সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি

সিন্ধু নদ ও পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যদি ভারত সিন্ধু নদীর পানি আটকে রাখার চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তান কঠোর জবাব দেবে। তার ভাষায়, “আমরা আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে নিতে দেব না। যদি কেউ এমন পরিকল্পনা করে, তবে তাকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা সারাজীবন মনে থাকবে।”
প্রধানমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা আসে জম্মু–কাশ্মিরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত এক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এ ঘটনার পর ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যার ফলে পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে এবং দেশটির কৃষি খাত বড় ধরনের সংকটে পড়ে।
পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে। ৮ আগস্ট আদালত রায় দেন, যেখানে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ যেকোনো বাঁধ নির্মাণ চুক্তির শর্ত মেনে করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তান রায়কে স্বাগত জানালেও ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির আরও কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ৯ আগস্ট ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ভারত যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে, তবে তা ধ্বংস করতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট। সিন্ধু নদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে কোনো ঘাটতি নেই।”
১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলের ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার পেয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ পানি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের সুযোগ নেই, তবে বিরোধ নিষ্পত্তির সুস্পষ্ট ধারা বিদ্যমান।
পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর পানি কৃষি, নগর ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মূলভিত্তি হিসেবে অপরিহার্য। এসব নদীর প্রবাহ ব্যাহত হলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেচব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জ্বালানি উৎপাদন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো গভীর সংকটে পড়বে।
-রফিক
হুথিদের ড্রোন আঘাতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সমন্বিত ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। হুথিদের জারি করা এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাইফা, নেগেভ, উম্মে আল-রাশরাশ এবং বেয়ারশেবা—যা ইসরায়েলের সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলাগুলো গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত হয় এবং সবগুলো হামলাই “লক্ষ্য অর্জনে সফল” হয়েছে। তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এখন প্রায় দুই বছরের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনি জনগণ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৬১ হাজার ৫৯৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮ জন। কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধজনিত দুর্ভিক্ষে এবং খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় গোলাবর্ষণে মারা গেছেন আরও ১৯ জন।
গাজার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলেও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডাসহ ২৬টি দেশ যৌথভাবে বিবৃতি দিয়ে চলমান অবরোধ ও হামলাকে ‘অকল্পনীয় মাত্রার ভোগান্তি ও দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
-শরিফুল
লুকিয়ে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহন বিতর্কে সৌদি জাহাজ
ইতালির জেনোয়া বন্দরে দখলদার ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহনের অভিযোগে সৌদি আরবের জাতীয় জাহাজ পরিবহন সংস্থা ‘বাহরি’-এর একটি জাহাজ আটকে দিয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। ৮ আগস্ট ‘বাহরি ইয়ানবু’ নামের জাহাজটি জেনোয়া বন্দরে নোঙর করলে ঘটনাটি ঘটে। দ্য ক্রাডল ও মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজটির পরিকল্পনা ছিল জেনোয়া থেকে অস্ত্র বোঝাই করে আবুধাবিতে পাঠানোর। তবে বন্দরকর্মীরা খবর পান, জাহাজটিতে আগে থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে, যা ইসরাইলে পাঠানোর কথা। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রায় ৪০ জন বন্দরশ্রমিক জাহাজে প্রবেশ করে অস্ত্রের উপস্থিতি খুঁজে পান। তদন্তে আরও জানা যায়, ইতালিতে আসার আগে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে গিয়েছিল এবং সেখান থেকেই অস্ত্র এনেছে।
জেনোয়ার ‘অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়ন’-এর প্রতিনিধি জোসে নিভোই বলেন, তারা যুদ্ধের জন্য কাজ করেন না। এই ঘটনার পর জেনোয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে স্থায়ী পর্যবেক্ষণ দল গঠনের আশ্বাস দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও একই বন্দরকর্মীরা একটি অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাহরি এক বিবৃতিতে অভিযোগগুলোকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, তারা কখনও ইসরাইলে কোনো পণ্য বা চালান পরিবহন করেনি এবং এমন কোনো অভিযানে জড়িতও ছিল না। কোম্পানিটি ফিলিস্তিনি স্বার্থে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের নীতি এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাহরি আরও জানিয়েছে, তাদের সব কার্যক্রম কঠোর তদারকি ও স্পষ্ট পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রযোজ্য সব আইন ও বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা হয়। তারা সতর্ক করেছে, যে কোনো মিথ্যা দাবি বা বিভ্রান্তিকর তথ্য তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। এই বর্বরতা ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দরকর্মীরা অস্ত্র পরিবহন বন্ধে সক্রিয় হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেই বন্দরের শ্রমিকরা ইসরাইলের জন্য আনা অস্ত্র উপকরণ জাহাজে তুলতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে জাহাজটি খালি হাতে ফিরে যায়।
-রাফসান
গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, গাজায় সাহায্যের জন্য তারা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি জানান, দেশের সমস্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও কূটনৈতিক সক্ষমতা কাজে লাগানো হচ্ছে। সোমবার আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এই বক্তব্য দেন তিনি। এরদোগান বলেন, তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সঙ্গে থাকা খুনি চক্রকে তাদের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘায়িত করার জন্য নিজেদের অঞ্চলে আরও বড় সংকট সৃষ্টি করতে দিতে চান না।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজায় প্রায় ৬১ হাজার ৫০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। এই যুদ্ধ উপত্যকাকে ধ্বংসপ্রাপ্ত করেছে এবং ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে, যেখানে অনাহার, রোগব্যাধি এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মতো দুর্ভোগ চলছে।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়া ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।
এরদোগানের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে গাজার প্রতি তুরস্কের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: ইয়েনিসাফাক
৫০% শুল্কে বিপর্যস্ত ভারতীয় চিংড়ি শিল্প
ভারতের প্রধান কৃষি রপ্তানি খাতগুলোর একটি চিংড়ি শিল্প বর্তমানে গুরুতর সংকটের মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (SEAI) ইতোমধ্যে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
SEAI-এর সাধারণ সম্পাদক কেএন রাঘবন জানিয়েছেন, প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি এখন বড় ধরনের বাধার মুখে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২.৮ বিলিয়ন ডলারের চিংড়ি পাঠানো হলেও চলতি বছরে এ পর্যন্ত রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ৫০ কোটি ডলারে সীমাবদ্ধ। তার মতে, নতুন শুল্ক আরোপের ফলে ভারতীয় সামুদ্রিক খাদ্যের দাম এখন চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের তুলনায় অনেক বেশি, যেখানে মার্কিন শুল্কের হার মাত্র ২০–৩০ শতাংশ।
রাঘবন সতর্ক করে বলেন, এ অবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো মূল্য কমিয়ে দ্রুত মার্কিন বাজারে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্থান দখল করবে। অন্যদিকে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যে পাঠানো চালান ফেরত নিতে পারবেন না, কারণ এতে চুক্তিভঙ্গের দায়ে ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে।
তার মতে, সংকট মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো বিকল্প বাজার তৈরি করা। যদিও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে। এদিকে SEAI সরকারের কাছে সস্তা ঋণ সুবিধা, কার্যকরী মূলধন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি, সুদ ভর্তুকি এবং প্যাকেজিং-পূর্ব ও পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২৪০ দিন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
-শরিফুল
ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক, মস্কোর জন্য ‘বড় আঘাত’ যেভাবে
রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্ককে মস্কোর অর্থনীতির জন্য “বড় আঘাত” হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
ট্রাম্প বলেন, রুশ তেল আমদানিকারক দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক শুধু মস্কোর অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে তাই নয়, বরং চলমান আন্তর্জাতিক চাপ ও একাধিক দেশের বিরুদ্ধে নেওয়া মার্কিন পদক্ষেপ রাশিয়ার আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ করে দিয়েছে। তার ভাষায়, রাশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকলেও বর্তমানে দেশটির অর্থনীতি ভালো অবস্থায় নেই।
আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বৈঠকের লক্ষ্য হবে রুশ–ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতা করা। বৈঠকের আগে দেওয়া তার এই মন্তব্য কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তাদের সবচেয়ে বড় বা দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ক্রেতাকে বলে, ‘তুমি যদি রাশিয়া থেকে তেল কিনো, তবে তোমার ওপর আমরা ৫০ শতাংশ শুল্ক বসাবো’ এটা বিশাল ধাক্কা। ভারতকে নিয়েই মূলত এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “এর চেয়ে কঠোর কেউ হতো না, আর আমি এখানেই থামিনি।”
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। রুশ তেল কেনার কারণে এর সঙ্গে আরও ২৫ শতাংশ যুক্ত হওয়ায় মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ট্রাম্পের দাবি, এই নীতি কেবল মার্কিন রাজস্ব বৃদ্ধিতেই ভূমিকা রাখেনি, বরং পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংঘাত সমাধানে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে ভারত–পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনাও রয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য আলোচনা করবে না। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই কঠোর অবস্থান মস্কোর অর্থনৈতিক চাপে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে এবং বিশ্ব জ্বালানি বাজারে রুশ তেলের অবস্থান আরও সংকুচিত করবে।
-রাফসান
প্রথমবার বাংলাদেশে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
বাংলাদেশ–সৌদি আরব সম্পর্কের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসতে চলেছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকায় অনুষ্ঠিত সৌদি আরব–বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নজরুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সৌদি আরব সফরে যাবেন।
সভায় সৌদি স্বাস্থ্য খাতের বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞ ড. খালিদ মোঘাম আল হারবি প্রাথমিকভাবে ইউনিক গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সৌদি আরবের চাহিদা অনুযায়ী ১০০ জন নার্স নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল জনশক্তিকে সৌদি মান অনুযায়ী নার্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে স্বাস্থ্য খাতে উভয় দেশের জন্য বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
‘বাংলাদেশ হেলথকেয়ার প্রোসপেক্ট ইন সৌদি এরাবিয়ান এমপ্লয়মেন্ট মার্কেট’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানটি ঢাকার শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরব–বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আশরাফুন হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের নীতি অপরিবর্তিত থাকবে।”
অনুষ্ঠানে দুই দেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। ড. খালিদ মোঘাম আল হারবি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নার্সদের প্রশিক্ষণ দিলে বাংলাদেশের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
দক্ষ নার্স তৈরিতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা। তারা জানান, আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা, আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও সক্ষম করে তোলাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
-রাফসান
৪৬ বছরের পুরনো বিরোধে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বড় জয়
সিন্ধু ওয়াটারস চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ আইনি সাফল্য পেয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক স্থায়ী সালিশি আদালত (Permanent Court of Arbitration – PCA) ৮ আগস্ট দেওয়া রায়ে পাকিস্তানের পক্ষে রায় দিয়ে ভারতকে নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি প্রধান নদী—সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব—পাকিস্তানের দিকে বাধাহীনভাবে প্রবাহিত রাখতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট করেছে যে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে এসব নদীতে নতুন কোনো বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে না। পাকিস্তান এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে, যদিও ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
১১ আগস্ট এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যে কোনো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে চুক্তির নির্ধারিত শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের বিভিন্ন বাঁধ প্রকল্প সিন্ধু নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে, যা পাকিস্তানের কৃষি খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি, কারণ দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ সেচনির্ভর কৃষিজমি এই তিন নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।
বিরোধের সাম্প্রতিক সূত্রপাত হয় এপ্রিলে, যখন কাশ্মীরের পাহালগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান একে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমান’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে মে মাসে সীমান্তে চার দিনের সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়।
পিসিএর রায়ে বলা হয়েছে, ভারতের অনুমোদিত সব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে অবশ্যই চুক্তির বিধান মেনে নকশা ও পরিচালনা করতে হবে, যাতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না হয়। পাকিস্তানের জন্য এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ পশ্চিমাঞ্চলের এই নদীগুলো তাদের কৃষি, নগর পানি সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস।
সিন্ধু ওয়াটারস চুক্তি ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার ভারত পায় এবং পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ পানি ব্যবহারের অধিকার পায় পাকিস্তান। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের কোনো সুযোগ নেই এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সুস্পষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
-রাফসান
মার্কিন পণ্যের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বয়কট আন্দোলন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলন। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, অ্যামাজন, অ্যাপলসহ একাধিক মার্কিন ব্র্যান্ড সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। এই বয়কটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির ব্যবসায়ী সমাজ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির বিরোধিতা করে দেশীয় পণ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড দ্রুত বাজার দখল করেছে। বহু ভারতীয়র কাছে এসব ব্র্যান্ড আধুনিকতা ও উন্নয়নের প্রতীক। বর্তমানে মেটার হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে, আর রেস্তোরাঁ সংখ্যায় ডমিনোজের অবস্থান শীর্ষে। পেপসি ও কোকা-কোলা প্রায় প্রতিটি দোকানের তাকজুড়ে জায়গা করে নিয়েছে। অ্যাপল স্টোর বা স্টারবাকসের অফারেও নিয়মিত দেখা যায় ভিড়।
শুল্কবিরোধী বয়কটের আহ্বান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসর ছাড়িয়ে এখন অর্থনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিক্রিতে প্রভাব পড়েনি, তবে মার্কিন পণ্যের বিকল্প ব্যবহারের আলোচনা জোরদার হচ্ছে। এ বিষয়ে ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, অ্যামাজন ও অ্যাপল কোনো মন্তব্য দেয়নি।
স্থানীয় উদ্যোক্তারা এ আন্দোলনে সরব ভূমিকা রাখছেন। ওয়াও স্কিন সায়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মনীশ চৌধুরী সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় দেশীয় কৃষক ও উদ্যোক্তাদের সমর্থনে আহ্বান জানান এবং ভারতীয় পণ্যের বিশ্বায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ড্রাইভার সার্ভিস ‘ড্রাইভ ইউ’-এর সিইও রাহম শাস্ত্রী লিংকডইনে লেখেন, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত, যেমন চীনের টুইটার, ইউটিউব বা গুগল রয়েছে।
বয়কটের ডাক চলার মধ্যেই সোমবার টেসলা নয়াদিল্লিতে তাদের দ্বিতীয় শোরুম উদ্বোধন করেছে। অনুষ্ঠানে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে বেঙ্গালুরুতে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছে এবং দেশে তৈরি পণ্য অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। যদিও তিনি কোনো কোম্পানির নাম উল্লেখ করেননি।
বিজেপি-সমর্থিত স্বদেশি জাগরণ মঞ্চও দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ ও প্রচারের মাধ্যমে মার্কিন পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে। সংগঠনের নেতা অশ্বিনী মহাজন বলেন, এই আন্দোলন জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সংগঠনটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদেশি পণ্যের বিকল্প দেশীয় ব্র্যান্ডের তালিকাও বিতরণ করছে।
/আশিক
সংঘর্ষের তিন মাস পর নৌ মহড়ায় নামছে ভারত ও পাকিস্তান
দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান আগামী ১১ ও ১২ আগস্ট পৃথকভাবে আরব সাগরে নৌ মহড়া পরিচালনা করতে যাচ্ছে। তিন মাস আগে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের পর এটি হবে উভয় দেশের প্রথম নৌ মহড়া।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ নির্ধারিত সময়ে আরব সাগরে মহড়ায় অংশ নেবে। একই সময়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীও অনুরূপ মহড়া পরিচালনার জন্য নিজস্ব নোটাম (Notice to Airmen) জারি করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটের পোরবন্দর ও ওখা উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের মহড়া সম্পন্ন করবে। আরব সাগর আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে গত মাসে ভারতীয় বিমান বাহিনী সীমান্ত অঞ্চলে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়া পরিচালনা করে। বিমান বাহিনীর প্রধান অমর প্রীত সিং সম্প্রতি দাবি করেছেন, মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং একটি গোয়েন্দা বিমান ভূপাতিত করেছে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি
- ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু
- বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের
- হুথিদের ড্রোন আঘাতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত
- ভারত–চীনের সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পথে
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- "যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
- বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা
- টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্কে নতুন মোড়
- বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে বন্দর হস্তান্তর বন্ধের আহ্বান
- লুকিয়ে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহন বিতর্কে সৌদি জাহাজ
- কৃষিঋণ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর
- বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল
- অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত
- আগামীকাল জানাজার ঘোষণা দিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম
- আইপিএলে দল কেনার ব্যাপারে মুখ খুললেন সালমান খান
- মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন
- মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাবে
- নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কড়া মন্তব্য
- ‘জনগণের মন জয় করতে পারলেই সফলতা’ — মির্জা ফখরুল
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ভিপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা
- ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে মুখ খুললেন দেব, রাজ-রুক্মিণীর কাছে ক্ষমা চাইলেন
- খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা
- আন্দোলনের ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তারপর যা ঘটল…
- কিশোরগঞ্জের নিকলীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষ
- কুষ্টিয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানদারের কান কামড়ে ছিঁড়ে দিলো যুবক
- মাত্র ৭ বছরে ৮৮ দিনে কোরআন হিফজ করলো নবীনগরের ফাহিম
- আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর
- বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই
- খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
- মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
- ড. ইউনূস সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার পরামর্শে: রাশেদ খাঁন
- গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
- মাইলস্টোনে কোচিং বন্ধ ও বিধ্বস্ত দিনের সিসি ফুটেজ দেখার দাবিতে মানববন্ধন
- পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নতুন জাহাজ
- আরাফাত রহমান কোকো ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ’ দাবি রিজভীর
- ‘ট্রেন ছাড়ার পর ওঠা সম্ভব নয়’—শেখ হাসিনা মামলা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল
- খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে ঢাকায় আইনজীবীদের মিছিল
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
- ৪৭২ কোটি আয়ের ‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়ক-নায়িকার পারিশ্রমিক যত