নাহিদ-জুলকারনাইন দ্বন্দ্বে সামনে এলো রিয়াদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের মধ্যে সম্প্রতি একটি বিতর্ক জন্ম নিয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আলোচিত মুখ সাদিক কায়েম এবং ছাত্রশিবিরের ভূমিকা। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারণে এই ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা ও প্রভাব বিস্তার করা হয়, এবং সাদিক কায়েম ঐ অভ্যুত্থানে যে ভূমিকার দাবি করেন, তা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। তিনি সাদিকের বক্তব্যকে 'মিথ্যাচার' আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশের মিলিত উদ্যোগেই ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। তার ভাষ্য অনুযায়ী, শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও তা কখনো রাজনৈতিক নেতৃত্বে বা দিকনির্দেশনায় রূপ নেয়নি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতায় সাদিক কায়েম নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন, যদিও পূর্বে তিনি এ ধরনের কোনো ভূমিকায় ছিলেন না। তার দাবি, শিবিরের ভূমিকার কারণে তাকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসানো হলেও, সাদিক ও তার অনুসারীরা অভ্যুত্থানের মূল নেতৃত্বের কৃতিত্ব কৌশলে নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি আসে সামরিক হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে। নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, গত বছরের ২ আগস্ট রাতে জুলকারনাইন সায়েরের একটি গ্রুপ সেনাবাহিনীর এক অংশের সহায়তায় একটি সামরিক ক্যু বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। তার ভাষায়, ছাত্র সমন্বয়কদের একটি 'সেইফ হাউজে' আটকে রেখে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় যেন তারা একতরফাভাবে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়ে এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু এনসিপির অবস্থান ছিল পরিষ্কার ক্ষমতা হস্তান্তর কোনোভাবেই সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া যাবে না। তিনি সতর্ক করেন, তেমন কিছু হলে আরেকটি 'এক-এগারো' পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দেবে, যা কেবল আওয়ামী লীগকে ফিরে আসার সুযোগ দেবে।
এই অভিযোগের পরপরই সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেসবুক পেজে পাল্টা বক্তব্য দেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, সাদিক কায়েম একজন সৎ এবং আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন, যার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত একটি দুর্নীতির অভিযোগও ওঠেনি। তিনি নাহিদের বক্তব্যকে ‘মুখরোচক, চটকদার আলোচনা’ বলে আখ্যায়িত করে প্রশ্ন তোলেন, এতে করে কি নিজেদের গোপন সত্য আড়াল করা যাবে?
জুলকারনাইন আরও বলেন, তিনি সাদিক কায়েমের অবদানকে ছোট করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, কারণ ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় যারা মাঠে ছিলেন, তারাই প্রকৃত নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি নাহিদের উদ্দেশে পাঁচটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, যার মধ্যে রয়েছে ছাত্রশক্তির ঢাবিতে লোকবল কত ছিল, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সংগঠন ছিল কিনা এবং সাদিক কায়েমের অবদান ছাড়া আদৌ কি অভ্যুত্থান সম্ভব ছিল?
সবশেষে তিনি একটি বড় দাবি খণ্ডন করেন। নাহিদের অভিযোগ অনুযায়ী, জুলকারনাইন ও তার সহযোগীরা ছাত্রনেতা রিয়াদকে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে সিসিটিভিতে ধরিয়ে দেন। জুলকারনাইন পাল্টা বলেন, তার কোনো গোয়েন্দা নজরদারি ছিল না এবং সিসিটিভি লাগানোতেও তার কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি দাবি করেন, রিয়াদের চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেফতারের পেছনে তার কোনো হাত নেই, বরং রিয়াদ দীর্ঘদিন নাহিদের ও তার পিতার ‘শেল্টারে’ ছিলেন।
-রাফসান
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের বার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী শিবির–সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সাদিক কায়েমকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি। একই সঙ্গে তিনি সাদিককে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে সাংবাদিক সায়ের তাঁর ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার সাদিকুর রহমান খানের একটি পুরনো পোস্ট শেয়ার করে সাদিক কায়েম সম্পর্কে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন।
নিজ পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সাদিক তার নিজ যোগ্যতায় এতদূর এসেছে। আমি যখন তাকে ‘স্নেহের সাদিক’ বলে পরিচয় করিয়েছিলাম, তখন অনেকে কটু মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আজ সাদিক প্রমাণ করেছে আমার কথাগুলো মোটেও অতিরঞ্জিত ছিল না। আমার সবার কাছে অনুরোধ, সাদিককে তার মতো থাকতে দিন। তোষামোদ বা অহেতুক স্তুতি কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাকে ব্যবহার করবেন না। এতে তার আত্মবিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
শেয়ার করা পোস্টের ক্যাপশনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রদল–সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খানকেও অভিনন্দন জানান। সায়ের লেখেন, “সাদিকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদ, তোমাকেও অনেক শুভেচ্ছা। তুমি নিজ যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছো। তোমার বলিষ্ঠ কণ্ঠ ও নেতৃত্বের গুণ অটুট থাকুক—সেটাই কামনা করি। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোল।”
উল্লেখ্য, সায়েরের শেয়ার করা সেই পোস্টটি ছিল চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির। তখনই তিনি প্রথমবারের মতো জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি হিসেবে সাদিক কায়েমের সক্রিয় ভূমিকার কথা প্রকাশ্যে আনেন। সেই সময় থেকেই সাদিককে ঘিরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা তৈরি হয়।
-শরিফুল
স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাইলেন শরিফ ওসমান বিন হাদী, পেলেন শর্ত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী তার স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, স্ত্রী তাকে দেশে নয় বরং বিদেশে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিয়ের ক্ষেত্রে ‘ভালো পয়সা-পাতি’ দেখার পরামর্শও দিয়েছেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন হাস্যরসাত্মক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন হাদী।
পোস্টটিতে তিনি লিখেছেন, “বউরে জিগাইলাম—আমার আরেকটা বিয়া কোন এলাকায় করা উচিত? সে কইলো—বাংলাদেশে আর না। পরেরটা ডাইরেক্ট বৈদেশে। ভালো পয়সা-পাতি দেইখা।” তিনি আরও লিখেছেন, “একটা বাংলা সিনেমার কথা মনে পইড়া গেলো—ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না!”
হাদীর এই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পোস্টটিতে ৩৩ হাজারেরও বেশি রিঅ্যাক্ট এবং শতাধিক শেয়ার হয়। তার ভক্ত ও অনুসারীরা মন্তব্য বাক্সে এই খুনসুটিতে যোগ দিয়েছেন। শাফিন ইবরাহিম হোসেন নামের এক চিকিৎসক হাদী-কে পাকিস্তানে দ্বিতীয় বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, “পাকিস্তান ভাই, পাকিস্তান। ট্যাগ যখন খাবেন, আমার মতো ভালোভাবেই খান।”
মো. মশিউর রহমান নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, “হায় আল্লাহ! আপনি বিবাহিত! আপনি বিবাহিত!!” সোবহান উদ্দিন চৌধুরী লিখেছেন, “বুদ্ধি খারাপ না। বিদেশে বিয়ে করলে ভবিষ্যতের জন্য একটা স্থায়ী ঠিকানা হবে। কারণ আপা ফিরে এলে তো এমনি পালাতে হবে।
ওসমান হাদির নামে ভিন্ন যুগলের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ফুটেজ ভাইরাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ দৃশ্যের দাবিতে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার তাদের অনুসন্ধানে জানিয়েছে যে, এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রচারিত ছবিতে থাকা পুরুষটি শরিফ ওসমান হাদি নন। বরং, ইন্টারনেট থেকে অ্যান্টোনি ও এনা নামের বিদেশি এক দম্পতির ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে এই ভুয়া ছবিটি ছড়ানো হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে antxana নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৩ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিওর সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছবির ফ্রেমের মিল পাওয়া গেছে। এটি অ্যান্টোনি ও এনা নামের এক মার্কিন দম্পতির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। তারা তাদের পারিবারিক বিভিন্ন ভিডিও এই অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে থাকেন।
সুতরাং, শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ দৃশ্যের দাবিতে যে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ড. ইউনূসের কার্যকাল কতদিন?: ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গোলাম মাওলা রনি
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ড. ইউনূসের হঠাৎ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা দেশের মানুষের কাছে বিস্ময়কর ছিল। মানুষ তার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও কেউ কল্পনাও করেনি যে তিনি একসময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বসে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
গোলাম মাওলা রনি প্রশ্ন তোলেন, “ড. ইউনূসের কার্যকাল আসলে কত দিন?” তিনি কি আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন, নাকি ডিসেম্বরের মধ্যেই তার বিদায় ঘটবে? কারণ, যদি সংবিধানে সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে বর্তমান প্রধান বিচারপতিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারেন, যা ড. ইউনূসের বিদায় অবধারিত করবে। তিনি মনে করেন, বিষয়টি এতটাই অনিশ্চিত যে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যেই ড. ইউনূস স্বেচ্ছায়, চাপের মুখে বা অন্য কোনোভাবে দায়িত্ব ছাড়তে পারেন।
আওয়ামী লীগকে ‘মাইনাস’ করার চেষ্টা?
গোলাম মাওলা রনি বলেন, বর্তমান রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ কি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে? তিনি বিশ্লেষণ করেন, আওয়ামী লীগ ও তার ১৪ দলের সম্মিলিত ভোটারসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ। এখন এক ধরনের ভাবনা দেখা দিয়েছে যে, এই ৫০ শতাংশ মানুষকে একেবারে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করে ফেলতে হবে। তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে, কিন্তু তারা আর ভোট দিতে পারবে না। রনি বলেন, এসব কথা আপাতদৃষ্টিতে কল্পনাপ্রসূত মনে হলেও, বাংলাদেশে অসম্ভব অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে।
‘মাঝি-যাত্রী দিশাহারা’: বর্তমান পরিস্থিতি
গোলাম মাওলা বলেন, ড. ইউনূসের হঠাৎ রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত হওয়া তার নিজের জীবনেও অপ্রত্যাশিত এক বাঁক। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না, তার নেই যথাযথ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বা প্রশাসনিক দক্ষতা। ফলে বর্তমানে যেসব জটিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, সেগুলোতে তিনি বেশ চাপের মধ্যে আছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমন এক নৌকার মতো, যার মাঝি কোনো দিন নৌকা চালায়নি, যাত্রীরাও কেউ কখনো নৌকায় চড়েনি, এমনকি সাঁতারও জানে না।” রনি বলেন, এই হলো আজকের বাংলাদেশের রাজনীতির বাস্তব রূপ।
ড. ইউনূসকে সরাতে কঠোর আন্দোলন হতে পারে: জাহেদ উর রহমান
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান মন্তব্য করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার পদ থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য একটি কঠোর আন্দোলনের সূত্রপাত হতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ড. ইউনূস আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এই মন্তব্য তিনি বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার ইউটিউব চ্যানেল ‘জাহেদস টেক’-এ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে করেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, “ড. ইউনূসকে সরিয়ে ফেলার জন্য তার বিরুদ্ধে খুব কঠোর আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। অন্তত বক্তৃতা-বিবৃতি তো চলবেই। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে যাতে ড. ইউনূস আর দায়িত্বে থাকতে না পারেন।” তিনি যোগ করেন, “এই দেশে যেই নির্বাচনের পক্ষ নেবে, সেই কিছু লোকের শত্রুতে পরিণত হবে। তাকে নানাভাবে আক্রমণ করা হবে এবং তার বিভিন্ন ব্যর্থতাকে নতুন করে সামনে আনা হবে।”
‘ড. ইউনূসের অবস্থান খুবই কঠিন’
সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, সেটিকে জাহেদ উর রহমান ‘ভেরি টাফ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের এই সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও কঠোরতার অভাব রয়েছে, যা যৌক্তিক সমালোচনা। তবে তিনি যত দিন দায়িত্বে থাকবেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা সহজ হবে না। কারণ নির্বাচনের পক্ষে যে অংশটি আছে, তাদের শক্তি অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, বিদেশি শক্তিও যদি নির্বাচন বানচালের খেলায় নামে, ড. ইউনূসের মতো মানুষ দায়িত্বে থাকলে তা সহজেই সামাল দেওয়া সম্ভব।
পদত্যাগের প্রবণতা ও ভবিষ্যৎ শঙ্কা
জাহেদ উর রহমান মনে করেন, নির্বাচন ভণ্ডুল হওয়ার পরিস্থিতি এলেও ড. ইউনূস দায়িত্ব ছাড়তে পারবেন না। তিনি দায়িত্ব থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার রেখে তারপর তাকে যেতে হবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ড. ইউনূস একবার যাওয়ার (পদত্যাগ) প্রবণতা দেখিয়েছিলেন। তিনি খানিকটা নন-কনফ্রন্টেশনাল ধরনের মানুষ, তাই কারো কারো আশা তৈরি হতে পারে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনাগত দিনগুলোতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মারাত্মক আক্রমণ, বিদ্রুপ ও ব্যঙ্গ চলতে থাকবে। যদি তিনি চলে যান, তাহলে তারা তাদের মতো একজন লোক বসাতে চাইতে পারে, সেনাপ্রধানকে সরিয়ে ফেলতে চাইতে পারে, এবং দেশ একটি সম্পূর্ণ নৈরাজ্যের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে।
/আশিক
জাতীয় পার্টির পাশাপাশি জামায়াতকেও কাঠগড়ায় তুললেন রুমিন ফারহানা
জাতীয় পার্টির হাত ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে যে আলোচনা চলছে, তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা। তিনি মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ যদি পুনর্বাসিত হয়, তাহলে সেটা জামায়াতে ইসলামীর কাঁধে ভর করেও হতে পারে।
জাতীয় পার্টির হাত ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের শঙ্কা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, “আপনি কীভাবে গ্যারান্টি দেবেন যে জামায়াতের হাত দিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে না? আমরা কি দেখিনি, আওয়ামী লীগের নিম্ন স্তরের নেতাকর্মীরা প্রাণ, সম্পদ ও পরিবার বাঁচাতে জামায়াতে যোগ দিয়েছে?” তিনি প্রশ্ন করেন, “জামায়াতে ইসলামী কি সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেওয়ার বক্তব্য দিয়ে তার যাত্রা শুরু করে নাই? তাহলে আপনি জাতীয় পার্টি বা অন্য দলের নাম নিচ্ছেন কেন?”
জামায়াতের নেতাকর্মীদের ‘ভোল বদল’ হয়েছে মন্তব্য করে রুমিন ফারহানা বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি ফেরে, আওয়ামী লীগ তো জামায়াত দিয়েও ফিরতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের নেতাকর্মীরা এখন ডিম ফুটে নতুন বাচ্চা বেরোনোর মতো। আগে ছিল মুরগির বাচ্চা, এখন হয়ে গেল হাঁসের বাচ্চা।”
তিনি বলেন, “আগে তারা ছিল আওয়ামী লীগ, এখন হয়ে গেল শিবিরের প্রার্থী। দেখছেন না? কে কার ঘাড়ে ভর করে কোথায় আসবে, এটা তো গুপ্ত রাজনীতি। যারা এটি করে, তাদের দিয়ে তো আপনি এটার গ্যারান্টি দিতে পারবেন না।”
/আশিক
ধর্ষণের হুমকি: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উমামা ফাতেমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু নিজেদের কর্মীদের দায় নিচ্ছে না। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে রিট করা এক ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) উমামা ফাতেমা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ধর্ষণের হুমকির একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, আলী হুসেন নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ডাকসুর এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে উমামা ফাতেমা লিখেছেন, “এই ক্যাম্পাসে একজন মেয়েকে রেপ থ্রেট দিয়ে কতই না সহজে পার পাওয়া যায়। শিবির কেন গুপ্ত রাজনীতি থেকে প্রকাশ্যে আসে না, সেটার কারণ এটাই। সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে রাজনৈতিক সুবিধাটা ঠিকই নেবে, কিন্তু নিজেদের লোকের দায়টা নেবে না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত হুমকিদাতার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকসুতে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরাও এর বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই হুমকির ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং অপরাজেয়৭১-অদম্য ২৪ প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী মো. নাইম হাসান প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
/আশিক
প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যবসাটা ভালো বোঝেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার নিজের লোকজনের জন্য আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এনসিপি নেত্রী এই মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, “মাথা নত করারও একটা লেভেল থাকে। তবে ব্যবসাটা ভালো বুঝছে পাগলায় (ড. মুহাম্মদ ইউনূস)।”
তিনি বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা, হাসপাতাল করা, কর মওকুফ এবং বছর বছর ধরে তার এনজিও বন্ধুদের ক্ষমতায়ন করা—সবই আসলে নিজের লোকজনের আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, “ওনাকে দেখে মেরুদণ্ডহীন অতি জ্ঞানীদের আমি ঘৃণা করা শিখেছি।”
এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতুর এই স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং মন্তব্য ঘরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
/আশিক
ফকিন্নির বাচ্চা, বলে হাসনাত আব্দুল্লাহকে তীব্র আক্রমণ রুমিন ফারহানার
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র কথার লড়াই শুরু হয়েছে। এই দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে কড়া ও নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
এই কথার লড়াইয়ের সূত্রপাত হয় যখন হাসনাত আব্দুল্লাহ, রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক অন্যতম সম্পাদক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এর জবাবে রুমিন ফারহানা সোমবার (২৫ আগস্ট) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে তীব্র সমালোচনা করেন।
ভাইরাল হওয়া সেই পোস্টে রুমিন ফারহানা লিখেছেন, ‘এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা (হাসনাত আব্দুল্লাহ) না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?’ এই মন্তব্যের সঙ্গে তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিভিন্ন ছবি ও প্রমাণও জুড়ে দেন। দুই নেতার এই ধরনের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা এবং তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার শুরু রবিবার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানির সময়। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে এনসিপির নেতাদের ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, এই হামলা ছিল আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের একটি ‘টেস্ট ম্যাচ’।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিএনপির এমন অনেক ‘আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক’ আছেন, যারা আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। তিনি রুমিন ফারহানার সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুণ্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠাণ্ডা করে দিতে চায়, একটি প্রেসক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা বিএনপির এই আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আপনারা জনগণের পালসকে বুঝুন, ২৪-পরবর্তী জনগণের পালসকে বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।’
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে
- ৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ — প্রধান উপদেষ্টা
- দেশের উন্নয়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?
- রিমান্ডে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর
- ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ব্লক লেনদেনে প্রায় ৪৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ দশ কোম্পানি দর হারাল
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- ‘আমার বাবাকে কাকা-কাকাতো ভাই মেরে ফেলেছে’
- গ্রেফতার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া
- বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভ্রমণ মেলা, থাকছে ছাড় ও র্যাফেল ড্র
- রাশফোর্ডের চমৎকার ক্রস, লোপেজ ও লেভানডোস্কির গোল—বার্সার দারুণ পারফরম্যান্স
- কাতারকে সাবধান হতে বললেন ট্রাম্প
- অক্টোবর মাসের বলিউড সিনেমার রোডম্যাপ: প্রেম, কমেডি, থ্রিলার ও হররের সংমিশ্রণ
- বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে: লুৎফুজ্জামান বাবর
- সংস্কার কমিশনের ৭০ শতাংশ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব: আসিফ নজরুল
- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান তারেক রহমানের
- গ্ল্যামার, রঙ আর বার্তা—এমির রেড কার্পেটে সেলিব্রিটিদের সাজসজ্জা
- “গো ব্যাক মোদি” স্লোগানে মুখরিত মণিপুর
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- অবরুদ্ধ গাজায় মৃত্যু-ক্ষুধার মিছিল
- ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে সমুদ্রপথে প্রতিবাদ, গাজাগামী নৌবহরে যোগ দিল গ্রিসের দুটি জাহাজ
- বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষোভ প্রশমনে ট্রাম্পের ‘ওপেন ডোর’ নীতি
- উন্নয়নের মুখোশ না মহা লুটপাট? শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৫ লাখ কোটি টাকার রহস্য
- টিকটক বন্ধ নাকি বাঁচবে? স্পেনের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকেই মিলবে সিদ্ধান্ত
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- জাতীয় ঐকমত্য: বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু বুধবার
- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান: ড. আলী রিয়াজ
- শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের অস্ত্র মামলায় নতুন মোড়
- উদ্যোক্তা সৃষ্টির আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- ব্লক মার্কেটে রেকর্ড লেনদেন
- ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ায় উত্তেজনা
- গুলিবর্ষণের পর প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেল দিশা পাটানিকে
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র লেনদেন
- গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা, নাসা থেকে বহিষ্কার চীনা গবেষকরা
- ছুটির মুডে অনন্যা পাণ্ডে: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা
- সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন ইলন মাস্ক, লন্ডনে বিক্ষোভ
- ন্যাটো সীমান্তে নতুন উত্তেজনা: রাশিয়ার ড্রোন অভিযান প্রসারিত
- ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর বড় সিদ্ধান্ত: সরকারি ছুটি কাটছাঁটের পরিকল্পনা বাতিল
- PRIME1ICBA ফান্ডের সাপ্তাহিক এনএভি প্রকাশ
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়