ভারত যুদ্ধবিরতি মানলেও সেনা প্রস্তুত: সামরিক মুখপাত্র

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক থাকবে বলে উল্লিখিত হয়।
পাকিস্তানের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার প্রতিবাদ
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। তারা পাকিস্তানের কিছু সাম্প্রতিক মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। পাকিস্তান যে দাবিগুলো তুলে ধরেছে, তা সম্পর্কে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা দুজনই তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট করেন।
পাকিস্তান দাবি করেছে যে, ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে চীনের তৈরি জে এফ-১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে। এই দাবির ব্যাপারে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা জানান, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। একইভাবে, পাকিস্তান দাবি করেছে যে ভারতের শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট এবং ভুজের বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন।
সেনা বাহিনী ও ধর্মনিরপেক্ষতা
কর্নেল সোফিয়া এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা আরও বলেন, পাকিস্তান আরও দাবি করেছে ভারতীয় বাহিনী মসজিদ ভেঙেছে। তাদের মতে, এটি পুরোপুরি অসত্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনো মসজিদ বা ধর্মীয় স্থাপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য গ্রহণ করে না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা করা।
পাকিস্তানি সেনাঘাঁটির ওপর বিমান হামলা
ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে কয়েকটি সেনাঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে স্কারদু, সরগোদা, জাকোয়াবাদ এবং ভুলারিতে পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তু ছিল। তারা দাবি করেন, এসব আক্রমণের ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণের ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলোর ওপর ভারতীয় বাহিনীর হামলা শক্তিশালী ছিল এবং তা পাকিস্তানকে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।
ভারতের অবস্থান: যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, কিন্তু সতর্কতা বজায় থাকবে
ব্রিফিংয়ে সামরিক মুখপাত্ররা স্পষ্টতই জানান, ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তবে কোনো ধরনের আগ্রাসী বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখা দিলে তাদের সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের দায়িত্ববোধ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করবে না, বলেও তারা নিশ্চিত করেছেন।
এভাবে, ভারত পাকিস্তানের উত্থাপিত দাবি এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমর্থ হলেও, যুদ্ধবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দেশটির সামরিক কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি) গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে একটি নতুন তথ্যচিত্র— “বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন: চোখের সামনেই চুরি”। এতে মূলত শেখ হাসিনার শাসনামলে (২০০৯–২০২৩) সংঘটিত দুর্নীতি, বিপুল অর্থ পাচার এবং সেই অর্থ পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জকে ঘিরে বিশদ অনুসন্ধান তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্রে রাজনীতিক, আন্দোলনকারী, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটও আলোচিত হয়েছে।
দুর্নীতির ব্যাপ্তি ও অভিযোগ
এফটির ভাষ্যে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে—যার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থ পাচারের ঘটনা। তথ্যচিত্রে উল্লেখ করা হয়, “বাংলাদেশে দুর্নীতির পরিমাণ বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় নজিরবিহীন”।
বড় প্রকল্পে দুর্নীতি, ব্যাংক খাতে জালিয়াতি, ভুয়া ঋণ এবং হুন্ডি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্যকে এই পাচারকৃত অর্থের প্রধান গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ও সম্পদ পুনরুদ্ধার
তথ্যচিত্রে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রিয়েল এস্টেট খাত ও আর্থিক বাজার বাংলাদেশি দুর্নীতিবাজদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল। জাতীয় অপরাধ দমন সংস্থা (NCA) ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে অন্তত ৩৫০টি সম্পদ চিহ্নিত ও ফ্রিজ করেছে, যার অধিকাংশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে, যিনি একাই যুক্তরাজ্যে ৩০০টিরও বেশি সম্পত্তির মালিক বলে এফটির তদন্তে দাবি করা হয়।
ছাত্র আন্দোলন ও হাসিনার পতন
তথ্যচিত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়। পুলিশের গুলি, নিখোঁজ, দমননীতি এবং হাজারো হতাহতের ঘটনায় সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়। আগস্টের ৫ তারিখে যখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আন্দোলনে অন্তত ১,৪০০ জন নিহত হন।
পারিবারিক প্রভাব ও আন্তর্জাতিক বিতর্ক
তথ্যচিত্রে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের নামও উঠে এসেছে। বিশেষত যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শেখ রেহানার কন্যা ও লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে দুর্নীতির অর্থে অর্জিত সম্পদ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে, যদিও তিনি তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন।
ব্যাংক খাত দখল ও অর্থ পাচার কৌশল
এফটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অংশ গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর সহায়তায় একাধিক ব্যাংক দখল করে নেয়। ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, পরে নিজেদের লোক দিয়ে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। এরপর ভুয়া ঋণ অনুমোদন দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়।
হুন্ডি বা অবৈধ মানি ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক ছিল এ অর্থ পাচারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমেও বিপুল অর্থ বিদেশে চলে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ও সম্পদ পুনরুদ্ধার
শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি প্রাক্তন আইএমএফ কর্মকর্তা আহসান মন্সুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অ্যাসেট রিকভারি টাস্কফোর্সের প্রধান করেন। তাঁদের নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই দেউলিয়া ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের খোঁজে অভিযান শুরু হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বিপুল অর্থ ফেরত আনা একটি “ঐতিহাসিকভাবে জটিল প্রক্রিয়া”। প্রমাণ সংগ্রহ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আইনি প্রক্রিয়াই নির্ধারণ করবে কতটা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর এই তথ্যচিত্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেখ হাসিনা শাসনামলের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের চিত্রকে নতুনভাবে সামনে এনেছে। এতে যেমন অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য ও বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার ভূমিকার দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এনেছে, তা এখন পরীক্ষার মুখে—এই হারানো বিলিয়ন ফেরত আনার মাধ্যমে কি সত্যিই দেশ একটি টেকসই ও জবাবদিহিমূলক পথে অগ্রসর হতে পারবে?
হাসিনা, রাজাপাকসে, শর্মা–এর পর কি এবার মোদি? মণিপুরের অস্থিরতায় দিল্লিতে কাঁপন
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে দীর্ঘ ২৯ মাস ধরে চলমান অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ভাঙন নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে—নরেন্দ্র মোদি কি নিজ দেশের ভেতরেই এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছেন? প্রতিবেশী দেশগুলোতে একের পর এক মোদি-সমর্থিত শাসকদের পতনের পর, এবার ভারতের ভেতরেও মোদির ভবিষ্যৎ নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রতিবেশীদের পতন ও ডমিনো ইফেক্ট
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতন, শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসে পরিবারের ক্ষমতাচ্যুতি, নেপালে কেপি শর্মা অলির সরে দাঁড়ানো—সবগুলো ঘটনা ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব বলয়ের মধ্যেই ঘটেছে। অনেকেই এগুলোকে আলাদা আলাদা গণঅভ্যুত্থান ভেবেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে এগুলো ছিল একটি “ডমিনো ইফেক্ট”—যেখানে একের পর এক শাসক জনরোষে পতিত হয়েছেন, আর সেই শাসকরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দিল্লির সমর্থনপুষ্ট ছিলেন। এখন সেই ডমিনো পড়তে পড়তে ভারতের দরজায় এসে ঠেকছে।
মণিপুরের অস্থিরতা: মোদির ভাবমূর্তিতে আঘাত
মণিপুরে টানা ২৯ মাস ধরে দাঙ্গা, সহিংসতা ও অব্যবস্থাপনা মোদি সরকারের জন্য এক বড় ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার শক্তিশালী সেনা ও পুলিশি উপস্থিতি দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। সম্প্রতি বিজেপির তিন প্রভাবশালী নেতা দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র দলবদল নয়; বরং শাসকদলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত।
অভ্যন্তরীণ চাপে বিজেপি ও আরএসএসের দ্বন্দ্ব
মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আরএসএস ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু বর্তমানে সেই আরএসএসের ভেতর থেকেই মোদির সরে যাওয়ার দাবি উঠছে। বিদ্রূপাত্মকভাবে, বয়সসীমার কারণে যেভাবে তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী বা লালকৃষ্ণ আদভানিকে সরিয়ে দিয়েছিলেন, এখন সেই একই নিয়মের ফাঁদে তিনি নিজেই পড়ছেন। বিজেপির একটি শক্তিশালী অংশ এখন বলছে, “৭৫ বছর হয়ে গেছে, এবার সরে দাঁড়ানোর সময়।”
দক্ষিণ ভারতের নতুন চ্যালেঞ্জ
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অস্থিরতার পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতে বিজেপি একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় থালাপাতির নতুন রাজনৈতিক দল সেখানে প্রবল সাড়া ফেলছে। দক্ষিণ ভারত বরাবরই বিজেপির জন্য দুর্ভেদ্য অঞ্চল ছিল। নতুন এই শক্তির উত্থান মোদির অজেয় ভাবমূর্তিকে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
মোদির ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক চাপ
মোদি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে অজেয় নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক, এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তাঁর ভাবমূর্তি দুর্বল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশীদের সংকট সামাল দিতে ব্যর্থ মোদি এখন নিজের দেশেও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারছেন না।
বাংলাদেশের শিক্ষা ও ভারতের প্রশ্ন
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতন অনেককে বিস্মিত করেছিল। অথচ তার আগে থেকেই দেশের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ জমছিল। ঠিক একইভাবে মণিপুরের অস্থিরতা, বিজেপির অভ্যন্তরীণ ভাঙন এবং জনগণের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ভারতের জন্য এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করছে।
শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, নেপালের কেপি শর্মা ওলি—সবাই একসময় নিজেদের অজেয় ভাবতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনরোষে তাদের পতন হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি কি সেই ধারাবাহিকতার নতুন অধ্যায় হতে যাচ্ছেন? আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মণিপুরের ভাঙনকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করার সুযোগ নেই। এটি এক বড় ছবির অংশ—যেখানে ভারতের ভেতরে-বাইরে সবকিছু মিলিয়ে এক নিখুঁত ঝড়ের আবহ তৈরি হচ্ছে।
প্রশ্ন এখন একটাই—রাজাপাকসে, হাসিনা, শর্মার পর এবার কি মোদির পালা? উত্তর সময়ই দেবে।
নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে নেপালে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৩৬৮ জনে।
হতাহতের বিবরণ
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. প্রকাশ বুধাথোকি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে প্রায় এক হাজার মানুষ চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে।
বিক্ষোভের সূচনা
ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ মোট ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই রাস্তায় নামে তরুণ প্রজন্ম, যাদের অধিকাংশকে ‘জেনারেশন জেড’ বলা হয়। পুলিশের গুলিতে প্রথম দিনেই কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও নিহতদের জন্য ক্ষোভ ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলে।
বিক্ষোভের বিস্তার
প্রতিবাদকারীরা রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ বিভিন্ন জায়গায় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায় এবং সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে কয়েকজন মন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। আন্দোলনের তীব্রতায় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে এবং সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছে। বৃহস্পতিবার ভোরে বাগমতি প্রদেশের রামেছাপ জেলায় একটি কারাগার ভাঙার চেষ্টা চলাকালে সেনাদের গুলিতে অন্তত দুইজন নিহত হন। যদিও পুলিশ দাবি করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে নেপাল প্রেসের তথ্যমতে প্রায় ১৪ হাজার ৩০৭ জন বন্দি বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা
ওলির পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একটি অনলাইন জরিপে বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৬০তম অধিবেশনে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধিকার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছে সুইজারল্যান্ড। দেশটি ভারতের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের মৌখিক প্রতিবেদন নিয়ে সাধারণ আলোচনা। এখানে একাধিক দেশ তাদের বক্তব্য রাখে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর ক্ষিতিজ ত্যাগী সুইজারল্যান্ডের বক্তব্যের জবাবে বলেন, মন্তব্যগুলো যথাযথ তথ্যভিত্তিক নয় এবং ভারতের বাস্তব পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করে না। তাঁর ভাষায়, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে বহুত্ববাদ ও সাংবিধানিক অধিকার গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মানবাধিকার ইস্যুতে আলোচনা করতে হলে প্রতিটি দেশেরই নিজেদের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ যেমন বর্ণবাদ, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও বিদেশিবিদ্বেষ মোকাবিলায় মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
তাঁর বক্তব্যে ভারত সুইজারল্যান্ডকে "ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার" হিসেবে উল্লেখ করলেও, এ ধরনের মন্তব্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সময় ও গুরুত্বকে ব্যাহত করে বলে মন্তব্য করেন।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের জবাব
একই অধিবেশনে পাকিস্তানও ভারতের সমালোচনা করে। এ সময় ভারত তার জবাবে পাকিস্তানের অভিযোগগুলোকে “পুনরাবৃত্ত ও প্রচারণাধর্মী” আখ্যা দেয়। ভারতের প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায়ই একই ধরনের অভিযোগ তুলে ধরে, যা বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি তৈরি করে।
ভারতের বক্তব্যে ৯/১১ হামলার প্রসঙ্গও উঠে আসে। প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে তিনি নিহত হন। এই তথ্যের উল্লেখ করে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার নৈতিক ভিত্তি প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রেক্ষাপট
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে বহু দেশ পরস্পরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মতামত জানায়। সুইজারল্যান্ড সাধারণত মানবাধিকার ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সংখ্যালঘু ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিয়ে মন্তব্য করে থাকে। অন্যদিকে ভারত দাবি করে, তাদের বহুত্ববাদী সমাজ ও সাংবিধানিক কাঠামো মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট কার্যকর।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে কাশ্মীর প্রসঙ্গ আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রায়ই উত্থাপিত হয়। ভারত এ ধরনের অভিযোগকে প্রচারণা হিসেবে চিহ্নিত করে এবং পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে।
উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রেরউটাহভ্যালিইউনিভার্সিটি (UVU) ক্যাম্পাসেপ্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ–র সহ–প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক (৩১)। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। বুধবার দুপুরে ওরেম শহরে আউটডোর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেওয়ার সময় ছাদের দিক থেকে ছোঁড়া একক গুলি তাঁর গলায় লাগে। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে মঞ্চে চেয়ার থেকে পড়ে যেতে দেখা যায় এবং দর্শকেরা আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খালি করে দেওয়া হয় এবং ক্লাস স্থগিত করা হয়। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যৌথভাবে হামলাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য মানবহান্ট চালাচ্ছে। ডোর–টু–ডোর তল্লাশি চলছে এবং জনসাধারণের কাছে ছবি বা ভিডিওসহ যেকোনো তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুজনকে আটক করা হলেও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে হামলাকারী এখনও পলাতক, যদিও তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি একক হামলাকারীর কাজ ছিল।
উটাহ গভর্নর স্পেন্সার কক্স ঘটনাটিকে সরাসরি “টার্গেটেড অ্যাটাক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং অপরাধীর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা হামলাকারীকে খুঁজে বের করব, বিচার করব এবং সর্বোচ্চ আইনি শাস্তি নিশ্চিত করব।” এফবিআই এবং অন্যান্য ফেডারেল সংস্থা যৌথভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওপেন–এয়ার ক্যাম্পাস ইভেন্টে ছাদ থেকে এমন আক্রমণ ঠেকানো কঠিন, যা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
ঘটনার পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় শিবির থেকেই নিন্দা জানানো হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শোক প্রকাশ করে বলেন, চার্লি কার্ক ছিলেন “একজন মহান ও কিংবদন্তি মানুষ”। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতারাও রাজনৈতিক সহিংসতার কঠোর নিন্দা করেছেন এবং এটিকে গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শোক ও সমবেদনা এসেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতারা কার্কের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁকে “ইসরায়েলের প্রকৃত বন্ধু” আখ্যা দিয়েছেন।
চার্লি কার্ক মাত্র ১৮ বছর বয়সে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে কনজারভেটিভ তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন। সংগঠনটি বর্তমানে প্রায় চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্রিয় বলে দাবি করে। ২০১৬ সালের পর তিনি ট্রাম্প রাজনীতির অন্যতম মুখপাত্রে পরিণত হন এবং ধারাবাহিকভাবে টেলিভিশন, পডকাস্ট ও ক্যাম্পাস ট্যুরের মাধ্যমে কনজারভেটিভ ভোটার ও তরুণদের প্রভাবিত করেছেন।
এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা ও প্রকাশ্য ইভেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক উচ্চ–প্রোফাইল রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার পর এবার UVU–তে কার্কের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে—বিশ্ববিদ্যালয় ও জনসমাবেশে ফ্রি স্পিচ–এর নিরাপত্তা কীভাবে আরও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে তদন্তকারীরা ব্যালিস্টিক্স, সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিজিটাল ফরেনসিকস বিশ্লেষণ করছেন এবং জনসাধারণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক
যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থি রাজনীতির অন্যতম পরিচিত মুখ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্ক (Charlie Kirk) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় উটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে ভাষণ দেওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সাক্ষীদের বর্ণনা ও ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মঞ্চে উপস্থিত থেকে তাবুর নিচে বসা অবস্থায় হঠাৎ গুলির শব্দে চেয়ার থেকে লুটিয়ে পড়েন চার্লি কার্ক। দর্শকদের মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে, তার গলায় গুলি লেগেছিল এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।
এখনও হামলাকারীকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলার প্রকৃত কারণ ও উদ্দেশ্য তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই উটা’র রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “আমি পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছি। চার্লি কার্ক এবং সেখানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন।”
চার্লি কার্কের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোক নেমে এসেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “চার্লি যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মকে বোঝার ক্ষেত্রে ছিলেন অসাধারণ। তিনি শুধু আমার কাছে প্রিয় ছিলেন না, বরং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। মেলানিয়া ও আমি তার স্ত্রী এরিকা এবং পুরো পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
-রাফসান
নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
প্রচণ্ড বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগের পর রাজনৈতিক শূন্যতায় পড়েছে নেপাল। এই সংকটময় সময়ে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ও প্রথম নারী সুপ্রিম কোর্ট প্রধান সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে দেখতে চাইছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ‘জেন জেড’-এর একটি অংশ।
বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ‘জেন জেড’ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন বলে জানায় সেনাবাহিনী। ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার হিমালয়কন্যা দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার পর সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি রক্ষ্যা বাম বলেন, “সুশিলা কার্কির নামই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে আলোচিত। এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।” তিনি আরও জানান, সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
৭৩ বছর বয়সী সুশিলা কার্কি এএফপিকে বলেন, “বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা জরুরি। সংসদ এখনো বহাল রয়েছে এবং সেখান থেকেই সমাধান বের করতে হবে।”
তবে আন্দোলনের ভেতরেই নেতৃত্ব নিয়ে মতপার্থক্য স্পষ্ট। ডিসকর্ড প্ল্যাটফর্মে হাজারো তরুণ ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে নিজেদের এজেন্ডা ও সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেছেন। সাংবাদিক প্রণয় রানা বলেন, “এ ধরনের বিকেন্দ্রীভূত আন্দোলনে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। এখানে নানা স্বার্থ ও কণ্ঠস্বর কাজ করছে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবারও সেনারা রাজধানীর রাস্তায় টহল দিয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিলে এবং দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে তরুণরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংস রূপ নেয়। সরকার কঠোর দমন অভিযান চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এরপর ক্রুদ্ধ জনতা সরকারি ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে, যার পর প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন।
-সুত্রঃ এ এফ পি
মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের আশঙ্কা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডানপন্থি কর্মী এবং টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান নেতারা কার্ককে “মার্কিন রক্ষণশীল মূল্যবোধের শহীদ” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া ভিডিও বার্তায় বলেন, চার্লি কার্ক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও আমেরিকান জনগণের জন্য লড়াই করেছেন। তাঁর মৃত্যু সত্য ও স্বাধীনতার জন্য এক ধরনের ত্যাগ। কার্কের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রক্ষণশীল মহলে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার জ্যাক পোসোবিয়েক বলেন, কার্ক যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা থামবে না। স্টিভ ব্যানন বলেন, এটি এক ধরনের যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষতি, তাই এখন আরও দৃঢ় হওয়ার সময়।
কার্কের মৃত্যু তরুণ রক্ষণশীলদেরও নড়েচড়ে বসিয়েছে। ব্রেইটবার্ট নিউজের সাংবাদিক ম্যাট বয়েল বলেছেন, আমেরিকায় নতুন আগুন জ্বলে উঠেছে, তরুণরা এই হত্যাকাণ্ড চুপচাপ মেনে নেবে না। পডকাস্টার বেনি জনসন এক্স-এ লিখেছেন, কার্ক একজন আমেরিকান শহীদ। হারিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট কেভিন রবার্টস বলেন, এই ঘটনা দেশের জন্য এক মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত।
এদিকে হত্যার তদন্ত চলছে। পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে। এখনো মূল হত্যাকারী পলাতক। এর মধ্যেই ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা হত্যার জন্য রাজনৈতিক বামপন্থীদের দায়ী করেছেন। এলন মাস্ক এক্স-এ লিখেছেন, “বামপন্থীরা হত্যার দল।” ট্রাম্প বলেন, র্যাডিক্যাল বামদের সহিংসতায় বহু নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অভিনেতা জেমস উডস আরও এক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছেন, “এটি বন্দুক সহিংসতা নয়, এটি ডেমোক্র্যাট সহিংসতা।”
রক্ষণশীল টিভি হোস্ট গ্রেগ গুটফেল্ড সতর্ক করে বলেছেন, যদি কেউ মনে করে এই হত্যাকাণ্ড আন্দোলনকে থামিয়ে দেবে, তবে তারা ভুল করছে। এর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হত্যাকাণ্ড মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজন তৈরি করতে পারে এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আরও ঐক্যবদ্ধ করতে পারে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
নেপালে রাজনৈতিক শূন্যতা: সেনা তত্ত্বাবধানে উত্তাল দেশ, নতুন নেতৃত্ব কে?
প্রাণঘাতী সহিংসতা, তীব্র বিক্ষোভ এবং প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর নেপাল এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক মোড়ে দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া সহিংসতায় দেশটির পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই সেনাবাহিনী ক্ষমতার ভার নেয়। ৩ কোটি মানুষের এই হিমালয়ি দেশটি এখন প্রশ্নের মুখে—কে নেবে নেতৃত্ব, কেমন হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার?
সেনা তত্ত্বাবধানে অস্থির পরিস্থিতি
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল বুধবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি—যাদের Gen Z নামে অভিহিত করা হচ্ছে—এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়নি। সেনারা আপাতত শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে সেনা তত্ত্বাবধান দীর্ঘ হলে রাজনৈতিক বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সংবিধান ও অন্তর্বর্তী সমাধান
সংবিধান অনুযায়ী, ৮০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলকে বৃহত্তম দলের নেতাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব কার্যত অদৃশ্য। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি—যাকে সম্ভাব্য অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দেখা হচ্ছে—বলেছেন,
“সব রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। পার্লামেন্ট এখনো বিদ্যমান, সেটিই হতে পারে সংলাপের মঞ্চ।”
কিন্তু সমস্যার গভীরতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে সীমাবদ্ধ নয়। সংকটগোষ্ঠী ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক আশীষ প্রধানের ভাষায়,
“এবারের জনরোষ পুরো রাজনৈতিক শ্রেণির প্রতি। সাধারণ মানুষ কেবল একজন নেতাকে নয়, পুরো ব্যবস্থাকেই প্রত্যাখ্যান করছে।”
যুবশক্তির উত্থান
Gen Z নামের ব্যানারে তরুণরা বেকারত্ব, দুর্নীতি ও সুযোগের অভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে। সরকারের স্বল্পমেয়াদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করে। আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা কাঠমান্ডুর মেয়র, র্যাপার-থেকে-প্রকৌশলী বালেন্দ্র শাহ এবং যুব অধিকার সংগঠন হামি নেপালের নেতা সুধান গুরুং। তারা দাবি করছে, সহিংসতার জন্য তরুণরা দায়ী নয়; বরং আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখাই তাদের লক্ষ্য।
সাংবাদিক প্রণয় রানা সতর্ক করে বলেন,
“যুব আন্দোলনকে ছায়ায় থাকা সুযোগসন্ধানীদের হাতে চলে যেতে দেওয়া যাবে না। এখন দরকার ঐক্যবদ্ধ পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব।”
পুরনো প্রজন্মের পতন
কমিউনিস্ট পার্টির প্রবীণ নেতা ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি পদত্যাগের পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সাবেক মিত্র ও পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকেও দেখা যায়নি। দুই নেতার ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিও জনরোষে ভেসে গেছে।
রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ
২০০৮ সালে নেপাল রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে প্রজাতন্ত্রে রূপ নেয়। ক্ষমতাচ্যুত রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের প্রতি কিছু জনসমর্থন ফিরে এলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। ক্রাইসিস গ্রুপ সতর্ক করে বলেছে,
“রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হলে তা স্বৈরতান্ত্রিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
-সুত্রঃ এ এফ পি
পাঠকের মতামত:
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- হাসিনা, রাজাপাকসে, শর্মা–এর পর কি এবার মোদি? মণিপুরের অস্থিরতায় দিল্লিতে কাঁপন
- ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য
- ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম: কোন পণ্য বেড়েছে, কোথায় মিলছে স্বস্তি
- জাহাঙ্গীরনগরে রাতভর ভোট গণনা, বিক্ষোভ ও বর্জনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
- নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি
- জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু
- UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির
- দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন
- শির্কের ভয়াবহতা বুঝতে সহজ উদাহরণ
- দিনের বেলা ভাতঘুম: উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
- সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
- জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
- গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- অস্থির নেপাল থেকে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
- নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
- মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের আশঙ্কা
- নেপালে রাজনৈতিক শূন্যতা: সেনা তত্ত্বাবধানে উত্তাল দেশ, নতুন নেতৃত্ব কে?
- ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস
- ১০ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারের সার্বিক চিত্র ও বিশ্লেষণ
- ডিএসই ব্লক মার্কেট: বড় লেনদেনে যেসব কোম্পানি
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- জলবায়ু ইস্যুতে গণমাধ্যমের দায়িত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
- ভাঙ্গায় ১১ ঘণ্টা অবরোধ শেষে ফের নতুন ঘোষণা
- জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে আর জিডি করতে হবে না: ইসি
- ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা
- কর ফাঁকি তদন্তে শেখ হাসিনার ব্যাংক লকার সিলগালা
- "ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"
- ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫: কারা পেলেন সেরা সম্মাননা
- যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট
- কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট খোলা: কর্ণফুলীতে তীব্র পানি প্রবাহ
- জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
- মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- একীভূতকরণ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
- বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ
- ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের বার্তা
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়
- শেয়ারদর বৃদ্ধি নিয়ে ডিএসইকে যে ব্যাখ্যা দিল বিডিকম অনলাইন
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব