রয়টার্স প্রতিবেদন
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা রুখে দিলেন ট্রাম্প: রয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার একটি ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।
এই খবর এমন সময় প্রকাশ পেল, যখন ইসরায়েল ইরানে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। একই হামলায় খামেনির একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাও নিহত হন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং একটি বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়।
একজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “ইরান কি এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেছে? না। তাই তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করার বিষয়ে আমরা আলোচনা পর্যন্ত করছি না।”
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজ-কে বলেন, “অনেক সময় এমন সব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়, যেগুলো কখনো আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। আমি এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই না।” ফক্স নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’-এ নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা যা করা দরকার, তাই করি।”
তিনি আরও বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের একটি সম্ভাব্য ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানান, তেহরান থেকে আসা ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।
এদিকে এই সংঘাত বড় ধরনের আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিস্থিতি সহজে সমাধানযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এটি প্রমাণ করে, যুদ্ধের আগুন ছড়ানোর মুহূর্তে নেতৃত্বের একটি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখন বিশ্বের চোখ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে—যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ যুদ্ধ এবং শান্তির ব্যবধান নির্ধারণ করতে পারে।
গাজায় নিহত ২২ বন্দির লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করল হামাস
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় থাকা আরও এক ইসরায়েলি বন্দির দেহাবশেষ ইসরায়েলের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বুধবার (৫ নভেম্বর) এই ইসরায়েলি জিম্মির লাশ হস্তান্তর করা হয়। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে রেডক্রসের মধ্যস্থতায় এই লাশটি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস কর্তৃক মোট ২২ জন নিহত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর সম্পন্ন হলো।
যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী হামাস আরও ছয়জন নিহত বন্দির দেহাবশেষ ফেরত দেবে। এই ছয়জনের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিকের পাশাপাশি একজন থাই এবং একজন নেপালের নাগরিকের লাশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গত মাস থেকেই হামাস নিহত ইসরায়েলিদের লাশ হস্তান্তর করে আসছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী এই গোষ্ঠীটি মোট ২৮ জন নিহত জিম্মির লাশ ফেরত দিতে রাজি হয়েছিল।
অন্যদিকে, মৃত বন্দিদের লাশ ফেরাতে হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে হামাসের দাবি হলো—গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশ চাপা পড়ে আছে এবং সব লাশ খুঁজে পেতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জীবিত ও মৃত জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল ধাপে ধাপে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। সেইসঙ্গে, সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ করা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির উদ্যোগও চুক্তির অংশ ছিল।
তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখা নিয়ে হামাস এবং ইসরায়েল উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায়ও গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী গ্রামে সৌদি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সৌদি বাহিনী ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী রাজিহ জেলায় বেসামরিক গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ইয়েমেনের সা’দা প্রদেশের কর্তৃপক্ষ এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এই খবর প্রকাশ করেছে।
সা’দা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি আরব রাজিহ সীমান্ত অঞ্চলের নাগরিক বসতিগুলোর ওপর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করেছে।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলায় সম্ভাব্য হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সা'দা প্রদেশ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
উত্তর গাজার প্রবেশপথ এখনো বন্ধ,যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলমান থাকলেও, ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের অব্যাহত বিধিনিষেধের কারণে গাজাবাসীর মধ্যে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখন ক্ষুধা ও চরম দুর্ভোগে কাতর হচ্ছেন। জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, সীমিত সীমান্ত খোলা থাকার কারণে ত্রাণ সরবরাহে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক এই সংস্থাটি এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের কাছে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে।
ত্রাণ অপ্রতুল ও উত্তর গাজা বিচ্ছিন্ন
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মুখপাত্র আবির ইতেফা মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত মাসে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও সীমিতভাবে সীমান্ত খোলা থাকার কারণে ত্রাণের পরিমাণ এখনো 'অত্যন্ত কম'।
ইতেফা জোর দিয়ে বলেন, "আমাদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার দরকার। দ্রুতগতিতে ত্রাণ সরানো জরুরি। আমরা সময়ের সঙ্গে দৌড়াচ্ছি। শীত চলে আসছে, অথচ মানুষ এখনো ক্ষুধায় ভুগছেন।" তিনি জানান, ডব্লিউএফপি গাজাজুড়ে ৪৪টি স্থানে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, যে পরিমাণ খাদ্য গাজায় প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় মোটেও যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে উত্তর গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো এখনো কঠিন, যেখানে গত আগস্টেই বৈশ্বিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শনাক্ত করেছিল। ইতেফা বলেন, "উত্তর গাজার প্রবেশপথ এখনো বন্ধ। ফলে আমাদের ত্রাণ কাফেলাগুলোকে দক্ষিণ দিকের দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় ঘুরে যেতে হচ্ছে। কার্যকর ত্রাণ বিতরণের জন্য সীমান্ত পারাপারের সব পয়েন্ট খোলা দরকার, বিশেষ করে উত্তর দিকেরগুলো।"
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও হামলা অব্যাহত
গাজার সরকারি তথ্য অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা। কিন্তু ১০ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে গাজায় প্রবেশ করেছে মাত্র ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক, অর্থাৎ গড়ে দিনে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যা চুক্তির শর্তের অর্ধেকেরও কম।
এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার হামলায় একজন নিহত ও একজন আহত হন। উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪০ জন নিহত ও ৬০৭ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা 'ইয়েলো লাইন'-এ পিছু হটার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তর গাজার বাড়িতে ফিরে গেছেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই ফিরে দেখেন, তাদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
দুই পক্ষের ঘোষণার পরও থামছে না গাজায় সহিংসতা
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার ঘোষণা দেওয়ার পরও দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই আকস্মিক হামলায় আরও দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর একদিন আগেই, মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল গাজায় নতুন হামলা পরিচালনা করে। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। গাজার আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, এই হামলায় অন্তত দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সুনির্দিষ্ট একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই স্থানটিতে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলি ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল।
এই নতুন হামলা গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আরও একবার গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু 'প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার' নির্দেশ দিয়েছিলেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলায় ১০৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নারী ও শিশু।
ইসরায়েল অবশ্য দাবি করেছে যে, মঙ্গলবার রাতে চালানো হামলাটির লক্ষ্য ছিল হামাসের সিনিয়র যোদ্ধারা এবং হামলায় 'ডজনখানেক' যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এই ভয়াবহ হামলার পর বুধবার দুপুরে তারা আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই সন্ধ্যায় তারা ফের হামলা চালায়।
এদিকে এই সর্বশেষ হামলার ঘটনা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি 'ঝুঁকির মুখে নেই'। তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই হামলায় হতাশা প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে যে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বিশেষত এই হামলায় বহু শিশুর নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলের শক্তিশালী হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ রাফায় পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা আহতের ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ দেন। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ও হামাসের হুঁশিয়ারি
হামলার চিত্র: গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ৪ জন নিহত হন। অন্যদিকে দক্ষিণ খান ইউনিসে আরও ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বিশাল কার্যক্রম: প্রত্যক্ষদর্শীরা এই হামলাকে 'বিশাল' বলে জানিয়েছেন। গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের পাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে এবং গাজার আকাশে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক কার্যক্রম চলছে; সেখানে ড্রোন উড়ছে।
হামাসের অভিযোগ: হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। সেইসঙ্গে তারা নিখোঁজ এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বড়সড় কোনো উস্কানি দেওয়া হলে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং বাকী ১৩ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার বিলম্বিত হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
ইসরায়েলের এই হামলা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি এখনো টিকে আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স। তিনি বলেন:
“তার মানে এই নয় যে এখানে-ওখানে ছোটখাটো সংঘর্ষ হবে না। আমরা জানি গাজায় হামাস বা অন্য কেউ একজন (ইসরায়েলি) সৈন্যর ওপর হামলা করেছে। আমরা আশা করি ইসরায়েল জবাব দেবে, তবুও আমি মনে করি শান্তি স্থিতিশীল থাকবে।”
অন্যদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সর্বশেষ এই হামলাকে যুদ্ধবিরতির “স্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে।
বিরল ঐক্যমত: হামাস গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি
যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিচালনার ভার একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাট কমিটির হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী শাসক গোষ্ঠী হামাসসহ প্রধান ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলো। এটি ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে এক বিরল ঐক্যমত।
কায়রোতে ঐকমত্যের ঘোষণা
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতি অনুসারে, কায়রোতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে গোষ্ঠীগুলো ‘স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অস্থায়ী ফিলিস্তিনি কমিটির কাছে গাজা উপত্যকার প্রশাসন হস্তান্তর’ করতে সম্মত হয়েছে।
কমিটির দায়িত্ব: বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই কমিটি ‘আরব ব্রাদার্স এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় জীবনযাত্রা ও মৌলিক পরিষেবার বিষয়গুলো পরিচালনা করবে’।
ঐক্যের আহ্বান: দলগুলো ‘ফিলিস্তিনিদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য’ একটি সাধারণ অবস্থানকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তারা ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থাকে (পিএলও) পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে একটি জাতীয় কৌশল নিয়ে একমত হওয়ার জন্য সব শক্তি এবং দলগুলোকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, হামাস ও তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ (যারা পিএলও নিয়ন্ত্রণ করে) এর প্রতিনিধি দলগুলো গাজায় মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে বৈঠক করেছিল। উভয় পক্ষ আগামীতে বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং ইসরায়েলি সরকারের সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদ হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি দলগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
গাজায় ৭০ শতাংশ শিশুই কম ওজনের: ক্ষুধার সংকট নিয়ে UN-এর উদ্বেগ
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পরও ক্ষুধার সংকট বিপর্যয়কর পর্যায়ে আছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে খাদ্যসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ভয়াবহ পরিস্থিতি ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, “পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ, কারণ যা ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। যথেষ্ট খাদ্য না থাকায় ক্ষুধার পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।”
অনাহারে এক-চতুর্থাংশ: জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ হাজার ৫০০ গর্ভবতী নারীসহ গাজার অন্তত এক-চতুর্থাংশ জনগণ অনাহারে ভুগছেন।
শিশুদের জন্ম: জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) উপ-নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু স্যাবারটন বলেন, এখন গাজায় জন্ম নেওয়া ৭০ শতাংশ শিশুই সময়ের আগেই বা কম ওজন নিয়ে জন্মাচ্ছে, যেখানে আগে এই হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
ত্রাণ প্রবেশে বাধা
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদারের কথা থাকলেও, ইসরায়েলের বাধার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
ত্রাণের পরিমাণ: জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) প্রতিদিন দুই হাজার টন ত্রাণ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৭৫০ টন খাদ্যই গাজায় প্রবেশ করছে। এর কারণ হলো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাত্র দুটি প্রবেশপথ খোলা রয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব: সংস্থাটি সতর্ক করেছে, চলমান এই ক্ষুধা সংকট গাজায় পুরো এক প্রজন্মের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্টে গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের বিল পাশ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার একটি বিতর্কিত বিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেটে’ প্রথম ধাপে অনুমোদিত হয়েছে। এটি কার্যত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তিরই সমান এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ১২০ আসনের নেসেটে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি প্রাথমিকভাবে পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে আরও তিন ধাপের ভোটে অনুমোদন পেতে হবে।
মার্কিন অবস্থান ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া
এই ভোট এমন এক সময়ে হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও ইসরায়েল সফর করছেন।
নেতানিয়াহুর বিরোধিতা: প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টি বিলটির বিরোধিতা করেছে। তারা এই ভোটকে ‘বিরোধী দলের উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে। লিকুদ পার্টি বলেছে, “আসল সার্বভৌমত্ব আইন দেখানোর ভান করে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই অর্জন করা যায়।”
ভোটের উদ্দেশ্য: নেসেটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটির উদ্দেশ্য হলো ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুদিয়া ও সামারিয়া অঞ্চলে (পশ্চিম তীর) প্রয়োগ’ করা। এটি এখন সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে পাঠানো হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে তা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দেবে।
আরব বিশ্বের তীব্র নিন্দা
নেসেটের এই বিতর্কিত বিল পাশের ঘটনায় ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্তির প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা—এই অঞ্চলগুলো একক ভৌগোলিক ইউনিট, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌম অধিকার নেই।
কাতার ও জর্ডান: কাতার একে ‘ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেছে। জর্ডান এটিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে বাধা বলে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৭ লাখের বেশি ইসরায়েলি অবৈধ বসতিতে বাস করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে ঘোষিত।
সূত্র: আল জাজিরা
গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত থাকায় শান্তি টিকিয়ে রাখতে মার্কিন দূতেরা কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) গাজা সিটির তুফাহ এলাকার পূর্বাংশ আল-শাফে দুটি ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা নিজেদের বাড়ি দেখে ফেরার পথে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান।
সীমা না মানা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ইসরায়েলি দাবি: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এমন সন্ত্রাসীদের দিকে গুলি চালিয়েছে, যারা শুজাইয়া এলাকায় তথাকথিত হলুদ সীমারেখা অতিক্রম করে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। এই সীমারেখাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশিত মানচিত্রে নির্ধারিত, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে পিছু হটে অবস্থান করছে।
ফিলিস্তিনিদের বিভ্রান্তি: গাজা সিটির বাসিন্দারা জানান, পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় এই সীমারেখাটি কোথায়, তা তারা বুঝতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা সামির (৫০) বলেন, “আমরা মানচিত্র দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো সীমারেখা খুঁজে পাওয়া যায় না।”
হামলার ধারাবাহিকতা: রোববারের (১৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, এটি প্রতিশোধমূলক হামলা। তবে হামাস সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইসরায়েল অজুহাত তৈরি করে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে চাইছে।
হামাসকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ও কূটনৈতিক তৎপরতা
ট্রাম্পের বার্তা: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, হামাসের ভেতরে কিছু বিদ্রোহী উপাদান রয়েছে, যা সংগঠনের নেতাদের ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, “তাদের ভালো হতে হবে। না হলে তারা নিশ্চিহ্ন হবে।” তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থল সেনা এতে অংশ নেবে না।
মার্কিন কূটনীতি: অবিরত সহিংসতার মধ্যে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার ইসরায়েল পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েল সফরে যাবেন।
তবে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক বলেছেন, গাজায় সাহায্য পৌঁছানো এখনো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানান, একাধিক চেকপোস্ট সাহায্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে।
পাঠকের মতামত:
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, জানুন বিস্তারিত
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
- জেনে নিন ভাপা পিঠা বানানোর সহজ রেসিপি
- আফগান–পাক উত্তেজনা ফের চরমে
- ১২ দিনের যুদ্ধের পর বরফ গলছে কি ইরান–মার্কিন সম্পর্কে?
- জুলাই সনদে নতুন সংকট: মুখোমুখি বিএনপি ও জামায়াত
- জানা গেল জাতীয় নির্বাচনের সময়
- ৭ নভেম্বরের বিপ্লব: জিয়াউর রহমানের প্রতি সমর্থনের গল্প শোনালেন মির্জা ফখরুল
- জোট বাদ দিয়ে নতুন যে কৌশল নিচ্ছে জামায়াত: উদ্দেশ্য একাধিক দলের অংশগ্রহণ বাড়ানো
- নির্বাচন নিয়ে ইসি'র চূড়ান্ত বার্তা: প্রস্তুত শতভাগ, ভোট ফেব্রুয়ারিতে
- ব্রিটিশ প্রতিনিধির হুঁশিয়ারি: বাংলাদেশের নির্বাচনে 'অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়'
- ট্রাম্পের ভারত সফর আসন্ন? মোদিকে 'মহান ব্যক্তি' বলে প্রশংসা
- যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানে গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের; উত্তেজনা চরমে
- শুক্রবার থেকে শনিবার ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- এনসিপি'র বার্তা: বিএনপি-জামায়াত যে কারো সঙ্গে জোটে যেতে পারি, শর্ত একটাই
- পাক-ভারত সংঘাতে বিমান বিধ্বস্ত: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- মবের ভয় কেন? যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ভয় তাদেরই: প্রেস সচিব
- বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: উপদেষ্টাদের প্রতি মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি
- হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন চুক্তি: কি কারণে ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি হলো?
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা পাস, মোট ছুটি যতদিন
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইতালি: সভ্যতার সূতিকাগার, শিল্পের রাজধানী ও আধুনিক ইউরোপের আত্মা
- ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা
- পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ২ বাংলাদেশি
- সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত
- স্বাধীনতা ও সংহতি দিবস: জিয়াউর রহমানের মুক্তি নিয়ে তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- জুলাই সনদ জারি করুন, নয়তো মর্যাদা হারাবেন: প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত সেক্রেটারির হুঁশিয়ারি
- ঐতিহাসিক দৃশ্য: তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া
- শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বিএনপিতে: যোগদানের নেপথ্যের দুটি কারণ জানালেন
- ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের পদযাত্রা
- শীতকালে সুস্থ থাকার ৫টি অপরিহার্য অভ্যাস
- ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত
- গাজায় নিহত ২২ বন্দির লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করল হামাস
- বিসিবি পরিচালক রুবাবা দৌলাকে নিয়ে 'বেফাঁস’ মন্তব্যে' তোপের মুখে ইরফান সাজ্জাদ
- ফোনে অশ্লীল বার্তা বা ছবি পাঠালে বিপদ; নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় কঠোর শাস্তির বিধান
- বগুড়া-৬, দিনাজপুর-৩, ফেনী-১: খালেদা-তারেকের ত্রিমুখী চমক
- গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির সমাবেশে: সরোয়ার বাবলার অজানা গল্প
- মির্জা ফখরুলের নিন্দা, এরশাদ উল্লাহ হামলার দ্রুত তদন্তের দাবি
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সাবেক অর্থমন্ত্রীর পুত্র রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে, যোগ দিয়ে জানালেন নির্বাচনী পরিকল্পনা
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ম্যানসিটির দাপট অব্যাহত: জোড়া গোল করে ডর্টমুন্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন ফোডেন
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম








