এনসিপি'র বার্তা: বিএনপি-জামায়াত যে কারো সঙ্গে জোটে যেতে পারি, শর্ত একটাই

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অথবা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তবে তিনি এর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এনসিপি'র অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই সম্ভাবনার কথা জানান।
এনসিপি'র মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ একটি সংকটকালীন মুহূর্তে রয়েছে।" তিনি বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় বিএনপি ও জামায়াত যদি সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে একমত পোষণ করে এবং তা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি অথবা জামায়াত—যে কারও সঙ্গেই এনসিপি'র জোট হতে পারে।
তিনি সেই সঙ্গে জানান, তাদের দাবি অনুযায়ী বিচার ও সংস্কারের প্রাথমিক শর্ত যদি পূরণ না হয়, তাহলে এনসিপি কারও সঙ্গে জোটে যাবে না।
এনসিপি'র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপি মনোনয়নের জন্য আবেদন ফরম বিতরণ শুরু করেছে।
প্রতিটি ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এই মূল্য দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ১৫ নভেম্বর দলের প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে।
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: উপদেষ্টাদের প্রতি মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি
বিএনপিকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্য করলে এর ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলগুলোকে হাতের খেলনা মনে করছেন। বিএনপি মহাসচিব দাবি করেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) যশোরের টাউন হল ময়দানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক প্রভাবশালী সদস্য এবং প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের শক্তি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, "বিএনপি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের দল। বিএনপি আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের জন্য জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করা বেগম খালেদা জিয়ার দল।"
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "সুতরাং বিএনপিকে ভয় দেখাবেন না। বিএনপি কোনো ভেসে আসা দল না।" তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, "আমরা যদি রাজপথে নামি, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে।"
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সকল সংকট থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন। এই সংকটের আশু সমাধান করে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে আটটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)। গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত তাদের প্রাক্-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা, এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মাত্রা বিশ্লেষণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন আচরণবিধি প্রণয়ন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা, এবং ভোটকেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ। তবে এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও আইআরআই মনে করছে, বর্তমান প্রাক্-নির্বাচনী পরিবেশ এখনো ভঙ্গুর ও আস্থাহীনতার মধ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার বিচ্ছিন্ন ঘটনা, স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থার ঘাটতি সব মিলিয়ে নির্বাচনী আস্থা পুনর্গঠনে প্রয়োজন আরও স্বচ্ছতা ও সংলাপ।
আইআরআইয়ের প্রাক্-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশনের কার্যক্রম
প্রাক্-নির্বাচনী এই মূল্যায়ন মিশনে অংশ নেন একদল আন্তর্জাতিক নীতি, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও গণতান্ত্রিক প্রশাসন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন এবং রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক জেলায় মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সফরের সময় তাঁরা নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সদস্যদের সঙ্গে মোট ২১টি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ৫৯ জন অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু ইতিবাচক রূপান্তর দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, তরুণ নেতৃত্বের উত্থান, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর আবির্ভাব, এবং বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটারের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রজন্মগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের একটি নতুন অধ্যায় সূচিত করতে পারে।
তবে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতি, নারীর সীমিত অংশগ্রহণ, উগ্রপন্থী রাজনীতির পুনরুত্থান এবং অসহিষ্ণু রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রসার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করতে পারে। আইআরআই মনে করছে, এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে আন্তরিক ও দায়বদ্ধ হতে হবে।
জুলাই সনদ: গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের নীলনকশা
আইআরআই প্রতিবেদনে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের একটি “রূপরেখা দলিল” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এই সনদ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, দলীয় সংস্কারে অগ্রগতি, এবং সংসদীয় জবাবদিহি আরও জোরদার হবে। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও সংসদের কার্যকর ভূমিকার ওপর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদের সময়মতো বাস্তবায়ন, দলীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্তি, এবং সংলাপ-ভিত্তিক সংস্কার প্রক্রিয়াই নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের পথ খুলে দিতে পারে। আইআরআই উল্লেখ করে, গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয়, যখন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি সহিষ্ণু থাকে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখে।
নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: এখনো সীমিত পরিসরে
আইআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কাঠামোগতভাবে সীমিত। সংরক্ষিত আসনের বাইরে নারীরা খুব কমই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান বা সিদ্ধান্তগ্রহণের পর্যায়ে আসতে পারেন। আইআরআই পরামর্শ দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীর নেতৃত্ব বিকাশে প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচি চালু, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় সমঅধিকার নিশ্চিত, এবং প্রচারণার সময় নিরাপত্তা সুরক্ষা জোরদার করতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারী প্রার্থী ও প্রচারকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনা গণতন্ত্রের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রকে ব্যাহত করে। তাই নারী রাজনীতিবিদদের জন্য নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে আইআরআই।
শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইআরআইয়ের আট দফা সুপারিশ
১. জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন:
রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ ও প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কার ও বিতর্কিত বিষয়গুলোর সমাধানে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।২. গণভোটের কাঠামো নির্ধারণ:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে যৌথভাবে গণভোটের জন্য আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। গণভোটের উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এবং জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
৩. নাগরিক সচেতনতা ও শিক্ষা কর্মসূচি:
জুলাই সনদ ও সাংবিধানিক সংস্কার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বোঝাপড়া বাড়াতে দেশব্যাপী নাগরিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৪. নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা:
রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীদের নেতৃত্বে আনতে, মনোনয়নে অগ্রাধিকার দিতে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
৫. প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা:
দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া যেন গণতান্ত্রিক ও জবরদস্তিমুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রার্থী ও প্রচারকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. নিরাপত্তা সমন্বয় ও সহিংসতা প্রতিরোধ:
নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় নজরদারি চালাতে হবে।
৭. নাগরিক পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা:
নির্বাচন কমিশনকে নাগরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ এবং প্রত্যাখ্যানের কারণ লিখিতভাবে জানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনুমোদিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত তথ্য বিনিময় করতে হবে।
৮. রাজনৈতিক অর্থায়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা:
রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিল সংগ্রহ, ব্যয় ও দাতাদের তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। আর্থিক অনিয়ম বা ভুল তথ্য প্রদানে কঠোর শাস্তির বিধান রাখতে হবে এবং স্বাধীন নিরীক্ষা উৎসাহিত করতে হবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের স্বচ্ছতা
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আইআরআই বলেছে, সাংবাদিকদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যেখানে তারা রাজনৈতিক চাপ, ভয়ভীতি বা অর্থনৈতিক প্রভাব ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সমাজের যৌথ প্রচেষ্টায় ভোটারদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা শনাক্ত করার সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আইআরআই সতর্ক করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য বা সংগঠিত অপপ্রচার নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বড় হুমকি।
সর্বশেষে, আইআরআই বলেছে, বাংলাদেশ এখন এক সংবেদনশীল গণতান্ত্রিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। নির্বাচনের সাফল্য নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীলতা, সংলাপ, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ওপর। যদি এসব শর্ত পূরণ হয়, তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে।
স্বাধীনতা ও সংহতি দিবস: জিয়াউর রহমানের মুক্তি নিয়ে তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব কেবল একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনাই নয়, বরং এ দেশে আধিপত্যবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা করেছিল।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে আবারও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাকশাল থেকে জিয়ার মুক্তি
বাণীতে তারেক রহমান অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। ক্ষমতা চিরদিনের জন্য ধরে রাখার উদ্দেশ্যে তারা একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, বাকশালী সরকার ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের অধিকার হরণ করেছিল।
এই চরম সংকটকালে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। কিন্তু ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও হত্যার অভিযোগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয় এবং গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে তিনি অভিযোগ করেন, আধিপত্যবাদী শক্তির এ দেশীয় এজেন্টরা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে।
আওয়ামী লীগের অপশাসন ও খালেদা জিয়ার বন্দিত্ব
তারেক রহমান তাঁর বাণীতে অভিযোগ করেন, এরপর চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতা হাতের মুঠোয় ধরে রাখে। তাদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার লড়াকু নেতাকর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করেছে এবং 'আয়নাঘর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দুর্নীতি ও অপশাসনের এক ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল'। তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'গণতন্ত্রের প্রতীক' দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।
ভবিষ্যতের করণীয় ও ঐক্যের আহ্বান
তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টদের দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়ার ঘটনাকে তিনি গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাণীর শেষাংশে তারেক রহমান ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করার আহ্বান জানান। তিনি মন্তব্য করেন, এর জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।
জুলাই সনদ জারি করুন, নয়তো মর্যাদা হারাবেন: প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত সেক্রেটারির হুঁশিয়ারি
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সরাসরি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, যদি তিনি অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি না করেন, তবে তিনি তার অর্জিত মর্যাদা নষ্ট করবেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে আটটি সমমনা ইসলামী দলের এক সমাবেশে তিনি এই কঠোর মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "আপনি ঐকমত্য কমিশনের প্রধান, আপনি সরকারপ্রধান। আপনি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করুন।"
পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ এই আটটি ইসলামী দল আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবে। এরই অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শাপলা চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মান রক্ষার জন্য এক টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, "আমরা বৃহত্তর ঐক্যের মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সুষ্ঠু করব।"
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল জানান, "আমরা ৮টি দল আজ যমুনা অভিমুখে অংশগ্রহণ করব। এখন পল্টনে আমাদের অন্যান্য দলের সঙ্গে জড়ো হবো। বিভিন্ন রাস্তা থেকে মিছিল আসছে। শৃঙ্খলার সঙ্গে মিছিল নিয়ে পল্টন থেকে যমুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করব ইনশাআল্লাহ।"
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বিএনপিতে: যোগদানের নেপথ্যের দুটি কারণ জানালেন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ রাজনীতিতে যোগদান করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-কে বেছে নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর বিএনপিতে যোগদান করা স্নিগ্ধ এবার নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন, কেন তিনি এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিলেন এবং এর পেছনে প্রধান দুটি কারণ কী ছিল।
তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তিনি মনে করেন, এখন সময় এসেছে অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে এসে রাজনৈতিকভাবে জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করার।
স্নিগ্ধ লিখেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জোয়ার উঠেছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে, সেই তরুণদের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তরুণদের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক পরিবর্তনের যে প্রচেষ্টা চলছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষা থেকেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
তিনি স্পষ্ট করেন, তিনি বা তার ভাই মুগ্ধ কেউই আগে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি বলেন, "মুগ্ধ একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। তাই আমি মনে করি, মুগ্ধসহ শহীদরা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, তারা সব মানুষ এবং দেশের সম্পদ।"
স্নিগ্ধ ব্যাখ্যা করে বলেন, এখন সময় এসেছে রাজনৈতিকভাবে জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করার। তাঁর রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার পেছনে অন্যতম কারণগুলো হলো
সর্বোচ্চ জায়গা থেকে জুলাইকে প্রতিনিধিত্ব করা।
জুলাই শহীদ, আহত যোদ্ধা, শহীদ পরিবার এবং সর্বোপরি জুলাইয়ের 'ভয়েস' বা কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা।
রাজনীতিতে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করা এবং বাংলাদেশপন্থি ও জুলাইপন্থি সব অংশীজনের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে বেছে নেওয়ার পেছনে স্নিগ্ধ দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন
১. দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ও দর্শন
তিনি বলেন, বিএনপির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। তাছাড়া বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন এবং রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা ২০২৩-এর অনেক জায়গা আছে, যেগুলো নিয়ে সরাসরি কাজ করতে তিনি আগ্রহী।
২. জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব
তিনি মনে করেন, সব পরিসরে জুলাইয়ের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন। তাই তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, যা জুলাইয়ের ঐক্যকে শক্তিশালী এবং দীর্ঘায়িত করবে।
তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চান যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করুন। যা তাঁর নিজেরও অন্যতম রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার একটি। এর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দল এবং তরুণদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।
স্নিগ্ধ বলেন, তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশ ও জুলাইপন্থি সবার সঙ্গে কাজ করে যেতে চান। রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ তাঁর রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার আরেকটি অন্যতম লক্ষ্য।
নবাগত এই নেতা অনুরোধ করে বলেন, এতদিন তিনি যত দায়িত্ব পালন করেছেন, সব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি চান, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা যেন অভিযোগে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয় এবং গঠনমূলক সমালোচনা করা হয়। তিনি বলেন, "নতুন বাংলাদেশে সবাই মিলে এতটুকু সংস্কার তো আমরা আশাই করতে পারি।"
৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের পদযাত্রা
জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়নের আদেশ ও নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীতে পদযাত্রা শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি সমমনা রাজনৈতিক দল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে প্রথমে রাজধানীর শাপলা চত্বর এলাকায় এই দলগুলোর নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। এরপর তাঁরা পল্টন মোড়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আটটি দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। পদযাত্রা শেষে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন দলগুলোর নেতারা।
এই পদযাত্রায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) নেতারা যোগ দেন।
পদযাত্রা শেষে দলগুলো প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঁচ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেবে। তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা।
৪. 'ফ্যাসিস্ট' সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. 'স্বৈরাচারের দোসর' হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
বগুড়া-৬, দিনাজপুর-৩, ফেনী-১: খালেদা-তারেকের ত্রিমুখী চমক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করার পর দলীয় কার্যক্রম এবং প্রচারণা তুঙ্গে পৌঁছেছে। মনোনীত প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে কিছু এলাকায় মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
দীর্ঘদিন ভোটাধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষ এবার নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ ও প্রত্যাশা প্রকাশ করছেন। স্থানীয় ভোটাররা প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা, বিদ্রোহের ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে আলোচনা করছেন। মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নবঞ্চিতদের বাড়ি গিয়ে সমর্থন চাইছেন। যদিও মনোনয়নবঞ্চিতরা হতাশ, তবুও অধিকাংশই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এটি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা, যা ভবিষ্যতে পরিবর্তন হতে পারে। তিনি মনোনয়নবঞ্চিতদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দল তাদের যথাযোগ্য দায়িত্ব ও সম্মান প্রদান করবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবে বিএনপি। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একসঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন। নিরাপত্তার কারণে সরকার থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহারের অনুমতিও পেয়েছে দলটি। দলীয় নেতারা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রার্থীরা স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। দলের ৩১ দফা ইশতেহারের আলোকে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিছু মনোনয়নবঞ্চিত সমর্থক বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভের অংশ হলেও, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মাদারীপুরের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং শরীয়তপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়ায় এরকম ঘটনা ঘটেছে। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লা-এর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নেতাকর্মীরা গণসংযোগ চালাচ্ছেন এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন চাইছেন। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে লড়বেন, আর তারেক রহমান প্রথমবারের মতো বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
ভোলা-৪ আসনের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নয়ন জানিয়েছেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর সাধারণ মানুষ এবার ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের আবুল খায়ের ভূঁইয়া উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনি এলাকায় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ঢাকা-৪, ঢাকা-১৪ ও ঢাকা-১৬ আসনের প্রার্থীরা গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
-শরিফুল
গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির সমাবেশে: সরোয়ার বাবলার অজানা গল্প
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা, যিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। বাবলা প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে সক্রিয় ছিলেন। এক সময় তিনি ‘এইট মার্ডার’ মামলার আসামি এবং সাজ্জাদ হোসেন খানের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরে সাজ্জাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে বাবলা নিজস্ব একটি গ্যাং গঠন করেন এবং এরপর থেকে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলতে থাকে।
এর আগে বাবলাকে একাধিকবার লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বুধবার বিকেলে তাকে পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ জানিয়েছেন, প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী এই হামলার আসল লক্ষ্য এরশাদ উল্লাহ ছিলেন না, বরং মূল টার্গেট ছিল সরোয়ার বাবলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাবলা ও তার সহযোগী নুরুন্নবী ম্যাক্সন সাজ্জাদ হোসেনের সহায়তায় অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন। তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে চট্টগ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করতেন। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল থেকে ম্যাক্সন গ্রেফতার হন। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাবলাকেও চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে আটক করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল, এলজি, পিস্তল এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তারা কাতারে চলে যান এবং সেখানে চাঁদাবাজি ও সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বাবলাকে কাতার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
বাবলাকে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ও গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কের পর তিনি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ হন। মাত্র এক মাস আগে বাবলা বিয়ে করেন, যেখানে তার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন এরশাদ উল্লাহ ও আবু সুফিয়ানসহ দলের কয়েকজন নেতা। এছাড়া, বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে তাকে দলের নেতাদের পাশে দেখা গেছে।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী এলাকায় গণসংযোগের সময় এরশাদ উল্লাহ এবং আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই সরোয়ার বাবলা মারা যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এই হামলার সঙ্গে প্রার্থীর কোনো সম্পর্ক নেই। এই ঘটনা মূলত দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের পুরনো বিরোধের জের। তিনি বলেন, প্রচারণায় শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন, বাবলা সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঠিকই, তবে এটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা একটি অশুভ বার্তা। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করেছেন, নির্বাচনী প্রচারণার ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জানাতে, যাতে সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রতিরোধ করা যায়।
-শরিফুল
মির্জা ফখরুলের নিন্দা, এরশাদ উল্লাহ হামলার দ্রুত তদন্তের দাবি
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে নগরীর হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি নগর বিএনপির আহ্বায়ক। ঘটনাস্থলে আরও একজন যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বরাতে জানা যায়, এরশাদ উল্লাহ মনোনয়ন পাওয়ার পর হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের গুলিতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলাকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম মহনগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনি প্রচারণার সময় এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার খবর পেয়েছেন এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এরশাদ উল্লাহর নাম ঘোষণা করা হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই হামলা ঘটায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- এনসিপি'র বার্তা: বিএনপি-জামায়াত যে কারো সঙ্গে জোটে যেতে পারি, শর্ত একটাই
- পাক-ভারত সংঘাতে বিমান বিধ্বস্ত: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন তারাই যারা মবের ভয় পান: প্রেস সচিবের বিতর্কিত বার্তা
- বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: উপদেষ্টাদের প্রতি মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি
- হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন চুক্তি: কি কারণে ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি হলো?
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা পাস, মোট ছুটি যতদিন
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইতালি: সভ্যতার সূতিকাগার, শিল্পের রাজধানী ও আধুনিক ইউরোপের আত্মা
- ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা
- পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ২ বাংলাদেশি
- সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত
- স্বাধীনতা ও সংহতি দিবস: জিয়াউর রহমানের মুক্তি নিয়ে তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- জুলাই সনদ জারি করুন, নয়তো মর্যাদা হারাবেন: প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত সেক্রেটারির হুঁশিয়ারি
- ঐতিহাসিক দৃশ্য: তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া
- শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বিএনপিতে: যোগদানের নেপথ্যের দুটি কারণ জানালেন
- ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের পদযাত্রা
- শীতকালে সুস্থ থাকার ৫টি অপরিহার্য অভ্যাস
- ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত
- গাজায় নিহত ২২ বন্দির লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করল হামাস
- বিসিবি পরিচালক রুবাবা দৌলাকে নিয়ে 'বেফাঁস’ মন্তব্যে' তোপের মুখে ইরফান সাজ্জাদ
- ফোনে অশ্লীল বার্তা বা ছবি পাঠালে বিপদ; নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় কঠোর শাস্তির বিধান
- বগুড়া-৬, দিনাজপুর-৩, ফেনী-১: খালেদা-তারেকের ত্রিমুখী চমক
- গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির সমাবেশে: সরোয়ার বাবলার অজানা গল্প
- মির্জা ফখরুলের নিন্দা, এরশাদ উল্লাহ হামলার দ্রুত তদন্তের দাবি
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সাবেক অর্থমন্ত্রীর পুত্র রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে, যোগ দিয়ে জানালেন নির্বাচনী পরিকল্পনা
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ম্যানসিটির দাপট অব্যাহত: জোড়া গোল করে ডর্টমুন্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন ফোডেন
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধি
- অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- পদ্মা অয়েল লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে সুখবর!
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ধীরগতির ইন্টারনেটকে বিদায়; ওয়াই-ফাইয়ের স্পিড ও কভারেজ বাড়াতে ৭টি কার্যকর কৌশল
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিকে আয়ে উল্লম্ফন
- অ্যাটলাস বাংলাদেশের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ৫০ লাখ আসক্ত: জুয়া-পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে ফেসবুক-গুগলকে কঠোর বার্তা বিটিআরসি'র
- আল হারামাইন সিকিউরিটিজের ট্রেক বাতিল
- চট্টগ্রামের রাউজানে ফের হামলা: বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ
- ইস্টার্ন ব্যাংক এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিকে দারুণ অগ্রগতি
- রকেটের গতিতে পেঁয়াজের দাম; সরকার কি হার মানবে সিন্ডিকেটের কাছে?
- পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু; মস্কো ও ওয়াশিংটনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আজকের নামাজের সময়সূচি
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- রেকর্ড ডেট ঘিরে দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে








