পাঁচ আগস্টে পালিত হবে নতুন জাতীয় দিবস—কারা পাচ্ছেন সম্মান?

১৯৭০-এর দশকের ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ আহত যোদ্ধারা এবার পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, মাসিক ভাতা, আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের সুযোগ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সোমবার (২৩ জুন) সচিবালয়ে বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় একটি আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ২০ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। এই অধিদপ্তর সার্বক্ষণিকভাবে আহত ও শহীদ যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারদের কল্যাণে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আহত যোদ্ধাদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন যোদ্ধা, যারা মারাত্মক অঙ্গহানিতে ভুগছেন এবং অন্যের সহায়তা ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। তাঁদের এককালীন ৫ লাখ টাকা, মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং আজীবন চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে তাঁদের ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে দেওয়া হবে।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৯০৮ জন আংশিকভাবে স্বাবলম্বী। যাদের এক চোখ, একটি পা বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়ে ফেলেছেন তারা এই ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা এবং মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বাকি ২ লাখ জুলাই মাসে দেওয়া হবে। তাঁরা প্রশিক্ষণ, সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার ও পরিচয়পত্র পাবেন।
চিকিৎসা গ্রহণের পর যারা সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়েছেন, তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন ১০ হাজার ৬৪২ জন। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন এবং আগামী মাস থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি পুনর্বাসন ও পরিচয়পত্রের সুবিধাও থাকবে।
শহীদ পরিবারদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বড় পরিসরের আর্থিক উদ্যোগ। গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদ’-এর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা করে। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্র আকারে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ লাখ টাকা আগামী অর্থবছরে প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যদের সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।
ফারুক-ই-আজম আরও জানান, গুরুতর আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আরও অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিদেশি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ নিখোঁজ থাকলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারকে তথ্য দেওয়া হবে।
এছাড়া, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-কে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৫ আগস্ট দিনটি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ারিশ জটিলতায় আটকে থাকা ১৩৪টি শহীদ পরিবারের পাওনা দ্রুত পরিশোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার ভাষ্য অনুযায়ী, “৫৪ বছরে যা হয়নি, আমরা মাত্র সাত-আট মাসে সেটা সম্পন্ন করেছি। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতার প্রমাণ।”
কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত!
বাংলাদেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার ভেতরেই। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্ধারিত পাশাপাশি অবস্থিত দুটি আবাসিক ভবন একীভূত করে সেখানে গড়ে তোলা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। ভবন দুটির মাঝে সরাসরি যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হবে দুই স্তরবিশিষ্ট একটি আধুনিক করিডর। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই এ–সংক্রান্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
গণভবন, যা দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, এখন আর সেই ভূমিকায় নেই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে এবং বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এক মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে ঐতিহাসিক গণভবনকে রূপান্তর করা হয় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ, যেখানে এক দশকের বেশি সময়ের গুম-খুন, ভোট ডাকাতি, শাপলা চত্বর হত্যাযজ্ঞ, পিলখানা ট্র্যাজেডি ও দমননীতির দলিল সংরক্ষণ করা হবে। আগামী নভেম্বরে এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বসবাস করছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। তবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর নতুন সরকারি বাসভবন প্রয়োজন হবে—এই বিষয়টি মাথায় রেখে গত জুলাইয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। প্রথমে যমুনা ভবন এবং হেয়ার রোডের বাংলোগুলো বিবেচনায় আনা হলেও শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনকে একীভূত করার প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়।
গত সপ্তাহে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব নজরুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুব উস সামাদ, প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল বাসভবন দুটি পরিদর্শন করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও এলাকায় কয়েক দফা পরিদর্শন চালান।
দুটি বাসভবনই লাল ইটের দোতলা স্থাপনা, দক্ষিণমুখী এবং চারদিকে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সামনে বাগান ও খোলা জায়গা থাকায় নিরাপত্তা ও প্রটোকল মেনে এগুলোকে আধুনিক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রূপান্তর করতে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। শুধু করিডর, নিরাপত্তা অবকাঠামো ও কিছু সংস্কারকাজ করলেই ব্যবহারের উপযোগী হবে বলে কর্মকর্তাদের মত।
তবে এই পরিকল্পনাকে ঘিরে নতুন বিতর্কও রয়েছে। বিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশায় জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে এ ধরনের আবাসিক ভবনের স্থান ছিল না। ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এগুলো নির্মাণ শুরু হয়, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও স্থপতিদের সংগঠন আদালতে রিটও করে। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করলেও ২০২২ সালে আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে। ফলে বর্তমানে ভবন দুটি আইনি বৈধতা পেয়েছে।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, “জাতীয় সংসদ ভবন বিশ্বে আধুনিক স্থাপত্যশৈলির সেরা নিদর্শনগুলোর একটি। এর মূল নকশা ভঙ্গ করে কিছু করা হলে স্থাপত্যের ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই এই স্থাপত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক, তাহলে ব্যত্যয়গুলো ঠেকানো সহজ হবে।”
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গণভবন নির্মিত হলেও তিনি সেখানে থাকেননি। এরশাদের আমলে গণভবনকে ‘করতোয়া’ নামে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে সেটিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কখনো গণভবনে ওঠেননি। শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।
গণভবন আজ ইতিহাস হয়ে উঠলেও নতুন বাসভবন নিয়ে প্রস্তুতি জোরদার। সংসদ ভবন এলাকার ভেতরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন স্থাপন শুধু নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধার জন্যই নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। সরকার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও সেখানে বসবাস করতে পারবেন।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরে অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ ও আলোচনা
সেশনের আগে, প্রধান উপদেষ্টা উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন এবং চিলির সাবেক রাষ্ট্রপতি মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিশেল ব্যাচেলেট ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকার দুঃখ প্রকাশ করে।
‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের সহযোগী’দের হামলা
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার শিকার হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগী ও সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকার বিবৃতিতে বলেছে, “এই নিন্দনীয় ঘটনা হাসিনার আমলে বিকশিত সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির উদাহরণ। সরকার শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে এ অশুভ শক্তি শেষ করার অঙ্গীকার করেছে।”
নিরাপত্তা ত্রুটি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতাদের সফরকালে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছিল। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিনিধিদলকে প্রথমে ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় তোলা হয়।”
“তবে শেষ মুহূর্তের ভিসা জটিলতার কারণে তাদের বিকল্প পথে যেতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভিভিআইপি সুবিধা ও সুরক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।”
গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা জোরদার
বিবৃতিতে বলা হয়, “ঘটনার পরপরই নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এ ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদলের জন্য নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, “গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তারা অটল। রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভয়ভীতি—দেশে বা দেশের বাইরে সহ্য করা হবে না; বরং যথাযথ আইনগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।”
‘দ্য রেড জুলাই’র প্রতিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে লাঞ্ছনার জবাবে টিএসসিতে এক বিশেষ কর্মসূচি
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিনিধি দলের ওপর লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক ডিম নিক্ষেপ করে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে টিএসসিতে শেখ হাসিনার ছবির ওপর ডিম নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছে ‘দ্য রেড জুলাই’।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা এখন ডিম লীগ’
‘দ্য রেড জুলাই’-এর সদস্যসচিব মো. সজিব হোসেন বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত অনেক লীগ দেখেছি, পুলিশ লীগ, আনসার লীগ। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা যখন অন্যান্য দিক থেকে পেরে উঠছে না, যখন তারা ডিম লীগ হয়ে আগমন করেছে। এখন থেকে যখনই এই আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দেখবেন, তাদের প্রথমে হালকা করে মেরে ডিম দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন।”
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
তিনি আরও বলেন, “আজকে আমরা দেখলাম প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের ডিম মেরে লাঞ্ছিত করা হলো। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফর সঙ্গী হয়েও যদি তারা নিরাপত্তার অভাবে থাকেন, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
দেশের জ্বালানি খাতে আসছে নতুন গতি: ৪১৩ কোটি টাকার এক বড় চুক্তি
সরকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধরা হয়েছে ৫.২০ মার্কিন ডলার।
অকটেন আমদানির অনুমোদন
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অকটেন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির লক্ষ্যে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আমদানির উৎস ও অর্থায়ন
জানা গেছে, ২০২৫ সালে আপৎকালীন মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন)-এর চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়। এ চাহিদার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার টন জিটুজি ভিত্তিতে, ১ লাখ ২৫ হাজার টন আন্তর্জাতিক কোটেশন পদ্ধতিতে এবং অবশিষ্ট ৪ লাখ টন স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন থেকে ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ প্রতি ব্যারেল গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেডের (অকটেন) মূল্য ধরা হয়েছে ৫.২০ ডলার। বিপিসির নিজস্ব বাজেট বরাদ্দ, জ্বালানি তেল বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং অন্য উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির অর্থায়ন করা হবে।
পুলিশ পাবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সরকারের নতুন উদ্যোগ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ইউএনডিপির মাধ্যমে এসব আনা হবে।
বডি ক্যামেরা সংগ্রহ ও গুরুত্ব
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশকে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব এসেছে, যা আমরা অনুমোদন দিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর জন্য এই বডি ক্যামেরাগুলো অত্যন্ত জরুরি। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো সংগ্রহ করতে হবে।”
এই উদ্যোগে কত টাকা খরচ হবে—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ব্যয় কয়েকশ কোটি টাকা হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট করে এখনই বলা সম্ভব নয়। ইউএনডিপির (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) মাধ্যমে এসব ক্যামেরা সংগ্রহ করা হবে।
ইউএনডিপির মাধ্যমে সংগ্রহের কারণ ও অর্থায়ন
কেন ইউএনডিপির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “আমরা যেমন টিকা ইউনিসেফের মাধ্যমে আনি, ঠিক তেমনি এখানে ইউএনডিপি আমাদের জন্য মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে। এতে আমাদের টেন্ডার প্রক্রিয়ার জটিলতায় যেতে হবে না, কারও সঙ্গে দরকষাকষিও লাগবে না।”
বডি ক্যামেরা কেনার অর্থের উৎস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের ব্যয় বাংলাদেশ সরকারই বহন করবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত খাত থেকেই খরচ মেটানো হবে। তবে এই ক্যামেরাগুলো নির্বাচন কমিশনের জন্য নয়, সরাসরি পুলিশের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে।”
শাপলা প্রতীক পাবে না এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘আমরা শাপলা প্রতীক থেকে সরছি না’ এমন বক্তব্য দিলেও, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না।
ইসি সচিবের স্পষ্ট বার্তা
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইসি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই।”
তিনি আরও বলেন, “তাদের (এনসিপি) বিকল্প একটা প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না কারণ সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা নেই। তালিকায় না থাকলে তো প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই।”
কক্সবাজারে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রতিশ্রুতি
কক্সবাজারে মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সক্ষমতা উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
সম্প্রতি ক্লিনটন পবকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের নীতি সংলাপে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার। এই সংলাপটি আয়োজন করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে, যা ছিল ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেন্থেনিং ফর প্রমোটিং অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি (আইএসপ্যাট) উদ্যোগের অংশ।
সংলাপে সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা, ইউএনডিপি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন এনজিওর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের মতো একটি জেলায়, যেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ই বসবাস করছে, সেখানে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী এবং সিভিল সোসাইটির সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। কেবল সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এমন একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব যা সবার জন্য সমানভাবে কার্যকর হবে।
সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যক্রমকে আধুনিক ও শক্তিশালী করা গেলে উন্নয়ন সহায়তা বিতরণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আইএসপ্যাট উদ্যোগের লক্ষ্য হলো এমন সব সংস্কারকে উৎসাহিত করা যা ব্যুরোর নীতি-নির্ধারণী ও কার্যকরী ক্ষমতা বাড়াবে, ফলে মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এবং সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত সেবা প্রদান নিশ্চিত করা যাবে।
-নাজমুল হোসেন
“আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা আমার দায়িত্ব”—শোকাহত পরিবারকে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় আজ রাতে হোটেলে দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় তাঁদের হাতে সম্মাননা হিসেবে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই পুত্র আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাতিজা আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম এবং চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে প্রফেসর ইউনুস বলেন, “আমি সংবাদপত্রে এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পড়েছিলাম এবং গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছিলাম। এমন একটি ট্র্যাজেডি কীভাবে ঘটতে পারে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “টেলিভিশনে আমি তাঁর শেষ যাত্রার বিশাল শোকযাত্রা দেখেছি—যেখানে হাজারো মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। নিউইয়র্ক সফর পরিকল্পনার সময় আমি অনুভব করেছি, আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা আমার দায়িত্ব।”
পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) একজন নিবেদিতপ্রাণ ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে এনওয়াইপিডিতে যোগ দেন এবং ব্রঙ্কসের ৪৭তম প্রিসিঙ্কটে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর দুই পুত্র রয়েছে।
গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে এক বন্দুকধারীর হামলায় দিদারুল ইসলাম প্রাণ হারান। এক তরুণ হামলাকারী একটি করপোরেট ভবনে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করলে দিদারুল তাঁকে থামাতে এগিয়ে যান। এ সময় হামলাকারীর গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর দেহে আট থেকে দশটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস এ ঘটনায় দিদারুল ইসলামের সাহসিকতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বলেন, তাঁর এই আত্মত্যাগ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
-সুত্রঃ বি এস এস
পাঠকের মতামত:
- আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা মিজানুর জামিন পেলেন
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: দক্ষিণ এশিয়া ও উপসাগরের ভূরাজনীতিতে নতুন অক্ষ
- কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত!
- তারেক রহমানের নির্দেশে: পূজামণ্ডপ পাহারা দেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা
- ডাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ আনলেন তিন ভিপি প্রার্থী
- ঐক্য ধরে রাখতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: বিএনপি নেতার ‘খিচুড়ি কূটনীতি’
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
- গাজা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ: জাতিসংঘের মঞ্চে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য
- নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’
- বিসিবি নির্বাচনে চমক: খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে চলছে নানা জল্পনা!
- ‘এই সময়’-এর সংবাদে ভুল? মির্জা ফখরুলের নতুন বক্তব্যে দানা বাঁধছে কৌতূহল
- ‘দ্য রেড জুলাই’র প্রতিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে লাঞ্ছনার জবাবে টিএসসিতে এক বিশেষ কর্মসূচি
- ‘দাওয়াত পেলেও যেতাম না’: প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে রনির কড়া মন্তব্য
- দেশের জ্বালানি খাতে আসছে নতুন গতি: ৪১৩ কোটি টাকার এক বড় চুক্তি
- গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
- কারাগারে মহিলা লীগ নেত্রী লিমাসহ ১০
- ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান! অবশেষে কিং খানের ঘরে সেই কাঙ্ক্ষিত সম্মান
- শাহবাগে এনসিপি’র বিক্ষোভ: নিউইয়র্কে নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ
- মানবদেহে নতুন অঙ্গের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা: ক্যানসার চিকিৎসায় আশার আলো
- মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: ভারতের পত্রিকা সাক্ষাৎকার বিকৃত করেছে
- যুক্তরাষ্ট্রে আখতার ও জারাকে লাঞ্ছিত: নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- প্রতীক ‘শাপলা’ না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেবো: সারজিস
- চাকসু ও রাকসু নির্বাচনে নতুন সময়সূচি
- কৌতূহলবশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ঢুকে বিদেশে ১৩ বছরের কিশোর
- সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আর নেই
- আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে রাজনীতি নাই হয়ে যাবে: নাহিদ ইসলাম
- ডিএসইতে আজকের শেয়ারবাজারের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিসিবির কোষাগারে ১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে দায়িত্ব ছাড়ছে বিদায়ী পর্ষদ
- পুলিশ পাবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সরকারের নতুন উদ্যোগ
- শাপলা প্রতীক পাবে না এনসিপি
- টানা বৃষ্টি ও নতুন লঘুচাপ: তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা
- আখতারের ওপর হামলা নিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের কড়া হুঁশিয়ারি
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল
- জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বনেতারা
- সিরি আ’তে টানা চতুর্থ জয়ে শীর্ষে নাপোলি
- কক্সবাজারে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রতিশ্রুতি
- বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত নয়, ‘সবুজ সংকেত’ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্র: রিজভী
- ফিলিস্তিনবিরোধী অবস্থান: ম্যানেজারকে ছাঁটাই করলেন ডুয়া লিপা
- এনসিপি নেতা আখতারের উপর হামলা: হাসনাত আব্দুল্লাহর তীব্র ক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি
- কড়া নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে জোড়া খুনের আসামি পালালো বগুড়া আদালত থেকে
- ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত
- হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের
- “আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা আমার দায়িত্ব”—শোকাহত পরিবারকে প্রধান উপদেষ্টা
- ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
- বিশ্ব বদলের ডাক: তরুণদের ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের
- নিউইয়র্কে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডের বৈঠক
- ‘ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়া, ওভাবে চিন্তা করছি না’: প্রতিপক্ষ নিয়ে নির্ভার মাহেদী
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন