কি সুখবর আসছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৬ ১৮:০৯:৩৬
কি সুখবর আসছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য

দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আসছে বড় ধরনের সুখবর। বেসরকারি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অবসরের পর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে তাদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। তিনি বলেন, “আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য এমন একটি কাঠামো তৈরি করছি যাতে তারা অবসরের পরও আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকেন এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবাও পান।”

সচিব জানান, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আসা শিক্ষকরা অবসরের সময় সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঞ্চয়ের ৩০ শতাংশ নগদ হিসেবে তুলে নিতে পারবেন। বাকি অংশের ভিত্তিতে তারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেনশন হিসেবে পেতে থাকবেন। ধারণা করা হচ্ছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পাবেন।

বর্তমানে শিক্ষকরা মূলত ১০ শতাংশ হারে অবদান রাখেন পেনশন তহবিলে। তবে এটি যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন নীতিনির্ধারকেরা। সে কারণেই তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “যেসব শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ কমপক্ষে ১০ বছর রয়েছে, তারাও এই পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে পারবেন। পাশাপাশি খেয়াল রাখা হবে, কেউ যেন অবসরের পর পূর্বের তুলনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।”

শুধু আর্থিক সুরক্ষা নয়, অবসরের পর শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতেও কাজ করছে সরকার। সচিব জানান, “অনেক শিক্ষক অবসরের পর স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভোগেন। এজন্য আমরা তাদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনতে চাই। এটি একটি অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অবসরকালীন জীবনে বড় সহায়তা দেবে।”

এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষা খাতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে অবসরকালীন সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বজনীন পেনশন ও স্বাস্থ্যবীমা বাস্তবায়িত হলে দেশের লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।


৫ বা ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন? ইসি প্রস্তুত, অপেক্ষা শুধু সরকারের সবুজ সংকেতের

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ০৮:৫৬:২৭
৫ বা ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন? ইসি প্রস্তুত, অপেক্ষা শুধু সরকারের সবুজ সংকেতের
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী বছরের ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের ৪ অথবা ৭ তারিখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। একইসঙ্গে, সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা করছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের 'গ্রিন সিগন্যাল' বা সবুজ সংকেত পেলেই কমিশনের বৈঠকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

জুলাই সনদে মতভেদ ('নোট অব ডিসেন্ট'), গণভোটের বিষয়বস্তু এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে গত ৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

ওই দিন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে, নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে, সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। জুলাই সনদে গণভোটের বিষয়বস্তু, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং গণভোট কবে হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরই ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করা নিয়ে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "আমি কমিশনার হিসেবে বলছি না, দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যদি গণভোট করতেই হয়, তাহলে এক দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করলে কোটি কোটি টাকা বেঁচে যায়।"

নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, এত ব্যয়বহুল কাজ দুই দিনে করা কঠিন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে একসঙ্গে দুই নির্বাচন করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে সম্ভব হলেও ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ কিছু বাড়ানো লাগতে পারে।

গণভোট কখন কীভাবে হবে, তা নিয়ে এখনো রাজনৈতিক মহলে মতভেদ আছে। কোনো কোনো দল সংসদ নির্বাচন ও গণভোট এক দিনে করার প্রস্তাব দিয়েছে, আবার জাতীয় নির্বাচনের এক মাস আগেও গণভোট করার প্রস্তাব এসেছে।

নির্বাচন কমিশন জোর গতিতে তাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোট কেন্দ্রের তালিকা। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখেরও বেশি।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, নতুনদের নিয়ে বর্তমানে দেশের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। তিনি বলেন, মোট ৬৪টি জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মোট কক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে নিবন্ধনের চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হবে। আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচনি আইনের সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ইসি শীঘ্রই আরপিও সংশোধনের আলোকে দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা জারি করবে।

প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নেওয়ার আয়োজন হচ্ছে ‘আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের’ মাধ্যমে। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার এই সংসদ নির্বাচনে ১০ লাখের বেশি লোকবল নিয়োজিত থাকবে। একসঙ্গে গণভোট ও সংসদ নির্বাচন হলে বড় ব্যয় সাশ্রয় হবে।

রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে এবং তার আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি তফসিল ঘোষণা করবে।


ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ২১:২২:২০
ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ না থাকলেও, ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে এই আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিবালয় থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

ভোটার এলাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া

আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে ইসি উল্লেখ করে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ভোটারদের ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।

প্রবাসীদের ভোটার তালিকা চূড়ান্তের নির্দেশ

এদিকে, নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের (৬ নভেম্বর) মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে, তাদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা বা থানা বা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাকে এই আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন, সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে 'ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই' মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে।


ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ২১:২২:২০
ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ না থাকলেও, ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে এই আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিবালয় থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

ভোটার এলাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া

আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে ইসি উল্লেখ করে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ভোটারদের ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।

প্রবাসীদের ভোটার তালিকা চূড়ান্তের নির্দেশ

এদিকে, নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের (৬ নভেম্বর) মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে, তাদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা বা থানা বা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাকে এই আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন, সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে 'ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই' মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে।


মাইলস্টোন বিমান বিধ্বস্ত: দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি দায়ী, জানালেন প্রেস সচিব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৮:১১:৪৩
মাইলস্টোন বিমান বিধ্বস্ত: দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি দায়ী, জানালেন প্রেস সচিব
ছবিঃ সংগৃহীত

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়। তদন্ত প্রতিবদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের বিমান বিধ্বস্ত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এরপর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। উড্ডয়ন ত্রুটির কারণেই মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।

এখন থেকে বিমান বাহিনীর সকল ট্রেনিং ঢাকার বাইরে হবে বলেও জানান তিনি।


সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই স্থিতিশীল হবে দেশ: সেনাসদর থেকে বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৬:৩৭:৫৫
সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই স্থিতিশীল হবে দেশ: সেনাসদর থেকে বার্তা
সদর দফতর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান

দেশের জনগণের মতোই সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সেনাবাহিনী মনে করে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দফতর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান এসব কথা বলেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, "দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে।" তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, "আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।"

তিনি আরও বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চলছে, সেটার মধ্যেও নির্বাচনের সময় তাদের কী করণীয়, সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করা হচ্ছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান উল্লেখ করেন, শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং তারা এটিকে 'উই ট্রেইন এজ উই ফাইট' বলে থাকেন।

সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়োজিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয়, তাহলে আরও কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে তাদের স্বাভাবিক প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, "এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী; এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি।" এই কারণেই তাঁরাও চান একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং সেনাবাহিনী সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।


পদত্যাগ করে রাজনীতিতে: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৫:৩২:২২
পদত্যাগ করে রাজনীতিতে: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তার পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।

আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)-এর কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন এবং তিনি আশাবাদী যে মনোনয়ন পাবেন। উল্লেখ্য, মো. আসাদুজ্জামান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং এর আগে তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গত বছরের ৮ আগস্ট দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. আসাদুজ্জামান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি মন্তব্য করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় পরিবর্তন করে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, "কোনো একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।" তিনি রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে মনে করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ওই রায় দেওয়া হয়েছিল এবং এই রায় থাকা উচিত নয়।


জাকির নায়েকের সফর স্থগিত করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৪:১৭:৪২
জাকির নায়েকের সফর স্থগিত করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ড. জাকির নায়েক। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, একটি প্রতিষ্ঠান ২৮ ও ২৯ নভেম্বর জাকির নায়েককে দুই দিনের একটি কর্মসূচিতে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিল। এছাড়াও ঢাকার বাইরে তার আরও কিছু অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল। তবে সাম্প্রতিক আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে যে, তার আগমন ঘিরে বিপুল জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন হবে।

নিরাপত্তা ও নির্বাচনের কারণ

সভায় জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কারণে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে এলে জাকির নায়েকের সফর বিবেচনা করা যেতে পারে, তবে নির্বাচনের আগে নয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে উসকানি এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের অভিযোগ আনে। এরপর তিনি দেশত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। মালয়েশিয়া সরকার তাকে পুত্রজায়া শহরে স্থায়ী আবাসনের অনুমতি দিয়েছে।

মঙ্গলবারের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভায় উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৩ দল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৫:৩৭:১৪
জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৩ দল
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন তিনটি রাজনৈতিক দল চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে। দলগুলো হলো— জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিনিয়র ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দাবি আপত্তি জানানোর সময়সীমা

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, চূড়ান্ত নিবন্ধন পাওয়া এই দলগুলোর বিষয়ে দাবি বা আপত্তি জানিয়ে বুধবার (৫ নভেম্বর) পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এই দাবি আপত্তি জানানো যাবে। নির্ধারিত এই সময় শেষ হওয়ার পর, অর্থাৎ দাবি আপত্তির সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, দলগুলোর চূড়ান্ত নিবন্ধনের গেজেট প্রকাশ করা হবে।

নিবন্ধন বঞ্চিত অন্য দলগুলো

ইসি সচিব আরও জানান, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা আরও ৮টি রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত কোয়ালিফাই করতে পারেনি এবং তারা নিবন্ধন পাচ্ছে না।

এছাড়াও, নেজামে ইসলাম পার্টির নিবন্ধনের বিষয়টি উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর নির্ভর করছে এবং আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পরই নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া, আরও ৩টি দলের বিষয়ে কমিশন অধিকতর তদন্ত করে মনে করেছে যে তারা নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, ফলে তারা নিবন্ধন পাবে না।


নির্বাচনে 'না ভোট' বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৪:৪০:৪২
নির্বাচনে 'না ভোট' বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি
ছবিঃ সংগৃহীত

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এ গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন এনে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার, যার মাধ্যমে নির্বাচনে 'না ভোট' দেওয়ার বিধান যুক্ত হলো। এই বিধান আনার মূল লক্ষ্য হলো, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ঘটনা, যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন 'এমপি' নির্বাচিত হয়েছিলেন, তার পুনরাবৃত্তি যেন এই দেশে না হয়।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। দেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশটি জারি করেছেন। এর আগে অধ্যাদেশের খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

আরপিও-এর ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে এই নতুন 'না ভোট'-এর বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, কোনো আসনে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র একজন অবশিষ্ট থাকে, তবে ব্যালট পেপারে 'না ভোট' দেওয়ার বিধান অবশ্যই থাকবে। অর্থাৎ, যে নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকবে, সেখানে ভোটাররা প্রার্থীর পাশাপাশি 'না ভোট' প্রদানের সুযোগ পাবেন।

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনো নির্বাচনি এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই প্রার্থীও 'না ভোট'-এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

যদি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট 'না ভোট'-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।

তবে, যদি কোনো আসনে প্রার্থীর চেয়ে 'না ভোট' বেশি পড়ে, তাহলে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিতীয়বার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যদি শেষ পর্যন্ত কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তবে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া, সংশোধিত অধ্যাদেশে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না। এই বিধানটি প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত বিতর্কগুলো নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠদান, দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের... বিস্তারিত

হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন

হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন

বর্তমানে কম বয়সের মধ্যেই হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তীব্র মানসিক চাপ এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক চলাফেরার মতো কারণগুলো... বিস্তারিত