সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:২৮:১৯
সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি
ছবিঃ সংগৃহীত

সিন্ধু নদ ও পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যদি ভারত সিন্ধু নদীর পানি আটকে রাখার চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তান কঠোর জবাব দেবে। তার ভাষায়, “আমরা আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে নিতে দেব না। যদি কেউ এমন পরিকল্পনা করে, তবে তাকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা সারাজীবন মনে থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা আসে জম্মু–কাশ্মিরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত এক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এ ঘটনার পর ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যার ফলে পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে এবং দেশটির কৃষি খাত বড় ধরনের সংকটে পড়ে।

পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে। ৮ আগস্ট আদালত রায় দেন, যেখানে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ যেকোনো বাঁধ নির্মাণ চুক্তির শর্ত মেনে করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তান রায়কে স্বাগত জানালেও ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির আরও কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ৯ আগস্ট ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ভারত যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে, তবে তা ধ্বংস করতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট। সিন্ধু নদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে কোনো ঘাটতি নেই।”

১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলের ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার পেয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ পানি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের সুযোগ নেই, তবে বিরোধ নিষ্পত্তির সুস্পষ্ট ধারা বিদ্যমান।

পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর পানি কৃষি, নগর ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মূলভিত্তি হিসেবে অপরিহার্য। এসব নদীর প্রবাহ ব্যাহত হলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেচব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জ্বালানি উৎপাদন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো গভীর সংকটে পড়বে।

-রফিক


“ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ১১:০২:৪৫
“ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে বক্তব্য দিতে গিয়ে মার্কিন সেনাদের ‘আদেশ অমান্য করার আহ্বান’ জানানোর অভিযোগে ওয়াশিংটন এ সিদ্ধান্ত নেয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, “পেত্রোর বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁর ভিসা বাতিল করা হবে।” এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সেনাদের বিদ্রোহে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় পেত্রো এক সমাবেশে বলেন,

“আমি মার্কিন সেনাদের বলছি—মানুষের দিকে অস্ত্র তাক করবেন না। (সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না, মানবতার আদেশ মানুন।”

পেত্রোর কার্যালয় বা কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময়ও পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গাজায় হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা “গণহত্যার সহযোগীতা” এবং এ জন্য মার্কিন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার হওয়া উচিত। এছাড়া তিনি ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা ধ্বংসের ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

শুক্রবার তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে দেখা যায়, তিনি নিউইয়র্কে প্রো-প্যালেস্টাইন সমাবেশে নিজের বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক পোস্টে পেত্রো লিখেছেন,

“প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো। গাজা পতন হলে মানবতাও ধ্বংস হবে।”

ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের কড়া সমালোচক পেত্রো এরই মধ্যে দেশ থেকে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি স্থগিত করেছেন।

-নাজমুল হাসান


ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ০৮:২৪:৫২
ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতের ওষুধ খাত। এই ঘোষণার পর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামনের সারির ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বড় পতন ঘটেছে। তবে ভারতীয় সংগঠনগুলো দাবি করেছে, জেনেরিক ওষুধগুলো এই শুল্কের আওতার বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসবে, যদি না কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কারখানা তৈরি করে।

শেয়ারবাজারে পতন

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর শুক্রবার ওকহার্ডের শেয়ার দর কমেছে ৯.৪ শতাংশ, ইন্ডোকো রেমেডিজ ৫.৩৫ শতাংশ, জাইডাস লাইফসায়েন্সেস ৪.২১ শতাংশ, গ্লেনমার্ক ফার্মা ২.৯৯ শতাংশ ও সান ফার্মা ২.৫৫ শতাংশ। এছাড়া লুপিন, ডক্টর রেড্ডি’স এবং অরবিন্দো ফার্মা-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরও কমেছে। সার্বিকভাবে সেন্সেক্স ও নিফটির শেয়ার দরও কমেছে।

জেনেরিক ওষুধ নিয়ে ভারত আশাবাদী

বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হলেও ভারতীয় ওষুধ শিল্প সংগঠনগুলো এই প্রভাবকে গুরুতর মনে করছে না। ভারতের ২৩টি শীর্ষ ওষুধ কোম্পানির সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্স’ (আইপিএ) জানিয়েছে, এই শুল্ক জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আইপিএর মহাসচিব সুধর্ষণ জৈন বলেন, আইপিএ-এর অন্তর্ভুক্ত সান ফার্মা, ডক্টর রেড্ডি’স, লুপিন ও জাইডাসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান রপ্তানি হলো জেনেরিক ওষুধ।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা রপ্তানি প্রচার পরিষদ ফার্মেক্সিল জানিয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মোট ওষুধের প্রায় ৪৭ শতাংশ সরবরাহ করে, যার বড় অংশই কম দামি জেনেরিক। পরিষদের চেয়ারম্যান নমিত জোশি দাবি করেন, এই শুল্ক ভারতের রপ্তানিতে তাত্ক্ষণিক প্রভাব ফেলবে না, কারণ ভারতীয় বড় কোম্পানিগুলোর অনেকেরই যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বা প্যাকেজিং ইউনিট রয়েছে।

ভবিষ্যৎ ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র যদি জেনেরিক আমদানিকেও লক্ষ্যবস্তু করে, তবে ঝুঁকি তৈরি হবে। জিওজিত ইনভেস্টমেন্টসের ড. ভি কে বিজয়কুমার বলেন, যদিও এখন ভারত নিরাপদ, তবে হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে জেনেরিক ওষুধ।

তবে অনেকে মনে করেন, ভারতের জায়গা সরিয়ে ফেলা সহজ হবে না। ওয়েলথমিলসের ক্রান্তি বাথিনি বলেন, এত বড় পদক্ষেপ রাতারাতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক মানের কারখানা চালায় এবং এরই মধ্যে মার্কিন এফডিএ অনুমোদিত। এই সাপ্লাই চেইনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, রয়টার্স


ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ০৮:২১:০৯
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে ট্রাম্পের দেওয়া এক অভ্যর্থনা নৈশভোজে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের সাক্ষাতের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

ছবিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূস এবং তার মেয়ে দীনা ইউনূসকে দেখা যায়। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে আগত বিশ্বনেতাদের সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।


‘নেতারা প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে প্রশংসা করেন’: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ০৮:১৬:০২
‘নেতারা প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে প্রশংসা করেন’: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ছবি: এএফপি

বিভিন্ন দেশের নেতারা জনসমক্ষে ইসরায়েলের সমালোচনা করলেও গোপনে তাদের কাছে প্রশংসা করেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বনেতাদের ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই তিনি এই ভাষণ দেন।

নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে গেলে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশনকক্ষ ত্যাগ করেন। গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলোও সমালোচনা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলো।

‘আপনারা জানেন, ইসরায়েল আপনাদের জন্যই লড়ছে’

জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভেতরে–ভেতরে ঠিকই জানেন, ইসরায়েল আসলে আপনাদের জন্যই লড়াই করছে।”

নেতানিয়াহু আরও বলেন, “প্রকাশ্যে আমাদের নিন্দা করলেও অনেক নেতাই গোপনে আমাদের ধন্যবাদ দেন। তাঁরা আমাকে এসে ইসরায়েলের গোয়েন্দা পরিষেবা কতটা চমৎকার, সেটা বলেন; যা বারবার তাঁদের রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে, অগণিত জীবন বাঁচিয়েছে।”

যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সক্ষমতা কমলেও তারা এখনও হুমকি হয়ে আছে এবং তারা ৭ অক্টোবরের নৃশংসতা পুনরাবৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের জনগণের দৃঢ়তা, সেনাদের সাহস ও সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য ইসরায়েল অন্ধকারতম দিন থেকে ফিরে এসেছে এবং ইতিহাসের অন্যতম চমকপ্রদ সামরিক প্রত্যাবর্তনের নজির স্থাপন করেছে।”

তিনি লেবাননের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্ভব বলে মন্তব্য করেন, যদিও গত নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, ইসরায়েল বারবার তা লঙ্ঘন করছে।

নেতানিয়াহু তাঁর ভাষণের শেষ দিকে গাজায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমাদের এই জয় ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তিকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত ও বিস্তৃত করবে।”


জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক, বিক্ষোভ ও বর্জন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ২৩:৫৮:০২
জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক, বিক্ষোভ ও বর্জন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের পর বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরের কাছেছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনে চলমান আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাঁর বক্তব্য শুরু হতেই আরব ও মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি আফ্রিকার ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিক্ষোভ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ বর্জন করেন।

ওয়াকআউট ও নিউইয়র্কে বিক্ষোভ

শুক্রবার অধিবেশনে নেতানিয়াহু মঞ্চে উঠতেই উপস্থিত অনেক প্রতিনিধি ওয়াকআউট করেন। কক্ষের সামনের আসনগুলো ফাঁকা হয়ে যায় এবং উপস্থিত অনেকে হাততালি দিয়ে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন জানান। একই সময়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি প্রবাসীরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশে অংশ নেন। এর আগে নেতানিয়াহু ম্যানহাটানের হোটেলে অবস্থানকালে বিক্ষোভকারীরা “যুদ্ধ বন্ধ করুন” স্লোগান দেন এবং সামরিক সমাধানের পরিবর্তে রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানান।

গাজা যুদ্ধ নিয়ে সাফাই

নেতানিয়াহুর ভাষণের বড় অংশজুড়ে ছিল গাজায় ইসরায়েলের অভিযান। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েল জাতিগত নিধনের সঙ্গে জড়িত নয়, বরং হামাস বেসামরিক মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। জাতিসংঘের স্বাধীন কমিশনের তদন্তে উল্টো অভিযোগ ওঠার পরও তিনি একে ‘মিথ্যা প্রচার’ বলে আখ্যা দেন। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন এবং ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার তুলনা টেনে ২০০১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে মিল খোঁজেন।

আন্তর্জাতিক নিন্দা ও আইনি চাপে ইসরায়েল

ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে জাতিগত নিধনের মামলা করেছে। আইসিসি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ কারণেই তাঁর উড়োজাহাজ ফ্রান্সের আকাশসীমা এড়িয়ে উড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়, তাই সেখানে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই। এবারের অধিবেশনে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুকে আইসিজেতে তোলার দাবি করেন।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘ অধিবেশন শুরুর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমানে ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৫৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির সমালোচনা করে বলেন, এটি ইহুদিদের ওপর হামলা বাড়িয়ে দেবে এবং দেশগুলো ‘মারাত্মক ভুল’ করেছে।

গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ

নেতানিয়াহুর ভাষণের সময়ই গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হন, যাঁদের মধ্যে শিশুও ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখের বেশি আহত হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে আলোচনায় টনি ব্লেয়ার

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এ প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে প্রশাসনের প্রধান করার বিষয় আলোচনায় এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘের সহায়তা এবং আরব দেশগুলোর সহযোগিতায় এ প্রশাসন গঠিত হলে তা পরবর্তী সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।


মেয়ের লাশ ২০ বছর ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন মা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:৪৭:১০
মেয়ের লাশ ২০ বছর ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন মা

নিজের মেয়ের লাশ দুই দশক ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন এক মা। এ ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী ওই মাকে গ্রেফতার করেছে জাপানি পুলিশ। ঘটনার স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাপানি পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাপানের ইবারাকি প্রিফেকচারের একটি বাড়ির ডিপ ফ্রিজার থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কেয়কো মোরি পুলিশকে জানিয়েছেন, লাশটি তার মেয়ে মাকিকোর, যার জন্ম ১৯৭৫ সালে এবং যদি তিনি জীবিত থাকতেন, তাহলে আজ তার বয়স হতো ৫০ বছর।

পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, লাশটি অনেকাংশেই পচে গিয়েছিল, তবে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্ত করা হবে।

লাশ রাখার কারণ

পুলিশ জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মোরি একজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে নিজেই পুলিশের কাছে যান এবং জানান যে, তিনি তার মেয়ের লাশ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছেন। পুলিশ মোরিকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে দেখে, টি-শার্ট ও অন্তর্বাস পরিহিত লাশটি হাঁটু গেড়ে মুখ নিচু করা অবস্থায় ফ্রিজারের ভেতর রাখা আছে।

গ্রেফতারকৃত মোরি তদন্তকারীদের বলেছেন, লাশের দুর্গন্ধে পুরো বাড়ি ভরে যাচ্ছিল। তাই তিনি একটি ফ্রিজার কিনে মেয়ের লাশ তাতে রেখে দেন। মোরির একাধিক সন্তান ছিল এবং তার স্বামী এই মাসের শুরুর দিকে মারা গেছেন। এরপর থেকে তিনি একাই বসবাস করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।


ইসরায়েলের তেল আবিবে গাড়ি বিস্ফোরণ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:৪১:৩৮
ইসরায়েলের তেল আবিবে গাড়ি বিস্ফোরণ

ইসরায়েলের তেল আবিবে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) একটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এটিকে ‘অপরাধমূলক ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘটনার পর লা গার্ডিয়া স্ট্রিটের একাংশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিস্ফোরণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণে কিছু মানুষ আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।


 ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৯:১১:১২
 ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?
কারফিউয়ের কারণে প্রায় জনশূন্য সড়ক। বৃহস্পতিবার লেহ’তে। ছবি: এএফপি

নেপাল ও বাংলাদেশের পর এবার ভারত দেখল ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ। দেশটির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল লাদাখে গত বুধবার ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে অংশ নেয়। এতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ৫ জন নিহত হন এবং ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হন। স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মতে, এই বিক্ষোভের অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর আন্দোলন থেকে।

নেপাল ও বাংলাদেশের মতো লাদাখের বিক্ষোভেও মূল দাবি ছিল বেকারত্ব এবং চাকরির অভাব। বিক্ষোভকারীরা চাকরির সংকট নিরসনের জন্যই লাদাখকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছেন।

আন্দোলনের নেপথ্যে কে?

বিক্ষোভের ইন্ধনদাতা হিসেবে অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুকের নাম উল্লেখ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা। সেই ওয়াংচুকও একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বেকারত্ব ও আঞ্চলিক সুরক্ষা না থাকাটাই মানুষের ক্ষোভের ‘রেসিপি’। তবে তিনি বিক্ষোভকারীদের সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ওয়াংচুক আরব বসন্ত ও নেপালের আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণদের উসকানি দিয়েছেন। তবে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রার অভিযোগ, লাদাখের ঘটনার পেছনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মার্কিন প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী জর্জ সোরসের ষড়যন্ত্র আছে।

আন্দোলনকারীদের জেন-জি বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের সাংবাদিক স্যমন্তক ঘোষ। তিনি বলেন, অনশনরত দুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে জেন-জি’র একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।

কেন আলাদা রাজ্যের দাবি?

লাদাখ ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অংশ ছিল। কিন্তু ওই বছর লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়, যার ফলে চাকরির সংকট দেখা দেয়। লাদাখের সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ হলেও, ২০২৩ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার স্নাতকদের ২৬.৫ শতাংশই বেকার। এর ফলে তরুণদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

লাদাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাকিস্তান ও চীন উভয় প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভারতের দ্বন্দ্ব আছে। এ কারণে অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হলে অভ্যন্তরীণ এবং ভূরাজনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়বে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন।


গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশু: ইউএনআরডব্লিউএ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৪:৪৪:০৭
গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশু: ইউএনআরডব্লিউএ
ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই উপত্যকা বিশ্বের এককভাবে জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশুর স্থানে পরিণত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধানের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর এবং আনাদোলু সংবাদসংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় ৪ হাজার অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।”

লাজারিনি আরও বলেন, শিশুদের ওপর যুদ্ধের প্রভাব শুধু শারীরিক আঘাত বা ক্ষুধায় সীমাবদ্ধ নয়; তাদের ক্ষত গভীর ও অদৃশ্য। এর মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন, আক্রমণাত্মক আচরণ এবং ভয়। অনেক শিশুকে ভিক্ষা, চুরি বা শিশুশ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তাদের শৈশব কেড়ে নিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অবস্থা যত দীর্ঘ হবে, শিশুরা তাদের চলমান ও গভীর ট্রমার ছায়ায় প্রজন্ম ধরে ভুগবে। তিনি অন্তত শিশুদের স্বার্থে হলেও গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা সম্প্রতি তাদের সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন যে, ইসরায়েল গাজায় জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৫ হাজার ৪০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

পাঠকের মতামত:

নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ... বিস্তারিত