কাঁচা পেঁপের উপকারিতা ও সতর্কতা: প্রাকৃতিক ওষুধের ভাণ্ডার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৫ ০৯:৩৩:১৬
কাঁচা পেঁপের উপকারিতা ও সতর্কতা: প্রাকৃতিক ওষুধের ভাণ্ডার
ছবি: সংগৃহীত

কাঁচা পেঁপে শুধু একটি সাধারণ সবজি নয়, বরং এটি এক প্রকার প্রাকৃতিক ওষুধ। এতে রয়েছে নানা ভিটামিন, খনিজ এবং বিশেষ উপাদান, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষকরা বলছেন, কাঁচা পেঁপেতে পাওয়া যায় প্যাপেইন (Papain) নামক এনজাইম, যা শরীরের নানা জটিল সমস্যার সমাধানে আশ্চর্যজনকভাবে কার্যকর। তবে এর উপকারিতা উপভোগ করার পাশাপাশি কিছু সতর্কতাও মানা জরুরি। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে তোলে এবং পেটের ভারীভাব, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দূর করে। যারা নিয়মিত হজম সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য কাঁচা পেঁপে এক প্রকার প্রাকৃতিক প্রতিষেধক।

রক্ত পরিষ্কার করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

শরীরে জমে থাকা টক্সিন বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। কাঁচা পেঁপে সেই টক্সিন বের করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে। এর ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ, উজ্জ্বল ও সুস্থ।

ওজন কমাতে সহায়ক

কাঁচা পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম, তবে ফাইবার রয়েছে প্রচুর। ফাইবার ক্ষুধা দমন করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। এর ফলে অযথা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এ কারণে ওজন কমাতে চান এমন মানুষের জন্য কাঁচা পেঁপে একটি আদর্শ খাবার।

মাসিকজনিত সমস্যা দূর করে

নারীদের মাসিক চক্র নিয়মিত করতে কাঁচা পেঁপে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি জরায়ুর সংকোচন বাড়িয়ে মাসিক সহজ করে এবং ব্যথা কমায়। যারা অনিয়মিত মাসিক বা অতিরিক্ত ব্যথায় ভোগেন, তাদের জন্য কাঁচা পেঁপে প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁচা পেঁপে কার্যকর। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে

লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন ও হজমে ভূমিকা রাখে। কাঁচা পেঁপে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং হেপাটাইটিসসহ নানা লিভারজনিত অসুখ প্রতিরোধ করে।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে

কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন A, C ও E, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে নানা সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কাঁচা পেঁপের ফাইবার অন্ত্রের গতি বাড়ায় এবং মলকে নরম করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় এবং হজম প্রক্রিয়া নিয়মিত থাকে।

আলসার ও গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে সহায়ক

কাঁচা পেঁপে পেটের প্রদাহ কমায়। যারা আলসার বা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি আরামদায়ক খাবার।

ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক

কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিনসহ বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো ফ্রি-র‌্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকর উপাদানকে প্রতিরোধ করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

সতর্কতা

  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা পেঁপে অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ এটি জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে, ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
  • অতিরিক্ত কাঁচা পেঁপে খেলে ডায়রিয়া, পেট খারাপ বা হজমের গোলযোগ হতে পারে।
  • যাদের ল্যাটেক্স অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য কাঁচা পেঁপে খাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

কাঁচা পেঁপে প্রাকৃতিক এক ভেষজ ওষুধ, যা হজম থেকে শুরু করে ওজন কমানো, লিভার ও হৃদপিণ্ড রক্ষা, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধ পর্যন্ত নানা উপকারে আসে। তবে এর উপকারিতা পেতে হলে সীমিত পরিমাণে খেতে হবে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন গর্ভাবস্থায়, একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে।


ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৭:৩০:৪২
ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

সাফল্য পেতে হলে ব্যর্থতার স্বাদ নিতে জানতে হবেই। কারণ প্রতিটি সফল মানুষের জীবনে থাকে ব্যর্থতার গল্প। আর সাফল্য মানেই কিন্তু ধনী হওয়া বা ভালো চাকরি করা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যর্থতা আসলে শেখা ও উন্নতির এক নতুন সুযোগ। এই ৭টি কৌশল অবলম্বন করলে আপনি আপনার ব্যর্থতাকেই সাফল্যে পরিণত করতে পারবেন।

ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তরের ৭ পদক্ষেপ

১. পরিবর্তনশীল মানসিকতা গড়ে তুলুন: স্থবির মানসিকতা ব্যর্থতাকে নিজের অযোগ্যতার প্রমাণ মনে করে। কিন্তু বিকাশমান এবং পরিবর্তনশীল মানসিকতা ব্যর্থতার চ্যালেঞ্জকে শেখা ও উন্নতির সুযোগ হিসেবে দেখে।

২. নেতিবাচক চিন্তা বদলান: যখন ব্যর্থ হবেন, তখন নিজের সঙ্গে কথা বলার ধরন বদলান। ‘আমি এটা পারি না’ বলার বদলে বলুন ‘আমি এখনো এটা পারিনি’। এই ছোট পরিবর্তন আপনার মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করবে যে পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব।

৩. শেখার প্রক্রিয়াকে গ্রহণ করুন: বুঝে নিতে হবে যে আসল শেখা অনেক সময় ভুল থেকেই আসে, আর ব্যর্থতা হলো সাফল্যের পথে একটি প্রয়োজনীয় ও অনিবার্য অংশ।

৪. ব্যর্থতা থেকে বিশ্লেষণ ও শিক্ষা নিন: ব্যর্থতাকে ভুলে যাওয়ার বা উপেক্ষা করার বদলে, সৎ ও নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করুন এর কারণ ও পর্যায়গুলো, যাতে এর ভেতর লুকানো শিক্ষা পাওয়া যায়।

৫. অনুভূতিকে স্বীকার করুন: ব্যর্থতার পর হতাশা, রাগ বা দুঃখ অনুভব করা স্বাভাবিক। এগুলো চেপে রাখা ভালো নয়। যখন মন শান্ত হবে, তখন বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

৬. মূল কারণ খুঁজে বের করুন: কেন ব্যর্থতা ঘটেছে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা বা কাজের ধাপগুলো পর্যালোচনা করুন। কারণটা জানলে ভবিষ্যতে একই ভুল এড়ানো সহজ হবে।

৭. দায়িত্ব নিন: দোষ অন্যের ওপর না চাপিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করুন। এটি দৃঢ় মানুষদের বৈশিষ্ট্য। এই মানসিকতা আপনাকে উন্নতির ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এবং নিজের অগ্রগতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।


গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৬:২৮:১৫
গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা
ছবিঃ সংগৃহীত

গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। অনেকেই মনে করেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই গ্রিন টি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু চা রয়েছে, যেগুলোতে গ্রিন টির থেকেও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদান শরীরের কোষকে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকে ধরে রাখে তারুণ্যের দীপ্তি।

‘ম্যাজিকাল’ ৩ চা ও তাদের উপকারিতা

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে এক থেকে দুই কাপ এই চাগুলো পান করলে শরীরের ভেতরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং মনও প্রশান্ত থাকে।

১. হোয়াইট টি: এই চা তৈরি হয় সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে, তাই এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরিমাণ গ্রিন টি-র থেকেও বেশি।

উপকারিতা: নিয়মিত পান করলে এটি কোষের বার্ধক্য কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। হোয়াইট টি-র স্বাদ খুবই হালকা এবং দেখতে প্রায় জলের মতো।

২. জবা চা (Hibiscus Tea): রক্তিম এই চা তৈরি হয় জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে। এতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও অ্যান্থোসায়ানিন—দুই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

উপকারিতা: এই চা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের কার্যকারিতাও বাড়ায়। এটি গরম বা ঠান্ডা—দুইভাবেই খাওয়া যায়।

৩. মাচা টি (Matcha Tea): সবুজ রঙা মাচা বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে নতুন প্রিয় পানীয়।

উপকারিতা: গবেষণায় দেখা গেছে, মাচা চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড ও ক্যাটেচিন, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতেও সহায়ক।

কেন এই চাগুলো খাবেন?

পুষ্টিবিদদের মতে, এই চাগুলো একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়:

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন দূর করে।

ত্বকের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর করে।

হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

স্ট্রেস কমায় ও মনকে প্রশান্ত রাখে।


রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৫১:৫০
রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার কাজে অন্যদের প্রশংসা পাবেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে আলোচনায় স্বস্তি পাবেন। কারো সহযোগিতায় উপকার হবে। চাকরিজীবীর পদস্থদের সুনজরে থাকবেন। জীবনের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন। যেকোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো যোগাযোগ অর্থাগমের পথ দেখাবে। প্রত্যাশা পূরণে বাধাবিপত্তি দূর হবে। আয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অনুকূল অবস্থা থাকবে। লেনদেনে আবেগ পরিহার করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আলস্যের প্রশ্রয় দেবেন না।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো কাজ করে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন। নিরলসভাবে কাজ করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন। মনের স্থিরতা বজায় রাখুন। ভালো থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ব্যয় চাপ থাকবে। অযথা উৎকণ্ঠা বিরাজ করতে পারে। কারো সাহচর্যে আনন্দ পাবেন। সমস্যা সমাধানে নিজ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান। কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ আপনার মধ্যে উদ্যম ও ইতিবাচক মনোভাব থাকবে, যা আপনার চারপাশের মানুষদেরও প্রভাবিত করবে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা থাকবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। লক্ষ্য অর্জনের কোনো সুযোগ ছাড়বেন না।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আজ কাজের ব্যস্ততা থাকবে। ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির সম্ভাবনা। আটকে থাকা টাকা উদ্ধার হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করবেন না। দীর্ঘদিনের কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): আজ আপনি একটি উদার ও সুন্দর মেজাজে নিজেকে খুঁজে পাবেন। উন্নতির ক্ষেত্রে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। লক্ষ্যে স্থির থাকুন। সময় আপনার পক্ষে থাকবে।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কর্মক্ষেত্রে মন্দাভাব কেটে যাবে। ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা আছে। প্রিয়জনের শরীর ভালো যাবে না। সন্তানের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): ইচ্ছানুসারে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য ধ্যান-ধারণা পেশ করতে পারবেন। সাফল্য লাভের জন্য কুশলী ও ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। সুস্থ থাকুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির সম্ভাবনা। কোনো প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবেন। অন্যরা আপনার ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বের প্রতি ভালো প্রতিক্রিয়া জানাবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি সৃজনশীল প্রকল্পে কাজ করার কথা বিবেচনা করুন।


রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৮:৫৫:০৬
রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের বাজারে গাঢ় গোলাপি কিংবা লালচে রঙের বিট রুট এখন সহজলভ্য। পুষ্টিবিদদের মতে, এই রঙিন সবজিটি পুষ্টিগুণ এবং ভেষজ ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। ডায়েট সচেতন ও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে এর উপকারিতা ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে।

বিট রুটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ: যারা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন, তারা খাদ্যতালিকায় বিট রুট রাখতে পারেন। এতে থাকা পর্যাপ্ত আয়রন এবং ফলিসন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিট রুট অনেক উপকারী। এতে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. ওজন কমানো: বিট রুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, যা ক্ষুধা মন্দা তৈরি করে। ফলে দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪. হজমে সহায়তা: পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ থাকার কারণে বিট রুট কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজমের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: বিট রুট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) মাত্রা কমিয়ে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. লিভার সুরক্ষা: বিট রুটে থাকা বিটেইন উপাদান লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়, যার ফলে সহজেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করা যায়।

৭. চোখের স্বাস্থ্য: বিটে থাকা লুটেইন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং চোখের স্বাস্থ্য ও চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: বিট রুট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৯. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: বিট রুটে আছে টালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ, যা প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে।

১০. তারুণ্য ধরে রাখা (অ্যান্টি এজিং): বিট রুটে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের তারুণ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বার্ধক্যজনিত যে রিঙ্কেল পড়ে, তার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।

খাবারের নিয়ম ও সতর্কতা

খাওয়ার উপায়: বিট রুট কাঁচা সালাদে, জুস করে কিংবা গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি মিলিয়ে মিক্সড সবজি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য স্মুদি কিংবা মিল্কশেক করেও দেওয়া যেতে পারে। মিষ্টিপ্রিয় ব্যক্তিরা বিট রুটের হালুয়া বা যেকোনো ডেজার্ট তৈরি করেও খেতে পারেন।

কারা খাবেন না:

ডায়াবেটিস রোগী: দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন বিট রুট খাওয়া উচিত নয়। কারণ বিট রুটের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।

কিডনি রোগী: যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের ক্রিয়েটিনিন বেশি, তাদের বিট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অ্যালার্জি: বিট রুটে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।

সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী বিট রুট গ্রহণ করা উচিত।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনস্ট অ্যান্ড ডায়েটিশিয়ান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।


হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:২৯:৩০
হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত আসার আগেই অনেকের হাত-পা ফেটে চামড়া ওঠা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে এটিকে আবহাওয়ার প্রভাব বা ক্রিমের অভাব মনে করলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এটি শুধু শীতের প্রভাব নয়, বরং শরীরের ভেতরের পুষ্টিহীনতা বা ভিটামিনের ঘাটতির সংকেতও হতে পারে। নিয়মিত এমন হলে বিষয়টি অবহেলা না করে এর আসল কারণ ও সমাধান জানা জরুরি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই অবস্থাকে বলা হয় ‘কেরাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিকা’ (Keratolysis Exfoliativa)।

যে ৫ ভিটামিনের ঘাটতিতে চামড়া ওঠে

চিকিৎসকদের মতে, হাতে-পায়ে চামড়া ওঠার সবচেয়ে বড় কারণ হলো নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি।

ভিটামিন এ: ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে।

উৎস: গাজর, পাকা পেঁপে, কুমড়া, দুধ ও ডিম।

ভিটামিন বি১২: রক্তকণিকা ও স্নায়ুর কার্যকারিতায় সাহায্য করে।

উৎস: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দই।

ভিটামিন সি: ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

উৎস: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকী ও টমেটো।

ভিটামিন ডি: ত্বক ও হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; এর ঘাটতিতে ব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।

উৎস: রোদ, মাছ, ডিমের কুসুম ও দুধ।

ভিটামিন ই: ত্বককে কোমল রাখে এবং মৃত কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়।

উৎস: বাদাম, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী তেল ও অঙ্কুরিত শস্য।

চামড়া ওঠার অন্যান্য কারণ ও করণীয়

বিশেষজ্ঞদের মতে, চামড়া ওঠার পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, যেমন—বংশগত প্রভাব, অতিরিক্ত পানিশূন্যতা, রোদে পোড়া বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা, ঘন ঘন হাত ধোয়া বা রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা এবং একজিমা বা সংক্রমণ।

চিকিৎসকদের পরামর্শ: নিয়মিত হাতে-পায়ে চামড়া উঠলে প্রথমে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়। যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ২০:৫৪:২৭
গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
ছবিঃ সংগৃহীত

আধুনিক লাইফস্টাইলের কারণে আজকাল ঘরে ঘরে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তরুণ বা বয়স্ক—হাজার হাজার মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। গুরুপাক খেয়ে ফেলতেই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যাও নতুন নয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হার্ভার্ডের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি ৭টি সুপারফুড খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যেগুলো নিয়মিত খেলে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিমেষেই দূর হতে পারে।

গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে যে ৭ সুপারফুড

১. কিউই: এ তালিকায় প্রথমেই থাকবে কিউই। ফাইবার ও অ্যান্টিনিডিন এনজাইমে ভরপুর এই ফলটি পেট ফোলার সমস্যা কমিয়ে দেয় এবং হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

২. মৌরি: গ্যাস কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মৌরি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। হার্ভার্ডের ওই চিকিৎসকের মতে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মৌরির বিকল্প নেই। মৌরি খেলে পেটের সব রকমের অস্বস্তি দূর হয়।

৩. পুদিনা পাতা: পুদিনা টি ও পুদিনা তেল—দুটোই গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার যম। পুদিনার তেল মাংসপেশিতে স্বস্তি আনে এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস বের করে দেয়। এ কারণেই গ্যাস হলে পুদিনা পাতার পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক।

৪. পেঁপে: পেঁপেতে থাকা এনজাইম হজমশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। হজমের সমস্যায় পাকা পেঁপে খাওয়া অত্যন্ত উপকারী মনে করা হয়। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সহায়ক।

৫. চিয়া সিডস: চিয়া সিডস পাচন প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে এবং মলত্যাগে সাহায্য করে। তবে রক্তচাপ কম থাকলে কিংবা কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিডস খাওয়া উচিত নয়।

৬. আদা: আদা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। আদার রস খেলে পেটব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। এটি পেট ফোলার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সহায়ক।

৭. শসা: শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করতে সাহায্য করে এই সবজি। শসাকে সুপারফুডের তালিকায় রেখেছেন হার্ভার্ডের চিকিৎসক। এটি পেট ফুলে থাকার সমস্যায় খুবই সহায়ক। দিনে একের অধিক শসা খাওয়া যেতে পারে।

সূত্র : আজতক বাংলা


দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৯:৩৯:৫২
দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে আমাদের মন কখনো অশান্ত হয়, কখনো আবার খারাপ হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা, ভাবনা, উদ্বেগ—এগুলো জীবনে স্বাভাবিকভাবেই থাকবে। কিন্তু অশান্তি সহজে কাটে না এবং দুর্ভাবনার কারণগুলো সব সময় দ্রুত নির্মূলও করা যায় না। ফলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অশান্ত মন ও উদ্বেগ নিয়ে যত বেশি ভাবা হয়, ততই তা বাড়তে থাকে। বরং সেই সব সরিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে মন দিলে, মন শান্ত হতে পারে। এই কৌশলগুলো মনের চাঞ্চল্য, রাগ ও অশান্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে।

মন শান্ত করার ৫ কৌশল

১. বাগান পরিচর্যা: খোলা আকাশ ও সবুজের মাঝে অনেকেই ভালো লাগা খুঁজে পান। নিজের হাতে বড় করা গাছে ফুল বা ফল এলে—তা দেখেও তৃপ্তি আসে। বাগানের পরিচর্যা মানে চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে খানিক প্রকৃতির স্পর্শ, যা মনকে শান্ত ও হালকা করতে সাহায্য করে।

২. লিখে ফেলা: মান-অভিমানে মন বড় ভার হয়ে থাকলে বা কেউ আপনাকে বুঝতে পারছে না মনে হলে, মনের কষ্ট ও খারাপ লাগাগুলো ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। শুধু খারাপ লাগাই নয়, আনন্দের মুহূর্তও লিখে রাখা যায়। মন হালকা এবং শান্ত করার এটি একটি ভালো উপায়।

৩. শখগুলিকে ঝালিয়ে নিন: কারও শখ আঁকা, কারও রান্না করা, কারও পছন্দ বেকিং, আবার কারও বই পড়া। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, শখের কাজ মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এমন কোনো কাজ অন্তত ৩০ মিনিট করলে, মন ভালো থাকবে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে।

৪. কথা বলা: কাছের বন্ধু বা বিশ্বাসযোগ্য কারও কাছে মন খুলে কথা বললেও মন খানিক শান্ত হয়। কষ্ট বা সমস্যার কথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। বন্ধু বা কাছের মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে কথা বললে, মন হালকা হতে পারে।

৫. প্রাণায়াম: হঠাৎ রাগ বা কোনো কারণে অশান্ত হয়ে উঠলেই প্রথমেই কয়েক বার শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। শান্ত হয়ে কিছু ক্ষণ বসুন। নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট প্রাণায়াম করলেও মন শান্ত থাকে এবং দৈনন্দিন সমস্যা শান্ত ভাবে মোকাবিলা করা যায়।


ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৭:২৯:১৮
ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে
ছবিঃ সংগৃহীত

রাতে বিছানায় পিঠ ঠেকালেই বারবার বাথরুমে যেতে হচ্ছে—এমন সমস্যা অনেকেরই হয়। যদিও স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়, কিন্তু ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়। অনেকেই এটিকে ডায়াবেটিসের লক্ষণ মনে করলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া ছাড়াও এর পেছনে থাকতে পারে অনেক জটিল রোগ।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক রাতে বারবার প্রস্রাব হওয়ার (নকচুরিয়া) ৫টি সম্ভাব্য কারণ:

ঘন ঘন প্রস্রাবের ৫টি কারণ

১. প্রস্টেটের সমস্যা: বয়স বাড়লে অনেক সময় পুরুষদের প্রস্টেটের সমস্যা দেখা দেয়। এই কারণে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে, কারণ ভুক্তভোগীদের একবারে মূত্র বের হতে চায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রস্টেট বড় হয়ে গেলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা: অল্প বয়সীদের মধ্যেও আজকাল স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা নজরে আসে। দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার ফলে এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর কারণে অনেক সময়ই বারবার প্রস্রাব পায় কিংবা প্রস্রাব আটকে রাখা যায় না। এর সঙ্গে পিঠে বা কোমরে ব্যথাও থাকতে পারে।

৩. কিডনির অসুখ (নকচুরিয়া): রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কিডনির অসুখের কারণেও হতে পারে, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় নকচুরিয়া বলা হয়। রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মূত্রত্যাগ করতে হলে দ্রুত সতর্ক হওয়া জরুরি।

৪. কিডনিতে স্টোন বা সংক্রমণ: কম পানিপানসহ আরও অনেক কারণে কিডনিতে স্টোন বা পাথর হতে পারে। সেই স্টোন আবার মূত্রনালীতে চলে আসলে বারবার প্রস্রাব পায়। মূত্র ত্যাগ করার সময় ব্যথা এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হতেও পারে। এ ছাড়া, মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ হলেও রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে।

৫. হরমোনের তারতম্য: শরীরে থাইরয়েড হরমোন বা কর্টিসল হরমোনের আধিক্য হলে রাতে একাধিকবার প্রস্রাব পেতে পারে। একই সমস্যা দেখা দেয় রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য ঘটলেও। এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথমে ও পরেও বারবার প্রস্রাব পেতে পারে।

সূত্র : আজকাল


বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৭:০৮:৪৭
বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
ছবিঃ সংগৃহীত

বিলিয়নিয়ার বা শতকোটি ডলারের মালিক হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। অনেকে সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেও সফল হতে পারেন না, আবার কারো কারো কাছে এটি ধরা দেয় অল্প বয়সেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় যদি সঠিকভাবে কাজ করা যায়, তাহলে বিলিয়নিয়ার হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ার তৈরি করেছে এমন চারটি ব্যবসা এখানে তুলে ধরা হলো।

১. ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগ (Finance and Investment)

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের যত বিলিয়নিয়ার আছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনই ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছেন।

সাফল্যের উদাহরণ: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রবাদপুরুষ ওয়ারেন বাফেট (মোট সম্পদ ৭৮.১ বিলিয়ন ডলার) এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

সম্ভাবনা: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা সম্ভব হলে এখান থেকে ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থ তুলে নেওয়া সম্ভব। এ কারণে এটি বিলিয়নিয়ার হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।

২. ফ্যাশন ও খুচরা পণ্য (Fashion and Retail)

এই ব্যবসাকে অনেকেই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে ব্যবহার করেছেন। বিশ্বের ২৩৭ জন বিলিয়নিয়ার ফ্যাশন ও খুচরা পণ্যের ব্যবসায় সফল হয়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

৩. গৃহায়ন ব্যবসা (Real Estate)

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা অতীতে যেমন রমরমা ছিল, এখনও তা রয়েছে। এ ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে বেশ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় এবং সাধারণত পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এই ক্ষেত্রে সুবিধা পান।

সাফল্যের উদাহরণ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (মোট সম্পদ ৩.১ বিলিয়ন ডলার) এ ব্যবসার সফল ব্যক্তিদের একটি উদাহরণ। চীন ও হং কংয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের অন্যতম। বিশ্বে গৃহায়ন ব্যবসা করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা দুই শতাধিক।

৪. তথ্য–প্রযুক্তি (Information Technology)

তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবসা করেও প্রতি বছর বহু মানুষ বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠছেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ৩০ বছরের আগেই এ সম্পদ কামিয়েছেন। বিল গেটসও এই ব্যবসাতেই দীর্ঘদিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ছিলেন।

প্রবৃদ্ধির হার: ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায় ১৮৩ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।

পাঠকের মতামত: