ইরান- ইসরায়েল সংঘাত
হামলা স্থগিত করার যে শর্ত দিল ট্রাম্প

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা বুধবার (১৯ জুন) সপ্তম দিনে পৌঁছেছে। সংঘাতে কোনো পিছু হটার লক্ষণ না থাকলেও আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা আরাক ও খান্দাব এলাকায় হামলার আগে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সতর্ক করেছিল।
অন্যদিকে, ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কয়েকটি সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও ইসরায়েল সে দাবি অস্বীকার করেছে, তবে তারা জানিয়েছে, ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় পাল্টা আঘাত হানা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ইরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে ট্রাম্প হামলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সিবিএস নিউজ জানায়, ট্রাম্প ইতোমধ্যে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন, তবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত করেননি। “আমি চাইলে এটা করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি,” - বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্পের জবাব।
হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে মঙ্গলবার ট্রাম্প সামরিক ও গোয়েন্দা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান এখন আলোচনায় বসতে চায় এবং হোয়াইট হাউসে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও ইরানি কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সতর্ক করে বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি সংঘাতে যুক্ত হয়, তবে তাদের অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।”
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যদি চলতেই থাকে, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল আলোচনায় বলেন, “এই সংকটের সমাধান ওই দেশগুলোর রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে। রাশিয়া কারও উপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।”
তবে খামেনির সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, “আমি এই ধরনের জল্পনা-কল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তেহরানে পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। যদিও ক্ষয়ক্ষতি সীমিত, তবু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে আছে। ইসরায়েলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনো সামনে আসেনি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- ভোক্তার কষ্ট বুঝছে সরকার:বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!