সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে দাবি জানাতে পারে, তবে তা পুরো জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, যে পরিবর্তন সবাই চায়, তা একদিনে সম্ভব নয়; এর জন্য ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’ আয়োজিত তৃতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘জনগণের রায় ছাড়াই সবকিছু ঠিক করা হচ্ছে?’
সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গতকাল দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, কোথাও বলা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, আর বিএনপি হবে বিরোধী দল! তাহলে কি জনগণের রায় ছাড়াই এসব ঠিক করে ফেলা হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনো দল এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয় যে তারা সরকার গঠন করবেই, তাহলে তারা নির্বাচনে আসে না কেন?
তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য এখন সবার কাছে স্পষ্ট। তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংকটের পরিবর্তে ঐক্য তৈরি করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করার মাধ্যমে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
‘ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারে থাকা ভুল সিদ্ধান্ত’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আলোচনার টেবিলে মতৈক্য না হলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা থাকলে একটি শক্তিশালী ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার মতে, ছাত্রদের সরকারের দায়িত্বে থাকা উচিত হয়নি। তারা চাইলে জাতির প্রেশার গ্রুপ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু সরকারে যাওয়ার পর তাদের প্রতিনিয়ত নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্ব থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের সব ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার দায় তার দলকে নিতে হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের হাতে ‘বন্দি’ হয়ে পড়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’র তৃতীয় সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘একাই লড়ছি’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষ এনসিপির কাছে নতুনত্ব প্রত্যাশা করছে। তিনি দাবি করেন, দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে এমন একটি অংশ মিডিয়া ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তারা অনেকটা একাই লড়াই করছেন। তিনি বলেন, “আমরা মিডিয়ার চোখে চোখ রেখে কথা বলছি। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে এনসিপির নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের খবরটি গণমাধ্যমে প্রচার করা নিয়েও তিনি আপত্তি জানান। তিনি বলেন, এনসিপি মিডিয়া বিরোধী নয়, তবে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠতা প্রত্যাশা করে।
‘ভুল স্বীকার করতে পারি’
ব্যবসায়ীদের হাতে রাজনীতি ‘বন্দি’ হওয়ার প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। এনসিপির অর্জন কম নয় দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, আমরা তার পর্যালোচনা করি। ভুল স্বীকার করতে পারি। আপনারা পরামর্শ দেবেন, আমরা সংশোধন করে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করবো।”
“টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
টোগোর জনপ্রিয় র্যাপার আমরন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট ফোর গনাসিংবেকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে আসছেন, আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার সকালে রাজধানী লোমেতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে তার আইনজীবী সেলেস্টিন আগবোগান নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আমরন জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ, গণঅভ্যুত্থানের ডাক এবং সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত।
আমরনের প্রকৃত নাম নারসিস এসোয়ে চালা। গত ৩০ আগস্ট তিনি লোমেতে নিজ মহল্লায় বিক্ষোভের চেষ্টা করেছিলেন, তবে পুলিশ তাকে থামিয়ে দেয়। এর আগে মে মাসে প্রথমবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরে জুন মাসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তার প্রথম গ্রেপ্তারের পর থেকেই দেশে তীব্র জনঅসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, সরকারবিরোধী দমননীতি এবং প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক সংস্কারের প্রতিবাদে জুন মাসজুড়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওই বিক্ষোভে অন্তত সাতজন নিহত হন। সরকার অবশ্য মৃত্যুগুলো বিক্ষোভ-সংক্রান্ত নয় বলে দাবি করেছে।
আমরনের সর্বশেষ গ্রেপ্তার এমন সময়ে হলো, যখন মাত্র দুই দিন আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট গনাসিংবের শ্যালিকা মার্গেরিত গ্নাকাদেকেও তার লোমে-স্থিত বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গ্নাকাদে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সরকারের সমালোচনা করে আসছিলেন এবং এক ভিডিও বার্তায় প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। তিনিও গত ৩০ আগস্ট লোমেতে স্বল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভে অংশ নেন।
অগাস্টের শেষে টোগোর নাগরিক সমাজের জোট "টার্ন দ্য পেজ-টোগো" জানায়, তাদের দুই সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। ক্রমাগত গ্রেপ্তার অভিযানে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সরকার সমালোচনামূলক কণ্ঠকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ফোর গনাসিংবে ২০০৫ সালে তার পিতা ন্যাসিংবে ইয়াদেমার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। তার পরিবার টোগো শাসন করছে টানা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। বিরোধীদের অভিযোগ, তিনি যে সাংবিধানিক সংস্কার করেছেন তা মূলত তার ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে।
-আলমগীর হোসেন
“এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
বাল্টিক অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এস্তোনিয়া অভিযোগ করেছে, শুক্রবার তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়াই তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ঘটনাটি ঘটে ভায়ন্দলো দ্বীপের কাছে এবং বিমানগুলো প্রায় ১২ মিনিট এস্তোনিয়ার আকাশে ছিল। এসময় তাদের ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল এবং এস্তোনিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না।
ঘটনার পর ন্যাটোর অংশ হিসেবে বাল্টিক অঞ্চলে অবস্থান করা ইতালির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দ্রুত উড়ে যায় এবং রুশ বিমানগুলোকে সরে যেতে সতর্ক করে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এই পদক্ষেপকে “দ্রুত ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া” বলে প্রশংসা করেছেন। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের যুদ্ধবিমান উড়িয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
এস্তোনিয়া এই ঘটনার পর ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী, কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি মনে করে তার নিরাপত্তা বা সীমান্ত হুমকির মুখে, তবে সে জরুরি বৈঠক ডাকতে পারে। এর আগে পোল্যান্ড একই অভিযোগে ন্যাটোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছিল।
রাশিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মিগ-৩১ বিমানগুলো কারেলিয়া অঞ্চল থেকে ক্যালিনিনগ্রাদে যাচ্ছিল এবং তারা এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমানগুলো বাল্টিক সাগরের নিরপেক্ষ আকাশসীমায় ছিল এবং দ্বীপ থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে উড়েছে।
এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস ছাখনা বলেছেন, রাশিয়া এ বছর চারবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার এই বাড়তে থাকা উসকানি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
উক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইচ্ছে করে ইউরোপীয় দেশগুলোর আকাশসীমায় ঢুকে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, “হুমকি যত বাড়বে, চাপও তত বাড়বে।” তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।
ন্যাটোর বাল্টিক এয়ার পুলিশিং মিশনের নেতৃত্ব এখন ইতালির হাতে, যারা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ নজরদারি করছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সও পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।
-নাজমুল হাসান
আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো, জোট নিয়ে নাহিদ ইসলামের স্পষ্ট বার্তা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এনসিপি একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করবে। তিনি বলেন, নির্বাচন বা ভোটের মাঠে অন্য দলের সঙ্গে জোট করা একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত, এবং সেই সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে এনসিপি কারও সঙ্গে জোটভিত্তিক চিন্তাভাবনা করছে না। শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির জাতীয় সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বতন্ত্র দল হিসেবে এনসিপির অবস্থান
নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্য সব দল থেকে আমরা আলাদা। কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারছি না বলেই আমরা নতুন একটা দল। আমরা বিএনপি পছন্দ করি না, জামায়াতে ইসলাম সমর্থন করি না, অন্য দলগুলোকেও এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত মনে করছি না।” তিনি বলেন, এ কারণেই তারা সবাই মিলে নতুন দল করেছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য নিজেদের দল করা এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো। তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের পথচলায় এগিয়ে যাব। কেউ যদি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়, তাদের স্বাগত জানানো হবে।”
‘জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই’
এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে যে যুগপৎ আন্দোলন হচ্ছে, সেই আন্দোলনে এনসিপি নেই। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এনসিপি নিম্নকক্ষে পিআর (প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন) চায় না। তারা শুধু উচ্চকক্ষে পিআর এবং একটি কার্যকর উচ্চকক্ষ চায়, যেন জুলাই সনদ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়।
ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও নিবন্ধন
নাহিদ জানান, দ্রুত সাংগঠনিক বিস্তারের জন্য প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অক্টোবর মাসের মধ্যেই আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এবং নতুন সংবিধানের জন্য এনসিপি আগামী দিনে কর্মসূচি নেবে। তিনি জানান, ‘উঠান বৈঠক’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রাম এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চলমান আছে এবং এখন তারা উপজেলাভিত্তিক কর্মসূচিতে যাবেন।
দলের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, “নিবন্ধন পেতে যাচ্ছি। তবে প্রতীকের বিষয়ে আমাদের কিছু বলা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা শাপলা প্রতীক কেন দেওয়া যাবে না, সে বিষয়ে কোনো যুক্তি দিতে পারেননি। ফলে আমরা আশা রাখছি, শাপলা প্রতীক পাব।”
মির্জা ফখরুল: বিপ্লবী সংগঠন ছাড়া বিপ্লব সম্ভব নয়
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিপ্লব তখনই সফল হয়, যখন তার পেছনে একটি শক্তিশালী সংগঠন থাকে। তিনি বলেন, “আজ যে হতাশা এসেছে তার মূল কারণ সংগঠনের অভাব। বিপ্লবী সংগঠন যদি না থাকে, তাহলে বিপ্লব হয় না।”
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে প্রয়াত রাজনীতিবিদ ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘জীবনভর আদর্শে আপস করেননি বদরুদ্দীন উমর’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বদরুদ্দীন উমরের সঙ্গে তার খুব বেশি মেলামেশা করার সুযোগ না হলেও, তার বাসায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “বদরুদ্দীন উমর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার আদর্শ ও সংগ্রামের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। আজকে যারা রাজনীতি করছি, আমরা তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধাবোধ করি। কারণ তিনি কখনো আপস করেননি।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যারা নতুন প্রজন্মের, তারা উমর সাহেবের কাছ থেকে কতটুকু নিতে পেরেছে, তা তিনি জানেন না। তবে, তিনি মনে করেন, যারা বিপ্লব করতে চান, সমাজ বদলাতে চান বা সাধারণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে চান, তাদের অবশ্যই সংগঠনকে শক্তিশালী ও মজবুত করতে হবে এবং মানুষের কাছে চলে যেতে হবে।
শোকসভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল সংগীত পরিবেশন এবং একটি ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়। শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা।
দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম অভিযোগ করেছেন যে, দেশের রাজনীতিতে আবার কেউ কেউ ‘নব্য ফ্যাসিবাদী’ আচরণ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এখন আবার কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা করছে।” তিনি আরও বলেন, দিল্লি বা বিদেশি প্রেসক্রিপশনে দেশ চালানোর এই অপচেষ্টা দেশের জনগণ মেনে নেবে না এবং যারা এসব ষড়যন্ত্র করছে তাদের রুখে দিতে হবে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করুন’
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা দেশকে বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে এবং গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, এর ফলে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
চরমোনাই পীর বলেন, ৫ আগস্টের পর যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষ ইসলামের সৌন্দর্যের ওপর আস্থা রাখতে চায়। এ সময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসমাবেশে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে যে, তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত দুটি রাজনৈতিক দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার পথে হাঁটছে। উভয় দলই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তি ধরে গড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, যদি এই দুই দল একীভূত হয়, তাহলে তা আগামী নির্বাচনে একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে বড় প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছে।
‘আলোচনার পর্যায়ে’ রয়েছে ঐক্য প্রক্রিয়া
এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। এনসিপি নেতারা বলেছেন, বিষয়টি এখনো ‘আলোচনার পর্যায়ে’ আছে। গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতাও রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন সমীকরণে আগ্রহী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জানা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তখন থেকেই দুই দলের মধ্যে একীভূত হওয়া নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথাবার্তা শুরু হয়। তবে দুই দলের বেশ কয়েকজন নেতা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময়ই হয়। আমাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা আলোচনা হয়নি।” তিনি বলেন, “সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে, তবে এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি।”
অন্যদিকে, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, “এখনো এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি।”
একই প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট প্রায় একই রকম। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন থেকে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। এনসিপির অনেক শীর্ষ নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন থেকেই। এ কারণে অনেকেই নুরুল হক নুরকে এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও মনে করেন।
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করেননি। তিনি বলেন, “আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলোকে এক করার চেষ্টা করছি। রাজনীতিতে তো অনেক কিছুই সম্ভব।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের সমন্বয় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদেরই দাবি’
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর তারাই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং শিগগিরই আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
ব্যর্থতার কারণ খুঁজছে এনসিপি
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এনসিপি সমর্থিত প্যানেলের আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা যে প্যানেলকে সমর্থন করেছিলাম, তারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দেখতে তারা আত্মমূল্যায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন, গত এক বছরে সাংগঠনিকভাবে যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, দলটি তা অর্জন করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার পেছনে নানা ধরনের অস্থিরতা ও পরিস্থিতি দায়ী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, তাদের সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলো খুব অল্প সময়ের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে একই ভুল যাতে না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে আওয়ামী লীগের এমন করুণ পরিণতি হতো না। তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে, যেখানে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছেন এবং চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছেন।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তারা আবার ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করবে।
‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে। তিনি বলেন, আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বহুবার দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই দাবি উপেক্ষা করেছে, যার কারণে তাদের এমন করুণ পরিণতি হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।
পাঠকের মতামত:
- সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ
- প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর
- অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত
- গাজা যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- বাড়ছে বাণিজ্য, বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার আজকের হার
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
- সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
- নেহা ভাসিন বনাম এলনাজ নরৌজি: জিম লুকে কার স্টাইল বেশি পছন্দ?
- ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস
- নতুন লুকে পূর্ণিমা, ছবি দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
- ‘বাঘ-সিংহের’ লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, পরিসংখ্যান কাদের পক্ষে?
- কাল্কি বিতর্কের পর দীপিকার নতুন শুরু: শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’
- ফ্রান্সের বদলে আলজেরিয়ার জার্সি গায়ে লুকা জিদান
- পিআর পদ্ধতি ভারতের নীলনকশার অংশ: সরওয়ার আলমগীর
- যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
- ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারে টানা পতন: সূচকে বড় পতন, কমেছে লেনদেন
- “গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
- বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
- ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
- “গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
- “টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
- “এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
- “জলবায়ু বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব: COP30-এর আগে গুতেরেসের হুঁশিয়ারি”
- পাকিস্তানের পারমাণবিক সুরক্ষায় সৌদি আরব, চুক্তিতে কী আছে?
- ভারতে গ্রেফতার হলেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন
- ইউরোপের আরেক দেশ এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে
- ঢাকায় শুটিং ও একাধিক অনুষ্ঠানে হানিয়া আমির, জেনে নিন তার সূচি
- বিনা খরচে চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা
- কৃষি খাতে নীরব দুর্ভিক্ষ: সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পচছে শত শত টন ফসল
- এশিয়া কাপ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, দেখে নিন আজকের খেলার সূচি
- দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কঠিন হলো যুক্তরাষ্ট্র, এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়লো
- আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো, জোট নিয়ে নাহিদ ইসলামের স্পষ্ট বার্তা
- বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
- পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি: নীরব সতর্কতা জারি করল ভারত
- মির্জা ফখরুল: বিপ্লবী সংগঠন ছাড়া বিপ্লব সম্ভব নয়
- দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর
- রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
- ‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
- যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের থাড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল ইরান
- জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ আর নেই
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
- ঢাকায় পা রাখলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- আইফোন ১৭-এর জন্য এমন উন্মাদনা? বিক্রি শুরুর দিনে মারামারি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
- এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
- সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার