জামায়াত ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম পাবে মুক্তি: জামায়াতে ইসলামী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ০৯:২৪:০৫
জামায়াত ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম পাবে মুক্তি: জামায়াতে ইসলামী

১৫ জুন দেওয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৬ জুনকে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশের গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের ইতিহাস তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ‘বাকশাল’ গঠন করে দেশে একদলীয় শাসন চালু করেছিল, যা ছিল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত। এরই ধারাবাহিকতায়, ওই বছরের ১৬ জুন সরকার শুধুমাত্র চারটি পত্রিকা দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, ইত্তেফাক ও অবজারভার রাখলেও বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। এতে একদিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়, অপরদিকে হাজারো সাংবাদিক, কর্মচারী ও কলা-কৌশলী বেকার হয়ে চরম মানবিক সংকটে পড়েন।

পরওয়ার অভিযোগ করেন, একই ধারা অব্যাহত রেখেছে বর্তমান সরকারও। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর নিরবচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, সিএসবি এবং ইসলামিক টিভির মতো একাধিক সংবাদমাধ্যম অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে হাজারো সাংবাদিক ও কর্মী চরম দুর্দশায় পড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন ছিল সরকারের দমননীতির অংশ। তিনি এই আইনগুলোকে "নিবর্তনমূলক কালাকানুন" আখ্যা দিয়ে বলেন, এগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিক ও মুক্তচিন্তার মানুষদের হয়রানি ও কারাবন্দি করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।

অধ্যাপক পরওয়ার দাবি করেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণ্য করেও বর্তমান সরকার তাকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যদিও সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’-এর কিছু ধারা সংশোধন ও বাতিল করেছে এবং কিছু নিষিদ্ধ গণমাধ্যম পুনরায় চালুর অনুমতি দিয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মত দেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতে যদি জনগণ জামায়াতে ইসলামীর উপর আস্থা রেখে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়, তবে দলটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা, সংবাদপত্রের বিকাশ ও সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

-অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত