টিউলিপ সিদ্দিক বনাম দুদক: ‘রাজনৈতিক নয়, দুর্নীতি মামলার লড়াই’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৪ ১৬:৪৭:০৫
টিউলিপ সিদ্দিক বনাম দুদক: ‘রাজনৈতিক নয়, দুর্নীতি মামলার লড়াই’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এবং তাঁর আইনজীবীর সমালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, তাঁরা নিজেদের দেশকে ছোট করছেন এবং ব্রিটেনের রাজনীতিকে দুর্বল প্রমাণ করছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, "আমরা ব্রিটেনের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছি না। ব্রিটেন কি এতটাই ভঙ্গুর যে, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হলেই তাদের গোটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা ধসে পড়বে?" তিনি টিউলিপের আইনজীবীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, "শব্দচয়নে সচেতন না হলে সেটি নিজেদের দেশকেই ছোট করে দেখায়।"

সম্প্রতি টিউলিপের পক্ষ থেকে দুদককে পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, দুদক ও অন্তর্বর্তী সরকার ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। এর জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, "চিঠি-পত্র দিয়ে নয়, টিউলিপকে অন্যান্য অভিযুক্তদের মতো আদালতে এসে মামলা মোকাবেলা করতে হবে। এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, ব্যক্তিগত দুর্নীতির অভিযোগ।"

তিনি আরও জানান, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশানে একটি সরকারি প্লট ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের মাধ্যমে অবৈধভাবে হস্তান্তরের বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদক ১৫ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং ২২ জুন তাঁকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। এর আগে ১৪ মে প্রথমবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “টিউলিপ আমাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিআইএন আছে। সুতরাং বাংলাদেশে করা মামলার মুখোমুখি তাঁকে হতেই হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, টিউলিপ গোড়া থেকেই বিষয়টি জানতেন, তাই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান এবং অনুপস্থিত থাকলেও বিচার চলবে।

এর আগে ২৩ জুন টিউলিপ সিদ্দিক এক উকিল নোটিশে অভিযোগ করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দুদক তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে এবং ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।

—সত্য নিউজ/আশিক


আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অডিও ক্লিপ শোনানো হলো, ‘মারণাস্ত্র ব্যবহার করো’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৭:৫৩:০৪
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অডিও ক্লিপ শোনানো হলো, ‘মারণাস্ত্র ব্যবহার করো’
শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'মারণাস্ত্র' ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কথোপকথনের সেই অডিও শোনানো হয়েছে।

আন্দোলনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।

‘ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি, এখন গুলি করবে’

কথোপকথনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেন তাপস। তখনই শেখ হাসিনা বলেন, “‘আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি। এখন লিথাল ওয়েপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে।”’

আরেকটি অংশে শেখ হাসিনা বলেন, “বিটিআরসি-বিটিভি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইন্টারনেট বন্ধ। মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে... আমাদের সেতু ভবন পুড়িয়েছে।” এর উত্তরে তাপস বলেন, “রাতের বেলায় আরও ব্যাপক আক্রমণ করবে।”

অডিও ক্লিপ ও মামলার বিবরণ

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, যা যা পোড়াতে। ওরা পুড়িয়ে দিলো সেতু ভবন।’ তার মানে আগুন দেওয়ার নির্দেশ উনি দিয়েছেন।”

বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা জবানবন্দিতে জানান, শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে।

এদিন সকালে রাজসাক্ষী হওয়া আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষীরা জবানবন্দি দেন।


সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা কোন দলের? জরিপের ফল কী বলছে?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৫:৪১:৪৭
সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা কোন দলের? জরিপের ফল কী বলছে?
গ্রাফিক্স: ইত্তেফাক

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কনসাল্টিং। তাদের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে রাউন্ড টু’-এর দ্বিতীয় অংশের ফলাফলে দেখা গেছে, ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে বিএনপি।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সরওয়ার। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে ৯ হাজার ৩৯৮টি পরিবারের ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিএনপি

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ৪১.৩০ শতাংশ ভোটার। এর পরেই রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, যাদের প্রতি ৩০.৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখা গেছে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ তৃতীয় স্থানে আছে, যাদের ভোট ১৮.৮০ শতাংশ। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪.১০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

ভোটারদের মতে, পরবর্তী সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা আছে বিএনপির। ৪০ শতাংশ ভোটার মনে করেন, বিএনপি সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে ২৩.৩ শতাংশ ভোটারের ধারণা, জামায়াত সরকার গঠন করতে পারে।

ভোটের সিদ্ধান্তে প্রার্থীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

জরিপে আরও দেখা গেছে, ৬৫.৫ শতাংশ ভোটার দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা বিবেচনায় ভোট দিতে আগ্রহী। মাত্র ১৪.৭ শতাংশ ভোটার প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। স্থানীয় রাজনীতিতে অন্যান্য দলের তুলনায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্থানীয় কার্যক্রম নিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টির হার সবচেয়ে বেশি। তরুণ প্রজন্ম এবং নারীরা জামায়াতের কার্যক্রমে তুলনামূলকভাবে বেশি সন্তুষ্ট।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না এলে কী হবে?

জরিপ বলছে, যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তাদের ভোটারদের একটি বড় অংশ অন্য দলগুলোকে ভোট দিতে আগ্রহী। আওয়ামী লীগের ২০ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে, ১৪.৮ শতাংশ জামায়াতকে এবং ২.১ শতাংশ ভোটার এনসিপিকে ভোট দিতে আগ্রহী। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য যোগ্য দল হিসেবে বিএনপিকে মনে করেন ৩৯.১ শতাংশ ভোটার।

জরিপ অনুযায়ী, ভোটাররা ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করেন।


‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে’: ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১২:১৪:১৩
‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে’: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগোর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ক্রীড়া, সামাজিক উদ্যোগ এবং বিশ্ব মানবিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ড. ইউনূস বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে একটি ভিত্তিমূলক ঘটনা হবে, যা দেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নেবে।”

বৈশ্বিক ও মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা

ড. ইউনূস প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিককে সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগে রূপান্তর করতে নেতৃত্ব দেন। তিনি ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিত সকল অলিম্পিক, বিশেষ করে আসন্ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক কার্বন নিরপেক্ষ করার ওপর জোর দেন।

মেয়র হিদালগো এই সংকটময় সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “আমি আপনার নেতৃত্বকে গভীরভাবে সম্মান করি। আপনি অসাধারণ কাজ করেছেন, এবং আপনার অঙ্গীকার মানবতার জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”

উভয় নেতা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তহবিল বৃদ্ধির জরুরি প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে একদিন রোহিঙ্গারা নিরাপদ ও মর্যাদাসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবেন। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, “জাতিসংঘ আগামী সপ্তাহে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে, যার উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক মনোযোগ পুনরুজ্জীবিত করা এবং একটি স্থায়ী সমাধান খোঁজা।”

ড. ইউনূস মেয়র হিদালগোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা দুই দেশের মধ্যে মানবিক ও সামাজিক ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে।


ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:৪৪:৪৯
ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
ছবিঃ বি এস এস

যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের প্রধান শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রিয়াদে ৮২ বছর বয়সে গ্র্যান্ড মুফতি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই দিন স্থানীয় সময়ে এক শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু ইসলামী বিশ্বে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করল। তিনি ছিলেন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক আলোকবর্তিকা, যিনি ইসলামী চিন্তায় দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন সারা জীবন।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বার্তায় বলেন, “ইসলামের সেবায় শেখ আবদুলআজিজের আজীবন নিষ্ঠা এবং তাঁর অনন্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইসলামী বিশ্ব তাঁর অভাব গভীরভাবে অনুভব করবে।”

শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের জেনারেল প্রেসিডেন্সি অব স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামী আইনশাস্ত্র ও ধর্মতত্ত্বে তাঁর প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ছিল।

তিনি ১৯৬১ সালে রিয়াদের ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ কলেজে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯৬৫ সালে আরবি ও ইসলামী শরিয়াহ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি অসংখ্য ফতোয়া, গবেষণা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা প্রদান করে মুসলিম বিশ্বে নৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু শুধু সৌদি আরবের জন্য নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্যই এক বড় ক্ষতি। তাঁর রচনা ও মতামত ইসলামী আইনের আধুনিক ব্যাখ্যা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘকাল প্রভাব ফেলবে।

-সুত্রঃ বি এস এস


“উদ্ভাবন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক”— বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:৩২:৩৮
“উদ্ভাবন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক”— বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা
ছবিঃ বি এস এস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো সামাজিক উদ্ভাবন নিয়ে এক বিশেষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) আয়োজিত এ বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এই গোলটেবিল বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে মূলত সামাজিক উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি এবং বহুমাত্রিক সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা মত দেন, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া ছাড়া ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।

অধ্যাপক ইউনূস আলোচনায় তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, সামাজিক ব্যবসা (Social Business) ও মাইক্রোক্রেডিট ধারণা ইতিমধ্যেই বিশ্বের নানা দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। তিনি সামাজিক উদ্ভাবনকে কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার নয়, বরং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের কার্যকর মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, উদ্ভাবনের সুযোগ শুধু প্রযুক্তিখাতেই সীমাবদ্ধ নয়—স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো ক্ষেত্রেও সৃজনশীল সমাধান বের করতে হবে। তাঁর মতে, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো মূলধারার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তার সুফল পায়।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বক্তারাও সামাজিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম জানায়, এ ধরনের সংলাপ নীতি প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

-নাজমুল হোসেন


দেয়ারওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি: বৈশ্বিক উন্নয়নে ইউনূসের অবদানের প্রশংসা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:২২:৫৩
দেয়ারওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি: বৈশ্বিক উন্নয়নে ইউনূসের অবদানের প্রশংসা
ছবিঃ বি এস এস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সপ্তাহে নিউইয়র্কের এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো ‘দেয়ারওয়ার্ল্ড হাই-লেভেল গ্লোবাল এডুকেশন ডিনার’। বৈশ্বিক শিক্ষার প্রসারে নিবেদিত এ আয়োজনে সমবেত হন বিশ্বের শীর্ষ নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, মানবকল্যাণমূলক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সামাজিক পরিবর্তনের কর্মীরা।

অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বাংলাদেশের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর পথিকৃৎ অবদান এবং শিক্ষাকে কেন্দ্র করে টেকসই উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি জানিয়ে তাঁকে প্রদান করা হয় ‘দেয়ারওয়ার্ল্ড আনলক বিগ চেঞ্জ’ পুরস্কার।

‘দেয়ারওয়ার্ল্ড’ একটি আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণমূলক সংগঠন, যার লক্ষ্য বৈশ্বিক শিক্ষা সংকটের অবসান ঘটানো এবং আগামী প্রজন্মের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করা। এ আয়োজনটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং সংস্থাটির চেয়ার ও গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের নির্বাহী চেয়ার সারা ব্রাউন।

অনুষ্ঠানে গর্ডন ব্রাউন অধ্যাপক ইউনূসকে ‘বিশ্বব্যাপী পথপ্রদর্শক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “গত পঞ্চাশ বছরে কোনো বেসরকারি উদ্যোগ দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রভাব রাখতে পারেনি।”

পুরস্কার গ্রহণকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “ঋণ পাওয়ার অধিকার খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতোই মৌলিক মানবাধিকার। দরিদ্রদের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিলে কেউ আর দরিদ্র থাকবে না।” তিনি জানান, মাইক্রোক্রেডিটের সঙ্গে শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করে গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়িত করেছে এবং তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সহায়তা করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় আর্থিক স্বাধীনতা ও শিক্ষার পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সফল গ্রাহকদের গল্প শোনান, যাঁরা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন এবং সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন।

একই সঙ্গে তিনি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্যানধারণা বদলের আহ্বান জানান। তাঁর মতে, “শিশুদের ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশল শেখানো উচিত।” বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসাকে কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের শিক্ষা দিতে হবে বলেও মত দেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “মানবজাতির প্রতিটি সমস্যার সমাধান ব্যবসার মাধ্যমে করা সম্ভব—এটা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে মানবসমস্যার সমাধান খোঁজা শুধু উৎসাহিত নয়, বরং প্রত্যাশিত।”

-সুত্রঃ বি এস এস


কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত! 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ০৮:৫৪:৫১
কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত! 
প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার ভেতরেই। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্ধারিত পাশাপাশি অবস্থিত দুটি আবাসিক ভবন একীভূত করে সেখানে গড়ে তোলা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। ভবন দুটির মাঝে সরাসরি যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হবে দুই স্তরবিশিষ্ট একটি আধুনিক করিডর। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই এ–সংক্রান্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।

গণভবন, যা দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, এখন আর সেই ভূমিকায় নেই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে এবং বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এক মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে ঐতিহাসিক গণভবনকে রূপান্তর করা হয় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ, যেখানে এক দশকের বেশি সময়ের গুম-খুন, ভোট ডাকাতি, শাপলা চত্বর হত্যাযজ্ঞ, পিলখানা ট্র্যাজেডি ও দমননীতির দলিল সংরক্ষণ করা হবে। আগামী নভেম্বরে এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বসবাস করছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। তবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর নতুন সরকারি বাসভবন প্রয়োজন হবে—এই বিষয়টি মাথায় রেখে গত জুলাইয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। প্রথমে যমুনা ভবন এবং হেয়ার রোডের বাংলোগুলো বিবেচনায় আনা হলেও শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনকে একীভূত করার প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়।

গত সপ্তাহে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব নজরুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুব উস সামাদ, প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল বাসভবন দুটি পরিদর্শন করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও এলাকায় কয়েক দফা পরিদর্শন চালান।

দুটি বাসভবনই লাল ইটের দোতলা স্থাপনা, দক্ষিণমুখী এবং চারদিকে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সামনে বাগান ও খোলা জায়গা থাকায় নিরাপত্তা ও প্রটোকল মেনে এগুলোকে আধুনিক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রূপান্তর করতে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। শুধু করিডর, নিরাপত্তা অবকাঠামো ও কিছু সংস্কারকাজ করলেই ব্যবহারের উপযোগী হবে বলে কর্মকর্তাদের মত।

তবে এই পরিকল্পনাকে ঘিরে নতুন বিতর্কও রয়েছে। বিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশায় জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে এ ধরনের আবাসিক ভবনের স্থান ছিল না। ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এগুলো নির্মাণ শুরু হয়, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও স্থপতিদের সংগঠন আদালতে রিটও করে। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করলেও ২০২২ সালে আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে। ফলে বর্তমানে ভবন দুটি আইনি বৈধতা পেয়েছে।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, “জাতীয় সংসদ ভবন বিশ্বে আধুনিক স্থাপত্যশৈলির সেরা নিদর্শনগুলোর একটি। এর মূল নকশা ভঙ্গ করে কিছু করা হলে স্থাপত্যের ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই এই স্থাপত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক, তাহলে ব্যত্যয়গুলো ঠেকানো সহজ হবে।”

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গণভবন নির্মিত হলেও তিনি সেখানে থাকেননি। এরশাদের আমলে গণভবনকে ‘করতোয়া’ নামে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে সেটিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কখনো গণভবনে ওঠেননি। শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।

গণভবন আজ ইতিহাস হয়ে উঠলেও নতুন বাসভবন নিয়ে প্রস্তুতি জোরদার। সংসদ ভবন এলাকার ভেতরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন স্থাপন শুধু নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধার জন্যই নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। সরকার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও সেখানে বসবাস করতে পারবেন।


নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:৩০:৩৮
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরে অধিবেশন শুরু হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ ও আলোচনা

সেশনের আগে, প্রধান উপদেষ্টা উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন এবং চিলির সাবেক রাষ্ট্রপতি মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিশেল ব্যাচেলেট ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।


নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:১৭:০৩
নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’

নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকার দুঃখ প্রকাশ করে।

‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের সহযোগী’দের হামলা

বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার শিকার হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগী ও সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকার বিবৃতিতে বলেছে, “এই নিন্দনীয় ঘটনা হাসিনার আমলে বিকশিত সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির উদাহরণ। সরকার শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে এ অশুভ শক্তি শেষ করার অঙ্গীকার করেছে।”

নিরাপত্তা ত্রুটি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতাদের সফরকালে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছিল। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিনিধিদলকে প্রথমে ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় তোলা হয়।”

“তবে শেষ মুহূর্তের ভিসা জটিলতার কারণে তাদের বিকল্প পথে যেতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভিভিআইপি সুবিধা ও সুরক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।”

গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা জোরদার

বিবৃতিতে বলা হয়, “ঘটনার পরপরই নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এ ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদলের জন্য নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, “গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তারা অটল। রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভয়ভীতি—দেশে বা দেশের বাইরে সহ্য করা হবে না; বরং যথাযথ আইনগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।”

পাঠকের মতামত: