ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিন-কিমের ফোনালাপ: কী বার্তা দিলো দুই নেতা?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২১:৩০:৫২
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিন-কিমের ফোনালাপ: কী বার্তা দিলো দুই নেতা?
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার একটি ফোনালাপে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিম এবং পুতিন 'মৈত্রী, পারস্পরিক সদ্ভাব ও সহযোগিতার আরও উন্নয়নে' নিজেদের অঙ্গীকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমও কিমের পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সহযোগিতার 'উচ্চ মূল্যায়ন' করার কথা উল্লেখ করেছে।

ফোনালাপ ও ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকক্রেমলিন জানিয়েছে, ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, যা আগামী শুক্রবার আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এই তথ্যটি উত্তর কোরিয়ার সরকারি সূত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধ ও শ্রমিক সংকটরাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জানা যায়, কমপক্ষে ১০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। এ সপ্তাহের শুরুতে খবর আসে যে, মস্কোর নির্মাণ কাজে পাঠানো উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা 'দাসের মতো জীবন' কাটাচ্ছে, যা যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকটকে আরও বাড়িয়েছে।


ট্রাম্পের চিঠি, নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার আহ্বান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১১:৩৯:০০
ট্রাম্পের চিঠি, নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার আহ্বান
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমার আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে রাজনৈতিক ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক মাস পর বুধবার (১২ নভেম্বর) ট্রাম্প এই চিঠিটি পাঠান।

চিঠিতে ট্রাম্পের বক্তব্য

ট্রাম্পের চিঠিটি নেতানিয়াহুর প্রতি তাঁর অব্যাহত সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়। চিঠিতে তিনি নেতানিয়াহুকে ‘দৃঢ় ও সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যিনি এখন ইসরায়েলকে শান্তির পথে নিয়ে যাচ্ছেন।

ক্ষমা এবং শান্তি ট্রাম্প লেখেন, “আমি আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন আপনি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা করেন।” তিনি আরও দাবি করেন, তিনি ‘কমপক্ষে ৩,০০০ বছরের জন্য’ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

গাজা যুদ্ধ চিঠিতে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, গাজা যুদ্ধে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েল যে অভিযান চালিয়েছে, তাতে ৬৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার শিশু। তবে তিনি এই যুদ্ধের পরও নেতানিয়াহুর প্রতি সমর্থন জানালেন।

আব্রাহাম চুক্তি ট্রাম্প জানান, তিনি নিজেও মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন, যাতে আরও দেশকে ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

ট্রাম্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডানপন্থি নেতাদের প্রতি সমর্থন বাড়িয়ে চলেছেন।

হারজগের জবাব ও আইনি সীমাবদ্ধতা

ইসরায়েলে রাষ্ট্রপতির পদ মূলত আনুষ্ঠানিক হলেও, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রদানের সাংবিধানিক ক্ষমতা রাখেন। তবে নেতানিয়াহুর বিচার কার্যক্রম চলমান থাকায়, রায় ঘোষণার আগে হারজগ কোনো ধরনের ক্ষমা ঘোষণা করতে পারেন না।

বুধবার ট্রাম্পের চিঠির জবাবে প্রেসিডেন্ট হারজগ বলেন, ক্ষমা চাইলে সেটি অবশ্যই নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে।

প্রক্রিয়া মেনে চলার নির্দেশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করেন এবং ইসরায়েলের প্রতি তার অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।” তবে বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়, রাষ্ট্রপতি একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছেন, যে কেউ ক্ষমা চাইবেন, তাকে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক আবেদন দাখিল করতে হবে।


ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জার্মানির নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৯:৪৭:২৪
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জার্মানির নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের মোতায়েন করেছে জার্মানি। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। জেরুজালেমে অবস্থান করা এই দলটি স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

শান্তির জন্য অপরিহার্য কার্যকর পুলিশ বাহিনী

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট দেশটির সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য একটি কার্যকর পুলিশ বাহিনী অপরিহার্য।” তিনি জানান, এই কারণে ফেডারেল পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি দলকে জেরুজালেমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সহায়তা এই কর্মকর্তারা জেরুজালেমে অবস্থিত অফিস ফর সিকিউরিটি (ওএসসি) থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা করছেন।

মিশনের উদ্দেশ্য সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে, চার সদস্যের এই দলটি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিন এলাকায় পৌঁছেছে। তাদের মূল দায়িত্ব হলো ফিলিস্তিনের বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য জার্মানির দীর্ঘদিনের সহায়তা কর্মসূচিকে আরও সম্প্রসারিত করা।

দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ডব্রিন্ডট বলেন, “গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে জার্মান পুলিশ ফিলিস্তিন বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। নতুন এই মিশন সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিক অংশ।”


গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধযন্ত্রে টাটার জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৭:৫৭:৩৭
গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধযন্ত্রে টাটার জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পুঁজিবাদের ইতিহাসে টাটা গ্রুপকে সবসময় দেখা হয়েছে একটি নীতিনিষ্ঠ ও মানবিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতীক হিসেবে। ‘টাটা’ নামটি লাখো ভারতীয়ের কাছে আস্থা, দায়িত্ববোধ ও জনকল্যাণের প্রতিশব্দ। কিন্তু এই উজ্জ্বল ভাবমূর্তির আড়ালে লুকিয়ে আছে এক জটিল, অন্ধকার ও রাজনৈতিকভাবে বিস্ফোরক বাস্তবতা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন সালাম–এর বিশদ অনুসন্ধান বলছে, টাটা গ্রুপ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সামরিক দখলদারি ও গণহত্যার প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত—এবং বছরের পর বছর ধরে তারা যুদ্ধযন্ত্রকে সরবরাহ করে চলেছে মূল প্রযুক্তি, অস্ত্রাংশ এবং নজরদারি অবকাঠামো।

সালাম রিপোর্টে টাটা গ্রুপকে “ভারত–ইসরাইল সামরিক জোটের হৃদপিণ্ড” বলা হয়েছে। টাটার সহায় প্রতিষ্ঠান টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড (TASL) বহু বছর ধরে ইসরাইল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (IAI)–এর সাথে বারাক–৮ ক্ষেপণাস্ত্রের মূল অংশ তৈরি করছে যে মিসাইল গাজায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, TASL F–16 যুদ্ধবিমানের এয়ারফ্রেম এবং অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের ফিউজলেজও তৈরি করে এগুলো পশ্চিম তীরে দমন–অভিযানে ইসরাইলের সবচেয়ে ব্যবহৃত যুদ্ধযান।

জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার, আরেক টাটা সহযোগী প্রতিষ্ঠান, MDT ডেভিড নামের ইসরাইলি সাঁজোয়া যানটির চ্যাসিস সরবরাহ করে যা পশ্চিম তীরে প্রতিনিয়ত টহল ও অভিযান চালাতে ব্যবহৃত হয়। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) ইসরাইলের সরকারি নজরদারি অবকাঠামোতেও যুক্ত, বিশেষ করে বিতর্কিত প্রজেক্ট নিম্বাস যা গুগল, অ্যামাজন ও ইসরাইলি সরকারের যৌথ ক্লাউড–সিস্টেম, এবং ফিলিস্তিনিদের নজরদারি আরও কঠোর করছে।

টাটা তাদের বিজ্ঞাপনে মানবতা, সততা, গান্ধীর অহিংস আদর্শ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বলে। কিন্তু সালাম রিপোর্ট বলছে, এই নীতিকথা কেবলই কর্পোরেট–জাতীয়তাবাদের আড়াল। টাটা তার প্রতিরক্ষা খাতে আয় কত তা কখনো প্রকাশ করে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার নীতিমালা অনুযায়ী তাদের সম্মতি ব্যবস্থা নেই, নেই কোনো ইনডিপেনডেন্ট অডিট। তারা যুদ্ধযন্ত্রের অংশ হয়েও জবাবদিহিতার বাইরে রয়ে গেছে।

নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারত–ইসরাইল সম্পর্ক জ্যামিতিক হারে গভীর হয়েছে। ভারত এখন ইসরাইলি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা রপ্তানির ৪০–৪৫ শতাংশই যায় ভারতে। এতে টাটা হয়ে উঠেছে রাষ্ট্র–কর্পোরেট অংশীদারিত্বের প্রতীক ফিলিস্তিনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, তা একইভাবে ভারত জম্মু–কাশ্মীরে প্রয়োগ করছে। ফলে দুই অঞ্চলের দমন–ব্যবস্থা একধরনের ‘দ্বিপাক্ষিক দখলদারি মডেলে’ যুক্ত হয়ে গেছে।

ভারতীয় মূলধারার মিডিয়া টাটার বিরুদ্ধে তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে না। নাগরিক সমাজও নীরব যে ভারত একসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াত, আজ সেখানে ভয়, চুপচাপ সমর্থন ও দখলদারিত্বের স্বাভাবিকীকরণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে একসময় দখল-রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হতো, এখন সেসব নিষিদ্ধপ্রায়।

আন্তর্জাতিক আইনে বলা আছে কোনো কোম্পানি যদি জেনে–বুঝে এমন পণ্য বা প্রযুক্তি সরবরাহ করে যা যুদ্ধাপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হতে পারে, সেই কোম্পানিও আইনের চোখে অপরাধে জড়িত। তাই গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উপাদান তৈরি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে টাটার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি উঠছে।


গাজার নিয়ে ট্রাম্পের গোপন ফন্দি: ইসরায়েলকে বাদ দিয়েই গাজায় নামছে ওয়াশিংটন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২০:৫২:৩৩
গাজার নিয়ে ট্রাম্পের গোপন ফন্দি: ইসরায়েলকে বাদ দিয়েই গাজায় নামছে ওয়াশিংটন
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি জানিয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ও সেনা মোতায়েন

এই ঘাঁটি নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ কোটি ডলার (৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ করতে পারে বলে জানা গেছে।

এছাড়া ঘাঁটিটিতে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা ও ভারী অস্ত্র রাখতে চায় ওয়াশিংটন।

এই ঘাঁটি পরিচালনায় ইসরায়েলের কোনো সংশ্লিষ্টতা রাখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমেরিকার একটি প্রতিনিধিদল সম্ভাব্য স্থান নিয়ে আলোচনাও করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ এটিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথম বৃহৎ আকারের মার্কিন সামরিক স্থাপনা হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তবে পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই ঘাঁটি নির্মাণের কথা স্বীকার করলেও জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোনো মার্কিন সেনা গাজার ভেতরে মোতায়েন করা হবে না। তারা বলছেন, এই স্থাপনাটি মূলত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী বা জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের জন্য তৈরি হচ্ছে, যেখানে মিশর, কাতার ও তুরস্কের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

ট্রাম্পের পুরোনো পরিকল্পনা ও যুদ্ধবিরতি

এর আগে সেপ্টেম্বরে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী এবং ইসরায়েল ওই প্রস্তাব মেনে নিলে গত ৯ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

তবে এই যুদ্ধবিরতির আগে এপ্রিলে ট্রাম্প এক গোপন পরিকল্পনা এঁটেছিলেন। তিনি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে সেখানে স্বপ্নের আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। এই পরিকল্পনার জন্য ট্রাম্প আরব ও মুসলিম বিশ্বের ব্যাপক রোষানলে পড়েন।

নতুন ফন্দি ও বিশ্লেষণ

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল গাজায় যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী দেশটির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ফেরাতে এমন সামরিক পরিকল্পনার খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েল সাময়িকভাবে আন্তর্জাতিক চাপ কমাতে তার মিত্রদের মাধ্যমে নিজের লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনাও করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব বাড়িঘরে যারা থাকার সুযোগ পাবেন, তাদের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীবিরোধী হতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।


ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১১:৩৩:৫৮
ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি যুদ্ধ ও অবরোধের পর সিরিয়া যেন নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। মঙ্গলবার দামেস্কের রাস্তায় সাধারণ মানুষ তাদের নতুন নেতার ওয়াশিংটন সফরকে দেখেছেন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এক ইতিবাচক মোড় হিসেবে—যা হয়তো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার পথ খুলে দিতে পারে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা-কে—স্বাধীনতার পর (১৯৪৬) এই প্রথম কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের মার্কিন সফর এটি। এক সময় যাকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তিনিই এখন কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন।

দামেস্কের আইন বিভাগের ছাত্রী বুশরা আবদেল বারি বলেন, “আল্লাহর কৃপায় এই সফর হবে সিরিয়ার জন্য এক নতুন সূচনা, বিচ্ছিন্নতার বছরগুলো শেষে বিশ্বের সঙ্গে পুনঃসংযোগের এক সুযোগ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এই সফর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সিরিয়ার পুনর্গঠনের পথ সুগম করবে।”

শরার এই ঐতিহাসিক সফরের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করে ‘সিজার অ্যাক্ট’–এর আওতায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে—যা পরবর্তীতে কংগ্রেস স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এই আইনটি মূলত বিনিয়োগ ও আর্থিক লেনদেনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, আসাদ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সিরিয়াকে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে ঠেলে দিয়েছিল।

ঐতিহাসিকভাবে সিরিয়া বরাবরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ-এর ১৩ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনামলে রাশিয়াই ছিল প্রধান রক্ষাকবচ। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা পশ্চিমা দেশ ও উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন, যদিও তিনি এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন পুরোপুরি ছিন্ন করেননি।

দামেস্কের তরুণ আইন শিক্ষার্থী বারির ভাষায়, “রাশিয়া আমাদের কিছুই দেয়নি, শুধু ধ্বংস আর মৃত্যু।” অন্যদিকে ৩৬ বছর বয়সী মুদ্রণকর্মী ওমর নাসার বলেন, “সিরিয়া অতীতে সমাজতান্ত্রিক শিবিরে যোগদানের মূল্য চুকিয়েছে। সেই ভুলের পরিণতি ছিল দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা। এখন পশ্চিমমুখী নীতি হয়তো আমাদের জন্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পুনর্জাগরণের বার্তা আনবে।”

একই সুরে কফিকিওস্ক মালিক সাদ্দাম হাজ্জার বলেন, “ধীরে ধীরে সবকিছু ভালো দিকে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, নতুন মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হতে পারব। এত ত্যাগের পর সিরিয়ার মানুষ নিশ্চয়ই একটি ভালো জীবনের প্রাপ্য।”

আসাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ—যা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের দমন-পীড়ন থেকে। এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ, এবং কোটিাধিক সিরীয় ঘরবাড়ি হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, অবকাঠামো বিধ্বস্ত, সামাজিক কাঠামো বিপর্যস্ত।

২৫ বছর বয়সী এনজিওকর্মী লায়াল কাদ্দুর এই সফরকে দেখছেন “সাহসী রাজনৈতিক পদক্ষেপ” হিসেবে। তাঁর মতে, “এই সফর সিরিয়ার বিচ্ছিন্নতা ভাঙার প্রতীক। এর ফলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে।” তবে তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন—“যদি আন্তর্জাতিক সহায়তার বিনিময়ে সিরিয়া আবার বিদেশি চাপের অধীনে চলে যায়? বিশেষত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো রাজনৈতিক চাপের মুখে?”

সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্টের এই সফর শুধু কূটনৈতিক অগ্রগতি নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে সম্ভাব্য নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এক দেশ যখন পুনর্গঠন ও পুনঃসংযোগের স্বপ্ন দেখে, তখন এই সফর হয়তো সেই পরিবর্তনের সূচনাবিন্দু হয়ে থাকবে ইতিহাসে।

-নাজমুল হাসান


গাজায় মার্কিন ঘাঁটি, নতুন দখলদারিত্বের আশঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১০:৫১:১১
গাজায় মার্কিন ঘাঁটি, নতুন দখলদারিত্বের আশঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সীমানায় একটি বড় ধরনের সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম ‘শরিম’ জানিয়েছে, এই ঘাঁটি নির্মাণে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হতে পারে। এতে হাজারেরও বেশি সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির বরাতে ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলকে সরাসরি সহায়তা করার পাশাপাশি এটি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আগ্রাসনের ইঙ্গিত হতে পারে।

শরিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার এই ঘাঁটি নির্মাণের ফলে ওয়াশিংটন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সরাসরি সমন্বয় ছাড়াই গাজা অঞ্চলে স্বাধীনভাবে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব কৌশল অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা পাবে। গত সপ্তাহে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে মার্কিন একটি প্রতিনিধি দল সম্ভাব্য স্থানের বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় চলমান যুদ্ধ ও গণহত্যার কারণে যখন বিশ্বব্যাপী ইসরাইলবিরোধী ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে, তখন এই সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের খবর প্রকাশ ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরাইল হয়তো আন্তর্জাতিক চাপ এড়িয়ে তার লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে। তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কার্যত ইসরাইলি দখলদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে আরও দুর্বল করবে।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এটি এক দখলদারিত্বকে আরেক দখলদারিত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা মাত্র। ইসরাইলি সেনাদের পরিবর্তে এখন মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে ব্যাহত করবে। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমরা এমন কোনো বাহিনীকে মেনে নিতে পারি না, যা গাজায় দখলদার সেনাবাহিনীর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।”

উল্লেখ্য, নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দেয়, যেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (ISF)’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা ছিল। এই বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার ও মিশরের নেতৃত্বে অন্তত দুই বছর গাজায় অবস্থান করবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়। এর ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো গাজার পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তবে সমালোচকদের মতে, প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো গাজাকে অস্ত্রশূন্য করা এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের কাঠামো ধ্বংস করা।

মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার পাশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ কেবল নিরাপত্তার অংশ নয়; এটি আসলে মার্কিন-ইসরাইলি প্রভাববলয়কে স্থায়ী করার কৌশল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইরান, লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে মার্কিন-ইরান সংঘাতের মঞ্চ তৈরি করবে।

তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মূল সমস্যাগুলো যেমন ইসরাইলি দখলদারিত্ব, যুদ্ধাপরাধের দায়বদ্ধতা এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পুরোপুরি উপেক্ষা করছে। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, গাজায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত নতুন ধরনের দখলদারিত্বের সূচনা করতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

-রাফসান


ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৮:২৩:৫৬
ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে
ছবিঃ সংগৃহীত

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর চালানো এই হামলায় অন্তত এক ডজন লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরাসরি ভারত সমর্থিত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।

মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই হামলার তথ্য জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ও নিন্দা

ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি তাঁর দপ্তরের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, এই হামলার সঙ্গে ভারত সমর্থিত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো জড়িত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন

"ভারতের সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা নিন্দনীয় ঘটনা। ভারতকে এ অঞ্চলে প্রক্সির মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।"

তবে, পাকিস্তানের এমন গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছেন।

হতাহতের সংখ্যা ও ঘটনার স্থান

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি জানিয়েছেন, হামলাটি ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে হয়েছে।

এই আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ জন।

আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত

এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সরাসরি ভারতের পাশাপাশি আফগানিস্তানের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইসলামাবাদে এই যুদ্ধের জবাব পাকিস্তান পুরোপুরি দিতে সক্ষম।


চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতার ভেতরে লুকানো নতুন ভারসাম্য

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১১:১৫:৪৯
চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতার ভেতরে লুকানো নতুন ভারসাম্য
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব অর্থনীতি আজ যেন এক অদৃশ্য দাবার ছকে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি চালের পেছনে লুকিয়ে আছে ক্ষমতা, কৌশল, এবং প্রযুক্তিনির্ভর রাজনীতি। একদা মুক্ত বাণিজ্যের প্রতিশ্রুতিতে গঠিত এই বৈশ্বিক বাজার এখন হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চ। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মার্কিন–চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এখন আর কেবল শুল্ক বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধ নেই; এটি রূপ নিয়েছে প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও প্রভাব বিস্তারের জটিল প্রতিযোগিতায়।

ওয়াশিংটন এখন মরিয়া চীনের প্রযুক্তি আধিপত্য সীমিত করতে বিশেষত সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), এবং উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে। অন্যদিকে বেইজিং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রেয়ার আর্থ মেটাল বা বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে যা ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি, স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিক চিপ এমনকি যুদ্ধবিমানও কার্যত অচল। ফলে এই প্রতিযোগিতা আর শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগত শক্তির নতুন সংজ্ঞা তৈরি করছে।

এই দ্বন্দ্বের প্রভাব সবচেয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে। বহুদিন ধরে “বিশ্বের কারখানা” হিসেবে চীন বৈশ্বিক উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল। কিন্তু এখন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো গ্রহণ করছে “চায়না প্লাস ওয়ান” কৌশল অর্থাৎ তারা উৎপাদন ঘাঁটি স্থাপন করছে চীনের পাশাপাশি অন্য দেশে, যাতে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস পায়। এই পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক শিল্প মানচিত্রে উঠে আসছে ভারত, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো উদীয়মান শক্তিগুলো।

বাংলাদেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক সুযোগ। দীর্ঘদিন ধরে পোশাকশিল্পে সাফল্য অর্জন করে দেশটি বিশ্ববাজারে দৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছে। এখন সময় এসেছে উৎপাদনের নতুন খাতে বৈচিত্র্য আনার-ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবেশের। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে দেখছেন স্থিতিশীল শ্রমবাজার, প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন ব্যয় ও কৌশলগত অবস্থানের দেশ হিসেবে। এজন্য প্রয়োজন সুদূরদর্শী শিল্পনীতি, নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো।

অর্থনীতিবিদদের মতে, চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতা কেবল দুটি দেশের সংঘাত নয়; এটি নতুন অর্থনৈতিক ভারসাম্যের জন্ম। বিশ্বায়ন এখন আর একমুখী নয়, বরং হয়ে উঠছে অঞ্চলভিত্তিক ও বহুস্তরীয়। উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বাড়লেও, দীর্ঘমেয়াদে এই পরিবর্তন বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করবে এবং একক রাষ্ট্রনির্ভরতা হ্রাস করবে।

তথ্যসূত্র: দি ইকোনমিস্ট, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, রয়টার্স, IMF


দুই পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ ড্রোন হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১১:০৩:২২
দুই পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ ড্রোন হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের দুটি প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে কেন্দ্রগুলোর বাহ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পারমাণবিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেছে কিয়েভ। দেশটি বলছে, রাশিয়ার এই হামলা পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত, যা গোটা ইউরোপকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে।

ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাটি হয়েছে খমেলনিটস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। হামলার পর কিছু সময়ের জন্য উভয় কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, “এটি ইউরোপজুড়ে পারমাণবিক নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করেছে। এখন সময় এসেছে চীন ও ভারতসহ যেসব দেশ পারমাণবিক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়, তারা যেন রাশিয়ার এমন বেপরোয়া হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেয়।” তিনি আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-কে দ্রুত জরুরি বৈঠক ডাকতে আহ্বান জানান।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি খাতের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তিনি বলেন, “রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করে শীতের আগেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায়।”

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ইতিহাসের এক এমন প্রলয়ঙ্করী অধ্যায় যা কেবল লক্ষ লক্ষ প্রাণই কেড়ে নেয়নি, বদলে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীর মানচিত্র ও... বিস্তারিত