রয়টার্স প্রতিবেদন
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা রুখে দিলেন ট্রাম্প: রয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার একটি ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।
এই খবর এমন সময় প্রকাশ পেল, যখন ইসরায়েল ইরানে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। একই হামলায় খামেনির একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাও নিহত হন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং একটি বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়।
একজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “ইরান কি এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেছে? না। তাই তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করার বিষয়ে আমরা আলোচনা পর্যন্ত করছি না।”
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজ-কে বলেন, “অনেক সময় এমন সব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়, যেগুলো কখনো আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। আমি এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই না।” ফক্স নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’-এ নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা যা করা দরকার, তাই করি।”
তিনি আরও বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের একটি সম্ভাব্য ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানান, তেহরান থেকে আসা ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।
এদিকে এই সংঘাত বড় ধরনের আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিস্থিতি সহজে সমাধানযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এটি প্রমাণ করে, যুদ্ধের আগুন ছড়ানোর মুহূর্তে নেতৃত্বের একটি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখন বিশ্বের চোখ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে—যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ যুদ্ধ এবং শান্তির ব্যবধান নির্ধারণ করতে পারে।
বদলে গেল চিরচেনা মরুভূমি: সৌদিতে তুষারপাতের ভাইরাল দৃশ্য
মরুপ্রধান দেশ সৌদি আরবে তুষারপাতের মতো এক বিরল ও অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা। উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা তীব্র শীতল বায়ুস্তরের প্রভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিশাল এলাকা এখন বরফের সাদা চাদরে ঢাকা পড়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সৌদির বিভিন্ন প্রান্তে ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টির ফলে তপ্ত বালুরাশির চিরচেনা মরুভূমি যেন এক মুহূর্তেই রূপ নিয়েছে শীতের রূপকথার কোনো দৃশ্যে। বিশেষ করে তাবুক ও হাইল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বরফ জমে থাকতে দেখে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) জানিয়েছে যে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের তাপমাত্রা অনেক জায়গায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। তাবুক প্রদেশের বিখ্যাত জাবাল আল-লাওজ পাহাড়ে তুষারপাতের পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া রিয়াদের উত্তরের আল-মাজমাআ ও আল-ঘাত এলাকায় ভোরের দিকে তুষারপাত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী রিয়াদে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জনজীবন কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এনসিএমের মুখপাত্র হুসেইন আল-কাহতানি জানিয়েছেন যে উত্তর দিক থেকে আসা শীতল বায়ুর সাথে বৃষ্টিবাহী মেঘের সংমিশ্রণে এই বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আগামী কয়েক ঘণ্টা তাপমাত্রা আরও কম থাকতে পারে এবং খোলা সড়কে তুষার জমে বরফে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন এবং পাহাড়ি উপত্যকা ও নিম্নাঞ্চল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে সৌদির সিভিল ডিফেন্স বিভাগ।
এদিকে মরুভূমিতে তুষারপাতের এই বিরল দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। রিয়াদ ও এর আশপাশের অনেক বাসিন্দা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তুষারপাত দেখতে উঁচু ভূমি ও খোলা এলাকাগুলোতে ভিড় করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা একে ‘অভূতপূর্ব এক বিস্ময়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কাসিম, হাইল এবং উত্তর সীমান্ত অঞ্চলসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লোহিত সাগর ও আরব উপসাগরেও ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ব্যতিক্রমী আবহাওয়া পরিস্থিতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ
ফিলিস্তিনের গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় একটি স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় তুফাহ এলাকার গাজা মার্টায়ার্স স্কুলে অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রটি লক্ষ্য করে ইসরাইলি সেনারা গোলাবর্ষণ করে। সেখান থেকে ইতিমধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এই হামলার বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে উত্তর গাজা উপত্যকার তথাকথিত ‘ইয়েলো লাইন’-এর পশ্চিমে কমান্ড কাঠামোর কাছে কয়েকজন ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি’ শনাক্ত করা হয়েছিল। সেনাদের ভাষ্য অনুযায়ী হুমকির আশঙ্কা দূর করতে তারা ওই ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে বেসামরিক হতাহতের খবরের বিষয়ে তারা অবগত এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী তাদের বিবৃতিতে অসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর দাবি করেছে।
গাজার এই রক্তক্ষয়ী ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনী বর্তমানে ‘ইয়েলো লাইন’-এর পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়েছে। তবে গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা আশঙ্কা করছেন যে দুই পক্ষই শান্তি প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘায়িত বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে যা গাজার সাধারণ মানুষের জন্য নতুন করে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে
ফিলিস্তিনের গাজায় তীব্র শীতকালীন ঝড়ের কবলে পড়ে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বাস্তুচ্যুত লাখো ফিলিস্তিনির দুর্দশার মধ্যেই তীব্র ঠান্ডায় জমে দুই সপ্তাহ বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে জরুরি আশ্রয়সামগ্রী ও শীতবস্ত্র গাজায় প্রবেশ করানো যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে অপর্যাপ্ত আশ্রয়ে থাকা শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, সাম্প্রতিক ঝড়ে গাজাজুড়ে বহু আশ্রয়কেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত তাবু ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শিশু। জাতিসংঘের কাছে তাবু ও কম্বল প্রস্তুত থাকলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সেগুলো প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
গাজার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘সত্যিকারের মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
কূটনৈতিক তৎপরতা এই গভীর সংকটের মধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি। বৈঠকে গাজায় চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল করা এবং নিঃশর্তভাবে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলজাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার জানান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কোনো শর্ত রাখা যাবে না। এছাড়া যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় একটি নিরপেক্ষ ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ মোতায়েনের সম্ভাবনা নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সহিংসতা গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকলেও সহিংসতা পুরোপুরি থামেনি। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, গাজা সিটির কেন্দ্রীয় এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, একটি মর্টার শেল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ক্বালকিলিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬৬৮ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ জন।
আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। এখন থেকে লেনদেনের জন্য এসএমএস বা ই-মেইলে পাঠানো ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপির ওপর আর ভরসা করছে না তারা। এর বদলে ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতর থেকেই লেনদেন অনুমোদনের নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং, সিম-সোয়াপ জালিয়াতি এবং ওটিপি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এসএমএসভিত্তিক যাচাইকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। এসব নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতেই ব্যাংকগুলো নতুন এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।
নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কার্ড পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতরেই অনুমোদন দিতে হবে। মোবাইলে একটি পুশ নোটিফিকেশন আসবে এবং সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা স্মার্ট পাস পিন ব্যবহার করে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাইরের কোনো মেসেজের ওপর নির্ভর করতে হয় না, ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাংকের নিরাপদ সিস্টেমের মধ্যেই থাকে।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমিরেটস এনবিডি ইতিমধ্যে এই অ্যাপভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন অনলাইনে পেমেন্টের সময় কার্ডের তথ্য দেওয়ার পর আগের মতো আর ওটিপি পপ-আপ দেখা যায় না। এর বদলে পেমেন্ট স্ক্রিনে একটি বার্তা আসে, যেখানে অ্যাপ দিয়ে লেনদেন অনুমোদন করতে বলা হয়।
পেমেন্ট করার সময় ব্যাংক একটি এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহককে জানায় যে একটি লেনদেন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এরপর গ্রাহককে ব্যাংকের অ্যাপে লগইন করে ‘অ্যাক্টিভিটিজ’ বিভাগে গিয়ে সেই লেনদেনটি যাচাই করতে হয়।
অ্যাপে লগইন করার পর একটি নোটিফিকেশন বা ‘পেন্ডিং পেমেন্ট’ অপশন দেখা যায়। সেখানে ট্যাপ করলে লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যেমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং টাকার পরিমাণ ভেসে ওঠে। গ্রাহক চাইলে এটি অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধাপে দুই মিনিটের একটি কাউন্টডাউন টাইমার থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। গ্রাহক লেনদেনটি অনুমোদন করলে অ্যাপটি তার স্মার্ট পাস পিন চায় এবং পিন সঠিক হলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়।
গত ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো ধাপে ধাপে এই পরিবর্তন শুরু করেছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুরোপুরি এসএমএস ও ই-মেইলভিত্তিক ওটিপি ব্যবহার বন্ধ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে
সূত্র : খালিজ টাইমস
গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ
ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতকে সামনে এনেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে যে আল-রিমাল এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের এই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা ওই ভয়াবহ হামলায় সালেম পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন যার মধ্যে ৩০ জনের লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধানে এখনো তল্লাশি চলছে।
সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তারা যে নতুন ও সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তার প্রথম স্থান ছিল সালেম পরিবারের এই বাড়িটি। সংস্থাটি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ভারী যন্ত্রপাতি নেই এবং মাত্র একটি এক্সকাভেটর ও অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর এই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে বর্তমানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ দখলে রয়েছে এবং গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দখলদার বাহিনী বারবার তা লঙ্ঘন করে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এমন সহিংসতা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দীর্ঘদিন পর একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজাবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও চলছে ইসরায়েলি হামলা, ঝরছে রক্ত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি বজায় থাকার কথা থাকলেও তা লঙ্ঘন করে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার ৩ ডিসেম্বর চালানো এসব হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার আল মাওয়াসি ক্যাম্পে বোমা হামলায় আগুন লেগে বেশ কয়েকটি তাঁবু পুড়ে যায় এবং সেখানেই পাঁচজন নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান নিহত শিশুদের বয়স আট ও দশ বছর। এছাড়া উত্তর গাজার জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি বন্দুকধারীদের গুলিতে আরও দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি দক্ষিণ রাফায় হামাস তাদের যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে চার সেনাকে আহত করার পরই এই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। হামাস আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারী মিশর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লাগাম টানার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল তবে সেখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কঠিন শর্ত। তেল আবিব জানিয়েছে এই ক্রসিং দিয়ে কেবল গাজার বাসিন্দারা উপত্যকা ত্যাগ করতে পারবেন কিন্তু কোনো ত্রাণ বা সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে মিশর এই সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি পরিকল্পনার পরিপন্থী ও একতরফা আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। মার্কিন পরিকল্পনায় ছিল রাফাহ সীমান্ত উভয় দিকের চলাচলের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে।
এর মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। স্থানীয় সময় বুধবার বেইত লাহিয়ায় সংগঠনটির সদস্যরা রেডক্রসের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে যা পরে ইসরায়েলে পৌঁছে দেওয়া হয়। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে যার ফলে কমপক্ষে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯২২ জন আহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা
মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক ও একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে ইসরায়েল ট্যাংক ও ড্রোন থেকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে এবং এতে বারবারই লঙ্ঘিত হচ্ছে যুদ্ধবিরতি যা হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞ বাড়িয়ে তুলছে।
গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায় গাজা সিটির আল তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে দুজন নিহত হন যার মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। আহত ১৫ জনকে আল আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ব গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন। পরবর্তীতে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ ওয়াদি নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে এলাকা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে চিহ্নিত নয় সেই জায়গায় ড্রোন হামলায় তিনি প্রাণ হারান। ওয়াদির বাবা ইসসাম আক্ষেপ করে বলেন মাহমুদ নিরাপদ এলাকায় ছবি তুলছিল কিন্তু ইসরায়েল কোনো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।
গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশের আল দারাজ স্কুলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নারীসহ আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। ওই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে আল তুফাহ এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় উত্তরের বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী বহু ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিহত এবং আরও ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানায় ওয়াদি নিহত হওয়ার পর গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। তারা অভিযোগ করেছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর বুঝেশুনে হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।
ইরানের হাতে এল বিশাল এক নতুন স্বর্ণভাণ্ডার
ইরান তাদের অন্যতম বৃহৎ স্বর্ণখনিতে বিশাল নতুন স্বর্ণভাণ্ডার আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে যা দেশটির অর্থনীতির জন্য এক বড় সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার ১ ডিসেম্বর স্থানীয় গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে অবস্থিত বেসরকারি মালিকানাধীন শাদান স্বর্ণখনিতে নতুন এই শিরা কাঠামো পাওয়া গেছে।
ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি একে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেছে। এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নতুন মজুদগুলো শিল্প খনি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে শাদান স্বর্ণখনির প্রমাণিত মজুদ বিশাল স্বর্ণশিরা আবিষ্কারের পর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে রয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন টন অক্সাইড স্বর্ণ আকরিক এবং ৫৩ দশমিক ১ মিলিয়ন টন সালফাইড স্বর্ণ আকরিক। অক্সাইড আকরিক সাধারণত উত্তোলন করা তুলনামূলকভাবে সহজ ও কম ব্যয়বহুল হওয়ায় এটি ইরানের জন্য বাড়তি সুবিধাজনক।
ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে তার জাতীয় স্বর্ণের মজুদের পরিমাণ প্রকাশ করেনি তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বর্ণ কেনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে বলে তারা দাবি করে। গত সেপ্টেম্বর ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিন বলেন ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বে সর্বাধিক স্বর্ণক্রয়কারী পাঁচ ব্যাংকের একটি ছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ইয়েকতা আশরাফির উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপের মধ্যে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে স্বর্ণের মজুদ বাড়ানো সহায়ক হবে।
ইরানে মোট ১৫টি স্বর্ণখনি রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জারশোরান খনি। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানের বিরুদ্ধে পরমাণু কর্মসূচির সামরিকীকরণের অভিযোগ আনার পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে ইসরায়েলের সাথে ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করায় দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি এবং রিয়ালের অবমূল্যায়নের কারণে ক্রমাগত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অনেক ইরানির কাছে স্বর্ণ একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডলার অনানুষ্ঠানিক বাজারে প্রায় ১১ দশমিক ৭ লাখ রিয়াল এবং ইউরো প্রায় ১৩ দশমিক ৬ লাখ রিয়ালে লেনদেন হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
হামাস সদস্যকে অপহরণের ছক কষতে গিয়ে প্রাণ হারালেন চার গুপ্তচর
উত্তর গাজায় ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় চারজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সোমবার ১ ডিসেম্বর গ্রুপটির সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস তাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে শত্রু ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা এবং হামাসের একজন সদস্যকে অপহরণের চেষ্টা করা চারজন গুপ্তচরকে গাজায় হত্যা করা হয়েছে। হামাস আরও জানায় নিহতদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তবে তাদের পরিচয় বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১১ অক্টোবর থেকে গাজায় মার্কিন মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা কমেনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার যুদ্ধে অঞ্চলজুড়ে নিহতের সবশেষ সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছিল। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয় এবং সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
আইনি প্রেক্ষাপটে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- পুলিশি চক্রান্তে অস্ত্র মামলায় ফাঁসলেন নিরীহ অটোচালক জাফর
- গুলশানের বাসায় তারেক রহমান ,শুরু হলো নতুন অধ্যায়
- ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের আদি নক্ষত্র এবং মহাবিশ্বের শৈশব দেখছে নাসা
- হিট অব দ্য মোমেন্টে দল ছাড়ার ঘোষণা সুজনের
- মাত্র ১০ মিনিটেই স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করার ৫টি বৈজ্ঞানিক কৌশল
- অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে এনসিপি: রিফাত রশিদের ৫টি কড়া যুক্তি
- ক্যালেন্ডারের প্রথম পাতাতেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলার মহোৎসব
- রাজনৈতিক মাঠে তারেক রহমানের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত
- মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়ব: তারেক রহমান
- ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে তিন আসামি আদালতে সব সত্য ফাঁস করলেন
- পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
- তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম
- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান
- প্রবাসী ভোটারদের জন্য সুখবর!
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
- ৪৬তম বিসিএস ভাইভার সূচি প্রকাশ
- যাত্রাপথে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ দোয়া
- ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
- ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
- শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- নিকোটিন পাউচ ও ই-সিগারেটের দিন শেষ আসছে নতুন আইন
- কাল মাঠে নামার কথা ছিল চট্টগ্রামের, আজই উধাও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক
- আরবের মরুভূমি কাঁপিয়ে বাংলার সবুজ গালিচায় তাসকিন ও মোস্তাফিজ
- তিল ধারণের জায়গা নেই, ৩০০ ফিট জুড়ে উৎসবের মহোৎসব
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
- ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
- বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- এক নজরে আজকের খেলা: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- শীতে বাড়ে কর্নিয়ার আলসার: চোখের যত্নে করণীয়
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়
- দেশের মাটিতে তারেক রহমান
- নাইজেরিয়ায় রক্তাক্ত মাগরিব: নামাজের সিজদায় থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণ
- যিশু খ্রিষ্টের মানবমুক্তির বার্তা সবার অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
- আজ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কামড় দেখল ঢাকাবাসী
- জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
- ছয় স্তরের অভেদ্য নিরাপত্তায় তারেক রহমান
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যানজট এড়াতে যেসব রাস্তা পরিহার করবেন
- পাকস্থলীর ধ্বংস করছে আপনার এই ৩টি সাধারণ অভ্যাস
- কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ
- মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
- সরকারি পদ ছেড়ে ভোটের ময়দানে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
- ভারতের 'বাহুবলী' রকেটের কাঁধে চড়ে মহাকাশ জয়
- রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা
- হাদি হত্যার রহস্য উন্মোচন: যুবলীগ কর্মী হিমনের বড় স্বীকারোক্তি
- ভারত এবং আওয়ামী লীগ দেশ অস্থিতিশীল করছে: নাসীরুদ্দীন
- আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কড়া বার্তা
- হাদিকে সেলাই করা ব্যাঙের সাথে তুলনা করলেন বিএনপি নেত্রী মনি
- বৈপ্লবিক বিয়ে: বরের সাজে হাদি হত্যার বিচার চাইলেন ফরহাদ
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল
- হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা








