হত্যা মামলার আসামি শরিফুল আদালত থেকে উধাও

২০২৫ জুন ১৯ ১৩:২৬:১১
হত্যা মামলার আসামি শরিফুল আদালত থেকে উধাও

রাজধানীর খিলগাঁও থানার একটি হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে।

পালানোর ঘটনা ও প্রেক্ষাপট

শরিফুল ইসলামকে আদালতে হাজির করার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার হাতকড়া খুলে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামির হাতে থাকা হাতকড়াটি তিনি ধাতব কোনো বস্তু ব্যবহার করে লুজ করে খুলে ফেলেন। এরপর তিনি উপস্থিত পুলিশ সদস্যের উপর হাত-পা চালিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যান।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন বলেন, “আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় শরিফুল ইসলাম আচমকা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।”

ডিএমপির প্রসিকিউশনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাইন উদ্দিন এ ঘটনায় বলেন, “হাতকড়া পরানো থাকার পরও তিনি একপ্রকার পরিকল্পিতভাবেই হাতকড়া খুলে ফেলে এবং পুলিশের ওপর আঘাত করে পালিয়ে যান। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চলেছি এবং কোতোয়ালি থানাকে গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

খিলগাঁও থানায় দায়েরকৃত হত্যাকাণ্ডের এই মামলায় শরিফুল ইসলাম প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত। এ ঘটনায় তিনি আদালতে হাজির হওয়া পর্যন্ত আটক ছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে তার গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং পুলিশের অভিযান ত্বরান্বিত হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা ঘটার ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালত কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে আসামিকে পালানোর সুযোগ দিল তা তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আসামির দ্রুত গ্রেফতারে সব ধরনের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত মামলা এবং গ্রেফতার চেষ্টা চলমান রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।


২১ বছর পর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় আজ

২০২৫ আগস্ট ২১ ১১:৫৭:০১
২১ বছর পর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় আজ
ছবিঃ সংগৃহীত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই দশক পেরিয়ে আজ ২১ বছর পূর্ণ হলো। তবে বহুল আলোচিত এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত রায়ের দিন ঘোষণা করবেন।

এর আগে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সেই খালাসাদেশ বাতিলের আবেদন নিয়ে শুনানি শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলার চূড়ান্ত শুনানি চলছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, তারেক রহমানকে মামলায় জড়াতে দ্বিতীয় দফা তদন্ত করানো হয় এবং মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। রায়ে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করা হয় এবং আসামিদের দাখিল করা আপিল মঞ্জুর করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হন। ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৮ সালে বিচারিক আদালত গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

/আশিক


মাই টিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

২০২৫ আগস্ট ১৮ ১৬:৩৯:১৩
মাই টিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছবি : কালের কণ্ঠ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) খান মো. এরফান তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাই টিভির দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে মো. নাসির উদ্দিন সাথীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার এমন উসকানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মামলার ডিসিস্ট আসাদুল হক বাবু মৃত্যুবরণ করে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়। নাসির উদ্দিন সাথী মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে মহান সাংবাদিকতার পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকে তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় এবং ব্যক্তিগত হীনস্বার্থে তদানীন্তন আওয়ামী সরকারককে আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দল-মতকে প্রত্যাখ্যান করে উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মক এহেন কার্যক্রম সংগঠিত করায় মামলার প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নাম্বার এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।


রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

২০২৫ আগস্ট ১৪ ২০:২০:২০
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়।

আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করে সব আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১২১, ১২১ক এবং ১২৪ক ধারায় রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গ্রেপ্তার তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার সূত্র অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর একটি জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অনেকে অংশ নেন। সেখানে শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর আগে, ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে আসামির সংখ্যা বেড়ে ২৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।


বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি

২০২৫ আগস্ট ১২ ২১:৩১:৫১
বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম ওরফে ফাহাদ করিম। ছবি : সংগৃহীত

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় বাফুফের সহসভাপতি ও কে স্পোর্টসের মালিক ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম এবং তার স্ত্রী মিসেস নোরা লাহলালির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার ৫ নম্বর অর্থঋণ আদালত। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

মামলায় জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেয়া হয়েছিল, কিন্তু নির্ধারিত দিনে তারা উপস্থিত হননি। এরপর গত ১৭ এপ্রিল তাদের কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়া হয় কেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না। বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামিরা ইউসিবি ব্যাংকের কাছে ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি দায়ী করেননি, বরং পার্সোনাল গ্যারান্টি ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে ঋণ গ্রহণ করেছেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে তারা বিপুল পরিমাণ জনগণের আমানত টাকা নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। এছাড়া অর্থ পরিশোধে চরম অবহেলা দেখানোর কারণে তাদের ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

আইনজীবীর দাবি, ফাহাদ করিমের স্ত্রীর নামে অন্যান্য ব্যাংকেও ঋণ খেলাপির মামলা রয়েছে। আর্থিক দিক থেকে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছেন এবং দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছেন বলে তথ্য রয়েছে। তাই আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশেষ পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৮ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে ফাহাদ করিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইউসিবি ব্যাংক।

/আশিক


মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন

২০২৫ আগস্ট ১২ ২০:২২:৫৪
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন
ছবি: কালের কণ্ঠ

ভাটারা থানায় গেরিলা প্রশিক্ষণকাণ্ডে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির হওয়া সুমাইয়া স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন, যা মঞ্জুর করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে ৭ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল তার জন্য।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত ৮ জুলাই ভাটারা থানার কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠক করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেলে সারা দেশ থেকে মানুষ ঢাকায় এসে শাহবাগ মোড় দখল করবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে।

ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই জ্যোতীর্ময় মণ্ডল ১৩ জুলাই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।

/আশিক


আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর

২০২৫ আগস্ট ১২ ১৮:০৮:৫৭
আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের জামিন আবেদন আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে নাকচ করা হয়েছে। ওইদিন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ সংক্রান্ত মামলায় মতিউরকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান জামিনের আবেদন করেন।

আদালতে শুনানির সময় মতিউর নিজেও বক্তব্য দেন। তিনি জানান, তিনি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এবং তা আদালতকে প্রদান করেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার পরিবার ধ্বংসের মুখে পড়েছে। আমি এবং আমার স্ত্রী কারাগারে আছি। আমার মা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, তার দেখভাল করার কেউ নেই।” তিনি আরো অনুরোধ করেন, “আমাকে জামিন দিলে আমি আদালতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করে নিজের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব।”

আদালত তার বক্তব্য শোনার পর জানায়, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন, তাই দোষী বা নির্দোষ সম্পর্কে এখন কিছু বলা যাবে না। এজন্য তাকে আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এরপর আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।

গত বছরের ২ জুলাই দুদক মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়। এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজন সম্পদ বিবরণী দুদকে প্রদান করেন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দুদক মামলা দায়ের করে এবং ১৪ জানুয়ারি মতিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কেনার ঘটনায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার শিকার হন। মুশফিকুর রহমান ইফাত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে।

/আশিক


‘ট্রেন ছাড়ার পর ওঠা সম্ভব নয়’—শেখ হাসিনা মামলা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল

২০২৫ আগস্ট ১২ ১৪:০৮:৩৩
‘ট্রেন ছাড়ার পর ওঠা সম্ভব নয়’—শেখ হাসিনা মামলা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল
শেখ হাসিনা ও জেড আই খান পান্না/ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছে, “ট্রেন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই”—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগের আবেদনের প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না ট্রাইব্যুনালে এ আবেদন জানান। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করতে চান। এর আগে তার পক্ষে জুনিয়র আইনজীবী নাজনীন আরা আবেদনটি দাখিল করেছিলেন।

শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল-১ জানায়, শেখ হাসিনার পক্ষে ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার বর্তমান পর্যায়ে এসে পলাতক আসামির পক্ষে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করে, “ট্রেন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠা সম্ভব নয়।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী পান্নার আবেদন নাকচ করে ট্রাইব্যুনাল আরও জানায়, এই মুহূর্তে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। তবে একটি জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা রাখা যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে অন্য মামলায় সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

/আশিক


১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি

২০২৫ আগস্ট ১১ ২১:৪২:৩৫
১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। পুরোনো ছবি

ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ২০১২ সালে নির্মমভাবে নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত এ মামলার তারিখ ১২০ বার পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইর অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এর ফলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান ১৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় গলাকেটে হত্যা হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ (হুমায়ুন কবির), রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু (বারগিরা মিন্টু/মাসুম মিন্টু), কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

প্রাথমিকভাবে মামলার তদন্তভার ছিল শেরেবাংলা নগর থানার একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) কাছে। চার দিন পর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে দেওয়া হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এর পর ১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করে এবং তদন্ত শেষ করার জন্য ছয় মাসের সময় দেয়। তবে এখন পর্যন্ত ওই টাস্কফোর্স তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

/আশিক


জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় আসামিরা ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন

২০২৫ আগস্ট ১১ ১৮:৩৫:১৮
জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় আসামিরা ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত পৃথক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমানসহ মোট ১১ জন আসামি। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামানের আদালতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হাজিরা নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।

মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, উচ্চপ্রোফাইল মামলার আসামিদের হাজিরা থেকে শুরু করে আগামীদিনে ভার্চুয়াল পদ্ধতি চালু থাকবে, তবে রিমান্ড শুনানি সরাসরি আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়াল হাজিরা দেওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সাদেক খান, এবং নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা আবুল হাসনাত আদনান ও মোস্তফা কামাল।

মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, পলক, ইনু, মেনন ও শাজাহান খান যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা চেষ্টা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন। কামাল মজুমদার মিরপুর মডেল থানার হত্যা মামলায়, সাদেক খান কলাবাগান থানার চেষ্টা-হত্যা মামলায়, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু যাত্রাবাড়ী থানার চেষ্টা-হত্যা মামলায়, আর আদনান ও মোস্তফা কামাল কলাবাগান থানার হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন।

এর আগে চলতি বছর ৭ আগস্ট ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জঙ্গি ও হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক মামলার আসামিদের কারাগারে রেখে ভার্চুয়াল হাজিরার অনুমতি প্রদান করেন। এই সুবিধার জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ২৮ নম্বর কক্ষ ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: