কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ কি এখনো থাকছে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২২ ১৬:৫২:৪৯
কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ কি এখনো থাকছে

সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস করেছে, যেখানে বহুল আলোচিত 'বাড়তি কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার' সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

রোববার (২২ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে ‘বাড়তি হারে কর দিয়ে অঘোষিত আয় বৈধ করার’ সুযোগ রাখা হলেও, সংশ্লিষ্ট মহল, অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রবল আপত্তির প্রেক্ষিতে এই বিধান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমরা জোরালোভাবে দাবি পেয়েছি যে, কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বৈধ অর্থপ্রাপ্তদের প্রতি অবিচার এবং কর ন্যায্যতার পরিপন্থী। সে বিবেচনায় এই সুযোগ আর রাখা হয়নি। নতুন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার কোনো বিধান নেই।”

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৮১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। আলোচনার পর সেটি ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৯১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

“বৃদ্ধ জনগোষ্ঠী, বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং গরিব ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বাড়তি বরাদ্দ তাদের জন্যই,” বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫০ শতাংশ।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা একটি রিয়েলিস্টিক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে এগোতে চাই। বৈশ্বিক মন্দা, পণ্য মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রানীতির চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

এই বাজেট প্রমাণ করে, সরকার একদিকে যেমন অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চায় (যেমন: কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বন্ধ), অন্যদিকে তেমনি দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বরাদ্দ বাড়াতে সচেষ্ট।

সামগ্রিকভাবে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও সামাজিক নিরাপত্তার প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবাদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত