যা থাকছে জুলাই ঘোষণাপত্রে

রাজধানীর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ৫ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে, দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ করলেন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। ঐতিহাসিক ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের স্মারক দলিল হিসেবে এই ঘোষণাপত্রকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার ও গণতন্ত্রের পুনর্নির্মাণে ভবিষ্যৎ কর্মপথ নির্ধারণ করছে।
এই ঘোষণাপত্রে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে বাংলাদেশ গণআন্দোলন ও রাজনৈতিক প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে, আবার কীভাবে সময়ের প্রবাহে তা একচ্ছত্র শাসনের কাছে বিপন্ন হয়। দলিলটিতে ২৮টি ধারায় তুলে ধরা হয়েছে অতীতের রাজনৈতিক ব্যর্থতা, বর্তমান সংকট এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রগঠনের অঙ্গীকার।
অতীতের প্রেক্ষাপট: স্বাধিকার থেকে বিকৃতি
ঘোষণাপত্রের শুরুতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নকালে কাঠামোগত দুর্বলতা ও গণইচ্ছার যথাযথ প্রতিফলন না ঘটার কারণে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় একদলীয় বাকশাল শাসনব্যবস্থা, বাক-স্বাধীনতা হরণ, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা খর্ব এবং জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান, এবং পরবর্তীতে নানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট থেকেছে। কিন্তু ২০০৮ সালের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা দেশের রাজনৈতিক-সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে বলে দলিলটি উল্লেখ করে।
ষড়যন্ত্র, দমননীতি ও গণআন্দোলনের অভ্যুদয়
ঘোষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ১/১১-পরবর্তী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, একদলীয় দখলদারিত্ব, রাষ্ট্রীয় দমননীতি, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও বিদেশি প্রভুত্ব মেনে নেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের’ পথে ঠেলে দেয়।
ঘোষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, একের পর এক প্রহসনের নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তরুণ সমাজের ক্ষোভ, ছাত্র ও চাকরি প্রার্থীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এবং বৈষম্যমূলক কোটানীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্রমে এক জাতীয় গণজাগরণে রূপ নেয়।
জুলাই অভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদের পতন
দলিল অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক অসহযোগ এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের ঢাকা অভিমুখে জনতার দীর্ঘ পদযাত্রার চূড়ান্ত মুহূর্তে শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হন এবং দেশত্যাগ করেন। এরপর ‘অবৈধ দ্বাদশ সংসদ’ বাতিল করে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে।
এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জনগণের ‘গণ-সার্বভৌমত্বের’ ভিত্তিতে প্রণীত এই ঘোষণাপত্রটি গণঅভ্যুত্থানের সার্বিক ব্যাখ্যা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার এবং নতুন রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে মূল অঙ্গীকার ও প্রস্তাব
- ঘোষণাপত্রে কয়েকটি মূল দিক তুলে ধরা হয়:
- ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে
- আন্দোলনে শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়া হবে
- অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংসদ গঠন ও সংবিধান সংস্কার নিশ্চিত করা হবে
- আইনের শাসন, মানবাধিকার, বিচারিক স্বাধীনতা ও দলীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে
- বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধনির্ভর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ন্যায়ের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করা হবে
- ৫ আগস্ট ২০২৪-এ গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই ঘোষণাপত্র পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংশোধিত সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত থাকবে
শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, আগামী ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই জাদুঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এর উদ্বোধন সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, "আমরা হাসিনার দুঃশাসনের চিত্রগুলো এই জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য কিউরেট করছি যাতে ১৬ বছরের ফ্যাসিজমের ইতিহাস জীবন্ত থাকে। জীবন্ত থাকে সরাসরি গণভবন থেকে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত সব অত্যাচারের এবং নৃশংসতার ইতিহাস।"
‘জাদুঘরে থাকবে শেখ হাসিনার গুমের অডিও’
জাদুঘরের চিফ কিউরেটর তানজীম ওয়াহাব জানান, জাদুঘরটি নির্মাণে আইসিটি প্রসিকিউশন টিম ও গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি এটি একটি ইউনিক জাদুঘর হবে। ১৬ বছরের দুঃশাসনের গল্পগুলো এই জাদুঘরে ধারাবাহিক ভাবে থাকবে। দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন শেখ হাসিনা কীভাবে দেশ চালাতেন।”
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, "গুম-খুনের নির্দেশ দেওয়ার অনেক অডিও ইতোমধ্যেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। এই অডিওগুলো জাদুঘরে রাখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা কীভাবে গুমের শিকার পরিবারগুলোকে ডেকে এনে মিথ্যা সান্ত্বনা দিতো, সে চিত্রও উঠে আসবে।"
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাদুঘর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "মানুষের মধ্যে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার এই অনুভব নিয়ে আসাটাই এই জাদুঘরের একটি বড় কাজ।"
বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিসসহ আরও অনেকে। জাদুঘরে একটি স্ক্রিনিং সেন্টার থাকবে, যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং সাবেক সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসন নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হবে।
এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিল ইসি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় এনআইডি অনুবিভাগের সকল পরিচালক এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্য
এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফরম-২ কে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনআইডি সংশোধনের জন্য মোট ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ১৩২টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ৪৯১টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পেন্ডিং থাকা আবেদনের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৬৪১টি। ইসি আশা করছে, এই নির্দেশনা কার্যকর হলে পেন্ডিং থাকা আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ পরামর্শ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনতে আটটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ বা আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে এই পরামর্শগুলো তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারের বাজেট কাঠামোই অনুসরণ করলেও, স্বচ্ছতা বাড়াতে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া পরামর্শগুলো হলো:
১. বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা।
২. বাজেট নথি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি করা।
৩. নির্বাহী কার্যালয়ের ব্যয় আলাদা করে প্রকাশ করা।
৪. বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা।
৫. আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৬. নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করা, যেখানে বিস্তারিত তথ্য ও প্রস্তাবনা থাকবে।
৭. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ–সংক্রান্ত চুক্তির মূল তথ্য প্রকাশ করা।
৮. সরকারি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করা।
প্রতিবেদনে আরও যা বলা হয়েছে
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগের সরকার বাজেট অনলাইনে প্রকাশ করলেও, বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন সময়মতো দেয়নি। যদিও বাজেটের তথ্য সাধারণত নির্ভরযোগ্য, এটি আন্তর্জাতিক মান অনুসারে ছিল না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি ঋণের পরিমাণ প্রকাশ করা হলেও বাজেট নথিতে অনেক তথ্য অসম্পূর্ণ ছিল। বিশেষ করে, নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদা করে দেখানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বরাদ্দ ও আয় প্রকাশ করা হলেও রাজস্ব ও ব্যয়ের সম্পূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, সরকারি নিরীক্ষক সংস্থা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্বতন্ত্র নয়। তবে তারা স্বীকার করেছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের প্রক্রিয়াকে উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করেছে এবং আগের সরকারের নেওয়া সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি স্থগিত করেছে।
প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর
বিভিন্ন দেশে ভিসা জটিলতার মধ্যে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশের জন্য পর্যটন ও কর্ম ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। সম্প্রতি দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও আটটি দেশ রয়েছে।
বাংলাদেশসহ যে ৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, সেগুলো হলো:
আফগানিস্তান,লিবিয়া,ইয়েমেন,সোমালিয়া,লেবানন,ক্যামেরুন,সুদান,উগান্ডা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। শুধু পর্যটন বা কর্ম ভিসাই নয়, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইউএইতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই ৯ দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তার উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারীকে এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দেশটির সরকার এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা এখনো দেয়নি।
এইচ-১বি ভিসার ফি বছরে এক লাখ ডলার, মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বড় ধাক্কা
এদিকে, অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় এবার এইচ-১বি ভিসার ওপর নজর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসার বার্ষিক ফি ১,৫০০ ডলার থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
এইচ-১বি ভিসা কী ও কাদের ওপর প্রভাব পড়বে?
এইচ-১বি ভিসা হলো একটি বিশেষ কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করে। ২০০৪ সাল থেকে চালু এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর প্রায় ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার সুযোগ পান। প্রধানত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং ব্যবসায় প্রশাসনের ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীরা এই ভিসার সুবিধা পান। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল এবং গুগলের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এসব কোম্পানি এবং তাদের বিদেশি কর্মীদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় এক পরিবারের চারজন সদস্য এয়ার-কন্ডিশনার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে, প্রায় রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্তা, তার স্ত্রী এবং তাদের দুই শিশু সন্তান।
দগ্ধদের নাম জানা গেছে—মো. তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইবা আক্তার (৩০) এবং তাদের দুই ছেলে তানভির (৯) ও তাওহিদ (৭)। স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের দ্রুত রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চারজনেরই শরীরে বিভিন্ন মাত্রার দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। বিস্ফোরণের কারণ প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট বা এসির কম্প্রেসর বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোনো বা ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত পরীক্ষা না করলে এ ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। তারা বলেন, এসি ব্যবহার করলে সময়মতো সার্ভিসিং করা, বিদ্যুতের তার পরীক্ষা করা এবং অতিরিক্ত লোড এড়ানো জরুরি।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে।
-হাসানুজ্জামান
“গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের হঠাৎ পরিদর্শনে থানা কার্যক্রমে শিথিলতা ও টহল ডিউটিতে অনিয়ম ধরা পড়ে।
ডিএমপির একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের আকস্মিক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এজন্য সব থানা ও টহল দলকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালাতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজে তদারকি করেন। বিকেল ৩টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নাজরুল ইসলাম সাধারণ পোশাকে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, টহল দেওয়ার কথা থাকলেও থানার পাঁচটি গাড়ি—এর মধ্যে দুটি পেট্রোল কার—গ্যারেজে পার্ক করা অবস্থায় রয়েছে।
থানার ভেতরে প্রবেশ করে তিনি দেখেন, তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর আবদুল আলীম ও সহকারী কমিশনার একেএম মেহেদি হাসান স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছেন এবং ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান ছিলেন সম্পূর্ণ নিরুদ্বিগ্ন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাদের রিজার্ভ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ও সতর্কতা নিশ্চিত করতে এ ধরনের পরিদর্শন চলমান থাকবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি বা গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরেও কোনো কর্মকর্তা গাফিলতি করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-হাসানুজ্জামান
ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক যৌথ কৌশলগত মহড়া ‘ওয়েস্ট-২০২৫’-এ সফলভাবে অংশগ্রহণ করেছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মহড়ার বিস্তারিত
পোস্টে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৌশলগত যৌথ অভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথ ও বহুজাতিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ৩৭ জন সদস্য রাশিয়ার নিঝনি নভগোরোদ অঞ্চলের মুলিনো মিলিটারি ট্রেইনিং গ্রাউন্ডে এই মহড়ায় যোগ দেন।
মহড়ার প্রতিটি ধাপে সমন্বয়, প্রতিক্রিয়াশীলতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নানা কৌশলগত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই মহড়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।
‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
‘ব্লাড মুন’-এর পর এবার আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
গ্রহণের সময় ও দৃশ্যমান স্থান
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সূর্যগ্রহণের মোট ব্যাপ্তিকাল হবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। এটি বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে শুরু হবে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।
এই সূর্যগ্রহণ নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া এবং পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে শুরু হয়ে অ্যান্টার্কটিকার আলেকজেন্ডার দ্বীপে শেষ হবে।
আরও দেখুন
শুরু: বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।
সর্বোচ্চ গ্রহণ: বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।
শেষ: বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।
সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
নিজেকে সিআইএ এজেন্ট দাবি করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রহস্যময় মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রভাবশালী আমলা ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি একজন সচিবকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা থেকে বাঁচাতে দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে দুজন উপপুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এছাড়া একজন প্রভাবশালী আমলার নামে দুদকের বেশ কিছু মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। রিমান্ডে থাকা কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তি সংক্রান্ত নানা ধরনের কথোপকথন, যোগাযোগ ও বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে টাকা লেনদেনের কোনো প্রমাণ এখনো হাতে আসেনি।
সহযোগী ও অর্থ লেনদেন
এনায়েত করিমের সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একাত্তর টিভিতে জিএম অপারেশন হিসেবে কাজ করতেন এবং ৫ আগস্টের পর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা নেন। তদন্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ জানান, এনায়েত তাকে মাসিক ২ লাখ টাকা বেতনে নিজের সহকারী হিসেবে রেখেছিলেন। মোস্তফা আজাদের মাধ্যমে এনায়েত বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাঠাতেন। গুলশানে এনায়েতের যে বাড়িতে থাকার কথা ছিল, সেখানে মোস্তফা আজাদ থাকতেন এবং সেই বাড়ির ভাড়া বাবদও মাসে ২ লাখ টাকা দিতেন এনায়েত।
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট
রাজধানীর মিন্টো রোডে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় এনায়েত করিমকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪৮ ঘণ্টার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আরও পাঁচ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তার সহযোগী মোস্তফা আজাদকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জানান, এনায়েতের জব্দ করা আইফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা থেকে জানা যায় তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে এসেছেন। তিনি ভারতকে নতুন সরকার গঠন করে দিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
এক কর্মকর্তা জানান, এনায়েত বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন এবং পরে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন। এই সময়ে তিনি সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। তার কাজ ছিল বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করে তার গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠানো।
পাঠকের মতামত:
- শানাকার তাণ্ডবে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ল শ্রীলঙ্কা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
- হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
- সুপার ফোরে বাংলাদেশের দারুণ শুরু, তাসকিন-মেহেদীর আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা
- ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
- চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
- এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিল ইসি
- মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা
- ২৪ সিনেমাকে পেছনে ফেলে অস্কারের দৌড়ে ভারতের ‘হোমবাউন্ড’
- ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারও সংবাদ সম্মেলন বাতিল করল পাকিস্তান
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- ‘নান্দো’ এবার সুপার টাইফুনে পরিণত হচ্ছে
- এটি দ্বিতীয় বিয়ে, আবদুল হান্নান মাসউদের আংটি বদল নিয়ে বিতর্ক
- কাজের চেয়ে কথায় পটু এই তারকা, পারফরম্যান্সের চেয়ে মন্তব্যে বেশি আলোচিত
- কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ, তবুও ক্রেতাদের ভিড়
- বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান
- স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে গৃহবধূকে গরম তেলে হাত চুবাতে বাধ্য করা হলো
- মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান
- ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষকে উঁচিয়ে ধরতে হবে: এ্যানি
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ইসরায়েলিদের পিটিশন
- বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি, যারা চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ পরামর্শ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
- মোবাইলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখবেন যেভাবে, জানুন সহজ উপায়
- সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ
- প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর
- অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত
- গাজা যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- বাড়ছে বাণিজ্য, বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার আজকের হার
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
- সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
- নেহা ভাসিন বনাম এলনাজ নরৌজি: জিম লুকে কার স্টাইল বেশি পছন্দ?
- ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস
- নতুন লুকে পূর্ণিমা, ছবি দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
- ‘বাঘ-সিংহের’ লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, পরিসংখ্যান কাদের পক্ষে?
- কাল্কি বিতর্কের পর দীপিকার নতুন শুরু: শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’
- ফ্রান্সের বদলে আলজেরিয়ার জার্সি গায়ে লুকা জিদান
- পিআর পদ্ধতি ভারতের নীলনকশার অংশ: সরওয়ার আলমগীর
- যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
- ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারে টানা পতন: সূচকে বড় পতন, কমেছে লেনদেন
- “গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
- বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
- ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
- “গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
- “টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
- “এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার