১৮ হল কমিটি গঠনের পর বিক্ষোভ, ঢাবি উপাচার্যের কড়া বার্তা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৮:০৯:১৯
১৮ হল কমিটি গঠনের পর বিক্ষোভ, ঢাবি উপাচার্যের কড়া বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের নীতিমালা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শুক্রবার গভীর রাতে নিজের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই অবস্থান স্পষ্ট করেন। এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে নতুন কমিটি গঠন করলে ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।

শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামেন। মিছিল শেষে রাত ১টার পর তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও উপাচার্য সরাসরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই গৃহীত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানান।

তিনি বলেন, “ঢাবির আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকবে এবং প্রতিটি হল প্রশাসন এই নীতিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” একইসঙ্গে সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের হল কমিটি বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি।

তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, কেবল নিষিদ্ধের ঘোষণা যথেষ্ট নয়, বরং হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান নিশ্চিত করতে হবে। তারা উপাচার্যের সামনে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন—

১. ছাত্রদল কেন হলে কমিটি ঘোষণা করেছে, তার জবাব উপাচার্যকে দিতে হবে২. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে সক্রিয় সব গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে৩. হল ও একাডেমিক এলাকায় রাজনীতির সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা দিতে হবে৪. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি ভেঙে দিতে হবে৫. হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে৬. দ্রুত ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রার্থী উমামা ফাতেমা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ২২:১৩:০১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রার্থী উমামা ফাতেমা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রার্থী উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে উমামা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছেন। তিনি লিখেছেন, “১ম বর্ষে বৈধ সিটের দাবিতে ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলি। এই অভিজ্ঞতায় বুঝেছি, বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধান সম্ভব নয়। আর সেই পরিবর্তন আনতে পারে একমাত্র শিক্ষার্থীরাই।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র ও লেজিটিমেট ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি, যেটি কোনো রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে।” শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, গবেষণার পরিবেশ তৈরি ও নেতৃত্ব তৈরির মানসিকতা গড়ে তুলতে ডাকসুকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান উমামা।

তিনি জানান, একটি গবেষণাভিত্তিক ও স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন, যেখানে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, সিট সংকট, ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

সবশেষে উমামা ফাতেমা অনুরোধ জানান, যারা সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে চান, তাদের এই প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হতে ফরম পূরণের মাধ্যমে আগ্রহ জানাতে।

/আশিক


৫ বছর পরও পুরনো মুখ! রাবি ছাত্রদলে ‘পকেট কমিটি’র গুঞ্জন

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৮ ১২:০৬:১১
৫ বছর পরও পুরনো মুখ! রাবি ছাত্রদলে ‘পকেট কমিটি’র গুঞ্জন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ তিন মাস হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলে এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে একই আহ্বায়ক কমিটি, যার ফলে সংগঠনের ভেতরে জমে উঠেছে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ ও হতাশা।

সম্প্রতি, ২৫ জুলাই ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরযুক্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাবি ছাত্রদলের আট সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি প্রকাশ পায়। সেখানে বর্তমান আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহীকে সভাপতি এবং সর্দার জহুরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে বিষয়টিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “এমন কোনো কমিটি আমরা ঘোষণা করিনি। প্রকৃত কমিটি অফিসিয়াল মাধ্যমে জানানো হবে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।”

তবে এই ঘটনার সূত্র ধরে রাবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংসদ সম্ভবত এমন একটি ‘পকেট কমিটি’ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যেখানে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিবর্তে ব্যক্তি স্বার্থ ও সম্পর্ককে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য অভিযোগ করেছেন, “বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা নিরুদ্দেশ ছিল বা সংগঠনকে নেতৃত্বহীন করে রেখেছিল, তাদের আবারও দায়িত্ব দিলে সেটা হবে প্রকৃত কর্মীদের চরম অবমূল্যায়ন।” তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি এবং সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা মাঠে ছিলেন না, তারা কিভাবে আজ মূল নেতৃত্বে আসছেন?”

এক যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, “বর্তমান নেতৃত্ব চার বছরেও কোনো হল কমিটি গঠন করতে পারেনি। যদি আবারও তাদের পুনর্বহাল করা হয়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায়?”

আরেক সদস্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা তরুণ নেতৃত্ব চাচ্ছি, অথর্বদের নয়। ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় নয়, বরং সাংগঠনিক উন্নয়নের স্বার্থেই যোগ্য, ত্যাগী ও মাঠের কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা জরুরি।”

তাদের মতে, যদি এই ‘পকেট কমিটি’র গুঞ্জন বাস্তব হয়, তবে তা হবে ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ।

এদিকে, আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহী নিশ্চিত করেন, “ফেসবুকে ছড়ানো বিজ্ঞপ্তির কোনো ভিত্তি নেই। কেন্দ্র থেকে এখনও কোনো কমিটি ঘোষণা হয়নি।”

সবশেষে, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্পষ্ট করেন, “আমরা যাচাই-বাছাই করে ত্যাগী এবং মাঠে থাকা নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করব। বিভ্রান্তিকর কোনো তথ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক


গোপালগঞ্জ হামলায় ব্যবস্থা না নিলে ‘লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ’ : ইনকিলাব মঞ্চের হুঁশিয়ারি

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৯:৫১:৫৪
গোপালগঞ্জ হামলায় ব্যবস্থা না নিলে ‘লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ’ : ইনকিলাব মঞ্চের হুঁশিয়ারি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হলে ‘লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ’-এর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এবং শাহবাগ থানা ঘেরাওকালে সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

শরীফ ওসমান বলেন, “গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বাইরে নয়। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো এখানেও আওয়ামী দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। যারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করা হলে শুক্রবার ‘লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হবে।”

এ সময় তিনি এনসিপির উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, “আপনাদের ভাই-ব্রাদাররা উপদেষ্টা পরিষদে থেকেও আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। এটি ব্যর্থতা। যদি তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে তাদের আর সরকারে থাকার অধিকার নেই।”

সমাবেশে বক্তব্য দেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের। তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে এনসিপি আইন অনুযায়ী অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আর পুলিশ নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”

এছাড়াও ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “এনসিপিকে ঘিরে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তাদের ওপর হামলার দায় কেউ এড়াতে পারে না। জুলাই ঘোষণাপত্রের পথ থামিয়ে দিতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা এর জবাব দেব।”

বক্তারা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান এবং আগামী কর্মসূচিতে বৃহত্তর অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

/আশিক


ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট, ঢাবি ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু ভোরে

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৪ ১৮:২৩:৩০
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট, ঢাবি ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু ভোরে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের নবনির্মিত রবীন্দ্র ভবনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে anthropology বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্জু বারাইকের রক্তাক্ত মরদেহ। রবিবার দিবাগত রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেমে এসেছে শোক ও স্তব্ধতা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হলেও, ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

সঞ্জু বারাইক ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। তিনি জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। জানা গেছে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দেন তিনি, যেখানে নিজের ভুল স্বীকার করে সবার কাছে ক্ষমা চান। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি দিনের পর দিন অন্যকে দোষ দিয়ে ভুল করেছি, কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, ভোরের দিকে রবীন্দ্র ভবনের নিচে এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে সহপাঠীরা ও হল কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল জানান, কিছুদিন ধরেই সঞ্জু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছেন। ঘটনার দিন তিনি হলেই ছিলেন না, তবে ভোর ৪টার দিকে ফিরে আসেন এবং কিছুক্ষণ পরই ভবনের ছাদে উঠে যান। এর কিছু পরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনাটি।

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর বলেন, হলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সঞ্জু ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ছেন। তবে তিনি লাফ দিয়েছেন নাকি পা পিছলে পড়ে গেছেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে, তবে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সঞ্জুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁর সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সহানুভূতির পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পরিবার এই ঘটনার সত্যিকারের কারণ খুঁজে বের করতে তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।


মিটফোর্ড খুন: চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদের মশাল মিছিল

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ২১:৪৮:২২
মিটফোর্ড খুন: চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদের মশাল মিছিল

ঢাকার মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা ও সারাদেশে বেআইনি চাঁদাবাজি, দখলদারি এবং সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ)। শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড় থেকে একটি মশাল মিছিল বের হয়, যা ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণ হয়ে শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দালালি নয়, রাজপথ চাই’, ‘যেই হাত মানুষ মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’—এর মতো স্লোগান মুখরিত করে তুলে তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, ‘জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা এখনো থেমে যায়নি, তারা এখনও আন্দোলনের পথে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মিডিয়াকে কার্যত কব্জা করে রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সে সময়ের পরিবর্তন এসেছে, যদিও মিডিয়া কেবলমাত্র নেতৃত্ব বদলিয়েছে, এখন একটি অন্য রাজনৈতিক দলের কোলে অবস্থান করছে।’ তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়ের প্রতিফলন, যেখানে ছাত্র রাজনীতিকে চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। রিফাত স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিএনপিকে জানাতে চাই, যারা ফ্যাসিবাদের নামে সন্ত্রাসকে সমর্থন করে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে যে দেশের মানুষ দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও নিপীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে কতটা শক্তভাবে প্রতিবাদ করতে পারে। আজকের দিনে আমাদের পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ছাত্র সমাজকে এই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ দেশের অবিচারের বিরুদ্ধে এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী পর্যন্ত এক হয়ে দখলদার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বর উঁচিয়ে তুলেছে।


অপরাধের শহর ঢাকা? হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের মিছিল

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ১২:৩১:৪৩
অপরাধের শহর ঢাকা? হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের মিছিল

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একজন ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা এবং সারাদেশজুড়ে বেড়ে চলা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রাণকেন্দ্রে এক ভিন্নমাত্রার উত্তাপ ছড়ায়।

বেলা ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিলটি। শহরের রায়সাহেব বাজার ও তাঁতিবাজার এলাকা অতিক্রম করে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে যান মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে। সেখানে চলমান সহিংসতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তারা তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিশেষ করে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড শুধু একজন ব্যক্তির মৃত্যু নয়, বরং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার চরম বিপর্যয়ের প্রতীক। তারা অভিযোগ করেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের চোখের সামনে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং খুনোখুনির ঘটনা ঘটছে, অথচ দায়ী ব্যক্তিরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের দাবি, এই ধরণের অপরাধ দমন করতে হলে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং জননিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো রকম রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণ না করার অঙ্গীকার করতে হবে।

পরে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শেষ হয়। সমাবেশে নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।


লাল চাঁদ সোহাগের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ১১:১৯:১১
লাল চাঁদ সোহাগের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভ

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যেখানে লাল চাঁদ সোহাগ নামের একজন ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এই ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানী এবং এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে একই সঙ্গে এবং পৃথক সময়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব)।

পুসাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ কর্মসূচি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এবং রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে শিক্ষার্থীরা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে নাগরিক নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাবেন। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবেন যেন দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

বিক্ষোভের সময়সূচি অনুযায়ী ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তাঁদের কর্মসূচি শুরু করবেন। রামপুরা ব্রিজ, বসুন্ধরা গেট, উত্তরা বিএনএস ও আশুলিয়ার খাগান এলাকায় দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে একত্রিত হবেন। সাউথইস্ট, উত্তরা ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টায় বিক্ষোভে অংশ নেবেন। মিরপুর-১০ এলাকায় বিকেল ৪টায় বিক্ষোভের মাধ্যমে দিনটি শেষ হবে।

রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট চত্বরে বিকেল ৩টায় এবং সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্ধ্যা ৬টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে, যেখানে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা লাল চাঁদ সোহাগের হত্যার নিন্দা জানাবে এবং সমাজে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের দাবিতে শক্তভাবে আওয়াজ তুলবে।

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এরকম নৃশংস ঘটনা সামনে আসতে থাকবে। তারা সরকারের কাছে দাবি করছেন, যেন জনসাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এবং এরকম নৃশংসতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়া নজরদারি চালায়।


কুমিল্লায় উপদেষ্টা সজীবের বড় ঘোষণা: শিক্ষার্থীদের চলাচলের সমস্যা চিরতরে মিটবে

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ১১:১১:২৩
কুমিল্লায় উপদেষ্টা সজীবের বড় ঘোষণা: শিক্ষার্থীদের চলাচলের সমস্যা চিরতরে মিটবে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাসের সংকট দূর করতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে তিনটি নতুন বাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ দিবস-১১ জুলাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন তিনি।

উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাসের সমস্যার কথা জানিয়েছে, যা আমি মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। সেই দাবি বিবেচনা করে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি বাস দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ১১ জুলাই প্রথম পুলিশি হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধকে সম্মান জানিয়ে এ দিনটিকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।

উপাচার্য ড. হায়দার আলী তার বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উপদেষ্টার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন নিজেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জন্য এক বিশাল সম্মান। উপদেষ্টার দেওয়া প্রতিটি ঘোষণাকে আমরা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করছি এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিকে আরও স্পষ্ট করতে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ১১ জন গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর ডেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি, কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনও কেউ কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি। আশা করি মাননীয় উপদেষ্টা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন।’

উপাচার্য আরও জানান, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে সুষ্ঠু বিচার সম্ভব হয়।’

উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই বাসগুলো শিক্ষার্থীদের চলাচল সমস্যা নিরসনে নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।


মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ০৮:৩৮:৩২
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার ঘটনায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘মিটফোর্ডে খুন কেন?’, ‘যুবদলের অনেক গুণ, পাথর মেরে মানুষ খুন’, ‘আমার সোনার বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’সহ নানা স্লোগান দেন। তারা অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি, দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্যসচিব মো. রাশেদুল হাসান বলেন, “যারা পরিবর্তনের কথা বলেছিল, তারাই এখন জনগণের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা প্রমাণ করে—তারা এখনই ক্ষমতার দম্ভে ভুগছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শোয়াইব হোসেন আল আমিন বলেন, “মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে একজন মানুষকে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করা হয়েছে—এটি মানবতা ও সভ্যতার চরম অবমাননা। বিএনপি যদি তাদের অঙ্গসংগঠনের সহিংসতা থামাতে না পারে, তাহলে তরুণ সমাজই উপযুক্ত জবাব দেবে।”

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মো. সোহাগ (৪৩) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতাকর্মীরা ইট-পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরবর্তীতে তার মরদেহের ওপর নাচানাচির ঘটনাও ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

সত্য প্রতিবেদন/আশিক

পাঠকের মতামত: