথ, যা ভারতের ভৌগোলিক স্বীকৃতি (GI Tag) পেয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আয়াম সেমানি একেবারেই সম্পূর্ণ কালো পালক থেকে মাংস পর্যন্ত। এটি স্থানীয়ভাবে ‘অলৌকিক পাখি’ হিসেবে পরিচিত। চীনের সিল্কি মুরগি আবার মসৃণ পালক ও হালকা গঠনবিশিষ্ট, যা ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসায় বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই প্রজাতিগুলোর সরবরাহ সীমিত এবং প্রজনন প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় এদের বাজারমূল্য সাধারণ মুরগির তুলনায় বহুগুণ বেশি।
অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
কালো মুরগির মাংস শুধু রঙে নয়, গুণেও অনন্য। এতে সাধারণ মুরগির তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, চর্বি কম, এবং লোহা, জিঙ্ক, অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় কালো মুরগির স্যুপকে বলা হয় “ঔষধি খাদ্য”। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্তাল্পতা কমানো, ক্লান্তি দূর করা ও প্রসূতি নারীর পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। ভারতের কড়কনাথ মাংসকে বলা হয় “ডায়াবেটিস ও হার্ট রোগ প্রতিরোধী খাবার”, কারণ এতে কোলেস্টেরল অত্যন্ত কম।
সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব
কালো মুরগির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর সাংস্কৃতিক মূল্য। দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই কালো মুরগিকে পবিত্র বা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
ইন্দোনেশিয়ায় আয়াম সেমানি ব্যবহৃত হয় ধর্মীয় পূজায় ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, এই মুরগি অশুভ শক্তি দূর করে এবং সৌভাগ্য বয়ে আনে। ভারতের কিছু উপজাতীয় সম্প্রদায় মনে করে, কড়কনাথ মুরগি আত্মিক শক্তির প্রতীক। চীনে সিল্কি মুরগি ব্যবহৃত হয় ইয়িন ও ইয়াং ভারসাম্য রক্ষায়, যা শরীর ও মনের শান্তি বজায় রাখে বলে ধারণা করা হয়।
ব্যয়বহুল প্রজনন প্রক্রিয়া ও যত্ন
কালো মুরগির দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এর প্রজনন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এদের বৃদ্ধি হার ধীর, ডিম পাড়ার হার কম, এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি। বিশুদ্ধ জাত (pure breed) বজায় রাখতে বিশেষ যত্ন নিতে হয়, কারণ হাইব্রিড মুরগির সঙ্গে মিশে গেলে এদের অনন্য কালো বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যেতে পারে।
এই সব কারণেই একেকটি মুরগি উৎপাদনে সময় ও খরচ দুটোই বেশি, ফলে বাজারে এর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়।
বিশ্বজুড়ে বিলাসবহুল খাদ্য হিসেবে কালো মুরগি
কালো মুরগি এখন শুধু গবেষণা বা ঐতিহ্যের বিষয় নয়, এটি রন্ধনশিল্পের বিলাসবহুল উপকরণ হিসেবেও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ইন্দোনেশিয়ার আয়াম সেমানি ও ভারতের কड़कনাথ মাংস উচ্চমানের রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা হয়। এক কেজি মাংসের দামই অনেক সময় ৩,০০০–৫,০০০ টাকার বেশি, আর একটি পুরো মুরগির দাম হতে পারে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত। পশ্চিমা দেশগুলোতে কালো মুরগি একটি “Luxury Meat” হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ উৎসব, রাজকীয় অনুষ্ঠান কিংবা আন্তর্জাতিক ফুড ফেস্টিভ্যালে এই মাংসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।
পোষা প্রাণী হিসেবেও জনপ্রিয়তা
বিশ্বের অনেক দেশে ধনী ব্যক্তিরা কালো মুরগিকে Exotic Pet বা বিলাসবহুল পোষা প্রাণী হিসেবে পালন করেন। আয়াম সেমানি তার রহস্যময় কালো রঙ, ঝকঝকে পালক ও অনন্য সৌন্দর্যের জন্য “The Lamborghini of Poultry” নামেও পরিচিত।
বাজারমূল্য ও অর্থনৈতিক দিক
কালো মুরগির দাম অঞ্চলভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন। ভারতের কड़कনাথের প্রতি কেজি মাংসের দাম ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত। বাংলাদেশে চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম আরও বেশি। ইন্দোনেশিয়ায় আয়াম সেমানির একটি বাচ্চা মুরগির দাম ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, আর পূর্ণবয়স্ক একটি মুরগি বিক্রি হয় কয়েক লক্ষ টাকায়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও চিকিৎসায় সম্ভাবনা
কালো মুরগির মাংসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড ও পলিফেনল যৌগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে। এই উপাদানগুলো হৃদরোগ প্রতিরোধ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও কোষ পুনর্গঠনে কার্যকর হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। বায়োটেকনোলজিতে এখন কালো মুরগির জিন নিয়ে নতুন ওষুধ তৈরির সম্ভাবনাও খোঁজা হচ্ছে।
কালো মুরগি প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি যেখানে বিজ্ঞান, ঐতিহ্য, পুষ্টি ও সংস্কৃতি একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। এটি শুধু একটি খাবার নয়, এটি এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী প্রতীক, যার প্রতিটি দিকেই আছে সৌন্দর্য, রহস্য ও মূল্য। এই বিরলতা, পুষ্টিগুণ, আধ্যাত্মিকতা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সব মিলিয়ে কালো মুরগিকে করেছে পৃথিবীর অন্যতম দামি ও কাঙ্ক্ষিত প্রাণী।
আফগান–পাক উত্তেজনা ফের চরমে
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতি জোরদারের আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানের ভেতরে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে পাকিস্তান এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে কাবুল সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আফগান সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।
আফগান সামরিক সূত্রের দাবি, পাকিস্তানি সেনারা সীমান্তবর্তী বেসামরিক এলাকায় হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে গোলাবর্ষণ চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোলার শব্দে সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এলাকা ত্যাগ করে।
এক আফগান কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা এখনো পাল্টা আঘাত করিনি। কিন্তু হামলা অব্যাহত থাকলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসলামাবাদ এখনো সরকারি বিবৃতি দেয়নি, যদিও অতীতে এমন অভিযোগ তারা ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করে এসেছে।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত নতুন নয়। গত মাসের শুরুতে কাবুলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর সংঘর্ষে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয় বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনই ছিলেন আফগান বেসামরিক নাগরিক। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
২০২১ সালে তালেবান কাবুলে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা, পাল্টা অভিযানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং উভয় দেশের সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তেজনা প্রশমনে তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত ১৯ অক্টোবর দোহায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসলামাবাদ ও কাবুল। তবে বিশ্লেষকরা তখনই সতর্ক করেছিলেন যে, উভয় দেশের মধ্যে গভীর অবিশ্বাস ও নিরাপত্তা উদ্বেগ এই চুক্তিকে টিকিয়ে রাখতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে সেই চুক্তির পর্যালোচনা বৈঠক অচলাবস্থায় পড়ে যায়। কাবুল ও ইসলামাবাদ উভয় পক্ষই পরস্পরকে “চুক্তিভঙ্গ” ও “অবিশ্বাসী আচরণের” অভিযোগে অভিযুক্ত করে। বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত বৈঠকটি আদৌ অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না, রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
-রাফসান
১২ দিনের যুদ্ধের পর বরফ গলছে কি ইরান–মার্কিন সম্পর্কে?
দীর্ঘ টানাপোড়েন ও পারমাণবিক অচলাবস্থার মধ্যেই ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “ইরান বারবার জানতে চেয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না। আমি আলোচনায় রাজি এবং তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। বহু বছর ধরে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বিশেষ করে পারমাণবিক কর্মসূচি, আঞ্চলিক রাজনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা দেখব কী হয়, তবে আমি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।” তবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
অন্যদিকে, সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন, সামরিক ঘাঁটি বজায় রাখা এবং মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো ধরনের সহযোগিতা সম্ভব নয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির বক্তব্য ইরানের রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও কঠোর করেছে। ট্রাম্পের আলোচনার আহ্বানকে অনেকেই একটি কৌশলগত পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে চায়।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা প্রত্যাহার এবং এর পর ট্রাম্প প্রশাসনের পুনঃনিষেধাজ্ঞা আরোপ ইরান–মার্কিন সম্পর্ককে শীতল করে দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প তেহরানের ওপর আরও কঠোর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ান।
দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হয়, বিশেষ করে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম নিয়ে মতবিরোধের কারণে। জুন মাসে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এরপর থেকেই কূটনৈতিক সংলাপ কার্যত স্থগিত।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করে হয়তো অর্থনৈতিক চাপ কমানোর চেষ্টা করছে, কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তেহরানের তেল রপ্তানি প্রায় ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি, এবং বিদেশি মুদ্রা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় আগ্রহী হলেও সেটি হবে “শর্তসাপেক্ষে”। তিনি বলেন, “ইরানকে তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফিরে আসতে হবে এবং আঞ্চলিক আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে তবেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আলোচনা সম্ভব।”
ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তারা মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাত এড়াতে ইরান–মার্কিন সংলাপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
-রফিক
ব্রিটিশ প্রতিনিধির হুঁশিয়ারি: বাংলাদেশের নির্বাচনে 'অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়'
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড অ্যালেক্স কার্লাইল। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন যেন আর না হয়, সে বিষয়ে সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে, সেটিকে 'আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জরুরি সংস্কার' প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে লর্ড কার্লাইল বলেন, "বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। ২০২৪ সালের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা একাধিক সংকট সৃষ্টি করেছে, যেগুলোর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।"
লর্ড কার্লাইলের এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এলো, যখন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘের কারিগরি সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
২০০৮ সালে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতায় আসার পর টানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করে আওয়ামী লীগ। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তার শাসনামলে হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে দুটি বিরোধী দলগুলোর বর্জনের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
লর্ড কার্লাইল বলেন, "আগামী জাতীয় নির্বাচনে অতীতের ভুল যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা নিতে হবে এবং স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে তা নিশ্চিত করতে হবে।" তিনি যোগ করেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্জাগরণ ও চেতনা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে বাংলাদেশের সমাজের সব অংশকেই এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে আন্দোলন দমনে চালানো সহিংসতায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয় এবং আরও কয়েক হাজার আহত হন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, 'সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে' বলপ্রয়োগ করা হয়েছিল। ওই সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোর বিচারের জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন সংশোধন করে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়ার পথও খুলে দিয়েছে।
লর্ড কার্লাইল বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে, তবে এই আদালতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। বিচার হতে হবে স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত এবং সংবিধান ও আইনের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত।"
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো এখন মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা রাষ্ট্র ও বিরোধী উভয় পক্ষের কাছ থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যেও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তাই আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এখন অত্যন্ত জরুরি।
ট্রাম্পের ভারত সফর আসন্ন? মোদিকে 'মহান ব্যক্তি' বলে প্রশংসা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তাকে একজন 'মহান ব্যক্তি' এবং 'বন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আগামী বছরে ভারত সফর করতে পারেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার অংশ হিসেবে ট্রাম্প ভারত সফর করতে পারেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ওজন কমানোর ওষুধের দাম কমানো নিয়ে নতুন এক চুক্তি ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার আলোচনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "তিনি (মোদি) রাশিয়া থেকে তেল কেনা মূলত বন্ধ করেছেন। তিনি আমার বন্ধু এবং আমরা কথা বলি। মোদি চান আমি সেখানে (ভারত) যাই। আমরা এটি ঠিক করব এবং আমি যাবো।" ট্রাম্প আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন মহান ব্যক্তি এবং আমি সেখানে যাচ্ছি।"
আগামী বছর ভারত সফরের পরিকল্পনা করছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "হ্যাঁ, এটা হতে পারে।"
ভারতের ওপর অধিক শুল্কারোপ করার কারণে গত বছর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। গত আগস্টে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কোয়াডের সম্মেলনে ট্রাম্পের ভারত সফর করার কথা থাকলেও, তিনি সফরটি বাতিল করেন।
তবে এবার ট্রাম্প নিজেই ভারত সফরের ইঙ্গিত দেওয়ায় বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, শুল্কারোপ নিয়ে ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছিল, তা শিগগিরই অবসান হতে চলেছে এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানে গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের; উত্তেজনা চরমে
যুদ্ধবিরতি চুক্তি শক্তিশালী করতে তুরস্কের ইস্তান্বুলে যখন আলোচনা পুনরায় শুরুর কথা, ঠিক তখনই পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনীর এক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আফগান সেনাবাহিনীর এক সূত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করে জানায়, পাকিস্তান হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের (৬ নভেম্বর) এই গোলাবর্ষণ প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
আফগান সেনাবাহিনীর সূত্রটি জানায়, "আমরা এখনো পাল্টা আক্রমণ চালাইনি, কারণ ইস্তান্বুলে আলোচনা চলছে। আমরা সেই আলোচনার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংযম দেখাচ্ছি।" সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেন। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএফপি-র পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুর দিকেও দুই দেশের সীমান্তে মারাত্মক সংঘর্ষ হয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ওই সহিংসতায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ৫০ জন ছিলেন আফগান বেসামরিক নাগরিক। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষগুলোর একটি ছিল।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই উত্তেজনা বেড়েছে।
দুই দেশ গত ১৯ অক্টোবর কাতারে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তবে গত সপ্তাহে চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করতে তুরস্কে গিয়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়। উভয় পক্ষই পরস্পরকে আলোচনায় 'অসৎ উদ্দেশ্য' প্রদর্শনের অভিযোগ তোলে। যদিও বৃহস্পতিবার ইস্তান্বুলে আলোচনার নতুন পর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে এখনো কোনো পক্ষ নিশ্চিত করেনি যে প্রতিনিধিদলগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না।
উভয় দেশই সতর্ক করেছে যে, যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয়, তাহলে সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাক-ভারত সংঘাতে বিমান বিধ্বস্ত: ট্রাম্পের নতুন দাবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন। এবার তিনি দাবি করেছেন, সেই সংঘাতে মোট আটটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল, যদিও এর আগে তিনি সাতটি বিমান ধ্বংসের কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, তাঁর কঠোর অবস্থান এবং হুমকির কারণেই শেষ পর্যন্ত দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার রাতে মায়ামিতে আমেরিকান বিজনেস ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি গত আট মাসে আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন—যার মধ্যে কসোভো-সার্বিয়া, কঙ্গো-রুয়ান্ডা এবং পাকিস্তান-ভারতের সংঘাতও রয়েছে।
তিনি সেই সংঘাতের ঘটনা স্মরণ করে বলেন, "সেই সময় আমি দুই দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একদিন দেখি খবরের শিরোনাম—ওরা যুদ্ধ শুরু করেছে। ৭টি বিমান ধ্বংস, আরেকটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অর্থাৎ মোট ৮টি বিমান কার্যত ভূপাতিত।"
ট্রাম্প দাবি করেন, যতক্ষণ না ভারত ও পাকিস্তান শান্তিতে সম্মত হয়, ততক্ষণ তিনি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য চুক্তি না করার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "আমি বলেছিলাম, যদি যুদ্ধ করো, আমি তোমাদের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য করব না। একদিন পরই ফোন পেলাম—তারা শান্তি মেনে নিয়েছে। আমি বললাম, দারুণ! এখন আমরা বাণিজ্য করতে পারি।"
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই সংঘাতে পাঁচ থেকে সাতটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল। গত মাসেই তিনি একই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ওই সংঘাতে সাতটি একেবারে নতুন ও ঝকঝকে যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি সবসময়ই অস্বীকার করা হয়েছে। নয়াদিল্লির মতে, মে মাসের সেই সংঘাতে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেটি যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ফল ছিল না।
উল্লেখ্য, মে মাসের চারদিনব্যাপী সংঘাতে দুই দেশই যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং ভারী গোলাবর্ষণ চালিয়েছিল, যাতে বহু মানুষ প্রাণ হারায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতি হয়। পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে একটি ছিল ফরাসি তৈরি রাফাল ফাইটার জেট। ভারত কিছু ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করলেও ছয়টি বিমান হারানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে দেশটির যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রতন ঢালী (২৯), যাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়। তবে নিহত আরেকজন, ফয়সাল হোসেনের (২২), ঠিকানা এখনও জানা যায়নি।
নিহতদের বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (সিটিটিসি) ইউনিট নিশ্চিত করেছে।
সিটিটিসি বিশেষ পুলিশ সুপার রওশন সাদিয়া আফরোজ নিশ্চিত করে বলেন, "আমরা শতভাগ নিশ্চিত—রতন ঢালী টিটিপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।"
ভারতে হয়ে পাকিস্তানে যোগদান
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রতন ও ফয়সাল ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে তারা অবৈধভাবে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছান এবং সেখানে টিটিপি-তে যোগ দেন।
রতন ঢালী ঢাকার খিলগাঁওয়ের একটি মেডিকেল সেন্টারে কাজ করতেন। তার বাবা আনোয়ার ঢালী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক এবং মা সেলিনা বেগম। পরিবারের সঙ্গে শেষবার রতন যোগাযোগ করেন ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল রোজার ঈদে। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে আছেন এবং শিগগিরই দুবাই যাবেন। তার মা সেলিনা বেগম যখন টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, তখন রতন জানিয়েছিলেন, কাজের স্থান থেকে টাকা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর আর তিনি পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।
রতনের বাবা আনোয়ার ঢালী বলেন, রতন দুবাই যাওয়ার জন্য প্রয়োজন বলে গ্রামের বাড়ি থেকে তার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিল। তারা দেখতে চাইলেও রতন বলেছিলেন, এতে তার যাত্রায় সমস্যা হবে। তিনি আরও জানান, রতন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, তারপর পড়াশোনা বন্ধ করে মোবাইল সার্ভিসিং শিখতে শুরু করেন।
তদন্ত ও নতুন তথ্য
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানিরা ওয়াজিরিস্তানে টিটিপির ৫৪ যোদ্ধাকে হত্যা করার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। নিহতদের মধ্যে সাভারের আহমেদ জুবায়েরও ছিলেন। এরপরের তদন্তে রতন ও ফয়সালের নাম শনাক্ত করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, রতন ঢালী ও ফয়সালের প্রাথমিক জীবন সাধারণ ছিল, কিন্তু শেষ কয়েক বছর ধরে তারা বিদেশে যাওয়ার কথা বলতেন। গোয়েন্দা ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রতন ও ফয়সাল টিটিপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশি যুবকদের উগ্রপন্থায় প্ররোচনা দেওয়া এবং বিদেশে যোগদানের পথ প্রশস্ত করার কাজেও জড়িত ছিলেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে। দেশের যুবকদের বিদেশে চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গাজায় নিহত ২২ বন্দির লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করল হামাস
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় থাকা আরও এক ইসরায়েলি বন্দির দেহাবশেষ ইসরায়েলের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বুধবার (৫ নভেম্বর) এই ইসরায়েলি জিম্মির লাশ হস্তান্তর করা হয়। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে রেডক্রসের মধ্যস্থতায় এই লাশটি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস কর্তৃক মোট ২২ জন নিহত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর সম্পন্ন হলো।
যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী হামাস আরও ছয়জন নিহত বন্দির দেহাবশেষ ফেরত দেবে। এই ছয়জনের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিকের পাশাপাশি একজন থাই এবং একজন নেপালের নাগরিকের লাশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গত মাস থেকেই হামাস নিহত ইসরায়েলিদের লাশ হস্তান্তর করে আসছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী এই গোষ্ঠীটি মোট ২৮ জন নিহত জিম্মির লাশ ফেরত দিতে রাজি হয়েছিল।
অন্যদিকে, মৃত বন্দিদের লাশ ফেরাতে হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে হামাসের দাবি হলো—গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশ চাপা পড়ে আছে এবং সব লাশ খুঁজে পেতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জীবিত ও মৃত জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল ধাপে ধাপে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। সেইসঙ্গে, সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ করা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির উদ্যোগও চুক্তির অংশ ছিল।
তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখা নিয়ে হামাস এবং ইসরায়েল উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায়ও গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাঠকের মতামত:
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, জানুন বিস্তারিত
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
- জেনে নিন ভাপা পিঠা বানানোর সহজ রেসিপি
- আফগান–পাক উত্তেজনা ফের চরমে
- ১২ দিনের যুদ্ধের পর বরফ গলছে কি ইরান–মার্কিন সম্পর্কে?
- জুলাই সনদে নতুন সংকট: মুখোমুখি বিএনপি ও জামায়াত
- জানা গেল জাতীয় নির্বাচনের সময়
- ৭ নভেম্বরের বিপ্লব: জিয়াউর রহমানের প্রতি সমর্থনের গল্প শোনালেন মির্জা ফখরুল
- জোট বাদ দিয়ে নতুন যে কৌশল নিচ্ছে জামায়াত: উদ্দেশ্য একাধিক দলের অংশগ্রহণ বাড়ানো
- নির্বাচন নিয়ে ইসি'র চূড়ান্ত বার্তা: প্রস্তুত শতভাগ, ভোট ফেব্রুয়ারিতে
- ব্রিটিশ প্রতিনিধির হুঁশিয়ারি: বাংলাদেশের নির্বাচনে 'অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়'
- ট্রাম্পের ভারত সফর আসন্ন? মোদিকে 'মহান ব্যক্তি' বলে প্রশংসা
- যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানে গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের; উত্তেজনা চরমে
- শুক্রবার থেকে শনিবার ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- এনসিপি'র বার্তা: বিএনপি-জামায়াত যে কারো সঙ্গে জোটে যেতে পারি, শর্ত একটাই
- পাক-ভারত সংঘাতে বিমান বিধ্বস্ত: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- মবের ভয় কেন? যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ভয় তাদেরই: প্রেস সচিব
- বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: উপদেষ্টাদের প্রতি মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি
- হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন চুক্তি: কি কারণে ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি হলো?
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা পাস, মোট ছুটি যতদিন
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইতালি: সভ্যতার সূতিকাগার, শিল্পের রাজধানী ও আধুনিক ইউরোপের আত্মা
- ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা
- পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ২ বাংলাদেশি
- সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত
- স্বাধীনতা ও সংহতি দিবস: জিয়াউর রহমানের মুক্তি নিয়ে তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- জুলাই সনদ জারি করুন, নয়তো মর্যাদা হারাবেন: প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত সেক্রেটারির হুঁশিয়ারি
- ঐতিহাসিক দৃশ্য: তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া
- শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বিএনপিতে: যোগদানের নেপথ্যের দুটি কারণ জানালেন
- ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের পদযাত্রা
- শীতকালে সুস্থ থাকার ৫টি অপরিহার্য অভ্যাস
- ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত
- গাজায় নিহত ২২ বন্দির লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করল হামাস
- বিসিবি পরিচালক রুবাবা দৌলাকে নিয়ে 'বেফাঁস’ মন্তব্যে' তোপের মুখে ইরফান সাজ্জাদ
- ফোনে অশ্লীল বার্তা বা ছবি পাঠালে বিপদ; নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় কঠোর শাস্তির বিধান
- বগুড়া-৬, দিনাজপুর-৩, ফেনী-১: খালেদা-তারেকের ত্রিমুখী চমক
- গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির সমাবেশে: সরোয়ার বাবলার অজানা গল্প
- মির্জা ফখরুলের নিন্দা, এরশাদ উল্লাহ হামলার দ্রুত তদন্তের দাবি
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সাবেক অর্থমন্ত্রীর পুত্র রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে, যোগ দিয়ে জানালেন নির্বাচনী পরিকল্পনা
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ম্যানসিটির দাপট অব্যাহত: জোড়া গোল করে ডর্টমুন্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন ফোডেন
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম








