আজই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরও ৫ দেশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৯:১৩:৩৩
আজই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরও ৫ দেশ
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্ষিক সমাবেশের আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক সম্মেলনের মাধ্যমে আজই বেশ কয়েকটি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। দীর্ঘমেয়াদী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে এই সম্মেলন আয়োজন করা হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যৌথভাবে এতে সভাপতিত্ব করবেন।

কোন কোন দেশ স্বীকৃতি দিচ্ছে

সম্মেলনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং সম্ভবত নিউজিল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে। এর আগে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের মাঝে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ সত্ত্বেও গাজায় আক্রমণ দ্বিগুণ করার পর ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

ম্যাক্রোঁর ভূমিকা ও ‘গাজা পরিকল্পনা’

গত জুলাই মাসে ইউরোপজুড়ে এই প্রচারণার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পশ্চিমা দেশগুলোকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এর আগে, ১২ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদ ‘গাজা পরিকল্পনা’ বা ‘নিউ ইয়র্ক ঘোষণাপত্র’ ব্যাপক ভোটে গৃহীত হয়। জুলাই মাসে ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সম্মেলনে এটি প্রস্তাবিত হয়েছিল। ঘোষণাপত্রে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে ‘ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অবস্থান

যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল জুলাইয়ের ওই সম্মেলন বয়কট করে এবং এই মাসের শুরুতে ঘোষণার বিরুদ্ধেও ভোট দেয়।

এদিকে, জাতিসংঘ আশা প্রকাশ করেছে, এই শীর্ষ সম্মেলন ‘দুটি রাষ্ট্রের দিকে জাতিসংঘের রোডম্যাপ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে।’


আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের গান-নৃত্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৮:৩৩:২০
আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের গান-নৃত্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
আল আকসা মসজিদে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা (২০২০ সালের ছবি)। ছবি : সংগৃহীত

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও অবৈধ ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) শতাধিক অবৈধ বসতকারী দলে দলে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। সেখানে তারা নিহত মার্কিন ডানপন্থি কর্মী চার্লি কার্কের জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করে। খবর আনাদোলুর।

প্রার্থনা অনুষ্ঠান ও উসকানি

হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম স্রুগিম জানিয়েছে, এই প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কট্টর-ডানপন্থি এবং ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ইয়েহুদা গ্লিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আল আকসায় ইহুদিদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। চার্লি কার্ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন।

ইহুদি আচার পালন ও বাড়তি সেনা মোতায়েন

ফিলিস্তিনি সরকারি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, বসতকারীরা আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর সেখানে ইহুদি আচার পালন করে, গান গায় ও নৃত্য করে। আসন্ন ইহুদি নববর্ষকে কেন্দ্র করে এই ধরনের তৎপরতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা। ওয়াফার মতে, কট্টর-ডানপন্থি বসতকারীরা বড় আকারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও জানিয়েছিল, ইহুদি ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে।

‘ইহুদিকরণ’ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন

জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাওমেন্টস ডিরেক্টরেট বলছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে কট্টর ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন-গভির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আল-আকসায় উসকানিমূলক কর্মসূচি ও হামলা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে।

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে মক্কা ও মদিনার পর বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান। তবে ইহুদিরা একে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে, যেখানে তাদের দুটি প্রাচীন মন্দির ছিল বলে তারা বিশ্বাস করে।

ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, বসতকারীদের এ ধরনের হামলা পূর্ব জেরুজালেমকে ‘ইহুদিকরণ’ করার বৃহত্তর পরিকল্পনারই অংশ, যার মাধ্যমে শহরের আরব ও ইসলামী পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। ফিলিস্তিনিরা স্পষ্ট জানিয়ে আসছে, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতকারীদের হাতে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অন্তত ১ হাজার ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।

গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রায় দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে সব ধরনের বসতি সরিয়ে নেওয়া উচিত।

সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর


১৯৬৭ সালের পর প্রথম: সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শারার জাতিসংঘে আগমন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৭:৩৭:০৮
১৯৬৭ সালের পর প্রথম: সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শারার জাতিসংঘে আগমন
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা ১৯৬৭ সালের পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন। ১৯৬৭ সালে সর্বশেষ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নুরেদ্দিন আল আতাশি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে শারার কূটনৈতিক সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হচ্ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

আল কায়েদা নেতা থেকে প্রেসিডেন্ট

আহমেদ আল শারা এক সময় মধ্যপ্রাচ্যের কট্টর জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার একজন নেতা ছিলেন। তাকে হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এক কোটি ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। তবে গত বছর বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দামেস্কের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেন শারা। চলতি বছরে সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ কূটনৈতিকভাবে একটি বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হয়।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও মার্কিন সমর্থন

এই সফলতার পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে এবং শারার বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হত্যার পুরস্কারও তুলে নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন নিয়মিতভাবে শারার দেশের স্থিতিশীলতা ও ঐক্যের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাচ্ছে।

জাতিসংঘের ভাষণ ও সম্ভাব্য চুক্তি

শারা এই সপ্তাহে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। অধিবেশনের মাঝেই সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘নিরাপত্তা চুক্তি’ হতে পারে বলে আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।

প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষে গত ডিসেম্বরে কট্টর মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর জোট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করার পর শারা ক্ষমতায় আসেন। তাকে পশ্চিমা দেশসহ সৌদি আরব, তুরস্ক ও অন্যান্য সুন্নি প্রধান দেশগুলো সমর্থন করছে।

উল্লেখ্য, এ বছরের এপ্রিলে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং নিউইয়র্কে সিরিয়ার নতুন পতাকাও উত্তোলন করেন।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৬:২১:১১
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল
ছবি: সংগৃহীত

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে উপহার হিসেবে বিতরণের জন্য ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চালভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।

দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বিতরণ

‘চাষী’ ব্র্যান্ডের এসব চাল ভারতের দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বিতরণ করা হবে। বন্দর থেকে চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব ভূইয়া জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল পাঠানো হয়েছে। চালগুলো বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।


যুক্তরাজ্য সরকারের মানচিত্রে যুক্ত হলো ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৫:৩৪:১৬
যুক্তরাজ্য সরকারের মানচিত্রে যুক্ত হলো ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো তাদের সরকারি মানচিত্রে ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’ বা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নাম যুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ঘোষণার পরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এরইমধ্যেই এটি হালনাগাদ করা হয়েছে এবং ভ্রমণ নির্দেশিকা, দূতাবাসের তালিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে এখন ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

‘শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা’

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের চলমান দুঃসহ পরিস্থিতির মাঝে আমরা শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে টিকিয়ে রাখতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

এর আগে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে চলতি বছরের শুরুতেই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও কয়েকটি দেশ শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এ স্বীকৃতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ওয়াশিংটনের মতে, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত।

জাতিসংঘের অধিবেশন ও বেলজিয়ামের প্রস্তুতি

এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রাক্কালে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে একটি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সেখানে আরও কিছু দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে। বেলজিয়ামও একই পথে হাঁটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


মার্কিন নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১২:০৫:৫২
মার্কিন নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলা
লেবাননে ইসরায়েলি হামলা। পুরোনো ছবি

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিনত জবেইলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় শিশুসহ অন্তত চার মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

লেবাননের দাবি ও নিহতদের পরিচয়

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সেলিন, হাদি এবং আসিল নামের তিনজনই শিশু। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। সরকারি সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, রোববারের ওই হামলাটি একটি মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। হামলায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি দাবি করেছেন, নিহত শিশু ও তাদের পিতা মার্কিন নাগরিক ছিলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্তব্য

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে নিহতরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন না। তবে একজনের পূর্বে একটি অভিবাসন ভিসার আবেদন ছিল।

ইসরায়েলের দাবি ও হামলা

ইসরায়েল দাবি করেছে, এই হামলায় হিজবুল্লাহর একজন সদস্য নিহত হয়েছে, তবে তারা স্বীকার করেছে যে, এতে বেসামরিক নাগরিকও মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। তারা দাবি করছে, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যেন নতুন করে সামরিক শক্তি গড়ে তুলতে না পারে, সে উদ্দেশ্যেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে প্রতিনিয়ত চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে আসছে ইসরায়েল।


কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১২:০৬:২৭
কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’
ছবিঃ সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন—তবে শর্ত থাকছে নিজের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার অক্ষুণ্ন রাখার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্মরণ করে কিম বলেন, “আমি এখনো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের মধুর স্মৃতি ধারণ করে আছি।”

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে তিন দফা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে হ্যানয়ের আলোচনায় চুক্তি ভেস্তে যায়। মূল বিতর্ক ছিল—উত্তর কোরিয়া কতটুকু ছাড় দেবে তার পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।

কিম জং উন তাঁর দেশের rubber-stamp সংসদে দেওয়া ভাষণে বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রান্ত ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ’ আসক্তি ত্যাগ করে বাস্তবতা মেনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে আমাদের আবার বসতে কোনো বাধা নেই।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ব জানে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার পর কী করে থাকে। তাই আমরা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দেব না।”

উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালে নিজেদের “অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক রাষ্ট্র” হিসেবে ঘোষণা করে। কিমের মতে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়াকে দুর্বল না করে বরং আরও শক্তিশালী করেছে, “যা কোনো চাপেই ভাঙবে না।”

দক্ষিণ কোরিয়া প্রসঙ্গে কিম সোজাসাপ্টা বলেন, “তাদের সঙ্গে বসার কোনো কারণ নেই। আমরা স্পষ্ট করছি—কোনো ধরনের আলোচনায় যাব না।” গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণকে প্রধান শত্রু ঘোষণা করেছে, রেলপথ ও সড়ক সংযোগ ধ্বংস করেছে।

রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া ঘনিষ্ঠতা

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ কিমকে আরও সাহসী করে তুলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা ক্রমশ বাড়ছে। মস্কোকে সমর্থন জানাতে উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার সৈন্য ও অস্ত্র পাঠিয়েছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়।

সিউল বারবার সতর্ক করেছে—রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, যা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।

ট্রাম্পের সফরের আগে কৌশলগত বার্তা

ট্রাম্প আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন, যখন দেশটি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) সম্মেলনের আয়োজন করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যুংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিম উল-চুল বলেন, “ট্রাম্পের সফরের আগে কিমের এই মন্তব্য সময়োপযোগী। এটি একদিকে আকস্মিক শীর্ষ বৈঠকের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা—যেমন নোবেল শান্তি পুরস্কারের বাসনা—কেও স্পর্শ করে।”

বিশ্লেষক ইয়াং মুজিনের মতে, কিমের ভাষণ ছিল একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী ও সতর্কতামূলক—যা যেমন আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দিয়েছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে।

-এ এফ পি


 ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে উত্তাল নিউইয়র্ক: বিএনপি-আওয়ামী লীগের হাতাহাতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১১:৩৮:৫১
 ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে উত্তাল নিউইয়র্ক: বিএনপি-আওয়ামী লীগের হাতাহাতি
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে (নিউইয়র্ক সময়) ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানানো ও প্রতিহত করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সূত্রপাত ও হাতাহাতি

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটসে একটি স্বাগত সমাবেশ করে। প্রায় ২০০ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।

তবে বিএনপির সমাবেশের পর ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, শিকাগো, বস্টন, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, নিউজার্সি ও কানেকটিকাট থেকে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী জ্যাকসন হাইটসে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা ইউনূস বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করেও স্লোগান দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের জ্যাকসন হাইটস থেকে চলে যেতে বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নিউইয়র্ক পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট জনকণ্ঠকে বলেন, ড. ইউনূস একজন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ব্যক্তি এবং বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার প্রধান। তাকে স্বাগত জানানো তাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক তাকে নানাভাবে অপমান করার আয়োজন করছে, যা তারা যুক্তরাষ্ট্রে হতে দেবেন না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জ্যাকসন হাইটসে আওয়ামী লীগ কোনো কারণ ছাড়াই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রে সব সময় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং তারা আর কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করবেন না। তিনি মন্তব্য করেন, আজকের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ব্যাপারে বিরূপ ইমেজ তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি জ্যাকসন হাইটসের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন।

ড. ইউনূসকে ঘিরে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

আওয়ামী লীগ রোববার বিকেল থেকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে এবং জাতিসংঘের অফিসের সামনে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ‘যেখানে ইউনূস, সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান ও সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ আলী মানিক এবং নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইমদাদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে এই কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করেছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস যে হোটেলে অবস্থান করবেন, তার সামনেও প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি ও কালো পতাকা প্রদর্শনের কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। শুক্রবার জাতিসংঘে মুহম্মদ ইউনূসের ভাষণের সময়েও বাইরে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। পরের দিন টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুস হোটেলে মুহম্মদ ইউনূসের মতবিনিময় অনুষ্ঠানের বাইরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্য নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা বলেছেন।

উল্লেখ্য, ড. ইউনূসসহ ছয়জন রাজনীতিবিদ রোববার বিকেল আড়াইটায় জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে নিউইয়র্কে পৌঁছান।


যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নতুন হামলা: গাজায় মানবিক বিপর্যয়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১১:২৭:৪৬
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নতুন হামলা: গাজায় মানবিক বিপর্যয়
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ২৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হতাহতের সর্বশেষ পরিসংখ্যান

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ জনের মৃতদেহ হাসপাতালগুলোতে আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩০৪ জন আহত হয়েছেন। এতে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৫ জনে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং সড়কে পড়ে আছেন কিন্তু উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’

মানবিক সহায়তা সংগ্রহে গিয়ে প্রাণহানি

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টাকালে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ২৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৩ জনে এবং আহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৭৩ জনের বেশি।

ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে শিশুসহ চারজন মারা গেছে। এ নিয়ে ক্ষুধাজনিত কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪০ জনে, যার মধ্যে ১৪৭টি শিশু। গত মাসে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬২ জন মারা গেছেন, এর মধ্যে ৩২টি শিশু।

আন্তর্জাতিক আহ্বান ও আইসিজে মামলা

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ৭২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫৪ হাজার ৫৩৪ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।


রাশিয়া দাবি: একদিনে ইউক্রেন হারিয়েছে ১৫১৫ সৈন্য

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ২১:২৬:০১
রাশিয়া দাবি: একদিনে ইউক্রেন হারিয়েছে ১৫১৫ সৈন্য
ছবি: সংগৃহীত

গত একদিনে বিশেষ সামরিক অভিযান চলাকালে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রায় ১ হাজার ৫১৫ জন সৈন্যকে হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। একই সময়ে রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৬৫টি ইউক্রেনীয় ফিক্সড-উইং ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং কৃষ্ণ সাগরের নৌবহর ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দুটি চালকবিহীন নৌকা ধ্বংস করেছে।

অঞ্চলভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিভিন্ন ব্যাটলগ্রুপ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে:

ব্যাটলগ্রুপ নর্থ: ১৮৫ জনেরও বেশি সেনা, একটি ট্যাঙ্ক এবং সাতটি গাড়ি হারিয়েছে ইউক্রেন।

ব্যাটলগ্রুপ পশ্চিম: ২২৫ জনেরও বেশি সেনা এবং একটি সিনেটর সাঁজোয়া যুদ্ধযান ধ্বংস করা হয়েছে।

ব্যাটলগ্রুপ দক্ষিণে: ২২০ জন সেনা, একটি সাঁজোয়া কর্মী বাহক এবং দুটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান হারিয়েছে কিয়েভের বাহিনী।

ব্যাটলগ্রুপ সেন্টার: ইউক্রেন ৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য এবং একটি সাঁজোয়া কর্মী বাহক হারিয়েছে।

ব্যাটলগ্রুপ পূর্বে: ৩৪০ জন পর্যন্ত সেনা ও একটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান।

ব্যাটলগ্রুপ ডিনেপারে: ৪৫ জন সেনা এবং নয়টি অটোমোবাইল ধ্বংস করা হয়েছে।

রুশ অভিযানের অন্যান্য সাফল্য

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে, রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের দূরপাল্লার ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোও ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি ১৩৮টি এলাকায় ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং বিদেশি ভাড়াটেদের জন্য অস্থায়ী স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: