বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম: ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের

ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে, তার পরদিন ১১ নভেম্বর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে এই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আদানি পাওয়ারের ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ গত ৩১ অক্টোবর বিপিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিটি পাঠান। চিঠিতে জানানো হয়, বিপিডিবি এখনও মোট ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলার বিপিডিবির নিজস্ব স্বীকৃত অপরিশোধিত বিল।
চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ বন্ধের অধিকার
আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়, ধারাবাহিক যোগাযোগ এবং একাধিক চিঠি (সর্বশেষ ২৭ অক্টোবরের চিঠিসহ) পাঠানোর পরও বিপিডিবি পাওনা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। আদানি পাওয়ার বিশেষভাবে উল্লেখ করে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ)-এর ১৩.২(i)(i) ও (ii) ধারার অধীনে এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার অধিকার তাদের রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ বন্ধ থাকলেও তারা ‘ডিপেন্ডেবল ক্যাপাসিটির’ ভিত্তিতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাওয়ার অধিকার রাখে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছেও বকেয়া পরিশোধের আহ্বান
এর আগে, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গৌতম আদানি চিঠিতে উল্লেখ করেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ আংশিক অর্থ পরিশোধ করলেও এখনো একটি বড় অঙ্ক বাকি রয়ে গেছে। তিনি জানান, ২০২৫ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিপিডিবি কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া ও লেট পেমেন্ট সারচার্জ (এলপিএস) পরিশোধ করা হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি দেওয়া হয়নি। গৌতম আদানি অবিলম্বে পাওনা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান, যাতে তাদের অপারেশন ও অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় বাড়তি চাপ না পড়ে।
পিপিএ রিভিউ কমিটির পর্যবেক্ষণ
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিপিডিবি বর্তমানে সরকার গঠিত ন্যাশনাল রিভিউ কমিটি অন পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টস (পিপিএ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।
এই কমিটির প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম ২ নভেম্বর এক বৈঠকে ‘বেসিক গভর্ন্যান্স ফেইলিউর অ্যান্ড রিভিউ অব অ্যানোমালিজ ইন দ্য অ্যাপ্রুভাল প্রসেস অন আদানি’ শিরোনামে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। কমিটি জানিয়েছে, এই বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী জানুয়ারিতে প্রকাশের কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি, কমিটি আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
নির্বাচনি অনিয়মের ক্ষেত্রে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান
সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুনভাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এই অধ্যাদেশ গেজেটে প্রকাশ করেছে। সংশোধিত অধ্যাদেশে নির্বাচনী অনিয়মের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বিস্তৃত করা হয়েছে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম ধরা পড়লে শুধুমাত্র সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা যেত। তবে নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ইসি পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট ফল বাতিল করার ক্ষমতা রাখবে। অনুচ্ছেদ ৯১ অনুযায়ী, কেন্দ্রের ভোট বাতিলের পাশাপাশি পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট বাতিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
সংশোধিত আচরণবিধিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকার জরিমানা আরোপের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এছাড়া, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমসহ ইসির ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তারও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। হলফনামায় মিথ্য তথ্য প্রদান করলে ভোটের পরও ইসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অধ্যাদেশ প্রণয়নের সময়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ইসি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। পরবর্তী ধাপে উপদেষ্টা পরিষদ নীতিগতভাবে এবং চূড়ান্তভাবে অনুমোদন প্রদান করে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর এটি সংশোধন অধ্যাদেশ হিসেবে কার্যকর হবে।
-রফিক
ভোটার প্রতি নির্বাচন খরচ যত টাকায় সীমাবদ্ধ
সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে, যা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রতিটি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। নির্ধারিত সীমা ছাড়ালে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।
সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। সংশোধনীতে নির্বাচনি ব্যয়, রাজনৈতিক দল এবং অনুদান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিশদভাবে পরিমার্জন করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীর অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া, চূড়ান্ত আরপিও অনুচ্ছেদ ৪৪-এ ভোটার প্রতি নির্বাচনি ব্যয় ১০ টাকা সীমায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকার জামানত, যা পূর্বের ২০ হাজার টাকা থেকে উচ্চতর করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করা।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে নতুন বিধানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শককে সংশ্লিষ্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, অনুচ্ছেদ ৭৩-এ প্রার্থী ও দলের বিরুদ্ধে মিথ্য তথ্য, অপতথ্য, গুজব এবং এআই অপব্যবহার রোধে অপরাধ সংক্রান্ত নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৭৪, ৮১, ৮৭ ও ৮৯-এ ছোটোখাটো পরিমার্জন আনা হয়েছে। এছাড়া, অনুচ্ছেদ ৯০-এ দল নিবন্ধন, আর্থিক অনুদান এবং নিবন্ধন স্থগিত হলে প্রতীক স্থগিতকরণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
-রাফসান
প্রতীক বদল বন্ধ: বিএনপি-র দাবির বিপক্ষে সরকারের অধ্যাদেশ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এই অধ্যাদেশ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫, অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও, প্রার্থীদের তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই অধ্যাদেশটির গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি আইনের সব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হলো।
রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়েন
এই ধারাটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি টানাপোড়েন তৈরি করেছিল। গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর বিএনপি এই ধারার তীব্র বিরোধিতা করে দাবি জানায় যে, জোটভিত্তিক নির্বাচনে এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে।
তবে জামায়াতে ইসলামী এবং ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (এনসিপি) আরপিও-এর ২০ ধারার সংশোধন বহাল রাখার পক্ষে নিজেদের অবস্থান নেয়। রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিপরীতমুখী দাবির মধ্যেই সরকার আগের প্রস্তাব অনুযায়ী অধ্যাদেশটি জারি করেছে। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো নিবন্ধিত দল জোট করলেও, জোটের মনোনীত প্রার্থী অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না; তাঁকে অবশ্যই নিজের দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
নির্বাচনী আইনের অন্যান্য সংস্কার
আরপিও সংশোধন ছাড়াও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি আইন সংস্কার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— ভোটার তালিকা আইন, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র নীতিমালা, দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালা এবং সাংবাদিকদের আচরণবিধিও হালনাগাদ করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিও সংশোধনের পর জারি হওয়া নতুন বিধান অনুযায়ী ‘দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি’ও শিগগিরই জারি করা হবে।
৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত
আসন্ন শীত মৌসুমে দেশজুড়ে একের পর এক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ১০টি শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যার মধ্যে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার রাতে প্রকাশিত এই মৌসুমি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের শীতকাল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দীর্ঘ এবং বেশি শীতল হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামা দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তীব্রভাবে প্রভাব ফেলবে।
তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এবারের শীতে ৪ থেকে ৭টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এর মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সময় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
মৌসুমি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে মৌসুমের সবচেয়ে ঠাণ্ডা সময়। এ সময় দেশের বেশির ভাগ স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল
নভেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। নভেম্বর মাস থেকেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাগরে দুই থেকে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চল ও হিমালয়ঘেঁষা এলাকাগুলোতে এবার শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী এবারের শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আগামী পথ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের অগ্রগতি সম্পূর্ণভাবে আসন্ন নির্বাচনের উপর নির্ভর করবে। এই মন্তব্য তিনি ঢাকার ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে করেন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া এবং ২০২৫-২০২৬ সালের চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী উদযাপন।
সিইসি নাগরিকদের দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে, এটি আমরা কিভাবে গড়ে তুলব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব—এ বিষয়গুলো তিনি সারাক্ষণ ভাবছেন। তিনি জানান, এটিকে তিনি ব্যক্তিগত রুটিন কাজ বা চাকরির দায়িত্ব হিসেবে নেননি, বরং এটিকে একটি মিশন ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) আগামী নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিইসির ভাষ্য, “সংখ্যা ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব আনসার বাহিনী পালন করে, যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সর্বাধিক নিয়োজিত থাকেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি জানান, একযোগে ৭৪টি কেন্দ্রে আনসার বাহিনী এবং ১৩০টি কেন্দ্রে পুলিশ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, “বিশেষ করে সংকটকালীন মুহূর্তে সাধারণ প্রথা অনুসরণ করে কাজ করা যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সমাধান ও কার্যক্রমের জন্য আউট অফ দ্যা ওয়েতে চিন্তা করতে হবে।”
প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মোট প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন। সিইসি বলেন, “সাধারণত যারা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। এবার আমরা এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যাতে দায়িত্বে থাকা ভোটাররাও ভোট দিতে সক্ষম হবেন। এজন্য ১৬ নভেম্বর একটি অ্যাপ চালু হবে। এতে ভোটাররা রেজিস্ট্রেশন করে বাড়িতে ব্যালট পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট প্রদান করতে পারবেন। যারা নিজের এলাকার বাইরে থাকবেন, তারাও ভোট দিতে পারবে।”
সিইসি আরও জানান, জেলে থাকা নাগরিকরাও দেশের ভোটার এবং তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী ভোটাররাও এবার ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। এই কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ সেল খুলেছে। প্রয়োজনে ভোটাররা সেখানে যোগাযোগ করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন।”
-রফিক
এবার ভোট দিতে পারবেন কারাবন্দী ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ কর্মীও
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে এবার বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন। কারাবন্দী আসামিদের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ১০ লাখ মানুষ এবার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার (৩ নভেম্বর) এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
বন্দী, প্রবাসী ও নির্বাচন কর্মীদের ভোটদানের সুযোগ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, এত দিন কার্যত তারাই নিজের ভোটটি দিতে পারতেন না। এই সমস্যা দূর করতে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য—অর্থাৎ, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই এবার ভোট দিতে পারবেন।
তিনি জানান, ভোটদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, তারা এই অ্যাপে নিজেদের নিবন্ধন করবেন। এরপর তাদের নিজ নিজ বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ভোট দিতে পারবেন।
কারাবন্দী আসামিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আইনি হেফাজতে যারা কারাগারে রয়েছেন, তারাও এই দেশের নাগরিক। তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও, এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
'রুটিন দায়িত্ব নয়, এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি'
নিজের দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি তার এই পদটিকে কেবল রুটিন দায়িত্ব বা চাকরি হিসেবে নেননি। বরং এটিকে একটি মিশন এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি সর্বদা এই ভাবনা নিয়ে কাজ করেন যে, ভবিষ্যতের জন্য কী ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাওয়া হবে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাওয়া হবে কি না এবং তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে।
সিইসি মনে করেন, বিশেষ করে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কেবল গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় 'আউট অব দ্য ওয়েতে' বা গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে।
সোমবারের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দিলো সরকার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভা থেকে জুলাই জাতীয় সনদের গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ সভা শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এই তথ্য জানান।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ এবং গণভোট আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
উদ্বেগের কারণ সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
সরকারের আহ্বান এই প্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, গণভোটের সময়, বিষয়বস্তু এবং জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানো জরুরি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে।
নির্বাচনের সংকল্প সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
কমিশনের প্রতি ধন্যবাদ সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টা এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আসিফ নজরুলের ব্রিফিং
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত সুপারিশগুলি সরকারের কাছে হস্তান্তর হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত রয়েছে, তা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার আর কোনো সরাসরি উদ্যোগ নেবে না। বরং এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে অভিন্ন মনোভাব বা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রাথমিকভাবে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ।
আজ সোমবার এই বিষয়টি জানানো হয় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই তার সীমারেখা স্পষ্ট করেছে এবং যেকোনো রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য দায়িত্ব নেবে না; বরং এটি এখন রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও আলোচনা প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে।
সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। উল্লেখযোগ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম শুরু করার পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বা জরুরি প্রয়োজনে সাধারণত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে এই ব্রিফিংটি আলাদা, কারণ এটি প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আয়োজন করা হলো। এতে বোঝা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পথ সুগম করতে এবং গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করতে সচেষ্ট।
-রফিক
জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি
বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা ড. জাকির নায়েক আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন—এমন খবর ঘিরে দেশ-বিদেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ধর্ম প্রচারককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং তার সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সফরের প্রস্তুতি ও স্থান নিয়ে বিভেদ
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা ও পিরোজপুরে জাকির নায়েকের সমাবেশ আয়োজনের জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি হবে তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
স্থান বাছাই পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা ও পিরোজপুর অঞ্চলে সুফিবাদ ও মাজারকেন্দ্রিক ধর্মীয় অনুসারী তুলনামূলকভাবে কম, তাই জাকির নায়েকের মতাদর্শ নিয়ে সেখানে ধর্মতাত্ত্বিক সংঘাতের আশঙ্কা কম।
যেখানে অনুমতি নেই তবে সুফি মতাদর্শের অনুসারী বেশি থাকার কারণে চট্টগ্রাম ও ভারত সীমান্তঘেঁষা সিলেটে প্রস্তাবিত অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়নি এসবি।
সময়সূচি ইমিগ্রেশন পুলিশের সূত্র বলছে, জাকির নায়েক ২৬ নভেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেন। পরদিন ঢাকায় একটি ইনডোর ইসলামিক অনুষ্ঠানে এবং ২৮ নভেম্বর পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি আউটডোর সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক বক্তব্য
জাকির নায়েকের সম্ভাব্য সফর নিয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতের বার্তা ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।” তিনি আশা করেন, সংশ্লিষ্ট দেশ ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।
বাংলাদেশের ইঙ্গিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম ভারতের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।” এই মন্তব্যটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গে পাল্টা ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ধর্ম উপদেষ্টার অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনও বলেন, জাকির নায়েকের সফর অনুমোদনের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই।”
পুলিশের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ
ডিএমপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ডিএমপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এবং এখনো কোনো অনুষ্ঠানস্থলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এসবি কর্মকর্তার মত স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, “ভারত তার বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিতে পারে, কারণ তার জন্ম সেখানেই। আমাদেরও অনেক পলাতক আসামি ভারতে রয়েছে, যাদের ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা তাকে অতিথি হিসেবেই দেখছি।”
জাকির নায়েক ২০১৬ সালে অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ভারত ত্যাগ করেন এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন।
সূত্র: টিবিএস
পাঠকের মতামত:
- বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম: ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের
 - পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
 - বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আকাশচুম্বী ভবনের খেতাব মালয়েশিয়ায় যে টাওয়ারের
 - ডিএসই-সিএসইতে সকালের লেনদেনের মধ্যে সূচক বৃদ্ধি
 - আজকের নামাজের সময়সূচি: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য
 - বিএনপির ৬৩ খালি আসনে যারা পেতে পারেন প্রাধান্য
 - নির্বাচনি অনিয়মের ক্ষেত্রে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান
 - বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেব্ট মার্কেটের বর্তমান অবস্থা প্রকাশ
 - মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক বন্ডের নতুন কুপন সময়সীমা ঘোষণা
 - মনোনয়ন ‘অন হোল্ড’; তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
 - ভোটার প্রতি নির্বাচন খরচ যত টাকায় সীমাবদ্ধ
 - প্রতীক বদল বন্ধ: বিএনপি-র দাবির বিপক্ষে সরকারের অধ্যাদেশ
 - ডিভিডেন্ড ঘোষণা করল সানলাইফ ইনস্যুরেন্স
 - খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে দিলেন কড়া শর্তাবলী
 - রিয়াল বনাম লিভারপুল: চ্যাম্পিয়নস লিগে হাইভোল্টেজ লড়াই আজ যখন
 - আজ মঙ্গলবার ঢাকার কোথায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে
 - "সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের স্থান হবে না বিএনপিতে"
 - সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
 - নির্বাচিত সরকারের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত
 - ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার আপডেট
 - মনোনয়নের রাতে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
 - ২৩৭ আসন নয়, এবার কেন্দ্রীয় সমন্বয়- এনসিপির নির্বাচনী কৌশল
 - গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
 - রুহুল কবির রিজভীর নাম নেই বিএনপির ২৩৭ প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকায়
 - নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ৫টি কার্যকর পদক্ষেপ
 - ০৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
 - বোনের কোরআন পাঠে হার মানল দম্ভ; হজরত ওমর (রা.) এর ইসলাম গ্রহণের বিস্তারিত ঘটনা
 - সুদানের সংঘাতে ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের গভীর সম্পৃক্ততা: বিশ্লেষকের বিস্ফোরক দাবি
 - বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই রুমিন ফারহানা; নেত্রীকে নিয়ে জল্পনা
 - ঠোঁট কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ৪টি সহজ যত্ন
 - বিএনপির শীর্ষ নেতারা কে কোন আসনে লড়ছেন?
 - ২ শতাধিক আসনে বিএনপির প্রার্থী: দেখে নিন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর পুরো তালিকা
 - বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বাবর
 - ৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত
 - আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের আসন ঘোষণা করল বিএনপি
 - খালেদা জিয়ার আসন ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল
 - ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করল বিএনপি
 - সুদানে রক্তপাত বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি তুরস্কের এরদোয়ানের জরুরি আহ্বান
 - ‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
 - রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান
 - হালকা গ্যাস্ট্রিকও হতে পারে মারাত্মক ক্যানসারের ইঙ্গিত: প্রাথমিক উপসর্গ চিনুন ও সতর্ক হন
 - বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন উদ্যোগ: প্রতি টন ৩০২ ডলারে মার্কিন গম
 - ডিএসই ৩০ শেয়ার সূচক: আজ শেয়ারবাজারে ওঠাপড়ার বিশ্লেষণ
 - যে শেয়ারের লেনদেন রেকর্ড ডেটের পর পুনরায় শুরু
 - ০৪ ও ০৫ নভেম্বর লেনদেন স্থগিত যে শেয়ারের
 - নগদ লভ্যাংশ নিয়ে আজকের বড় সিদ্ধান্ত
 - অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন
 - নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
 - ডিএসইতে আজ অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন ভেতরে
 - ডিএসইতে আজ অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন ভেতরে
 
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
 - রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
 - ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
 - চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
 - IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
 - পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
 - ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
 - ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
 - শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
 - ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
 - ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
 - GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
 - আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
 - রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
 - ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
 
								
                          







