বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানির সম্পদমূল্য বেড়েছে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১২:৩১:৩৬
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানির সম্পদমূল্য বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২১টির মধ্যে ১১টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বা এনএভিপিএস (NAVPS) বেড়েছে, যা এ খাতের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।

যেসব কোম্পানির সম্পদমূল্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে তাদের মধ্যে পদ্মা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল এবং তিতাস গ্যাস অন্যতম। পদ্মা অয়েলের এনএভিপিএস ২০২৪ সালের একই সময়ের ২১৪ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বেড়ে ২৫৭ টাকা ৭৫ পয়সায় পৌঁছেছে। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সম্পদমূল্য ৪৪ টাকা ৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৫ টাকা ১৮ পয়সায়। যমুনা অয়েলও এই তালিকায় শক্ত অবস্থান নিয়েছে, যার সম্পদমূল্য ২০২৪ সালের ২১৭ টাকা ১ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫৫ টাকা ৬৯ পয়সা। তিতাস গ্যাসের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৬৯ টাকা ৯৯ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৭ পয়সা।

এছাড়াও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, এমজেএলবিডি, ইউনাইটেড পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল), সামিট পাওয়ার এবং জিবিবি পাওয়ারও সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রবণতা দেখিয়েছে। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের এনএভিপিএস ১৭৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯২ টাকা ১৪ পয়সা। এমজেএলবিডি ৪৫ টাকা ৮৬ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৮৫ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। ইউনাইটেড পাওয়ার ৫৮ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭২ টাকা ৫৫ পয়সা। অন্যদিকে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের এনএভিপিএস ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, খুলনা পাওয়ার ১৮ টাকা ১৪ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা ৮৭ পয়সা এবং সামিট পাওয়ার ৪০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪২ টাকা ৫৫ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। জিবিবি পাওয়ারের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হলেও ২০ টাকা ৭ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ৩২ পয়সা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বাজার চাহিদা, সুশৃঙ্খল পরিচালনা, অপারেটিং কার্যকারিতা এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সুনির্দিষ্ট কৌশল। ক্রমবর্ধমান এনএভিপিএস ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতীক হতে পারে। তবে খাতটির ১০টি কোম্পানির সম্পদমূল্যে পতনের বিষয়টিও বাজারের জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের দিকটি স্মরণ করিয়ে দেয়।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত