পাঁচ আগস্টে পালিত হবে নতুন জাতীয় দিবস—কারা পাচ্ছেন সম্মান?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৪ ১৫:০২:০৩
পাঁচ আগস্টে পালিত হবে নতুন জাতীয় দিবস—কারা পাচ্ছেন সম্মান?

১৯৭০-এর দশকের ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ আহত যোদ্ধারা এবার পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, মাসিক ভাতা, আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের সুযোগ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সোমবার (২৩ জুন) সচিবালয়ে বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় একটি আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ২০ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। এই অধিদপ্তর সার্বক্ষণিকভাবে আহত ও শহীদ যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারদের কল্যাণে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আহত যোদ্ধাদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন যোদ্ধা, যারা মারাত্মক অঙ্গহানিতে ভুগছেন এবং অন্যের সহায়তা ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। তাঁদের এককালীন ৫ লাখ টাকা, মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং আজীবন চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে তাঁদের ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে দেওয়া হবে।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৯০৮ জন আংশিকভাবে স্বাবলম্বী। যাদের এক চোখ, একটি পা বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়ে ফেলেছেন তারা এই ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা এবং মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বাকি ২ লাখ জুলাই মাসে দেওয়া হবে। তাঁরা প্রশিক্ষণ, সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার ও পরিচয়পত্র পাবেন।

চিকিৎসা গ্রহণের পর যারা সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়েছেন, তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন ১০ হাজার ৬৪২ জন। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন এবং আগামী মাস থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি পুনর্বাসন ও পরিচয়পত্রের সুবিধাও থাকবে।

শহীদ পরিবারদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বড় পরিসরের আর্থিক উদ্যোগ। গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদ’-এর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা করে। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্র আকারে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ লাখ টাকা আগামী অর্থবছরে প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যদের সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।

ফারুক-ই-আজম আরও জানান, গুরুতর আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আরও অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিদেশি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ নিখোঁজ থাকলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারকে তথ্য দেওয়া হবে।

এছাড়া, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-কে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৫ আগস্ট দিনটি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ারিশ জটিলতায় আটকে থাকা ১৩৪টি শহীদ পরিবারের পাওনা দ্রুত পরিশোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার ভাষ্য অনুযায়ী, “৫৪ বছরে যা হয়নি, আমরা মাত্র সাত-আট মাসে সেটা সম্পন্ন করেছি। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতার প্রমাণ।”


ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সিইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২০:১৯:০৬
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সিইসি
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে তিনি এ ঘোষণা দেন।

দিনের শুরুতে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা অনেকটাই নষ্ট হয়েছে, যা ফিরিয়ে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি উল্লেখ করেন, মানুষ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়েছে, এমনকি অনেকেই ভোটের দিনকে কেবল ছুটি উপভোগের দিন হিসেবে দেখে। তাই ভোটারদের কেন্দ্রে আনা এখন সবচেয়ে বড় কাজ।

নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে এবং নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা হবে, যেখানে ভোটাররা নিরাপদে ও নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারকেও বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন সিইসি। তার ভাষায়, বর্তমানে এআই অস্ত্রের চেয়েও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। মানুষের ছবি ও কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ভুয়া বক্তব্য তৈরি করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারছে না। এসব তথ্য যাচাই না করেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হচ্ছে। এ বিষয়ে সমাধান খুঁজতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে জানান তিনি।

প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে সিইসি বলেন, শুধুমাত্র শিক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প ব্যবস্থাও ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশীয় লোকবল দিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে এবং অতীতের মতোই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। জনগণ যদি বিশ্বাস করে যে নির্বাচন কমিশন সৎভাবে কাজ করছে, তবে তারা ভোটদানে আগ্রহী হবে।

নিজের দায়িত্বকে ‘ইমানি দায়িত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করে নাসির উদ্দীন বলেন, তিনি ও তার সহকর্মীরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার সিদ্ধান্ত কারও পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে, তবে তা আইন ও বিধি অনুসারে হবে, ব্যক্তিগত কারণে নয়। তিনি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওই অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

/আশিক


নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৮:৩৯:৩৩
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ
সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় ৬২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০টি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ১১টিতে কোনো ভিন্নমত ছিল না, আর বাকি ৯টিতে নোট অব ডিসেন্টসহ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কমিশন এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, এটি আইনত বৈধ নয়। প্রাথমিক আলোচনায় যে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তার মধ্যে স্থানীয় সরকারে সংসদ সদস্যদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের গুরুত্বও বিবেচনায় রাখতে হবে।

কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের কথা বললেও আলী রীয়াজ পুনরায় স্পষ্ট করেন, কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

/আশিক


চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৬:৫০:৫৬
চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবে আহত হয়ে হাত-পা হারানো অসংখ্য মানুষের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে চীনের দেওয়া উন্নতমানের রোবোটিক অঙ্গ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, এই প্রযুক্তি শুধু শারীরিক সক্ষমতা ফেরাতেই সাহায্য করছে না, বরং আহতদের আত্মবিশ্বাস ও স্বনির্ভরতা ফিরিয়ে দিচ্ছে। তার ভাষায়, চীন বাংলাদেশের শুধু উন্নয়ন অংশীদার নয়, সংকটমুহূর্তে নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর হোটেল সারিনায় অনুষ্ঠিত ‘নি হাও! চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। প্রদর্শনীটির আয়োজন করে বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার।

নূরজাহান বেগম জানান, চীনের সহায়তায় রংপুরে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, দক্ষ নার্স ও অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানদের সেবা থাকবে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনেও চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে এবং স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের উন্নয়ন ঘটবে।

অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও উন্নত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় চীনের সুনাম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে চীন একটি টেকসই ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গড়ে তুলতে চায়। মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণ করে তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই চীনা চিকিৎসক দল বাংলাদেশে এসে সেবা প্রদান করেছে এবং ভবিষ্যতেও চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

প্রদর্শনীতে অংশ নেয় চীনের ১০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল, যারা অন-সাইট ও অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, চিকিৎসা ভিসার আমন্ত্রণপত্র, দ্রুত প্রসেসিং, অনুবাদক সহায়তা এবং বিমানবন্দর থেকে রোগী পিকআপের মতো সেবা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রতিনিধি, চিকিৎসক, রোগী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যা চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা জাগিয়েছে।

-শরিফুল


প্রথমবারের মতো বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরাও দিতে পারবেন ভোট

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২১:২৮:০২
প্রথমবারের মতো বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরাও দিতে পারবেন ভোট
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব নাগরিক ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ, তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নবম কমিশন সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, "ভোটার তালিকা আইনে সামান্য সংশোধন করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী এবার বছরের মাঝামাঝি সময়েও ভোটার অন্তর্ভুক্তি সম্ভব হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে, তারা তালিকায় যুক্ত হবেন। এতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ নতুন তরুণ ভোটার যোগ হতে পারে।"

নির্বাচন কমিশনার জানান, প্রবাসীদের জন্য ‘সিম্বল ব্যালট’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যালটে শুধু প্রার্থীর প্রতীক থাকবে। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর সেই তালিকা দেখে প্রবাসীরা পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে ভোট দিতে পারবেন। ব্যালট পাঠানোর জন্য পোস্ট অফিসের সহায়তা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “প্রার্থীর নামসহ ব্যালট পাঠালে তা পাঠাতে ১৮ থেকে ২৮ দিন সময় লাগবে। তাই শুধু প্রতীক সম্বলিত ব্যালট পাঠানো হবে যাতে সময় বাঁচে।”

তিনি জানান, এবার তিন ধরনের ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন—প্রবাসীরা, কারাবন্দিরা ও ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এদেরকে আগেই নিবন্ধন করতে হবে।

সানাউল্লাহ বলেন, “প্রচার এবং ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।” তবে তিনি জানান, যদি শেষ মুহূর্তে আদালতের আদেশে কোনো প্রার্থী পরিবর্তন হয়, সে ক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালটে সেই কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে না।


ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনী তফসিল, ফেব্রুয়ারির আগেই ভোট

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১৯:৫৫:৪৬
ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনী তফসিল, ফেব্রুয়ারির আগেই ভোট

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই। ভোটগ্রহণ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির আগেই। এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত নবম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে।

কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, “ডিসেম্বরের প্রথম ভাগেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেই অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির আগেই ভোটগ্রহণ শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।”

তিনি আরও জানান, সভায় নির্বাচনী আচরণবিধি, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটগ্রহণের পদ্ধতি এবং নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড্রোন নয়, সিসিটিভিতে আগ্রহ কমিশনের

ভোটের সময় ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনে কেউই ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না, এমনকি গণমাধ্যমও নয়। কমিশনের পক্ষ থেকেও ড্রোন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে না।” তবে তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রে নজরদারির জন্য সিসিটিভি ব্যবহারে কমিশনের আগ্রহ রয়েছে, যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন এবার পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি ব্যবহার করবে। ভোটের অন্তত তিন সপ্তাহ আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের কাছে ব্যালট পাঠানো হবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন এবং ডাক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সানাউল্লাহ।

অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার: সুষ্ঠু নির্বাচন

অন্যদিকে, আজ দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান কাজ।” সভা শেষে তার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ৫ আগস্ট তার প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হলো দ্বিতীয় অধ্যায়, যার মূল লক্ষ্য নির্বাচন আয়োজন।”

এর আগে গতকাল (৬ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির রমজানের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সম্পন্ন হয়েছে।

/আশিক


সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি বাণিজ্য উপদেষ্টার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১৯:৪৫:৩৭
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি বাণিজ্য উপদেষ্টার
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের ভেতরে বিদ্যমান দুর্নীতি হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিগত এক বছরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সফল হয়েছি। তবে শুধু অর্জন নয়, আগামী দিনের লক্ষ্য হলো দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা।”

তিনি আরও জানান, “আগামী নির্বাচনের আগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবো। সেইসঙ্গে জ্বালানি সংকট নিরসনে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যে মধ্যবর্তী ধাপে পৌঁছেছে।”

শেখ বশিরউদ্দীনের মতে, নির্বাচন সামনে রেখে অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও জ্বালানি খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন আনাই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, “আমরা একটি স্বচ্ছ ও টেকসই প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি রেখে যেতে চাই, যাতে জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়।”

/আশিক


অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রধান লক্ষ্য যা থাকছে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১৫:০২:৩২
অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রধান লক্ষ্য যা থাকছে
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন, আজ থেকে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। এই নতুন অধ্যায়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ড. ইউনূস বলেছেন- প্রথম অধ্যায়ে সরকারের প্রধান কাজ ছিল প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ও নীতিগত কাঠামো গড়ে তোলা, যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপে মূল ফোকাস থাকবে রাজনৈতিক শান্তি, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং সর্বোপরি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করা।

বিস্তারিত আসছে...


১২ মাসে সরকারের ১২ সাফল্য তুলে ধরলেন প্রেস সচিব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১২:২২:৫২
১২ মাসে সরকারের ১২ সাফল্য তুলে ধরলেন প্রেস সচিব
ছবি: সংগৃহীত

৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের মাধ্যমে দেশে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়। আগামীকাল শুক্রবার সেই সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরেছেন।

ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি সরকারের ১২টি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের তালিকা তুলে ধরেন। এতে রয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের অগ্রগতি।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা

জুলাই বিপ্লবের পর দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ও প্রতিশোধের চক্র বন্ধ হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্মিলন ও গণতন্ত্রের পথে জাতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখে।

অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন

অর্থনীতিতে অবনতি ঠেকিয়ে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে, সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নেমেছে ৮.৪৮ শতাংশে—যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, রপ্তানি বেড়েছে ৯ শতাংশ, টাকার মান ডলারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, ব্যাংক খাতেও স্থিতিশীলতা এসেছে।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রগতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হানদা গ্রুপের ২৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগে প্রায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আগের সরকারের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

রাজনৈতিক সংস্কার ও ঐক্য

৩০টির বেশি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে। গঠিত হয়েছে সংস্কার কমিশন। ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের গণতন্ত্র রক্ষায় একটি কাঠামোগত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।

বিচার ও আইনের শাসন

জুলাই-আগস্টের সহিংসতার ঘটনায় চারটি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও বিচার শুরু হয়েছে। এতে আইন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

নির্বাচন সংস্কার ও প্রস্তুতি

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রবাসী, নারী ও নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তুতি চলছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কার

বিচার বিভাগ: স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়ে বিচারক নিয়োগ।

পুলিশ: মানবাধিকার ইউনিট, বডি ক্যাম, স্বচ্ছ জিজ্ঞাসাবাদ ব্যবস্থা চালু।

আইন: সিভিল ও ক্রিমিনাল প্রসিডিউরে সংস্কার; গ্রেফতারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানানো, আইনজীবী ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ও ডিজিটাল অধিকার

দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বৈদেশিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত

একক নির্ভরতা থেকে সরে বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে রূপান্তর ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইইউসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বেড়েছে। সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং আসিয়ান সদস্যপদ অর্জনের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রবাসী ও শ্রমিক কল্যাণ

আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় ভিসা পুনরায় চালু, অনিবন্ধিত শ্রমিকদের বৈধতা, ১ লাখ কর্মীকে জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা ও নতুন দেশগুলোতে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিপ্লবীদের সহায়তা

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সহায়তায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ৭৭৫ শহীদ পরিবারকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ১৩,৮০০ আহত বিপ্লবীকে ১৫৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের জন্য বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

সমুদ্রসম্পদ ও অবকাঠামো উন্নয়ন

বঙ্গোপসাগরকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে জলভিত্তিক অর্থনীতির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় উন্নয়ন, গভীর সমুদ্র মৎস্য প্রকল্পে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই সাফল্যগুলোর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার এক বছরের মধ্যে একটি অন্তর্নির্ভরশীল, স্বচ্ছ এবং জনমুখী শাসনব্যবস্থা গঠনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

/আশিক


সচিবালয়ে কড়া নিরাপত্তায় প্রধান উপদেষ্টার উপদেষ্টা পরিষদ সভা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১১:০২:৩৮
সচিবালয়ে কড়া নিরাপত্তায় প্রধান উপদেষ্টার উপদেষ্টা পরিষদ সভা
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিতে সচিবালয়ে এসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তিনি সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট (প্রেস ক্লাবের দিক) দিয়ে প্রবেশ করেন।

তার আগমন ঘিরে সচিবালয়জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৈঠকটি সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় সচিবালয়ের নতুন নির্মিত ১ নম্বর ভবনের ৫ম তলায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করছেন ড. ইউনুস এবং উপস্থিত রয়েছেন অন্যান্য উপদেষ্টারা।

সকাল থেকেই সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি লক্ষ করা গেছে। একমাত্র ১ নম্বর গেট দিয়ে যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে সোয়াত সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া সচিবালয়ের ভিতরে ও বাইরের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী।

সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়িও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এমনকি সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদেরও বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।

নতুন ভবনের সামনে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে, আর ভবন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই ওই ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে ভবনের আশপাশে যেতে দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ২০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৩ তলায় উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা পরিচালনা করেন ড. ইউনুস। পরে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংস্কারের পর সেটিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। এরপর থেকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজকের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি আলাদা বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গেছে। সেখানে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।

/আশিক

পাঠকের মতামত: