দুই শ্রেণির মানুষ জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না!

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৮:২৯:৩২
দুই শ্রেণির মানুষ জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না!

মহান আল্লাহর অসীম রহমতে মানবজাতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে দুটি চূড়ান্ত পরিণতির স্থান জান্নাত ও জাহান্নাম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মানুষ ইহজীবনে যেসব আমল করে, তার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে পরকালে তার গন্তব্য। জান্নাতের প্রতিশ্রুতি তাদের জন্য, যারা বিশ্বাসে দৃঢ় ও সৎকর্মে পরিপূর্ণ; আর জাহান্নাম তাদের জন্য, যারা ইমানহীন, পাপাচারে লিপ্ত ও অহংকারে অন্ধ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।” (সুরা কাহাফ: ৭)অর্থাৎ, এই দুনিয়া কেবল সময়িক সৌন্দর্যে ভরা একটি পরীক্ষাগার। মানুষের প্রকৃত পুরস্কার মিলবে আখিরাতে, তার ঈমান ও নেক আমলের ভিত্তিতে।

এ প্রসঙ্গে আরও এসেছে- “যারা ইমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে।” (সুরা বাকারা: ২৫)“আর যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তারা জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।” (সুরা বাকারা: ৮২)

অন্যদিকে, সহিহ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্ট করে বলেছেন- “যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ইমান থাকবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহিহ মুসলিম: হাদিস ১৬৮)এটি নির্দেশ করে যে, ইমানই মুক্তির মূল চাবিকাঠি, তবে তা হতে হবে অহংকারবর্জিত ও খাঁটি।

এছাড়া কিছু মানুষের ওপর জান্নাত চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কাজনক বার্তাও দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত সহিহ হাদিসে নবীজি বলেন “জাহান্নামবাসী দুই ধরনের লোক আমি এখনো দেখিনি একদল গরুর লেজ সদৃশ চাবুক দিয়ে লোকজনকে পেটায়, আরেকদল নারী যারা বস্ত্র পরিধান করেও নগ্ন, অন্যদের আকৃষ্ট করে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হয়। তাদের মাথার চুল থাকবে উটের কুজের মতো। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না।” (সহিহ মুসলিম: হাদিস ৫৩৯৭)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নির্লজ্জতা, দম্ভ, অন্যায় দমন, ও জুলুম এমন পাপ যা জান্নাত থেকে একেবারেই বঞ্চিত করতে পারে একজন মানুষকে।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, এই দুনিয়ার জীবন মূলত একটি পরিক্ষার ময়দান। মানুষ তার কর্ম, চিন্তা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই পাবে জান্নাত বা জাহান্নামের ন্যায্য পরিণতি। ইমান, নেক আমল, বিনয় ও পরিমিত জীবনযাপন এই চর্চাই মানুষকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে, যেখানে শান্তি ও অনন্ত সুখের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পক্ষান্তরে অহংকার, অন্যায়, অপসংস্কৃতি ও ঈমানহীনতা একজন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে জাহান্নামের দিকে, যা কঠিন শাস্তির স্থান।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত